leadT1ad

‘সোনালি অধ্যায়ের’ পর: বাংলাদেশ ও ভারতের এখন কী করা উচিত

সাম্প্রতিক কিছু রাজনৈতিক বক্তব্য, কূটনৈতিক তৎপরতা এবং সীমান্ত–সংক্রান্ত ইস্যু বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে নতুন করে প্রশ্ন ও সমীকরণ তৈরি করেছে। দিল্লি থেকে আগরতলা পর্যন্ত বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনার তীব্রতা বেড়েছে, একই সঙ্গে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে ঢাকা–দিল্লি সম্পর্ক কোন পথে এগোচ্ছে, সংকট কতটা গভীর এবং সমাধানের সম্ভাবনাই বা কোথায়?

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের ফলে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। সীমান্ত নিয়ে বিরোধ, পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে এবং উসকানিমূলক বক্তব্য বেড়েছে। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন এই সম্পর্ককে নতুন করে ঢেলে সাজানোর একটি সুযোগ এনে দিয়েছে।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ

শেখ হাসিনাকে নয়াদিল্লির অকুণ্ঠ সমর্থন বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের ভারতবিরোধী মনোভাবকে উসকে দিয়েছিল, যা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাঁর পতনে ভূমিকা রাখে। হাসিনা-পরবর্তী যুগে যদি সম্পর্ক আরও খারাপ হয়, তবে তা সম্ভাব্য সহিংসতা উসকে দিতে পারে, দেশ দুটির অভিন্ন সীমান্তকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ভারতের সমালোচক একজন তরুণ কর্মীর হত্যাকাণ্ডের পর সম্প্রতি বাংলাদেশে ব্যাপক সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, যা এই ঝুঁকিগুলোকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।

কী করা উচিত

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ভারতবিরোধী মনোভাব উসকে দেওয়া থেকে বিরত থাকা, অন্যদিকে নয়াদিল্লির উচিত নতুন করে উত্তেজনা বাড়ানো এবং বাংলাদেশে তাদের সম্ভাব্য অংশীদারদের অবমূল্যায়ন করা থেকে দূরে থাকা। নির্বাচনের পর নয়াদিল্লির উচিত ঢাকার নতুন সরকারের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া; বিনিময়ে নতুন সরকারকেও ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।

২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা হারানো ভারতের জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল। কারণ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে ভারত ছিল তাঁর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মিত্র। নয়াদিল্লির সমর্থন আওয়ামী লীগকে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন পার হতে সহায়তা করেছিল। কিন্তু ক্রমেই অজনপ্রিয় হতে থাকা একজন শাসকের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাবকে আরও বাড়িয়ে তোলে। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর এটি ভারতকে একটি প্রতিকূল অবস্থানে ফেলে দেয়। এরপর থেকে উভয় দেশই সম্পর্ক মেরামতে হিমশিম খাচ্ছে; উল্টো একে অপরের উদ্দেশে আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রদান, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং অভিন্ন সীমান্তে সংঘাতের মতো ঘটনায় লিপ্ত হয়েছে। নয়াদিল্লি সম্ভবত ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না, তবে ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন এই সম্পর্ককে নতুন করে ঢেলে সাজানোর একটি সুযোগ দিচ্ছে। এই সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে নয়াদিল্লির উচিত নির্বাচনের পরে সহযোগিতার মনোভাব প্রদর্শনের প্রস্তুতি নেওয়া এবং যাদের সঙ্গে মতপার্থক্য রয়েছে, তাদেরসহ রাজনৈতিক অংশীজনদের সঙ্গে বিস্তৃত পর্যায়ে যোগাযোগ জোরদার করা। অন্যদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নির্বাচনী প্রচারণার সময় ভারতবিরোধী বক্তব্য পরিহার করা।

নয়াদিল্লির উচিত হবে এর চেয়েও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের সব পক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করা—শুধু নির্বাচন-পরবর্তী প্রশাসনের সঙ্গেই নয়, বরং অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গেও। পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ এবং অর্থনৈতিক যোগাযোগ আরও উন্নত করতে হবে, যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।

যদিও ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারতের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং দেশ দুটির মধ্যে গভীর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে; তবুও সীমান্ত বিরোধ, নিরাপত্তা ঝুঁকি, ভারতের আধিপত্যবাদী আচরণ নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রায়শই টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে শেখ হাসিনার বিজয় এমন এক সুযোগ এনে দিয়েছিল, যাকে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি ‘সোনালি অধ্যায়’ বা ‘স্বর্ণ যুগ’ হিসেবে অভিহিত করে আসছে। উভয় পক্ষ স্থল ও সমুদ্রসীমা নির্ধারণ সম্পন্ন করে এবং শুল্ক হ্রাস, একাধিক ট্রানশিপমেন্ট চুক্তি ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সংহতি ত্বরান্বিত করে। পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি পর্যটন ও চিকিৎসার জন্য ভারত সফর শুরু করেন।

কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে প্রবল ধারণা ছিল যে, হাসিনার একনায়কতান্ত্রিক সরকারকে টিকিয়ে রাখার বিনিময়ে ভারত রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে একতরফা সুবিধা নিচ্ছে। হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে বাংলাদেশের জোরালো অবস্থান সত্ত্বেও ২০২৪ সালের আগস্টে দেশ ছেড়ে পালানোর পর তাঁকে আশ্রয় দেওয়ার ভারতের সিদ্ধান্ত এই তিক্ততা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

