স্ট্রিম ডেস্ক

ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে নৌ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ট্যাংকার দুটির নাম ‘কাইরোস’ ও ‘ভিরাট’। তারা গাম্বিয়ার পতাকাবাহী এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। হামলার সময় তারা নোভোরোসিস্ক বন্দরের পথে ছিল। হামলায় জাহাজে আগুন লাগে ও বড় ধরনের ক্ষতি হয়।
তবে কেউ হতাহত হয়নি এবং তেল ছড়িয়ে পরিবেশের ক্ষতিও হয়নি। এটি রাশিয়ার গোপন নৌবহর লক্ষ্য করে ইউক্রেনের প্রথম সরাসরি আক্রমণ। উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল রপ্তানির সক্ষমতা ব্যাহত করা। ইউক্রেন হামলার ভিডিও প্রকাশ করেছে। উদ্ধারকাজে তুরস্ক সহায়তা দিয়েছে।
শনিবার রাতে প্রথম দুটি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে ভিরাটে দ্বিতীয়বার আঘাত হানা হয়। কাইরোস জাহাজ তুরস্কের কোকায়েলি প্রদেশ থেকে ২৮ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকাকালে ড্রোন আঘাতে বিস্ফোরিত হয় এবং আগুন ধরে যায়। ভিরাট ৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ইঞ্জিনরুম ও পানির ওপরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও জাহাজ স্থিতিশীল ছিল। দুই ট্যাংকারেই তখন তেল ছিল না। তারা মিশর থেকে রাশিয়ান তেল সংগ্রহ করতে যাচ্ছিল।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা ও নৌবাহিনী যৌথভাবে আধুনিকায়িত সি বেবি নৌ-ড্রোন ব্যবহার করে অভিযান পরিচালনা করে। ভিডিওতে দেখা যায়, দ্রুতগতির ড্রোন জাহাজে আঘাত হেনে বিস্ফোরণ ঘটায়। আগুন ও ঘন ধোঁয়া আকাশে উঠে। এক ফুটেজে দেখা যায়, ড্রোন আঘাতের পর জাহাজের অংশ আগুনে ঘেরা।
ভিরাট থেকে ভিস্তার কলে বিপদ সংকেত ধরা পড়ে—‘ড্রোন অ্যাটাক! সাহায্য দরকার!’। কাইরোসের ২৫ জন নাবিককে তুরস্কের কোস্টগার্ড উদ্ধার করে। ভিরাটে নাবিকরা জাহাজকে স্থিতিশীল বলে জানায়, তাই তাদের উদ্ধার প্রয়োজন হয়নি।
তুরস্কের পরিবহনমন্ত্রী জানান, ঘটনাটি তুরস্কের অর্থনৈতিক সীমানার মধ্যে ঘটে। তিনি বলেন, হামলাটি ড্রোন, মাইন বা ক্ষেপণাস্ত্র, যেকোনো কারণে হতে পারে। ঘটনার তুরস্ক নৌ চলাচলের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে।
শ্যাডো ফ্লিট কী
রাশিয়ার এই শ্যাডো ফ্লিট বা গোপন নৌবহর পুরোনো ও অনিরাপদ তেলবাহী জাহাজ নিয়ে গঠিত। এগুলো সাধারণত তৃতীয় দেশের পতাকায় চলে, যাতে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহন করা যায়। ২০২২ সালের আক্রমণের পর এ নৌবহর রাশিয়ার যুদ্ধে অর্থ যোগায়। কাইরোস ও ভিরাট ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও সুইজারল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে। ইউক্রেনের হিসাব অনুযায়ী, এ দুটি জাহাজ প্রায় ৭ কোটি ডলার মূল্যের তেল পরিবহন করতে পারত।
এ ধরনের জাহাজ রক্ষণাবেক্ষণহীন ও বীমাহীন হওয়ায় পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকিও বেশি। কৃষ্ণসাগরের ব্যস্ত পথচলায় এটি বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত।
ইউক্রেনের বক্তব্য ও সক্ষমতা
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউর এক নামহীন কর্মকর্তা জানান, এই হামলার মূল লক্ষ্য রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল রপ্তানি বাধাগ্রস্ত করা। তাঁর মতে, এটি যুদ্ধের অর্থায়ন কমানোর একটি কৌশল। দেশীয়ভাবে তৈরি সি বেবি নৌ-ড্রোন ব্যবহারে ইউক্রেনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি স্পষ্ট হয়েছে। এসব ড্রোন দূরসমুদ্রেও নির্ভুল হামলা চালাতে পারে।
এ হামলা ইউক্রেনের বৃহত্তর কৌশলের অংশ। রাশিয়ার জ্বালানি-ভিত্তিক অবকাঠামোতে ধারাবাহিক দীর্ঘপাল্লার হামলা এর লক্ষ্য। একই সময়ে নোভোরোসিস্ক টার্মিনালে ক্যাসপিয়ান পাইপলাইন কনসর্টিয়াম (সিপিসি) পরিচালিত একটি মুরিং ডিভাইসেও ড্রোন হামলা হয়। এতে তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেনি, তবে কার্যক্রম স্থগিত হয়।
রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেন্স্কি জানান, এক সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনের দিকে ৩৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৬০০ ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এতে সংঘাত তীব্র অবস্থায় রয়েছে বলে বোঝা যায়।
রাশিয়ার ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
রাশিয়া ট্যাংকার হামলা নিয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে রাশিয়ান সামরিক ব্লগাররা অভিযোগ করেছে, ইউক্রেন কৃষ্ণসাগর শস্য রপ্তানি করিডোরে তথাকথিত ‘অ-আক্রমণ চুক্তি’ ভেঙেছে। ইউক্রেন এই দাবি অস্বীকার করেছে, কারণ রাশিয়া ২০২৩ সালে নিজেই সেই চুক্তি থেকে সরে যায়। সমালোচকেরা রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের প্রতিরক্ষা ব্যর্থতাকেও তুলে ধরেছেন।
আন্তর্জাতিক দিক থেকে কাজাখস্তান সিপিসি টার্মিনালের ক্ষতিতে অসন্তোষ জানায় এবং স্থিতিশীল জ্বালানি সরবরাহের দাবি করে। তুরস্ক নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রেখে নিরাপত্তা ও উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে জোর দিয়েছে।
সামাজিকমাধ্যমে অনেকেই ভিডিও ও প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন। কেউ ইউক্রেনের সক্ষমতার বিশ্লেষণ দিয়েছেন, কেউ আবার আক্রমণসংক্রান্ত খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এ সময় ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরোভের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে শান্তি-আলোচনা বিষয়ে আলোচনা করতে।
প্রভাব ও বিশ্লেষণ
এই হামলা ইউক্রেনের সমুদ্র-ভিত্তিক অভিযানকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। রাশিয়ার তেল পরিবহন শৃঙ্খলা ব্যাহত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টিই এ কৌশলের মূল উদ্দেশ্য। ‘শ্যাডো ফ্লিট’ লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় ভবিষ্যতে এধরনের ট্যাংকার পরিচালনা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। রাশিয়াকেও প্রতিরক্ষা জোরদারে অতিরিক্ত সম্পদ ব্যয় করতে হতে পারে।
ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডাব্লিউ) এটিকে শ্যাডো ফ্লিটে ইউক্রেনের প্রথম আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, নৌ-ড্রোন ব্যবহারে ইউক্রেনের সক্ষমতা ও রাশিয়ার আয়ের উৎস দুর্বল করার অভিপ্রায় পরিষ্কার। তবে এই পদক্ষেপ কৃষ্ণসাগরের উত্তেজনা বাড়াতে পারে। পরিবেশগত ঝুঁকিও রয়েছে। বৈশ্বিক তেলবাজারও এতে প্রভাবিত হতে পারে।
ইউক্রেন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার আহ্বান জানিয়েছে। শান্তি আলোচনা চলমান থাকায় এই হামলা কূটনৈতিক জটিলতাও বাড়াতে পারে। এখনো তেলের দামে বড় পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবে নোভোরোসিস্কের দীর্ঘমেয়াদি বিঘ্ন রাশিয়া ও কাজাখস্তানের রপ্তানি কমিয়ে দিতে পারে।

ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন নৌবহরের দুটি তেলবাহী ট্যাংকারে নৌ ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। ট্যাংকার দুটির নাম ‘কাইরোস’ ও ‘ভিরাট’। তারা গাম্বিয়ার পতাকাবাহী এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। হামলার সময় তারা নোভোরোসিস্ক বন্দরের পথে ছিল। হামলায় জাহাজে আগুন লাগে ও বড় ধরনের ক্ষতি হয়।
তবে কেউ হতাহত হয়নি এবং তেল ছড়িয়ে পরিবেশের ক্ষতিও হয়নি। এটি রাশিয়ার গোপন নৌবহর লক্ষ্য করে ইউক্রেনের প্রথম সরাসরি আক্রমণ। উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল রপ্তানির সক্ষমতা ব্যাহত করা। ইউক্রেন হামলার ভিডিও প্রকাশ করেছে। উদ্ধারকাজে তুরস্ক সহায়তা দিয়েছে।
