স্ট্রিম প্রতিবেদক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষে তিনটি সংসদীয় আসনে জমা দেওয়া হয়েছিল মনোনয়নপত্র। আজ মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু এই আসনগুলোতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো প্রভাব ফেলবে কি না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হলে ওই আসনে নতুন করে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করতে হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)। এর আগে খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া–৭, দিনাজপুর–৩ ও ফেনী–১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় এই তিন আসনে বিএনপির একজন করে বিকল্প প্রার্থীও মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আইনে বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে কী করতে হবে, তা স্পষ্টভাবে বলা আছে। ওই অবস্থায় তফশিল বাতিলের বিষয় আসে। কিন্তু খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে এই তফশিলে কোনো প্রভাব পড়বে না, কারণ তিনি এখনো বৈধ প্রার্থী হননি। এ ছাড়া তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে বিএনপি আগেই সংশ্লিষ্ট আসনগুলোতে বিকল্প প্রার্থী রেখেছে। ফলে এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলে আমি মনে করি না।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সাবেক সদস্য জেসমিন টুলি বলেন, ‘এটা মূলত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকেই নিষ্পত্তিযোগ্য বিষয়। বৈধ প্রার্থী হওয়ার অলিখিত মৌলিক শর্ত হলো—প্রার্থীকে জীবিত ব্যক্তি হতে হবে এবং জীবিত ব্যক্তিই একমাত্র নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারেন। যেহেতু মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের আগেই খালেদা জিয়া মারা গেছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁকে অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করতেই পারেন।’
নথিপত্রের মাধ্যমে বিষয়টি দুইভাবে নিষ্পত্তি করা যায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এক, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিনে প্রস্তাবক তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করতে পারেন। দুই, রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনকে জানাতে পারে যে প্রতীক যেন বিকল্প প্রার্থীকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে প্রতীক বরাদ্দের সময় দলীয়ভাবে প্রার্থী নিশ্চিত করে চিঠি দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।’
গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে ইসি। এরপর বিএনপি জানায়, খালেদা জিয়া বগুড়া–৭, দিনাজপুর–৩ ও ফেনী–১ থেকে নির্বাচন করবেন। তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমাও দেওয়া হয়। তবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া কয়েক দিন আগে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিকল্প প্রার্থীও দেয় বিএনপি।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এখন এই প্রার্থীরাই বিএনপির হয়ে লড়বেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। একইভাবে ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক ও খালেদা জিয়ার

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পক্ষে তিনটি সংসদীয় আসনে জমা দেওয়া হয়েছিল মনোনয়নপত্র। আজ মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু এই আসনগুলোতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো প্রভাব ফেলবে কি না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, কোনো বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হলে ওই আসনে নতুন করে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করতে হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)। এর আগে খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া–৭, দিনাজপুর–৩ ও ফেনী–১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় এই তিন আসনে বিএনপির একজন করে বিকল্প প্রার্থীও মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আইনে বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে কী করতে হবে, তা স্পষ্টভাবে বলা আছে। ওই অবস্থায় তফশিল বাতিলের বিষয় আসে। কিন্তু খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে এই তফশিলে কোনো প্রভাব পড়বে না, কারণ তিনি এখনো বৈধ প্রার্থী হননি। এ ছাড়া তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে বিএনপি আগেই সংশ্লিষ্ট আসনগুলোতে বিকল্প প্রার্থী রেখেছে। ফলে এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলে আমি মনে করি না।
নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সাবেক সদস্য জেসমিন টুলি বলেন, ‘এটা মূলত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকেই নিষ্পত্তিযোগ্য বিষয়। বৈধ প্রার্থী হওয়ার অলিখিত মৌলিক শর্ত হলো—প্রার্থীকে জীবিত ব্যক্তি হতে হবে এবং জীবিত ব্যক্তিই একমাত্র নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারেন। যেহেতু মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের আগেই খালেদা জিয়া মারা গেছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁকে অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করতেই পারেন।’
নথিপত্রের মাধ্যমে বিষয়টি দুইভাবে নিষ্পত্তি করা যায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এক, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিনে প্রস্তাবক তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করতে পারেন। দুই, রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনকে জানাতে পারে যে প্রতীক যেন বিকল্প প্রার্থীকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। একাধিক প্রার্থীর ক্ষেত্রে প্রতীক বরাদ্দের সময় দলীয়ভাবে প্রার্থী নিশ্চিত করে চিঠি দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।’
গুরুতর অসুস্থ হয়ে গত ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে ইসি। এরপর বিএনপি জানায়, খালেদা জিয়া বগুড়া–৭, দিনাজপুর–৩ ও ফেনী–১ থেকে নির্বাচন করবেন। তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমাও দেওয়া হয়। তবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া কয়েক দিন আগে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিকল্প প্রার্থীও দেয় বিএনপি।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এখন এই প্রার্থীরাই বিএনপির হয়ে লড়বেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। একইভাবে ফেনী-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক ও খালেদা জিয়ার

পুরোনো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ‘আপসরফা’র অভিযোগ তুলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আরিফ সোহেল। তিনি অভিযোগ করেছেন, এনসিপি জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নতুন ‘রাজনৈতিক শক্তি’ হিসেবে আত্মপ্রকাশে ব্যর্থ হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
জকসু নির্বাচন স্থগিতের জেরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীনকে লাঞ্ছিত ও অবরুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাময়িক বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। হাসপাতালে মা খালেদা জিয়ার মরদেহ রেখে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
৩ ঘণ্টা আগে
২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর রাতে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মঈনুল রোডের ৬ নম্বর বাড়ি থেকে তৎকালীন সরকার খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ করেন।
৬ ঘণ্টা আগে