হাসিনার বিদায়ের পর থেকে নয়াদিল্লি ও ঢাকা একে অপরকে দোষারোপ করার বৃত্তে আটকে পড়েছে। উভয় পক্ষই দাবি করছে যে, তারা সম্পর্ক মেরামতের জন্য হাত বাড়িয়েছে কিন্তু অন্য পক্ষ থেকে সাড়া পায়নি; উল্টো একে অপরের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ তুলেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উভয়পক্ষ সীমান্তে মুখোমুখি অবস্থান নেয়, যা বাণিজ্য নিয়ে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে। এই উত্তেজনা কোনো পক্ষের জন্য সুবিধা না এনে দিয়ে বরং নেতিবাচক ধারণাকে আরও বদ্ধমূল করেছে। হাসিনার পতনের ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে না পারা ভারত সম্ভবত মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না; এর পরিবর্তে নীতিনির্ধারকরা বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন। হাসিনার আওয়ামী লীগকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না দেওয়ায় বিএনপিকে (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) এ নির্বাচনে এগিয়ে থাকা দল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবে ভারত ও বিএনপির মধ্যে টানাপোড়েনের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির স্বার্থ রক্ষার জন্য এই দলটিই সম্ভবত এখন সবচেয়ে ভালো বিকল্প।

তবে উভয় দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সম্পর্ক পুনর্গঠনের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব উসকে দেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর একটি সাধারণ কৌশল। অন্যদিকে ভারতের ভেতরে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হিন্দু জাতীয়তাবাদ, যার মধ্যে রয়েছে তাদের আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি এবং অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে অতিমাত্রায় সতর্কতা, যা নয়াদিল্লির প্রতি বাংলাদেশিদের অসন্তোষকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

২০২৬ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্য আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন এবং দুই দেশের মধ্যে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে আসা সম্ভাব্য উত্তজনা তৈরির কারণ হতে পারে। যদিও উভয় দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতা এটি স্বীকার করেন বলে মনে হয় যে, আরও ভালো সম্পর্ক উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক; তবুও একটি ঝুঁকি রয়ে যায় যে তারা তিক্ততা ও অবিশ্বাসের আবর্তে আটকে যেতে পারে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সংঘাতের সম্ভাবনা ক্ষীণ হলেও সম্পর্কের টানাপোড়েন যুদ্ধের চেয়ে কম মাত্রার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে, এর মধ্যে রয়েছে সহিংস বিক্ষোভ, সাম্প্রদায়িক হামলা, সীমান্ত হত্যা এবং বিদ্রোহী তৎপরতা। এসব ঝুঁকিকে অনেকটা সত্য প্রমাণ করে একজন ছাত্র নেতার হত্যাকাণ্ডের পর ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বাংলাদেশে ভারতবিরোধী সহিংসতা শুরু হয়, যার সংগঠন ভারতের সমালোচনা করে আসছিল এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।

নয়াদিল্লির সমর্থন আওয়ামী লীগকে তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন পার হতে সহায়তা করেছিল। কিন্তু ক্রমেই অজনপ্রিয় হতে থাকা একজন শাসকের সঙ্গে এমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাবকে আরও বাড়িয়ে তোলে। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হওয়ার পর এটি ভারতকে একটি প্রতিকূল অবস্থানে ফেলে দেয়।

দীর্ঘ বছর ধরে ভারত মনে করে আসছে যে, বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখা আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার ওপর নির্ভরশীল; যা বাংলাদেশের রাজনীতি এবং দীর্ঘমেয়াদি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক—উভয় ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। যদি পরবর্তী সরকার বিএনপিই গঠন করে, তবে উভয় পক্ষেরই উচিত এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সম্পর্ককে একটি স্থিতিশীল অবস্থানে নিয়ে আসা। তবে নয়াদিল্লির উচিত হবে এর চেয়েও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের সব পক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করা—শুধু নির্বাচন-পরবর্তী প্রশাসনের সঙ্গেই নয়, বরং অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গেও। পাশাপাশি জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ এবং অর্থনৈতিক যোগাযোগ আরও উন্নত করতে হবে, যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।

ভারত যৌক্তিকভাবেই নিজেদের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেবে, তবে একই সঙ্গে দেশটিকে এটিও নিশ্চিত করতে হবে, যেন তাদের উদ্যোগগুলো উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক হয় এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংবেদনশীল বিষয়গুলো বিবেচনায় থাকে। ২০২৪ সালের আগস্টে আরোপিত ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার মধ্য দিয়ে নয়াদিল্লির উচিত নিজ থেকে আগ্রহী হয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা ও নতুন নীতি নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করা, যা তারা নতুন সরকারের কাছে তুলে ধরতে পারে।

অন্যদিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত আসন্ন নির্বাচনে ভোট পাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ভারতবিরোধী মনোভাবকে ব্যবহার করার লোভ পরিহার করা। এ ধরনের নির্বাচনী কৌশল ভারতের সেই বদ্ধমূল ধারণাকেই আরও জোরালো করবে যে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রধান দলগুলো তাদের স্বার্থের পরিপন্থী, বিশেষ করে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে—যে ধারণাটি ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহের ভিত্তিতে তৈরি। এর পরিবর্তে নবনির্বাচিত সরকারের উচিত নয়াদিল্লির ইতিবাচক উদ্যোগগুলোতে সাড়া দেওয়া, একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করা, বিদ্রোহ ও চরমপন্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং আন্তঃসীমান্ত চোরাচালান ও অবৈধ অভিবাসন রোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। আগামী বছরগুলোতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সঠিক পথে পরিচালনা এবং একে স্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগ নিরসন করা হবে এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ: একটি স্বাধীন, অলাভজনক আন্তর্জাতিক সংস্থা, যারা বিশ্বজুড়ে সংঘাত বিশ্লেষণ ও সমাধানে কাজ করে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত