leadT1ad

১৯ বছর পর নিজ বাড়িতে তারেক রহমান

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৪৩
গুলশানে তারেক রহমানের বাসভবন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় এই বাসায় প্রবেশ করেন তিনি। ছবি: ফোকাস বাংলা

দীর্ঘ ১৭ বছর সাড়ে তিন মাসের প্রবাসজীবন শেষে আজ সপরিবার নিজ বাসায় উঠলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ২৭ মিনিটে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থায় স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে তিনি গুলশানের বাসায় প্রবেশ করেন।

বাসা পরিবর্তন হলেও ‘নিজ বাসা’য় ফেরার ক্ষেত্রে এই সময়ের ব্যবধান আরও বড়। প্রায় ১৯ বছর পর আজ তিনি নিজের বাসায় রাত কাটাবেন।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘দুর্নীতিবিরোধী অভিযান’ শুরু করে। ওই সময় দুই দলের শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধেই মামলা হয়। ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতি মামলার আসামি হিসেবে তারেক রহমানকে ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি তখন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।

প্রায় ১৮ মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর এক সপ্তাহ হাসপাতালে কাটিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি সপরিবার লন্ডনে যান। সেই থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছিলেন। লন্ডনে যাওয়ার ১৭ বছর সাড়ে তিন মাস পর আজ তিনি নিজের বাসায় ফিরলেন।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৪ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করেন তারেক রহমান। এরপর ৩০০ ফিট এলাকায় বিএনপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়ে তিনি সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে যান মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে। সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বের হয়ে তিনি সরাসরি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় ওঠেন।

১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রিসভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে গুলশানের এই বাড়িটি খালেদা জিয়াকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরপর থেকে দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত ছায়াঘেরা বাড়িটির মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

তবে ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর শহীদ মইনুল রোডের বাড়ি থেকে খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ করে তৎকালীন সরকার। পরে ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল তিনি ‘ফিরোজা’ নামের ভাড়া বাসায় ওঠেন। এদিকে মালিকানা থাকলেও রাজনৈতিক মারপ্যাঁচের কারণে ১৯৬ নম্বর বাড়িতে খালেদা জিয়া বা তারেক রহমান—কেউই থাকতে পারেননি।

অবশেষে কয়েক মাস আগে গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রিজু বাড়িটির দলিলপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে হস্তান্তর করেন। একতলা এই বাড়িতে তিনটি বেডরুম, ড্রয়িংরুম, ডাইনিংরুম, লিভিংরুম এবং সুইমিংপুলসহ সব আধুনিক সুবিধা রয়েছে।

কয়েক দিন আগে বাড়ির দেয়ালে নতুন করে সাদা রং করা হয়েছে। চারদিকে লাগানো হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া এবং স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। বড় দুটি গেটে বসানো হয়েছে পুলিশ বক্স।

১৯৬ নম্বর বাড়ি এবং এর পাশেই অবস্থিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাড়া বাসা—উভয় বাড়ির চারদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত