
.png)

পিঠা উৎসব হলো শীতকালে বাঙালি সংস্কৃতির এক ঐতিহ্যবাহী আয়োজন। যেখানে গুড়, নারিকেল, চালের গুঁড়া ও দুধের সুগন্ধে মুখরিত থাকে পরিবেশে। পিঠাকে শুধুমাত্র খাবার বললে ভুল হবে। হাজার বছর ধরে এটি আমাদের লোকজ সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে।

ভোজনরসিক বাঙালির খাদ্যাভ্যাসে পিঠার প্রচলন বহু পুরোনো। বিভিন্ন মুখরোচক আর বাহারি স্বাদের পিঠার প্রচলন ছিল আদিকাল থেকেই। এর সন্ধান পাওয়া যায় ১০০ বছরের পুরোনো রেসিপি বইতেও। এমন তিনটি বাহারি পিঠার রেসিপি ‘মিষ্টান্ন-পাক’ বই থেকে তুলে ধরা হলো স্ট্রিমের পাঠকদের জন্য।

‘পিঠা’ শব্দটি শোনা মাত্রই চোখে ভেসে ওঠে শীতের সকালের কুয়াশা, আগুন জ্বলা চুলা, গরম–গরম ভাপা পিঠা, গুড় আর খেজুর রসের ঘ্রাণ। কিন্তু ‘পিঠা’ শব্দটি এসেছে কোথা থেকে এবং কীভাবে বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে পিঠা এত গভীরভাবে মিশে গেছে, তা কি জানেন?

শীতের আগমনী হাওয়া শুরু হতেই লক্ষ্মীপুরে বাড়তে থাকে পিঠার কদর। প্রাচীন এই পিঠা সংস্কৃতি আজও লক্ষ্মীপুরের গ্রামীণ জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে টিকে আছে। শীত মানেই পিঠার আমেজ, উষ্ণ স্বাদ আর মিলনমেলার আনন্দ।

আমাদের দেশে বছরজুড়েই নানা উপলক্ষে পিঠা বানানো হয়। তবে শীতকালে পিঠার বৈচিত্র্য চোখে পড়ে সবচেয়ে বেশি। কারণটা লুকিয়ে আছে ঐতিহ্যের ভেতর। শীতের ঠিক আগে আগেই শুরু হয় হেমন্তের নবান্ন উৎসব। কৃষকের গোলাঘর ভরে ওঠে সোনালী ধানে। সেই আমন ধান থেকে আসে নতুন চাল।

ক্যালেন্ডারে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ। শীতের মৌসুম এসেই গেছে বলা যায়। সন্ধ্যা নামলেই বাতাসে টের পাওয়া যায় শীতের খুব হালকা ছোঁয়া। ঢাকাবাসীর গায়ে যদিও এখনো গরম কাপড় ওঠেনি, কিন্তু ফুটপাতে বসে গেছে শীতের পিঠার ভ্রাম্যমাণ দোকান। তাওয়া থেকে উঠছে গরম ধোঁয়া, ভাপা পিঠার গন্ধে থমকে দাঁড়াচ্ছেন পথচারীরা। শীত ঠিকঠাক

শীতের সকাল মানেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো হলগুলোতে আয়েশি ঘুমভাঙা। জানালার কাঁচ চুইয়ে আসা ফ্যাকাশে রোদটুকু শরীরে মেখে কুণ্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থাকার মধ্যে সে এক অপার আনন্দ। কিন্তু শীতের এই সকালেবলা আমার মতো গ্রামের আবহে বেড়ে ওঠা ছেলেদের জন্য অন্য এক স্মৃতির দরজাও খুলে দেয়—পিঠার স্মৃতি। ক্যাম্পা