স্ট্রিম প্রতিবেদক

ভুয়া নাম ঠেকাতে জুলাই শহীদ ও আহতদের তালিকা নতুন করে যাচাই করতে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ না হয়েও এই তালিকায় যাতে নাম অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জুলাই গণঅভ্যুত্থান শাখার দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্ট্রিমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তিনি বলেন, ‘আমরা জেলাগুলোকে চিঠি দিয়েছি। তারা বিষয়টি আবার যাচাই-বাছাই করবেন।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ না হয়েও ৫২ জনের নাম তালিকায় এসেছে বলে একটা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তবে ৫২ জনকে তো আর অনুদান দেওয়া হয়নি। তাদের মধ্যে ২১ জনকে প্রথম পর্যায়ের অনুদান দেওয়া হয়েছিল। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ৭৮২ জনের পরিবারকে প্রথম পর্যায়ে অনুদান দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৮৪ জনকে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
শহীদ পরিবারগুলোকে প্রথম পর্যায়ে ১০ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ লাখ টাকা করে অর্থাৎ মোট ৩০ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। গত অর্থবছরে (২০২৪-২৫) ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরে দেওয়া হচ্ছে। গত জুলাই থেকে শহীদ পরিবারকে মাসিক ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসাসহ সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৫০ কোটি টাকার বেশি অনুদান দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের মতো যাতে ভুয়া জুলাই যোদ্ধা কিংবা শহীদ তালিকাভুক্ত না হতে পারেন, সে জন্য আমরা আবার তালিকা যাচাই করছি। শুধু যাদের নাম ভুলভাবে জুলাই শহীদের তালিকায় এসেছে বলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তাদের নামই নয়; আমরা পুরোটা যাচাই করছি। এরইমধ্যে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছি। তারা যেন এটা যাচাই করে আমাদের জানান।’
‘কারও বিষয়ে কোনো ইস্যু আছে কিনা, আমরা সেটা জানাতে বলেছি। জেলাগুলোর যাচাই-বাছাই কমিটি সেটা আমাদের জানাবে,’—যোগ করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট জেলার জুলাই যোদ্ধা ও শহীদরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত বা শহীদ হয়েছেন কি না, তা যাচাই করতে বলা হয়েছে চিঠিতে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ এবং ভাতাসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পর থেকে আহত ও নিহতদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে সরকার। ৮৩৪ জনের নাম শহীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পরে সেখানে যুক্ত করা হয় আরও ১০ জনের নাম।
গত ৩০ জুন প্রকাশিত সরকারি গেজেট অনুযায়ী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা ছিল ৮৪৪ জন। তবে সরাসরি জুলাই আন্দোলনে যুক্ত না থাকা এবং চারজনের নাম গেজেটে দুইবার উল্লেখ থাকায় গত ১৩ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই তালিকা থেকে আটজনের নাম বাতিল করে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী শহীদের সংখ্যা ৮৩৬ জন।
অন্যদিকে, আহত ব্যক্তিদের প্রথম তালিকায় ১২ হাজার ৪৩ জনের নাম থাকলেও গত ১ জুলাই আরও ১ হাজার ৭৫৭ জনের নাম যুক্ত করা হয়। সবশেষ সরকারি গেজেট অনুযায়ী, বর্তমানে আহত ব্যক্তিদের মোট সংখ্যা ১৩ হাজার ৮০০ জন।
সরকারের পক্ষে যাচাই-বাছাই করে এই তালিকা তৈরি করা হলেও সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে—অভ্যুত্থানে অংশ না নিয়েও অনেকের নাম এখনো রয়ে গেছে এই তালিকায়।

ভুয়া নাম ঠেকাতে জুলাই শহীদ ও আহতদের তালিকা নতুন করে যাচাই করতে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ না হয়েও এই তালিকায় যাতে নাম অন্তর্ভুক্ত না হতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জুলাই গণঅভ্যুত্থান শাখার দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্ট্রিমকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তিনি বলেন, ‘আমরা জেলাগুলোকে চিঠি দিয়েছি। তারা বিষয়টি আবার যাচাই-বাছাই করবেন।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ না হয়েও ৫২ জনের নাম তালিকায় এসেছে বলে একটা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তবে ৫২ জনকে তো আর অনুদান দেওয়া হয়নি। তাদের মধ্যে ২১ জনকে প্রথম পর্যায়ের অনুদান দেওয়া হয়েছিল। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ৭৮২ জনের পরিবারকে প্রথম পর্যায়ে অনুদান দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৮৪ জনকে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে।’
শহীদ পরিবারগুলোকে প্রথম পর্যায়ে ১০ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০ লাখ টাকা করে অর্থাৎ মোট ৩০ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। গত অর্থবছরে (২০২৪-২৫) ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরে দেওয়া হচ্ছে। গত জুলাই থেকে শহীদ পরিবারকে মাসিক ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসাসহ সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৫০ কোটি টাকার বেশি অনুদান দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের মতো যাতে ভুয়া জুলাই যোদ্ধা কিংবা শহীদ তালিকাভুক্ত না হতে পারেন, সে জন্য আমরা আবার তালিকা যাচাই করছি। শুধু যাদের নাম ভুলভাবে জুলাই শহীদের তালিকায় এসেছে বলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তাদের নামই নয়; আমরা পুরোটা যাচাই করছি। এরইমধ্যে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছি। তারা যেন এটা যাচাই করে আমাদের জানান।’
‘কারও বিষয়ে কোনো ইস্যু আছে কিনা, আমরা সেটা জানাতে বলেছি। জেলাগুলোর যাচাই-বাছাই কমিটি সেটা আমাদের জানাবে,’—যোগ করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট জেলার জুলাই যোদ্ধা ও শহীদরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত বা শহীদ হয়েছেন কি না, তা যাচাই করতে বলা হয়েছে চিঠিতে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জুলাই শহীদ ও জুলাই যোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ এবং ভাতাসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়ার কিছুদিন পর থেকে আহত ও নিহতদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করে সরকার। ৮৩৪ জনের নাম শহীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পরে সেখানে যুক্ত করা হয় আরও ১০ জনের নাম।
গত ৩০ জুন প্রকাশিত সরকারি গেজেট অনুযায়ী, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা ছিল ৮৪৪ জন। তবে সরাসরি জুলাই আন্দোলনে যুক্ত না থাকা এবং চারজনের নাম গেজেটে দুইবার উল্লেখ থাকায় গত ১৩ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই তালিকা থেকে আটজনের নাম বাতিল করে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী শহীদের সংখ্যা ৮৩৬ জন।
অন্যদিকে, আহত ব্যক্তিদের প্রথম তালিকায় ১২ হাজার ৪৩ জনের নাম থাকলেও গত ১ জুলাই আরও ১ হাজার ৭৫৭ জনের নাম যুক্ত করা হয়। সবশেষ সরকারি গেজেট অনুযায়ী, বর্তমানে আহত ব্যক্তিদের মোট সংখ্যা ১৩ হাজার ৮০০ জন।
সরকারের পক্ষে যাচাই-বাছাই করে এই তালিকা তৈরি করা হলেও সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে—অভ্যুত্থানে অংশ না নিয়েও অনেকের নাম এখনো রয়ে গেছে এই তালিকায়।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগে
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেসবুক পোস্টে 'চুদলিং পং' কমেন্ট করায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার রাত আটটা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক আকারে বিশেষ বিশেষ কর্মসূচির প্রস্তুতি চলছে। যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্যে অন্যান্য আয়োজনের পাশাপাশি এবার সর্বাধিক পতাকা উড়িয়ে প্যারাস্যুটিং করে বিশ্বরেকর্ড গড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগে
বাবা বাসা থেকে বের হন সকাল ৭টায়। আর ৭টা ১৫ মিনিটে বোরকা পরে বাসায় ঢুকে চারদিন আগে কাজ নেওয়া আয়েশা নাম বলা ছুটা গৃহকর্মী। ৯টা ৩৬ মিনিটে স্কুল ড্রেস আর মুখে মাস্ক পরে বাসা থেকে বের হয় এক নারী।
৪ ঘণ্টা আগে