leadT1ad

ডাকাতির মামলায় যেভাবে জামিন পেয়েছিলেন হাদির ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারী

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

ফয়সাল করিম মাসুদ। সংগৃহীত ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে নাম এসেছে ফয়সাল করিম মাসুদের। অনলাইন সংবাদমাধ্যম দ্য ডিসেন্ট জানিয়েছে, মাসুদ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এর আগে ২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর ডাকাতির সময় অস্ত্রসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। সেসময় তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাও দায়ের হয়। সেই মামলা বর্তমানে জামিনে আছেন তিনি।

আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় দ্য ডিসেন্ট তাদের ফেসবুক পেইজে পোস্ট দিয়ে জানায়, ফয়সাল করিম মাসুদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হওয়ার পরে তার জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল এবং অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান। তাঁদের আবেদনের পরে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকার্টের বিচারপতি মোহাম্মদ আলী এবং বিচারপতি এসকে তাহসিন আলী ৬ মাসের জামিনের আদেশ দেন।

এরপর চলতি বছরের ১২ আগস্ট জামিনের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আবার আবেদন করলে নতুন করে আরও এক বছরের জামিন মঞ্জুর করে বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমনের বেঞ্চ।

এসব উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া হাইকার্টের দুটি আদেশের কপি সংযুক্ত করে দ্য ডিসেন্ট জানায়, ‘আদালতের নথিতে দেখা যাচ্ছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি জামিন আদেশ হওয়ার পর পরবর্তী নানান প্রক্রিয়া শেষে দ্রুততার সঙ্গে ১৯ ফেব্রুয়ারিতে সেটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।’

ফেসবুক পোস্টের কমেন্টবক্সে ওয়েবসাইটের সংশ্লিষ্ট লিংকও তারা সংযুক্ত করে দেয়। তবে পরে ওই লিঙ্কে ক্লিক করলে ‘নো ফাইল আপলোডেড’ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে জানতে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদের জামিন আবেদনকারী অ্যাডভোকেট কায়সার কামালকে একাধিকবার স্ট্রিমের পক্ষ থেকে ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাঁর মুঠোফোনে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

এদিকে আজ শনিবার ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানিয়েছেন ওসমান হাদির ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারীকে শনাক্ত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে সন্দেভাজনের ছবিও যুক্ত করেছে ডিএমপি।

ছবির ব্যক্তিকে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ দাবি করে আগেই ডিসেন্ট আরেকটি ফেসবুক পোস্টে জানায়, ইনকিলাব কালাচারাল সেন্টার থেকে সংগৃহীত ৯ ডিসেম্বরের সিসিটিভি ফুটেজ, পুলিশের সংগৃহীত ১২ ডিসেম্বরের হামলার সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে ফয়সাল করিম মাসুদ নামক অ্যাকাউন্ট এবং আওয়ামীপন্থী বিভিন্ন পেইজ ও ব্যক্তির প্রোফাইলে পোস্ট করা ৫০টিও বেশি ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ওসমান হাদীর ওপর বাইকের পেছন থেকে গুলি করা ব্যক্তিটির চেহারার সঙ্গে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান নামক এক ব্যক্তির চেহারা মিলে যাচ্ছে।

ফয়সাল করিম মাসুদ রাজধানীর আদাবর থানা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন বলে সংবাদমাধ্যমে পুরনো খবর থেকে জানা গেছে। দুটি ফেইস ডিটেকশন অ্যাপে ফয়সাল করিমের একাধিক ছবি তুলনামূলকভাবে যাচাই করেও ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের সিসি ফুটেজে দৃশ্যমান ব্যক্তির মিল পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে ডিসেন্ট।

২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে একাধিক মূলধারার সংবাদমাধ্যমে ফয়সাল করিমের ছবিসহ খবর প্রকাশিত হয়েছিল, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর এলাকায় একটি অফিসে ঢুকে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুট ও ডাকাতির মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে ফয়সাল করিম র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। যদিও পরে কীভাবে তিনি ছাড়া পেয়েছিলেন, গণমাধ্যমে সে বিষয়ে কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত