রাজধানীর পুরান ঢাকায় তারিক সাইদ মামুন (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে দিনেদুপুরে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউটের গেটের সামনে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের গুলিতে লুটিয়ে পড়েন। তারপর সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হয়েছে।
নিহত মামুন লক্ষীপুর সদরের মোবারক কলোনীর বাসিন্দা এস এম ইকবালের ছেলে।
ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউটের ওয়ার্ডমাস্টার মো. মহিবুল্লাহ স্ট্রিমকে বলেন, ‘উনি আমাদের হাসপাতালের কোনো রোগী ছিলেন না। তবে আমাদের (হাসপাতালের) গেটের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে আমি ও আমাদের সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুল মান্নান তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে যাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি পথেই মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তির গায়ে একটি গুলি লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমরা শুনেছি। এখন ময়নাতদন্তের জন্য তাকে মর্গে নিয়ে গেছে। সেখানে তার আত্মীয় স্বজন সবাই এসেছেন। তার মেয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছেন, তার বাবা কোর্টে হাজিরার জন্য বের হয়েছিলেন। তারপরই গুলির ঘটনা জানতে পারেন।’
নিহতের ভাই ইশতিয়াক মো. ইকবাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁর ভাইকে ঢামেক হাসপাতালে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কারা কী কারণে গুলি করেছে, কিছুই জানেন না।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগ উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী স্ট্রিমকে বলেন, ‘লোকজন বলছেন, নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী। চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি—এমন কথাও শুনেছি। তবে আমরা সববিষয়ই তদন্ত করছি।’ কারা খুন করতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তদন্তের পর বলা যাবে।