
.png)

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক সর্বসম্মত রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এই সিদ্ধান্ত কেবল একটি পুরনো আইনি ব্যবস্থার প্রত্যাবর্তন নয়, বরং এটি দেশের ভঙ্গুর নির্বাচনী ব্যবস্থায় আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং গণতান্ত্রিক যাত্

আসন্ন নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়কে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন দিতে ক্ষমতায় এসেছে এবং তারাই আসন্ন নির্বাচন করবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এ রায়ের মাধ্যমে দেশের জনগণের বহুল প্রতীক্ষিত প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে এবং তারা ভোটাধিকার ফিরে পাবেন।

সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের ঐতিহাসিক রায়ের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক মহাসড়কে চলা শুরু বলে উল্লেখ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আগামী দিনে নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে। দিনের ভোট রাতে হবে না, মৃত মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাবে না।

বহুল আলোচিত নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের রায়ে দিলেও এই রায় আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নয়, পরবর্তী নির্বাচন থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে করা আপিলের শুনানি আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আদালতের রায় এলেও আগামী (ত্রয়োদশ) জাতীয় সংসদ নির্বাচন সেই সরকারের অধীনে আয়োজন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

নভেম্বরের শেষ দিকে মন্ত্রিসভার নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার আভাস দিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

আপিল শুনানিতে শিশির মনির
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, এতদিন পরে এসে আজও সবাই মনে করছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করলেই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। যে প্রক্রিয়ায় এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দেওয়া হয়েছে, তা ছিল পূর্বপরিকল্পিত নকশার আলোকে।

আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া বলেন, আদালতের রায়ের মাধ্যমে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা হলেও বর্তমান সাংবিধানিক বাস্তবতায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা সম্ভব নয়। ফলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকেই আগামী জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে অনিশ্চয়তার পরিবেশ। এরই মধ্যে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর একটি দাবি—তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় দেখতে চায়। আপাতদৃষ্টিতে এটি একটি কৌশলগত রাজনৈতিক অবস্থান মনে হলেও

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি আপিলের ওপরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিভ বিভাগের বেঞ্চে এ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন থেকে উদ্ভূত আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এই আপিল শুনানি শুরু করেন আইনজীবী শরীফ ভূইয়া।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকে ১৯টি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ এসব বিষয়ের মধ্যে কিছু বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হয়েছে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে বারবার দেশের বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের অভিযোগ ওঠেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলে খায়রুল হক ছিলেন মূল কারিগর।