সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বোঝাই একটি ভারতীয় ট্রাক বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
দীর্ঘ ৩ মাস পর সরকারি ঘোষণায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এই প্রথম পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলো। এতে খুশি বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
ভোমরা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ভারতীয় পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক বন্দরে প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন ভোমরা বন্দরের মেসার্স সামি এন্টারপ্রাইজ। ট্রাকটির ছাড় কারক প্রতিষ্ঠান ক্রসরোড ক্লিয়ারিং। যা থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করেছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৬ টাকা।
বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রাতেই ট্রাকটি ছাড় করার পর আমদানিকৃত পেঁয়াজ সাতক্ষীরা বড় বাজারে নেওয়া হয়।
এদিকে গতকাল রোববার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়েও প্রথম দিনে মোট ৬০ টন ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে ভারতীয় ট্রাকগুলো বন্দর এলাকায় প্রবেশ করে। আমদানিকৃত পেঁয়াজের মধ্যে মেসার্স গৌড় ইন্টারন্যাশনাল ৩০ টন এবং ওয়েলকাম ট্রেডার্স আরও ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে।
পানামা পোর্টের ম্যানেজার মো. মাইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকগুলো কোনো জটিলতা ছাড়াই বন্দর এলাকায় প্রবেশ করেছে এবং আনলোডিং কার্যক্রম দ্রুতগতিতে চলছে। তিনি বলেন, আমদানিকারকরা নিয়মিত এলসি খুললে প্রতিদিনই পেঁয়াজ আনা সম্ভব হবে।
গত প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরেই পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা চলছে। গত নভেম্বর মাসেই ৭০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ হঠাৎ করেই ১১০ টাকা হয়ে যায়। তবে মসলাপণ্যটির দামে সবচেয়ে বড় উল্লম্ফনটা হয়েছে গত এক সপ্তাহে। হঠাৎ করেই দাম ছাড়িয়ে যায় ১৫০ টাকা।
এমন পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিদিন সর্বোচ্চ দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।