ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এই সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছে। তবে এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণের বদলে সময় ও নতুন পুঁজি পেলে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ চেয়েছে।
স্ট্রিম প্রতিবেদক

পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শেষে তিনটি ব্যাংক একীভূত হতে রাজি হয়েছে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এই সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছে। তবে এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণের বদলে সময় ও নতুন পুঁজি পেলে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ চেয়েছে।
এই পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে চারটিই ছিল আওয়ামী সরকার-ঘনিষ্ঠ আর্থিক খাতে ব্যাপক সমালোচিত ব্যক্তি এস আলমের মালিকানায়। আর এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ঘনিষ্ঠ নজরুল ইসলাম মজুমদার।
বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নথিপত্রে দেখিয়েছে যে এই ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচকগুলো অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। গ্রাহকরা তাদের টাকা তুলতে না পারায় পুরো ব্যাংকিং খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জোর দিয়ে বলেছে যে একীভূত হওয়া ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই।
পাঁচটি ব্যাংকের সম্মিলিত মূলধন ঘাটতি ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ব্যাংকগুলোকে একীভূত করতে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকারের সম্মতি পেলেই এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এই পাঁচ ব্যাংকের শুনানি হয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার শুনানী হয় ইউনিয়ন ও এক্সিম ব্যাংকের। মঙ্গলবার শুনানি হয় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, চার ডেপুটি গভর্নর ও অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এস আলম গ্রুপের কাছে আটকা টাকা
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন জানান, তাঁর ব্যাংকের মোট ঋণ ১৪ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকাই এস আলম গ্রুপ নিয়েছে, যা এখন পুরোপুরি খেলাপি। এসব ঋণের বিপরীতে জামানত আছে ২৫ শতাংশেরও কম।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম বলেন, তাঁর ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ ছয় হাজার কোটি টাকা নিয়েছে।
ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মু. ফরীদ উদ্দীন আহমদ দাবি করেন, তাঁর ব্যাংক থেকে এস আলম ২৮ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, তাঁর ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ বেনামে ৩৮ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। মোট পাঁচ ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের আটকা পড়া টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা।
ব্যাংকগুলোর অবস্থান
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সময় ও পুঁজি চেয়েছে।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফিউজ্জামান বলেন, 'নতুন মূলধন পেলে দুই বছরে মুনাফা এবং সাত-আট বছরে সব ঘাটতি পূরণ সম্ভব।'
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন বলেন, 'আমরা একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের আরও স্পষ্ট ও বিস্তারিতভাবে তা উপস্থাপন করতে বলেছে।'

পাঁচটি দুর্বল ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শেষে তিনটি ব্যাংক একীভূত হতে রাজি হয়েছে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এই সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছে। তবে এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণের বদলে সময় ও নতুন পুঁজি পেলে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ চেয়েছে।
এই পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে চারটিই ছিল আওয়ামী সরকার-ঘনিষ্ঠ আর্থিক খাতে ব্যাপক সমালোচিত ব্যক্তি এস আলমের মালিকানায়। আর এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ঘনিষ্ঠ নজরুল ইসলাম মজুমদার।
বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের নথিপত্রে দেখিয়েছে যে এই ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচকগুলো অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় রয়েছে। গ্রাহকরা তাদের টাকা তুলতে না পারায় পুরো ব্যাংকিং খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জোর দিয়ে বলেছে যে একীভূত হওয়া ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই।
পাঁচটি ব্যাংকের সম্মিলিত মূলধন ঘাটতি ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ব্যাংকগুলোকে একীভূত করতে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকারের সম্মতি পেলেই এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এই পাঁচ ব্যাংকের শুনানি হয়। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার শুনানী হয় ইউনিয়ন ও এক্সিম ব্যাংকের। মঙ্গলবার শুনানি হয় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, চার ডেপুটি গভর্নর ও অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এস আলম গ্রুপের কাছে আটকা টাকা
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল আমিন জানান, তাঁর ব্যাংকের মোট ঋণ ১৪ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকাই এস আলম গ্রুপ নিয়েছে, যা এখন পুরোপুরি খেলাপি। এসব ঋণের বিপরীতে জামানত আছে ২৫ শতাংশেরও কম।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম বলেন, তাঁর ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ ছয় হাজার কোটি টাকা নিয়েছে।
ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মু. ফরীদ উদ্দীন আহমদ দাবি করেন, তাঁর ব্যাংক থেকে এস আলম ২৮ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, তাঁর ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ বেনামে ৩৮ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। মোট পাঁচ ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের আটকা পড়া টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকা।
ব্যাংকগুলোর অবস্থান
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক সময় ও পুঁজি চেয়েছে।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাফিউজ্জামান বলেন, 'নতুন মূলধন পেলে দুই বছরে মুনাফা এবং সাত-আট বছরে সব ঘাটতি পূরণ সম্ভব।'
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন বলেন, 'আমরা একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের আরও স্পষ্ট ও বিস্তারিতভাবে তা উপস্থাপন করতে বলেছে।'

মুখে অস্বীকার করলেও বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের গঠন থেকে পরিচালন সবক্ষেত্রে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতা। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কীভাবে দলটির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন, তার একটি ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর প্রসঙ্গটি আবার সামনে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বোঝাই একটি ভারতীয় ট্রাক বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৬ টাকা বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খোলা এই তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ টাকা। দুই ধরনের তেল মিলে ১৩ টাকা বেড়েছে।
১ দিন আগে
নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের দাম অক্টোবরের তুলনায় ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ কমেছে। তবে খাদ্যবহির্ভুত পণ্যের দাম অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে বেড়েছে দশমিক দশমিক ৯১ শতাংশ। আর সার্বিক মূল্যস্ফীতি অক্টোবরের তুলনায় দশমিক ৩৯ শতাংশ কমেছে।
১ দিন আগে