শনিবার রাতে প্রথম দুটি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে ভিরাটে দ্বিতীয়বার আঘাত হানা হয়। কাইরোস জাহাজ তুরস্কের কোকায়েলি প্রদেশ থেকে ২৮ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকাকালে ড্রোন আঘাতে বিস্ফোরিত হয় এবং আগুন ধরে যায়। ভিরাট ৩৫ নটিক্যাল মাইল দূরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ইঞ্জিনরুম ও পানির ওপরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও জাহাজ স্থিতিশীল ছিল। দুই ট্যাংকারেই তখন তেল ছিল না। তারা মিশর থেকে রাশিয়ান তেল সংগ্রহ করতে যাচ্ছিল।
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা ও নৌবাহিনী যৌথভাবে আধুনিকায়িত সি বেবি নৌ-ড্রোন ব্যবহার করে অভিযান পরিচালনা করে। ভিডিওতে দেখা যায়, দ্রুতগতির ড্রোন জাহাজে আঘাত হেনে বিস্ফোরণ ঘটায়। আগুন ও ঘন ধোঁয়া আকাশে উঠে। এক ফুটেজে দেখা যায়, ড্রোন আঘাতের পর জাহাজের অংশ আগুনে ঘেরা।
ভিরাট থেকে ভিস্তার কলে বিপদ সংকেত ধরা পড়ে—‘ড্রোন অ্যাটাক! সাহায্য দরকার!’। কাইরোসের ২৫ জন নাবিককে তুরস্কের কোস্টগার্ড উদ্ধার করে। ভিরাটে নাবিকরা জাহাজকে স্থিতিশীল বলে জানায়, তাই তাদের উদ্ধার প্রয়োজন হয়নি।
তুরস্কের পরিবহনমন্ত্রী জানান, ঘটনাটি তুরস্কের অর্থনৈতিক সীমানার মধ্যে ঘটে। তিনি বলেন, হামলাটি ড্রোন, মাইন বা ক্ষেপণাস্ত্র, যেকোনো কারণে হতে পারে। ঘটনার তুরস্ক নৌ চলাচলের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে।
শ্যাডো ফ্লিট কী
রাশিয়ার এই শ্যাডো ফ্লিট বা গোপন নৌবহর পুরোনো ও অনিরাপদ তেলবাহী জাহাজ নিয়ে গঠিত। এগুলো সাধারণত তৃতীয় দেশের পতাকায় চলে, যাতে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল পরিবহন করা যায়। ২০২২ সালের আক্রমণের পর এ নৌবহর রাশিয়ার যুদ্ধে অর্থ যোগায়। কাইরোস ও ভিরাট ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও সুইজারল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞায় পড়ে। ইউক্রেনের হিসাব অনুযায়ী, এ দুটি জাহাজ প্রায় ৭ কোটি ডলার মূল্যের তেল পরিবহন করতে পারত।
এ ধরনের জাহাজ রক্ষণাবেক্ষণহীন ও বীমাহীন হওয়ায় পরিবেশগত বিপর্যয়ের ঝুঁকিও বেশি। কৃষ্ণসাগরের ব্যস্ত পথচলায় এটি বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত।
ইউক্রেনের বক্তব্য ও সক্ষমতা
ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা এসবিইউর এক নামহীন কর্মকর্তা জানান, এই হামলার মূল লক্ষ্য রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল রপ্তানি বাধাগ্রস্ত করা। তাঁর মতে, এটি যুদ্ধের অর্থায়ন কমানোর একটি কৌশল। দেশীয়ভাবে তৈরি সি বেবি নৌ-ড্রোন ব্যবহারে ইউক্রেনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি স্পষ্ট হয়েছে। এসব ড্রোন দূরসমুদ্রেও নির্ভুল হামলা চালাতে পারে।
এ হামলা ইউক্রেনের বৃহত্তর কৌশলের অংশ। রাশিয়ার জ্বালানি-ভিত্তিক অবকাঠামোতে ধারাবাহিক দীর্ঘপাল্লার হামলা এর লক্ষ্য। একই সময়ে নোভোরোসিস্ক টার্মিনালে ক্যাসপিয়ান পাইপলাইন কনসর্টিয়াম (সিপিসি) পরিচালিত একটি মুরিং ডিভাইসেও ড্রোন হামলা হয়। এতে তেল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেনি, তবে কার্যক্রম স্থগিত হয়।
রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেন্স্কি জানান, এক সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনের দিকে ৩৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৬০০ ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এতে সংঘাত তীব্র অবস্থায় রয়েছে বলে বোঝা যায়।
রাশিয়ার ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
রাশিয়া ট্যাংকার হামলা নিয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। তবে রাশিয়ান সামরিক ব্লগাররা অভিযোগ করেছে, ইউক্রেন কৃষ্ণসাগর শস্য রপ্তানি করিডোরে তথাকথিত ‘অ-আক্রমণ চুক্তি’ ভেঙেছে। ইউক্রেন এই দাবি অস্বীকার করেছে, কারণ রাশিয়া ২০২৩ সালে নিজেই সেই চুক্তি থেকে সরে যায়। সমালোচকেরা রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের প্রতিরক্ষা ব্যর্থতাকেও তুলে ধরেছেন।
আন্তর্জাতিক দিক থেকে কাজাখস্তান সিপিসি টার্মিনালের ক্ষতিতে অসন্তোষ জানায় এবং স্থিতিশীল জ্বালানি সরবরাহের দাবি করে। তুরস্ক নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রেখে নিরাপত্তা ও উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে জোর দিয়েছে।
সামাজিকমাধ্যমে অনেকেই ভিডিও ও প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন। কেউ ইউক্রেনের সক্ষমতার বিশ্লেষণ দিয়েছেন, কেউ আবার আক্রমণসংক্রান্ত খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এ সময় ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরোভের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে শান্তি-আলোচনা বিষয়ে আলোচনা করতে।
প্রভাব ও বিশ্লেষণ
এই হামলা ইউক্রেনের সমুদ্র-ভিত্তিক অভিযানকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। রাশিয়ার তেল পরিবহন শৃঙ্খলা ব্যাহত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টিই এ কৌশলের মূল উদ্দেশ্য। ‘শ্যাডো ফ্লিট’ লক্ষ্যবস্তু হওয়ায় ভবিষ্যতে এধরনের ট্যাংকার পরিচালনা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। রাশিয়াকেও প্রতিরক্ষা জোরদারে অতিরিক্ত সম্পদ ব্যয় করতে হতে পারে।
ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডাব্লিউ) এটিকে শ্যাডো ফ্লিটে ইউক্রেনের প্রথম আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছে। তাদের মতে, নৌ-ড্রোন ব্যবহারে ইউক্রেনের সক্ষমতা ও রাশিয়ার আয়ের উৎস দুর্বল করার অভিপ্রায় পরিষ্কার। তবে এই পদক্ষেপ কৃষ্ণসাগরের উত্তেজনা বাড়াতে পারে। পরিবেশগত ঝুঁকিও রয়েছে। বৈশ্বিক তেলবাজারও এতে প্রভাবিত হতে পারে।
ইউক্রেন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার আহ্বান জানিয়েছে। শান্তি আলোচনা চলমান থাকায় এই হামলা কূটনৈতিক জটিলতাও বাড়াতে পারে। এখনো তেলের দামে বড় পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবে নোভোরোসিস্কের দীর্ঘমেয়াদি বিঘ্ন রাশিয়া ও কাজাখস্তানের রপ্তানি কমিয়ে দিতে পারে।

জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর ওই এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পর্যটকদের কাছে হিমালয় এবং কাঠমাণ্ডু আকর্ষণীয় স্থানের শীর্ষে। কিন্তু বন্যপ্রাণীতে ভরপুর, জাতীয় পার্ক এবং দৃষ্টিনন্দন অতিথিশালাসমৃদ্ধ নেপালের তেরাই নিম্নাঞ্চল সম্পর্কে পর্যটকরা খুব একটা জানে না।
৫ ঘণ্টা আগে
গত জানুয়ারিতে চীন জানায় যে তাদের পণ্য ও সেবাখাতে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে—যা বিশ্বে কোনো দেশের জন্য প্রথম অভিজ্ঞতা। কিন্তু ২০২৫ সালের প্রথম ১১ মাসে চীন সেই সীমাও অতিক্রম করেছে। সোমবার প্রকাশিত কাস্টমস তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর পর্যন্ত চীনের মোট বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৮
৭ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের পতনের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। গত বছর এই দিনে বাশার আল-আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় প্রায় ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধেরও সমাপ্তি ঘটে। আহমদ আল-শারা (সাবেক আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি) নেতৃত্বাধীন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) অন্তর্বর্তী সরকার এখন দেশ পরিচালনা করছে।
১০ ঘণ্টা আগে