আজ বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে জরুরি বৈঠকে বসছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদ্বেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। কী হতে যাচ্ছে এ বৈঠকে? আসন্ন জাতীয় সংসদের নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন দল ও রাজনীতিতে যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে, তা কি নতুন কোনো অনিশ্চয়তা তৈরি করবে? বিষয়গুলো নিয়ে স্ট্রিমের সঙ্গে কথা বলেছেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ গবেষক মির্জা এম হাসান
স্ট্রিম ডেস্ক

স্ট্রিম: রোববারের জরুরি বৈঠক থেকে কী ধরনের ফল আশা করছেন?
মির্জা এম হাসান: আমার মনে হয়, এই বৈঠক ঘিরে অনিশ্চয়তা তীব্র হয়ে উঠেছে। কেন না, বিএনপি মোটামুটি স্পষ্টভাবেই বলে দিয়েছে যে জুলাই সনদে তারা আর কিছু চায় না। তাদের বক্তব্য থেকে এটা বোঝা যায় যে বিএনপি জুলাই সনদ বা সংস্কার প্রক্রিয়ায় আর কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়। তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং এই ইস্যুগুলো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে চায়।
অন্যদিকে, এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামী পরিস্কার জানিয়েছে, সংস্কার না হলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। এনসিপি অবশ্য প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে। আর জামায়াতও পরোক্ষভাবে একই ইঙ্গিত দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এনসিপি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে আপসহীন থাকবে। তারা হয়তো এই নীতিগত অবস্থান ধরে রাখতে চায় যে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়। অন্যপক্ষে জামায়াতের অবস্থান প্রথম দিকে কিছুটা অনিশ্চিত ছিল। মনে হচ্ছিল, তারা চাপ সৃষ্টি করে কিছু আদায় করতে চাইছে। কিন্তু দলটির নেতাদের সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে—তাদের অবস্থানও কঠোর হয়ে উঠছে।
জামায়াত ও এনসিপি আইনগত ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে সংস্কার নিশ্চিত করার বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। আর বিএনপি চায় কেবল নির্বাচন। আসলে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির এই নিজস্ব কঠোর অবস্থান নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তাই বৈঠকে সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা ৫০/৫০, মানে আধাআধি। কারণ, বিএনপি প্রস্তাবিত নানা সংস্কারের অনেকগুলোই প্রত্যাখ্যান করেছে।
অন্যদিকে, এনসিপি ও জামায়াত ভিন্ন পথে হাঁটছে। তারা পিআর সিস্টেম চালুর দাবি তুলেছে। জামায়াত চায় পুরো নির্বাচন সেই পদ্ধতিতেই হোক। এনসিপি বলছে, অন্তত উচ্চকক্ষ এই পদ্ধতিতে হওয়া উচিত। আর উচ্চকক্ষ শুধু নামকাওয়াস্তে নয়, উচ্চকক্ষের হাতে ভেটো ক্ষমতাও তো থাকতে হবে, যাতে সংবিধান সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। কিন্তু বিএনপির এ বিষয়ে আপত্তি রয়েছে।
বৈঠকে বিএনপি হয়তো শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থানেই অটল থাকবে। অন্যদিকে, এনসিপিরও আপসের সম্ভাবনা কম। কেননা এটি তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িত। আর জামায়াতের অবস্থান নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা থাকলেও আপাতত তারাও সংস্কারের দাবিতে অনড়।
এদিকে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি আসছে। কিন্তু আমি মনে করি, যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তা হবে ভুল পদক্ষেপ। জাতীয় পার্টি রাজনৈতিকভাবে ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে। তাই এখন তাদের নিষিদ্ধ করলে তারা বরং অপ্রয়োজনীয় গুরুত্ব পাবে বলে আমার ধারণা।
আবার এর সঙ্গে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনা—গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা বা জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ—এসবও আছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে। ফলে এই বৈঠকই রাজনৈতিক সমাধানের সম্ভাব্য পথ নির্ধারণ করবে।
স্ট্রিম: বৈঠকে যদি সমঝোতা না হয়, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে কী চ্যালেঞ্জ আসতে পারে বলে মনে করেন?
