ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত নিরসনে তিরানায় অনুষ্ঠিত প্রথম সরাসরি শান্তি-আলোচনায় নতুন আশার জন্ম হলেও ফলাফলে এসেছে হতাশা। যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময়সহ কয়েকটি প্রস্তাব এলেও বাস্তবায়ন অনিশ্চিত। আলবেনিয়ার তিরানায় দেশ দুটির আলোচনা নিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদন অবলম্বনে লিখেছেন সৈকত আমীন
স্ট্রিম ডেস্ক

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় সংঘাত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সেই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানায় দেশ দুটির মধ্যে প্রথমবারের মতো সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে আলোচনাটি একটি বড় অগ্রগতির ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত তা কূটনৈতিক মহলে হতাশাই ডেকে এনেছে।
গত ১৬ মে শুক্রবার আলোচনার পর তিনটি বিষয়ে সম্মতি আসে- বন্দি বিনিময়, প্রেসিডেন্ট পর্যায়ে বৈঠকের সম্ভাব্যতা এবং যুদ্ধবিরতির একটি খসড়া রূপরেখা তৈরির উদ্যোগ। তবে এসব বিষয়ে আগেই আলোচনা চলছিল এবং বাস্তবায়নের বিষয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই স্থল, জল ও আকাশপথে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন। রাশিয়া তা প্রত্যাখ্যান করে। নতুন করে বিবেচনার কথা বললেও তাদের অবস্থানে কোনো বড় পরিবর্তন দেখা যায়নি।
এদিকে আলোচনার বাইরে থেকেও আলোচনার কাণ্ডারির ভূমিকায় দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কিয়েভ থেকে তিরানা- সারা সপ্তাহজুড়েই ইউরোপীয় নেতারা ফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও ইউক্রেনের নেতারা একমত- যুদ্ধ বন্ধে এখনই এক মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি দরকার। ফ্রান্স হুঁশিয়ারি দিয়েছে, রাশিয়া তা না মানলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসবে।
তবে ট্রাম্পের অবস্থান বারবার পাল্টাচ্ছে। কখনো তিনি রাশিয়াকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান, আবার কখনো প্রকাশ্যে পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর কিছু বলতে পিছিয়ে যান। তিনি ইস্তানবুলে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব দেন, কিন্তু রাশিয়া তা প্রত্যাখ্যান করে। পুতিন শুধু নিচু স্তরের কর্মকর্তাদের পাঠাতে রাজি হন।
এদিকে ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়ার অবস্থানকে আখ্যা দিয়েছেন 'অগ্রহণযোগ্য' বলে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার বলেন, পুতিনকে শান্তির পথ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য মূল্য দিতে হবে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করা অগ্রহণযোগ্য।
বিশ্লেষকরা এই পরিস্থিতিকে কূটনৈতিক অচলাবস্থা হিসেবে দেখছেন। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক এবং কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের সিনিয়র ফেলো চার্লস কাপচান বলেন, রাশিয়া শান্তির জন্য প্রস্তুত নয়। তাঁরা সময়ক্ষেপণ করছে এবং পশ্চিমা বিশ্বের ধৈর্য পরীক্ষা করছে।
কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের ইউরোপ বিষয়ক ফেলো লিয়ানা ফিক্স বলেন, রাশিয়ার বর্তমান চাহিদাগুলো অবাস্তব এবং ইউক্রেনের জন্য অগ্রহণযোগ্য।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেন, পুতিন যুদ্ধ থামালে অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের মুখোমুখি হবেন। তাই তিনি শান্তি (যুদ্ধ থামাতে) চান না।
এই প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন ও পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর পক্ষে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন জানান, 'মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ নিয়ে কাজ চলছে।' বিশ্লেষকদের মতে, এই আলোচনার পুরো প্রক্রিয়া কেবল কূটনৈতিক স্থবিরতা তৈরি করছে। বাস্তবে কোনো সমাধান আসছে না, বরং যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় সংঘাত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সেই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আলবেনিয়ার রাজধানী তিরানায় দেশ দুটির মধ্যে প্রথমবারের মতো সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে আলোচনাটি একটি বড় অগ্রগতির ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত তা কূটনৈতিক মহলে হতাশাই ডেকে এনেছে।
গত ১৬ মে শুক্রবার আলোচনার পর তিনটি বিষয়ে সম্মতি আসে- বন্দি বিনিময়, প্রেসিডেন্ট পর্যায়ে বৈঠকের সম্ভাব্যতা এবং যুদ্ধবিরতির একটি খসড়া রূপরেখা তৈরির উদ্যোগ। তবে এসব বিষয়ে আগেই আলোচনা চলছিল এবং বাস্তবায়নের বিষয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই স্থল, জল ও আকাশপথে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন। রাশিয়া তা প্রত্যাখ্যান করে। নতুন করে বিবেচনার কথা বললেও তাদের অবস্থানে কোনো বড় পরিবর্তন দেখা যায়নি।
এদিকে আলোচনার বাইরে থেকেও আলোচনার কাণ্ডারির ভূমিকায় দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কিয়েভ থেকে তিরানা- সারা সপ্তাহজুড়েই ইউরোপীয় নেতারা ফোনে ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও ইউক্রেনের নেতারা একমত- যুদ্ধ বন্ধে এখনই এক মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি দরকার। ফ্রান্স হুঁশিয়ারি দিয়েছে, রাশিয়া তা না মানলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আসবে।
তবে ট্রাম্পের অবস্থান বারবার পাল্টাচ্ছে। কখনো তিনি রাশিয়াকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান, আবার কখনো প্রকাশ্যে পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর কিছু বলতে পিছিয়ে যান। তিনি ইস্তানবুলে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব দেন, কিন্তু রাশিয়া তা প্রত্যাখ্যান করে। পুতিন শুধু নিচু স্তরের কর্মকর্তাদের পাঠাতে রাজি হন।
এদিকে ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়ার অবস্থানকে আখ্যা দিয়েছেন 'অগ্রহণযোগ্য' বলে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার বলেন, পুতিনকে শান্তির পথ এড়িয়ে যাওয়ার জন্য মূল্য দিতে হবে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করা অগ্রহণযোগ্য।
বিশ্লেষকরা এই পরিস্থিতিকে কূটনৈতিক অচলাবস্থা হিসেবে দেখছেন। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক এবং কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের সিনিয়র ফেলো চার্লস কাপচান বলেন, রাশিয়া শান্তির জন্য প্রস্তুত নয়। তাঁরা সময়ক্ষেপণ করছে এবং পশ্চিমা বিশ্বের ধৈর্য পরীক্ষা করছে।
কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের ইউরোপ বিষয়ক ফেলো লিয়ানা ফিক্স বলেন, রাশিয়ার বর্তমান চাহিদাগুলো অবাস্তব এবং ইউক্রেনের জন্য অগ্রহণযোগ্য।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেন, পুতিন যুদ্ধ থামালে অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের মুখোমুখি হবেন। তাই তিনি শান্তি (যুদ্ধ থামাতে) চান না।
এই প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন ও পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর পক্ষে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন জানান, 'মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ নিয়ে কাজ চলছে।' বিশ্লেষকদের মতে, এই আলোচনার পুরো প্রক্রিয়া কেবল কূটনৈতিক স্থবিরতা তৈরি করছে। বাস্তবে কোনো সমাধান আসছে না, বরং যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর ওই এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগে
পর্যটকদের কাছে হিমালয় এবং কাঠমাণ্ডু আকর্ষণীয় স্থানের শীর্ষে। কিন্তু বন্যপ্রাণীতে ভরপুর, জাতীয় পার্ক এবং দৃষ্টিনন্দন অতিথিশালাসমৃদ্ধ নেপালের তেরাই নিম্নাঞ্চল সম্পর্কে পর্যটকরা খুব একটা জানে না।
৭ ঘণ্টা আগে
গত জানুয়ারিতে চীন জানায় যে তাদের পণ্য ও সেবাখাতে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে—যা বিশ্বে কোনো দেশের জন্য প্রথম অভিজ্ঞতা। কিন্তু ২০২৫ সালের প্রথম ১১ মাসে চীন সেই সীমাও অতিক্রম করেছে। সোমবার প্রকাশিত কাস্টমস তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর পর্যন্ত চীনের মোট বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৮
৯ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের পতনের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। গত বছর এই দিনে বাশার আল-আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় প্রায় ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধেরও সমাপ্তি ঘটে। আহমদ আল-শারা (সাবেক আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি) নেতৃত্বাধীন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) অন্তর্বর্তী সরকার এখন দেশ পরিচালনা করছে।
১২ ঘণ্টা আগে