স্ট্রিম ডেস্ক

বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বব্যাপী যে মৃত্যুগুলো ঘটে, তার প্রায় ৭০ শতাংশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে ল্যানসেট কাউন্টডাউন অন হেলথ অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ ২০২৫ গ্লোবাল রিপোর্টে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র যৌথ উদ্যোগে প্রণীত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে প্রতি বছর প্রায় ১৭ লাখ ২০ হাজার লাখ মানুষ মানবসৃষ্ট বায়ুদূষণ (বিশেষ করে পিএম২.৫) এর কারণে মারা যান, যা ২০১০ সালের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। তুলনামূলকভাবে, বিশ্বব্যাপী বায়ুদূষণজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বছরে প্রায় ২৫ লাখ।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, জীবাশ্ম জ্বালানি, বিশেষ করে কয়লা ও তরল গ্যাস প্রায় ৭ লাখ ৫২ লাখ (৪৪ শতাংশ) মৃত্যুর পেছনে দায়ী। এর মধ্যে কয়লা একাই ৩ লাখ ৯৪ হাজার মৃত্যুর জন্য দায়ী, যার মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার কারণে ২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। এছাড়াও, সড়ক পরিবহনে ব্যবহৃত পেট্রল প্রায় ২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ।
প্রতিবেদনটিতে ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বনাঞ্চলের আগুনের ধোঁয়ার (পিএম২.৫) প্রভাবও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এই সময়ে প্রতি বছর গড়ে ১০ হাজার ২০০ জন মানুষ এর ফলে মারা গেছেন, যা ২০০৩-২০১২ সময়কালের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদনটিতে, ভারতীয় পরিবারগুলোতে ব্যবহৃত দূষণকারী জ্বালানির প্রভাবের বিশদ বিবরণও দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে গৃহস্থালি বায়ুদূষণের কারণে প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যায় গড়ে ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় এই হার ১২৫ আর শহরাঞ্চলে ৯৯।
২০২২ সালে ভারতে বায়ুদূষণজনিত অকালমৃত্যুর কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি ৩৩৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতে মোট তাপপ্রবাহের দিন ৫০ শতাংশ বেশি ছিল। এতে গড়ে ৩৬৬ ঘণ্টা অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে থাকতে হয়েছে, যা তাপচাপের মাঝারি বা উচ্চতর ঝুঁকি তৈরি করেছিল। ফলে ব্যক্তিপ্রতি বছরে গড়ে ৪১৯ ঘণ্টা শ্রমহানি ঘটেছে, যা ১৯৯০-৯৯ সালের তুলনায় ১২৪ শতাংশ বেশি। এর ফলে ১৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্ভাব্য আয় হারিয়েছে ভারত।
এছাড়া, প্রতি বছর অন্তত এক মাস চরম খরার কবলে পড়া এলাকার পরিমাণ ১৩৮ শতাংশ বেড়েছে। ১৯৫১-১৯৬০ সময়ে এই হার ছিল ১৪ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০১৫-২০২৪ সালে অনেকগুণ বেড়েছে।
অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ডেঙ্গু ও উপকূলীয় ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ (যেমন ভাইব্রিও) সংক্রমণ বেড়েছে। গত সাত দশকে অ্যাডিস অ্যালবোপিকটাস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গুর প্রজনন হার দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে ভাইব্রিও সংক্রমণের হার ১৯৮২–২০১০ সালের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেশি।
সংক্ষেপে, প্রতিবেদনের তথ্য দেখায় যে ভারতে বায়ুদূষণ, তাপপ্রবাহ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দ্রুত বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশ—সবক্ষেত্রেই গভীর সংকট তৈরি করছে।

বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বব্যাপী যে মৃত্যুগুলো ঘটে, তার প্রায় ৭০ শতাংশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে ল্যানসেট কাউন্টডাউন অন হেলথ অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ ২০২৫ গ্লোবাল রিপোর্টে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র যৌথ উদ্যোগে প্রণীত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে প্রতি বছর প্রায় ১৭ লাখ ২০ হাজার লাখ মানুষ মানবসৃষ্ট বায়ুদূষণ (বিশেষ করে পিএম২.৫) এর কারণে মারা যান, যা ২০১০ সালের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। তুলনামূলকভাবে, বিশ্বব্যাপী বায়ুদূষণজনিত কারণে মৃতের সংখ্যা বছরে প্রায় ২৫ লাখ।
প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, জীবাশ্ম জ্বালানি, বিশেষ করে কয়লা ও তরল গ্যাস প্রায় ৭ লাখ ৫২ লাখ (৪৪ শতাংশ) মৃত্যুর পেছনে দায়ী। এর মধ্যে কয়লা একাই ৩ লাখ ৯৪ হাজার মৃত্যুর জন্য দায়ী, যার মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার কারণে ২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। এছাড়াও, সড়ক পরিবহনে ব্যবহৃত পেট্রল প্রায় ২ লাখ ৬৯ হাজার মানুষের মৃত্যুর কারণ।
প্রতিবেদনটিতে ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বনাঞ্চলের আগুনের ধোঁয়ার (পিএম২.৫) প্রভাবও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, এই সময়ে প্রতি বছর গড়ে ১০ হাজার ২০০ জন মানুষ এর ফলে মারা গেছেন, যা ২০০৩-২০১২ সময়কালের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি।
প্রতিবেদনটিতে, ভারতীয় পরিবারগুলোতে ব্যবহৃত দূষণকারী জ্বালানির প্রভাবের বিশদ বিবরণও দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে গৃহস্থালি বায়ুদূষণের কারণে প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যায় গড়ে ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় এই হার ১২৫ আর শহরাঞ্চলে ৯৯।
২০২২ সালে ভারতে বায়ুদূষণজনিত অকালমৃত্যুর কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি ৩৩৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতে মোট তাপপ্রবাহের দিন ৫০ শতাংশ বেশি ছিল। এতে গড়ে ৩৬৬ ঘণ্টা অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে থাকতে হয়েছে, যা তাপচাপের মাঝারি বা উচ্চতর ঝুঁকি তৈরি করেছিল। ফলে ব্যক্তিপ্রতি বছরে গড়ে ৪১৯ ঘণ্টা শ্রমহানি ঘটেছে, যা ১৯৯০-৯৯ সালের তুলনায় ১২৪ শতাংশ বেশি। এর ফলে ১৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্ভাব্য আয় হারিয়েছে ভারত।
এছাড়া, প্রতি বছর অন্তত এক মাস চরম খরার কবলে পড়া এলাকার পরিমাণ ১৩৮ শতাংশ বেড়েছে। ১৯৫১-১৯৬০ সময়ে এই হার ছিল ১৪ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০১৫-২০২৪ সালে অনেকগুণ বেড়েছে।
অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ডেঙ্গু ও উপকূলীয় ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ (যেমন ভাইব্রিও) সংক্রমণ বেড়েছে। গত সাত দশকে অ্যাডিস অ্যালবোপিকটাস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গুর প্রজনন হার দ্বিগুণ হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে ভাইব্রিও সংক্রমণের হার ১৯৮২–২০১০ সালের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেশি।
সংক্ষেপে, প্রতিবেদনের তথ্য দেখায় যে ভারতে বায়ুদূষণ, তাপপ্রবাহ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দ্রুত বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশ—সবক্ষেত্রেই গভীর সংকট তৈরি করছে।

জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর ওই এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
পর্যটকদের কাছে হিমালয় এবং কাঠমাণ্ডু আকর্ষণীয় স্থানের শীর্ষে। কিন্তু বন্যপ্রাণীতে ভরপুর, জাতীয় পার্ক এবং দৃষ্টিনন্দন অতিথিশালাসমৃদ্ধ নেপালের তেরাই নিম্নাঞ্চল সম্পর্কে পর্যটকরা খুব একটা জানে না।
৫ ঘণ্টা আগে
গত জানুয়ারিতে চীন জানায় যে তাদের পণ্য ও সেবাখাতে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে—যা বিশ্বে কোনো দেশের জন্য প্রথম অভিজ্ঞতা। কিন্তু ২০২৫ সালের প্রথম ১১ মাসে চীন সেই সীমাও অতিক্রম করেছে। সোমবার প্রকাশিত কাস্টমস তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর পর্যন্ত চীনের মোট বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৮
৭ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের পতনের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। গত বছর এই দিনে বাশার আল-আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় প্রায় ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধেরও সমাপ্তি ঘটে। আহমদ আল-শারা (সাবেক আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি) নেতৃত্বাধীন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) অন্তর্বর্তী সরকার এখন দেশ পরিচালনা করছে।
১০ ঘণ্টা আগে