মির্জা এম হাসান: বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এই বৈঠক খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিএনপি কতটা ছাড় দেবে বা এনসিপি ও জামায়াত তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবে কি না, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। বৈঠকের পর সবকিছু স্পষ্ট হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি ও অভিজ্ঞতার আলোকে মনে হচ্ছে, বিএনপি কঠোর অবস্থানে থাকবে।
এক্ষেত্রে সরকার যদি কঠোর অবস্থানে না যায়, তাবে সংকটের সমাধান হবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। অন্তত উচ্চকক্ষে পিআর সিস্টেম বাধ্যতামূলক করা দরকার। সরকার চাইলে দলগুলোকে উচ্চকক্ষে পিআর সিস্টেম মেনে নিতে বাধ্য করতে পারে। তবে বড় দলগুলোকে রাজি করানোর মতো ক্ষমতা তার আছে কি না, সেটাই প্রশ্ন।
আমার ধারণা, ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা আছে যে বিএনপিকে কিছু সংস্কার মানতে সরকার বাধ্য করতে পারবে, যা এনসিপি ও জামাতের ন্যূনতম দাবি পূরণ করবে। তবে ইতিহাস ও অভিজ্ঞতা বলছে, এটি সম্ভবত সফল হবে না।
স্ট্রিম: নুরুল হক নুরের ওপর হামলা বা জাতীয় পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগ—এসব ঘটনার সঙ্গে আলোচনা–সংলাপের কোনো সম্পর্ক আছে কি?
মির্জা হাসান: এই ঘটনাগুলো সরাসরি সম্পর্কিত, তা বলা যাবে না, তবে প্রতীকী দিক থেকে তো গুরুত্বপূর্ণ বটেই। জাতীয় পার্টি কার্যালয়ের সামনে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন পক্ষ ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে। বিষয়টির প্রকৃত সত্য বের হয়ে আসবে কেবল সুষ্ঠু তদন্ত হলে। সরকারও জানিয়েছে, তারা তদন্ত করবে। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে এর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে। অন্তর্বর্তী সরকার এ মুহূর্ত-এ হয়তো সেনাবাহিনীর ওপর বাড়তি চাপ দিতে চাইবে না।
এ ঘটনায় সরকারের প্রতিক্রিয়াও তাই সীমিত। তারা কেবল ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়েছে। অনেকেই সরকারের এ প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন। কারণ, সরকারে থেকেও এমন দায়সারা প্রতিক্রিয়া দিলে তা একধরনের অসংগত অবস্থানই প্রকাশ করে। নুরুল হক নুরের ওপর হামলার পর সরকার কঠোর পদক্ষেপ না নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই সমালোচনার মুখে ঠেলে দিয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে—সরকার সবার মন রক্ষা করার চেষ্টা করছে। অথচ কার্যত ব্যর্থ হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার বড় কোনো সংকট সামাল দিতে পারছে না। রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার দাবি তুললেও সরকার কেবল মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় সীমিত থেকেছে। ঐক্যমত কমিশনের কাজ হলো মূলত আলোচনার ব্যবস্থা করে দেওয়া, কিন্তু তারা ক্ষমতাসীন দল ও ছোট দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতার বৈষম্য কাটিয়ে উঠতে পারছে না। ফলে কমিশনও কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে, সে প্রশ্নও থেকে যায়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবাইকে খুশি রাখতে চাইছে, কিন্তু তারা ব্যর্থ হচ্ছে। তাদের ভূমিকা দুর্বল ও অকার্যকর। আসলে পরিস্থিতি বেশ জটিল। তাই আগামী এক সপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলেই মনে হয়।

স্ট্রিম: রোববারের জরুরি বৈঠক থেকে কী ধরনের ফল আশা করছেন?
