leadT1ad

সুন্দরবনে মুক্তিপণ দিয়ে জিম্মিদশা থেকে ফিরলেন ৭ জেলে

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
সাতক্ষীরা

কাঁকড়া আহরণে গেলে সাত জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যুরা। সংগৃহীত ছবি

সুন্দরবনে জলদস্যু ‘ডন বাহিনীর’ হাতে অপহৃত সাত জেলে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ভোরে তারা জিম্মিদশা থেকে ছাড়া পান। অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে সাত জেলের মুক্তির জন্য মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার দুপুর ও বিকেলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দাবি করা মুক্তিপণ পরিশোধের পর জেলেরা মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে লোকালয়ে পৌঁছান।

গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদীর হাঁসখালী, চেলাকাটা ও হেতালবুনি খাল এলাকায় কাঁকড়া আহরণে গেলে সাত জেলেকে অপহরণ করে বনদস্যুরা। ফিরে আসা জেলেরা হলেন—শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের মুজিবুল হক (৩৫), আব্দুল আজিজ (৫০), ইব্রাহিম হোসেন (৪৫), আনারুল ইসলাম (২২), নাজমুল হক (৩৪), শামিম হোসেন (৩৬) ও আনোয়ার হোসেন (৩২)।

জেলেরা জানান, অপহরণের সময় তাঁদের কাছে দস্যুরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর হাতে আত্মসমর্পণ করা বনদস্যু ‘ডন বাহিনী’র পরিচয় দেয়। তবে দুই দিন জিম্মি অবস্থায় জলদস্যুদের কথোপকথন শুনে তারা নিশ্চিত হন, ৯ সদস্যের দলটি আসলে ‘নানু বাহিনী’ নাম নিয়ে সুন্দরবনে তৎপরতা চালাচ্ছে।

এই জেলেদের দাবি, জলদস্যুদের কাছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে, যার মধ্যে একটি পুলিশ বা র‍্যাবের ব্যবহৃত পিস্তল বলেও তারা মনে করেন।

ফিরে আসাদের মধ্যে দুজন জানিয়েছেন, সাতক্ষীরার দেবহাটার পারুলিয়া এলাকায় বসে একটি প্রভাবশালী চক্র এই দস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করছে। জিম্মিদশায় থাকা অবস্থায় তারা একাধিকবার ওই চক্রের সদস্যদের সঙ্গে দস্যুদের কথা বলতে শুনেছেন। এর আগে আত্মসমর্পণ করা কয়েকজন দস্যু সদস্যকে তারা শনাক্তও করতে পেরেছেন।

সুন্দরবনের বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফজলুল রহমান বলেন, জিম্মি হওয়া কয়েকজন জেলে বাড়ি ফিরেছেন, এ তথ্য তারা লোকমুখে শুনেছেন। তবে তাদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা যায়নি।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদুর রহমান জানান, জেলেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে অপরাধীদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত