ডাকসু নির্বাচন
প্রথমে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের ফেসবুক আইডি ডিজেবল হওয়ার খবর আসে। তাঁর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টটি একবার পুনরুদ্ধার করা গেলেও, দুপুরে সেটি আবারও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
স্ট্রিম প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের শেষ মূহুর্তে এসে সোশ্যাল মিডিয়া রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের একাধিক প্রার্থীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সাইবার আক্রমণের শিকার হয়ে নিষ্ক্রিয় (ডিজেবল) হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার সকালে প্রথমে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের ফেসবুক আইডি ডিজেবল হওয়ার খবর আসে। তাঁর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টটি একবার পুনরুদ্ধার করা গেলেও, দুপুরে সেটি আবারও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। একই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানভীর বারী হামীম এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদের অ্যাকাউন্টও একই ডিজ্যাবল হয়, যদিও সেগুলো পরে পুনরুদ্ধার করেছেন তাঁরা।
ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ এই ঘটনাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার একটি অপপ্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘আমার আইডি লক করা হয়েছিল। পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি। কতক্ষণের জন্য টিকতে পারবো জানি না। যদি কেউ ভাবে আমাদের এভাবে পরাজিত করা সম্ভব, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে।’ তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ধরনের সাইবার হামলা এবং চলমান সাইবার বুলিংয়ের জবাব ব্যালটের মাধ্যমে দেবে।
আমার আইডি লক করা হয়েছিল। পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি। কতক্ষণের জন্য টিকতে পারবো জানি না। যদি কেউ ভাবে আমাদের এভাবে পরাজিত করা সম্ভব, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। তানভীর আল হাদী মায়েদ, এজিএস প্রার্থী, ছাত্রদল
একই ধরনের অভিযোগ এসেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের পক্ষ থেকেও। তাদের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম এবং গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রার্থী সাজ্জাদ হোসাইন খানের অ্যাকাউন্টও ডিজেবল করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাজ্জাদ হোসাইন খান বলেন, ‘আমার ফেসবুক আইডি সাইবার অ্যাটাকের মাধ্যমে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্যানেলের অন্য প্রার্থীদের আইডিতেও ক্রমাগত সাইবার অ্যাটাক হচ্ছে।’
এবারের ডাকসু নির্বাচনে সাইবার স্পেস শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। প্রার্থীদের প্রচারণার একটি বড় অংশ ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াকেন্দ্রিক হওয়ায়, প্লাটফর্ম দখলের অলিখিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তবে 'বট' বা ভুয়া অ্যাকাউন্টের ব্যবহারের বিষয়টি সবার জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে।
বিভিন্ন প্যানেলের পক্ষ থেকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বট আইডি ব্যবহার করে কুৎসা রটানো, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা এবং নারী প্রার্থীদের চরিত্রহননের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদল সংবাদ সম্মেলন করে। তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগও দায়ের করে।
ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরাও সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদলের বিভিন্ন পদধারী নেতাকর্মীদের অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের নারী প্রার্থীদের ওপর চালানো 'বট আক্রমণের' প্রমাণ হিসেবে স্ক্রিনশট উপস্থাপন করেন।
সাইবার বুলিং এবং অনলাইন হয়রানির সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছেন নারী প্রার্থীরা। এবারের ডাকসু নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক নারী প্রার্থী অংশগ্রহণ করলেও, তাদের অনেকেই অনলাইনে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং হুমকির শিকার হচ্ছেন। এক নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়ার মতো গুরুতর ঘটনাও ঘটেছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে।
