আজ বিশ্ব টয়লেট দিবস। এই দিবস কীভাবে এল? কেন পালন করা হয়? বৈশ্বিক পরিস্থিতি কী?
স্ট্রিম ডেস্ক

‘ওয়ার্ল্ড টয়লেট ডে’ বা বিশ্ব টয়লেট দিবস জাতিসংঘের একটি স্বীকৃত দিবস। এই দিবসের উদ্দেশ্য বিশ্বব্যাপী স্যানিটেশন সংকট সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
বিশ্বজুড়ে টয়লেট নিয়ে কথা বলা এখনো অনেকের কাছে অস্বস্তির বিষয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং সবার জন্য সহজলভ্য স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকলে স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জলবায়ু—সবকিছুই সংকটের মুখে পড়ে। এটি পরিচ্ছন্নতা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গেও যুক্ত। আর এ কারণে স্যানিটেশন নিয়ে বৈশ্বিক আলোচনাকে সামনে আনা, সমস্যাগুলো তুলে ধরা এবং ভবিষ্যতের জলবায়ু–সহনশীল স্যানিটেশন নিয়ে নতুন চিন্তা চালু করাই এই দিনের মূল উদ্দেশ্য।
গল্পটা শুরু সিঙ্গাপুরের সামাজকর্মী জ্যাক সিমের হাত ধরে, যিনি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ওয়ার্ল্ড টয়লেট অর্গানাইজেশন’। স্যানিটেশন সংকটকে তিনি দেখেছিলেন বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত সমস্যার পাশাপাশি পরিবেশগত বিপদের উৎস হিসেবে। বিশেষ করে যেসব দেশে মানুষ টয়লেটবিহীন খোলা স্থানে মলত্যাগে বাধ্য হয়, যা সরাসরি মাটি, পানি ও বায়ুকে দূষিত করে।

তাঁর উদ্যোগেই প্রথমবার ১৯ নভেম্বরকে বেসরকারি পর্যায়ে পালিত হতে শুরু করে ‘ওয়ার্ল্ড টয়লেট ডে’। পরে জাতিসংঘ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে দিনটিকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে ২০১৩ সালকে ধরা হয় বিশ্ব টয়লেট দিবসের সরকারি বা জাতিসংঘ অনুমোদিত শুরুর বছর হিসেবে।
বিশ্বব্যাপী এখনো প্রায় ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধা ছাড়া জীবন কাটাচ্ছেন। কোটি কোটি মানুষ আজও এমন টয়লেট ব্যবহার করেন যেখানে বর্জ্য সঠিকভাবে নিষ্পত্তি হয় না, যার ফলে পানিদূষণ বাড়ে, নদী–নালা বন্ধ হয়ে যায় এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণও বেড়ে যায়।
অর্থাৎ স্যানিটেশন সংকট শুধু জনস্বাস্থ্য নয়—জলবায়ু পরিবর্তন, পানিসংকট ও পরিবেশ দূষণেরও বড় কারণ। খোলা স্থানে মলত্যাগ বা অপ্রক্রিয়াজাত বর্জ্য যখন বন্যার পানিতে ভেসে যায়, তখন পুরো এলাকার বাস্তুতন্ত্র ও মানবস্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। ফলে স্যানিটেশনকে জলবায়ু সহনশীল না করা পর্যন্ত পরিবেশগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
এ সংকট শিক্ষাক্ষেত্রেও কম প্রভাব ফেলে না। কারণ, অনুপযুক্ত টয়লেট মানে অনুপযুক্ত পরিবেশ, যা স্কুল ত্যাগের হার বাড়ায়।

আবার রাজধানী ঢাকায় প্রয়োজনের তুলনায় পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা কম। যেসব পাবলিক টয়লেট চালু আছে সেগুলোর মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। অনেক টয়লেটেই নেই স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা। ফলে টয়লেট নিয়ে প্রতিদিনই বিপাকে পড়ছেন হাজারো পথচারী, কর্মজীবী নারী, শ্রমজীবী ও ভাসমান জনগোষ্ঠী। তাঁদের কাছে ব্যবহারযোগ্য টয়লেটের অভাব এক নিত্য সমস্যা।
স্বাধীন অলাভজনক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’-এর তথ্যমতে, ঢাকার মোট জনসংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় পাবলিক টয়লেট আছে ৭০টি। ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, এর মধ্যে অন্তত ১৫টিই বন্ধ।
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের ঘোষিত দিবসে নির্দিষ্ট একটি থিম ঘোষণা করে। ২০২৫ সালের থিম নিয়ে জাতিসংঘ বলছে, ভবিষ্যতের পৃথিবীতে স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে শুধু টয়লেট সরবরাহের পর্যায়ে রাখলে হবে না। এগুলোকে হতে হবে আরও আধুনিক, শক্তিশালী এবং জলবায়ু–সহনশীল। তাই ভবিষ্যতের জন্য ‘ফিউচার-রেডি’স্যানিটেশন তৈরি করা ছাড়া বিকল্প নেই।

‘ওয়ার্ল্ড টয়লেট ডে’ বা বিশ্ব টয়লেট দিবস জাতিসংঘের একটি স্বীকৃত দিবস। এই দিবসের উদ্দেশ্য বিশ্বব্যাপী স্যানিটেশন সংকট সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
বিশ্বজুড়ে টয়লেট নিয়ে কথা বলা এখনো অনেকের কাছে অস্বস্তির বিষয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং সবার জন্য সহজলভ্য স্যানিটেশন ব্যবস্থা না থাকলে স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জলবায়ু—সবকিছুই সংকটের মুখে পড়ে। এটি পরিচ্ছন্নতা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গেও যুক্ত। আর এ কারণে স্যানিটেশন নিয়ে বৈশ্বিক আলোচনাকে সামনে আনা, সমস্যাগুলো তুলে ধরা এবং ভবিষ্যতের জলবায়ু–সহনশীল স্যানিটেশন নিয়ে নতুন চিন্তা চালু করাই এই দিনের মূল উদ্দেশ্য।
গল্পটা শুরু সিঙ্গাপুরের সামাজকর্মী জ্যাক সিমের হাত ধরে, যিনি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ওয়ার্ল্ড টয়লেট অর্গানাইজেশন’। স্যানিটেশন সংকটকে তিনি দেখেছিলেন বৈশ্বিক স্বাস্থ্যগত সমস্যার পাশাপাশি পরিবেশগত বিপদের উৎস হিসেবে। বিশেষ করে যেসব দেশে মানুষ টয়লেটবিহীন খোলা স্থানে মলত্যাগে বাধ্য হয়, যা সরাসরি মাটি, পানি ও বায়ুকে দূষিত করে।

তাঁর উদ্যোগেই প্রথমবার ১৯ নভেম্বরকে বেসরকারি পর্যায়ে পালিত হতে শুরু করে ‘ওয়ার্ল্ড টয়লেট ডে’। পরে জাতিসংঘ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ২০১৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে দিনটিকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে ২০১৩ সালকে ধরা হয় বিশ্ব টয়লেট দিবসের সরকারি বা জাতিসংঘ অনুমোদিত শুরুর বছর হিসেবে।
বিশ্বব্যাপী এখনো প্রায় ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মানুষ নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধা ছাড়া জীবন কাটাচ্ছেন। কোটি কোটি মানুষ আজও এমন টয়লেট ব্যবহার করেন যেখানে বর্জ্য সঠিকভাবে নিষ্পত্তি হয় না, যার ফলে পানিদূষণ বাড়ে, নদী–নালা বন্ধ হয়ে যায় এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণও বেড়ে যায়।
অর্থাৎ স্যানিটেশন সংকট শুধু জনস্বাস্থ্য নয়—জলবায়ু পরিবর্তন, পানিসংকট ও পরিবেশ দূষণেরও বড় কারণ। খোলা স্থানে মলত্যাগ বা অপ্রক্রিয়াজাত বর্জ্য যখন বন্যার পানিতে ভেসে যায়, তখন পুরো এলাকার বাস্তুতন্ত্র ও মানবস্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। ফলে স্যানিটেশনকে জলবায়ু সহনশীল না করা পর্যন্ত পরিবেশগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
এ সংকট শিক্ষাক্ষেত্রেও কম প্রভাব ফেলে না। কারণ, অনুপযুক্ত টয়লেট মানে অনুপযুক্ত পরিবেশ, যা স্কুল ত্যাগের হার বাড়ায়।

আবার রাজধানী ঢাকায় প্রয়োজনের তুলনায় পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা কম। যেসব পাবলিক টয়লেট চালু আছে সেগুলোর মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। অনেক টয়লেটেই নেই স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা। ফলে টয়লেট নিয়ে প্রতিদিনই বিপাকে পড়ছেন হাজারো পথচারী, কর্মজীবী নারী, শ্রমজীবী ও ভাসমান জনগোষ্ঠী। তাঁদের কাছে ব্যবহারযোগ্য টয়লেটের অভাব এক নিত্য সমস্যা।
স্বাধীন অলাভজনক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’-এর তথ্যমতে, ঢাকার মোট জনসংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় পাবলিক টয়লেট আছে ৭০টি। ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, এর মধ্যে অন্তত ১৫টিই বন্ধ।
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের ঘোষিত দিবসে নির্দিষ্ট একটি থিম ঘোষণা করে। ২০২৫ সালের থিম নিয়ে জাতিসংঘ বলছে, ভবিষ্যতের পৃথিবীতে স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে শুধু টয়লেট সরবরাহের পর্যায়ে রাখলে হবে না। এগুলোকে হতে হবে আরও আধুনিক, শক্তিশালী এবং জলবায়ু–সহনশীল। তাই ভবিষ্যতের জন্য ‘ফিউচার-রেডি’স্যানিটেশন তৈরি করা ছাড়া বিকল্প নেই।

সারা দেশের কোথাও কোথাও ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। একই সঙ্গে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আজ শুক্রবার মৌসুমি পূর্বাভাসে এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৪ দিন আগে
পরিবেশ অধিদপ্তর সারা দেশে বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটা, নিষিদ্ধ পলিথিন এবং পরিবেশদূষণকারী শিল্পকারখানার বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেছে। বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী পরিচালিত এসব অভিযানে মোট ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
৪ দিন আগে
দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ২০২৪ ও ২০২৫ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতার সম্মুখীন হয়েছে। কখনও তীব্র দাবদাহে, আবার কখনও সর্বগ্রাসী বন্যায় ভাসিয়ে প্রকৃতি যেন এই অঞ্চলের মানচিত্রকে নতুন করে আঁকতে চাইছে।
৮ দিন আগে
জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় ‘মাল্টি-হ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস’ (এমএইচইডব্লিউএস) বিষয়ক জাতীয় রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
৮ দিন আগে