মির্জা এম হাসান: আমার মনে হয়, এই বৈঠক ঘিরে অনিশ্চয়তা তীব্র হয়ে উঠেছে। কেন না, বিএনপি মোটামুটি স্পষ্টভাবেই বলে দিয়েছে যে জুলাই সনদে তারা আর কিছু চায় না। তাদের বক্তব্য থেকে এটা বোঝা যায় যে বিএনপি জুলাই সনদ বা সংস্কার প্রক্রিয়ায় আর কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়। তারা কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং এই ইস্যুগুলো নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে চায়।
অন্যদিকে, এনসিপি ও জামায়াতে ইসলামী পরিস্কার জানিয়েছে, সংস্কার না হলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। এনসিপি অবশ্য প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে। আর জামায়াতও পরোক্ষভাবে একই ইঙ্গিত দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এনসিপি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে আপসহীন থাকবে। তারা হয়তো এই নীতিগত অবস্থান ধরে রাখতে চায় যে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন নয়। অন্যপক্ষে জামায়াতের অবস্থান প্রথম দিকে কিছুটা অনিশ্চিত ছিল। মনে হচ্ছিল, তারা চাপ সৃষ্টি করে কিছু আদায় করতে চাইছে। কিন্তু দলটির নেতাদের সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে—তাদের অবস্থানও কঠোর হয়ে উঠছে।
জামায়াত ও এনসিপি আইনগত ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে সংস্কার নিশ্চিত করার বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। আর বিএনপি চায় কেবল নির্বাচন। আসলে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির এই নিজস্ব কঠোর অবস্থান নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
তাই বৈঠকে সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা ৫০/৫০, মানে আধাআধি। কারণ, বিএনপি প্রস্তাবিত নানা সংস্কারের অনেকগুলোই প্রত্যাখ্যান করেছে।
অন্যদিকে, এনসিপি ও জামায়াত ভিন্ন পথে হাঁটছে। তারা পিআর সিস্টেম চালুর দাবি তুলেছে। জামায়াত চায় পুরো নির্বাচন সেই পদ্ধতিতেই হোক। এনসিপি বলছে, অন্তত উচ্চকক্ষ এই পদ্ধতিতে হওয়া উচিত। আর উচ্চকক্ষ শুধু নামকাওয়াস্তে নয়, উচ্চকক্ষের হাতে ভেটো ক্ষমতাও তো থাকতে হবে, যাতে সংবিধান সংশোধনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। কিন্তু বিএনপির এ বিষয়ে আপত্তি রয়েছে।
বৈঠকে বিএনপি হয়তো শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থানেই অটল থাকবে। অন্যদিকে, এনসিপিরও আপসের সম্ভাবনা কম। কেননা এটি তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িত। আর জামায়াতের অবস্থান নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা থাকলেও আপাতত তারাও সংস্কারের দাবিতে অনড়।
এদিকে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি আসছে। কিন্তু আমি মনে করি, যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তা হবে ভুল পদক্ষেপ। জাতীয় পার্টি রাজনৈতিকভাবে ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে। তাই এখন তাদের নিষিদ্ধ করলে তারা বরং অপ্রয়োজনীয় গুরুত্ব পাবে বলে আমার ধারণা।
আবার এর সঙ্গে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনা—গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলা বা জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ—এসবও আছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে। ফলে এই বৈঠকই রাজনৈতিক সমাধানের সম্ভাব্য পথ নির্ধারণ করবে।
স্ট্রিম: বৈঠকে যদি সমঝোতা না হয়, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে কী চ্যালেঞ্জ আসতে পারে বলে মনে করেন?
মির্জা এম হাসান: বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এই বৈঠক খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বিএনপি কতটা ছাড় দেবে বা এনসিপি ও জামায়াত তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবে কি না, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। বৈঠকের পর সবকিছু স্পষ্ট হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি ও অভিজ্ঞতার আলোকে মনে হচ্ছে, বিএনপি কঠোর অবস্থানে থাকবে।
এক্ষেত্রে সরকার যদি কঠোর অবস্থানে না যায়, তাবে সংকটের সমাধান হবে কি না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। অন্তত উচ্চকক্ষে পিআর সিস্টেম বাধ্যতামূলক করা দরকার। সরকার চাইলে দলগুলোকে উচ্চকক্ষে পিআর সিস্টেম মেনে নিতে বাধ্য করতে পারে। তবে বড় দলগুলোকে রাজি করানোর মতো ক্ষমতা তার আছে কি না, সেটাই প্রশ্ন।
আমার ধারণা, ৫০ শতাংশ সম্ভাবনা আছে যে বিএনপিকে কিছু সংস্কার মানতে সরকার বাধ্য করতে পারবে, যা এনসিপি ও জামাতের ন্যূনতম দাবি পূরণ করবে। তবে ইতিহাস ও অভিজ্ঞতা বলছে, এটি সম্ভবত সফল হবে না।
স্ট্রিম: নুরুল হক নুরের ওপর হামলা বা জাতীয় পার্টি অফিসে অগ্নিসংযোগ—এসব ঘটনার সঙ্গে আলোচনা–সংলাপের কোনো সম্পর্ক আছে কি?
মির্জা হাসান: এই ঘটনাগুলো সরাসরি সম্পর্কিত, তা বলা যাবে না, তবে প্রতীকী দিক থেকে তো গুরুত্বপূর্ণ বটেই। জাতীয় পার্টি কার্যালয়ের সামনে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন পক্ষ ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে। বিষয়টির প্রকৃত সত্য বের হয়ে আসবে কেবল সুষ্ঠু তদন্ত হলে। সরকারও জানিয়েছে, তারা তদন্ত করবে। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে এর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে। অন্তর্বর্তী সরকার এ মুহূর্ত-এ হয়তো সেনাবাহিনীর ওপর বাড়তি চাপ দিতে চাইবে না।
এ ঘটনায় সরকারের প্রতিক্রিয়াও তাই সীমিত। তারা কেবল ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়েছে। অনেকেই সরকারের এ প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন। কারণ, সরকারে থেকেও এমন দায়সারা প্রতিক্রিয়া দিলে তা একধরনের অসংগত অবস্থানই প্রকাশ করে। নুরুল হক নুরের ওপর হামলার পর সরকার কঠোর পদক্ষেপ না নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই সমালোচনার মুখে ঠেলে দিয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে—সরকার সবার মন রক্ষা করার চেষ্টা করছে। অথচ কার্যত ব্যর্থ হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার বড় কোনো সংকট সামাল দিতে পারছে না। রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার দাবি তুললেও সরকার কেবল মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় সীমিত থেকেছে। ঐক্যমত কমিশনের কাজ হলো মূলত আলোচনার ব্যবস্থা করে দেওয়া, কিন্তু তারা ক্ষমতাসীন দল ও ছোট দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতার বৈষম্য কাটিয়ে উঠতে পারছে না। ফলে কমিশনও কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে, সে প্রশ্নও থেকে যায়।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবাইকে খুশি রাখতে চাইছে, কিন্তু তারা ব্যর্থ হচ্ছে। তাদের ভূমিকা দুর্বল ও অকার্যকর। আসলে পরিস্থিতি বেশ জটিল। তাই আগামী এক সপ্তাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলেই মনে হয়।

২০০৭ সালের ‘ওয়ান-ইলেভেন’ থেকে ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং তৎপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ এই লেখা। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের অভাব, আমলাতান্ত্রিক নির্ভরতার সংকট এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের ফলে সৃষ্ট সামাজিক ক্ষত ত
৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকার ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভিন্ন আবহে পালিত হয় ৫৪তম মৈত্রী দিবস। এতে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে স্থিতিশীল, ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত বার্ষিক ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সের এবারের আলোচনার শিরোনাম ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা সবাই এখন এই বিষয়টি নিয়েই ভাবছি।
১ দিন আগে
পেরুর বিচারক লুজ দেল কারমেন ইবানিয়েজ কারাঞ্জর ওপর গত জুনে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। কারণ, তিনি ২০০৩ সালের পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের অপরাধ তদন্তের অনুমতি দিয়েছিলেন। তাকে নিয়ে গত এক বছরে ছয়জন আইসিসি বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
১ দিন আগে