নির্বাচন কমিশন সাইবার বুলিংকে এই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর অধীনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের শেষ মূহুর্তে এসে সোশ্যাল মিডিয়া রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের একাধিক প্রার্থীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সাইবার আক্রমণের শিকার হয়ে নিষ্ক্রিয় (ডিজেবল) হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার সকালে প্রথমে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের ফেসবুক আইডি ডিজেবল হওয়ার খবর আসে। তাঁর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টটি একবার পুনরুদ্ধার করা গেলেও, দুপুরে সেটি আবারও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। একই প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানভীর বারী হামীম এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদের অ্যাকাউন্টও একই ডিজ্যাবল হয়, যদিও সেগুলো পরে পুনরুদ্ধার করেছেন তাঁরা।
ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ এই ঘটনাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার একটি অপপ্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘আমার আইডি লক করা হয়েছিল। পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি। কতক্ষণের জন্য টিকতে পারবো জানি না। যদি কেউ ভাবে আমাদের এভাবে পরাজিত করা সম্ভব, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে।’ তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ধরনের সাইবার হামলা এবং চলমান সাইবার বুলিংয়ের জবাব ব্যালটের মাধ্যমে দেবে।
আমার আইডি লক করা হয়েছিল। পুনরুদ্ধার করতে পেরেছি। কতক্ষণের জন্য টিকতে পারবো জানি না। যদি কেউ ভাবে আমাদের এভাবে পরাজিত করা সম্ভব, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করে। তানভীর আল হাদী মায়েদ, এজিএস প্রার্থী, ছাত্রদল
একই ধরনের অভিযোগ এসেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের পক্ষ থেকেও। তাদের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম এবং গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রার্থী সাজ্জাদ হোসাইন খানের অ্যাকাউন্টও ডিজেবল করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সাজ্জাদ হোসাইন খান বলেন, ‘আমার ফেসবুক আইডি সাইবার অ্যাটাকের মাধ্যমে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্যানেলের অন্য প্রার্থীদের আইডিতেও ক্রমাগত সাইবার অ্যাটাক হচ্ছে।’
এবারের ডাকসু নির্বাচনে সাইবার স্পেস শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। প্রার্থীদের প্রচারণার একটি বড় অংশ ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াকেন্দ্রিক হওয়ায়, প্লাটফর্ম দখলের অলিখিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তবে 'বট' বা ভুয়া অ্যাকাউন্টের ব্যবহারের বিষয়টি সবার জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে।
বিভিন্ন প্যানেলের পক্ষ থেকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বট আইডি ব্যবহার করে কুৎসা রটানো, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা এবং নারী প্রার্থীদের চরিত্রহননের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদল সংবাদ সম্মেলন করে। তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগও দায়ের করে।
ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরাও সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদলের বিভিন্ন পদধারী নেতাকর্মীদের অ্যাকাউন্ট থেকে তাদের নারী প্রার্থীদের ওপর চালানো 'বট আক্রমণের' প্রমাণ হিসেবে স্ক্রিনশট উপস্থাপন করেন।
সাইবার বুলিং এবং অনলাইন হয়রানির সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছেন নারী প্রার্থীরা। এবারের ডাকসু নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক নারী প্রার্থী অংশগ্রহণ করলেও, তাদের অনেকেই অনলাইনে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং হুমকির শিকার হচ্ছেন। এক নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়ার মতো গুরুতর ঘটনাও ঘটেছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে।
নির্বাচন কমিশন সাইবার বুলিংকে এই নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর অধীনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

প্রায় দেড় যুগ আগে বিএনপি ছেড়ে সেলিম যোগ দেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে। কিন্তু দলটির জাতীয় কমিটিতে জায়গা না পেয়ে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর পাল্টা কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন।
৮ মিনিট আগে
দুই শ আসনে জয়ী হলেও জামায়াত জাতীয় সরকার গঠন করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তিনি একথা বলেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
মুখে নানাজন নানা কথা বললেও বিএনপি ছাড়া কোনো দল দেশ গড়ার পরিকল্পনা করছে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমরা সরকার গঠন করলে নতুন করে খাল খনন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ভিন্নধর্ম থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। তবে নিজ দলের নারীদের প্রার্থী করার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
৪ ঘণ্টা আগে