leadT1ad

সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকুর বিরুদ্ধে মামলা

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ০৭
জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। সংগৃহীত ছবি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একইসঙ্গে তাঁর ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এস এম নাসিফ শামস, আরেক ছেলে সাবেক মেয়র এস এম আসিফ শামস এবং পুত্রবধূর বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) কমিশন এই অনুমোদন প্রদান করে।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম আসব তথ্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের অনুসন্ধানে পাবনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজার ১৮১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাঁর মোট অর্জিত সম্পদের মূল্য ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৪ হাজার ১৬ টাকা, যার বিপরীতে বৈধ আয়ের উৎস পাওয়া গেছে ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৭৯ হাজার ৮৩৫ টাকা। এই অপরাধে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

টুকুর ছেলে এস এম নাসিফ শামস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি ইনিস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক। তাঁর বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৯৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা, যেখানে বৈধ আয় ১ কোটি ১৫ লাখ ৫ হাজার ৩৪৯ টাকা। সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ ও উৎস জানতে তাঁকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হবে।

টুকুর বড় ছেলে ও বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এস এম আসিফ শামসের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ২৬ কোটি ৬৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪৩ টাকা। তাঁর মোট সম্পদ ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা হলেও বৈধ আয় পাওয়া গেছে মাত্র ৩ লাখ ৯৯ টাকা। এ ছাড়া টুকুর পুত্রবধূ (নাসিফ শামসের স্ত্রী) মিসেস মুমতাহিন মোস্তফার নামে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে, যা পুরোটাই জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

অবৈধ সম্পদের প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের জন্য টুকুর দুই ছেলে ও পুত্রবধূকে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা মতে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করছেন দুদকের উপপরিচালক জনাব মো. আল-আমিন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত