leadT1ad

ইসলামী ব্যাংক ও জামায়াত: কাজে সহোদর, মুখে অস্বীকার

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ১৮
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম মাসুদ (বামে), ইসলামী ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক আবদুল জলিল। স্ট্রিম গ্রাফিক

মুখে অস্বীকার করলেও বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের গঠন থেকে পরিচালন সবক্ষেত্রে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সংশ্লিষ্টতা। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কীভাবে দলটির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন, তার একটি ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর প্রসঙ্গটি আবার সামনে এসেছে।

ভিডিওতে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম মাসুদকে ইসলামী ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক আবদুল জলিলসহ কয়েকজনের সঙ্গে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে বিতর্ক চলছে।

নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভিডিওতে আসা বক্তব্য সত্য হলে আসন্ন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তারা এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আরও সতর্ক এবং কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীদের আপাতত তারা বিবেচনায় রাখছেন না।

গত ২ ডিসেম্বর রাতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি ভিডিও দেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের। এতে দেখা যায়, জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ইসলামী ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক আবদুল জলিলসহ অন্যরা জুম মিটিং করছেন।

এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান করে ৪ ডিসেম্বর আরেক পোস্টে সায়ের লিখেছেন, গত ৫ অক্টোবর বিকেএফ (ব্যাংকার্স কল্যাণ ফোরাম) নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এই অনলাইন কর্মী সভা আয়োজন করা হয়, যার অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের এজিএম এ এন এম রকিব উদ্দিন। ওই কলে উপস্থিত ৩০০ ব্যাংক কর্মকর্তার মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তারা অংশ নেন। সংযুক্ত স্ক্রিন রেকর্ডে এবিপিএলসি বা অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি ছিল। আগামী জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য দায়িত্ব বণ্টন ও সেবিষয়ক প্রাথমিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিকেএফের এই অনলাইন সভায় প্রধান অতিথি/বক্তা ছিলেন জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

এ ব্যাপারে জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ইসলামী ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক আবদুল জলিলকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ হয়নি। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ‘ফেসবুকে ছোট একটা ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে, সেটা আমি দেখেছি। এতে স্পষ্ট কিছু দেখা যায় না। কথাগুলোও স্পষ্ট বোঝা যায় না। এগুলো তো তৈরি করা যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই মিটিং আসলে হয়ে থাকলেও এর সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ ইসলামী ব্যাংক আলাদা একটা প্রতিষ্ঠান। তাদের নিজস্ব পরিচালনা কমিটি আছে, নিজস্ব নীতি আছে। সেখানে জামায়াতে ইসলামীর হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ নেই।’

অন্যদিকে, ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান স্ট্রিমকে বলেছেন, ‘আমি ভিডিওটা দেখিনি। তবে ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পর্ক নেই। মালিকানাও নেই।’

কী কথা তাদের মধ্যে

জুলকারনাইন সায়েরের প্রথম পোস্টে ১ মিনিট ৫২ সেকেন্ডের ভিডিওর শুরুতে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের স্বতন্ত্র পরিচালক আবদুল জলিলকে বলতে শোনা যায়, ‘ব্যাংকার অনেকেই বিভিন্ন পর্যায়ে (নির্বাচনে) দায়িত্ব পায়। প্রিসাইডিং অফিসার থেকে শুরু করে পোলিং অফিসার পর্যন্ত। সেই অবস্থায় ভোট দেওয়া এনশিওর (নিশ্চিত) করে যদি দায়িত্ব পালন করতে পারে, তাহলে মনে হয়... কী করা যায়? মাসুদ ভাই যদি এটার জবাব দেন।’

এরপর জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘এলাকাভেদে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সঙ্গে পরামর্শ করে ইম্পর্টেন্সটা (গুরুত্ব) কোনটায়, যদি ওখানে ভেতরে থেকে ভালো সাপোর্ট (সমর্থন) দিতে পারে, তাহলে উনি দায়িত্ব নেবেন। আর যদি উনার প্রভাববলয় এ রকম হয়, উনি বাইরে থেকে ওভারঅল এনভায়রনমেন্ট মেইনটেইন (সার্বিক পরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণ) করার লোকাল (স্থানীয়) সংগঠন আছে, তাহলে লোকাল অর্গানাইজেশনের (সংগঠনের স্থানীয় শাখা) সঙ্গে আলোচনা করে ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) হবে।’

এই সময় আবদুল জলিল প্রশ্ন করেন, ঢাকা মহানগরে যে সাতটা আসন...? এর জবাবে শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘এখানে একই হবে। এখানে প্রার্থী, প্রার্থীর আসন পরিচালক, আসন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, সেখানে আপনার একটু কথা বলে নিতে হবে বা একটা তালিকা ওনারাই দেবে। আমাদের থানা দায়িত্বশীল যারা আছে, তাদের মাধ্যমে আপনি একটু জেনে নিলে হবে যে, আমি এই জায়গায় আছি। এখান থেকে আমি যদি ভোটকেন্দ্রের ভেতরে থাকি তাহলে এক ধরনের সুবিধা হবে, আর যদি ভোটকেন্দ্রের বাইরে থাকি তাহলে এক ধরনের সুবিধা হবে।’

এ পর্যায়ে আবদুল জলিল বলেন, ‘এমন যদি হয়, উনার নির্বাচনী এলাকার বাইরে যদি দায়িত্ব দেয়, সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় না নিলেই ভালো।’ উত্তরে মাসুদ বলেন, ‘না না, ওটা যাওয়া যাবে না, ওটা যাওয়া যাবে না।’

এই জুম মিটিংয়ের বিষয়ে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) শফিকুল ইসলাম মাসুদ বেসরকারি যমুনা টিভিকে বলেছেন, এই বৈঠকে নির্দিষ্ট কোনো ব্যাংক নয়, আমাদের চিকিৎসক, প্রকৌশল ও ব্যাংকারদের সংগঠন (বিকেএফ) অংশ নেয়। মাঝেমধ্যেই আমাদের পেশাজীবীদের সংগঠনের মধ্যে এমন বৈঠক হয়।

তিনি দাবি করেন, বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ নিয়ে আলোচনা নয়।

জামায়াতের এই নেতা বলেন, বৈঠকে অংশগ্রহণকারীর প্রশ্ন ছিল– আমার দায়িত্ব পড়লে তো ভোট দিতে পারব না। সেক্ষেত্রে সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গি কি? আমরা সংগঠনের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। আপনি ভোট দিতে চাইলে দায়িত্ব থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আর দায়িত্ব পালনকে আপনি দেশ ও জাতির জন্য জরুরি মনে করলে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

ঘুরেফিরে আলোচনায় সম্পর্ক

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক হিসেবে ১৯৮৩ সালের ৩০ মার্চ যাত্রা শুরু করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এটি প্রতিষ্ঠায় মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) বিনিয়োগ থাকলেও স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় শুরু থেকেই ‘একচ্ছত্র আধিপত্য’ ছিল জামায়াত সংশ্লিষ্টদের।

ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন জামায়াতের অন্যতম শীর্ষ নেতা একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার আমলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া মীর কাসেম আলী। তাঁকেই ব্যাংকটির মূল রূপকার মনে করা হয়। এ ছাড়া জামায়াতের আরেক প্রভাবশালী নেতা আবু নাসের আবদুজ জাহের দীর্ঘ সময় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন। এর বাইরে বিভিন্ন সময় ব্যাংকটির পরিচালকদের একটি অংশ ছিলেন জামায়াত সংশ্লিষ্টরা।

অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকটির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দলীয় পরিচয় প্রাধান্য পায়। জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সক্রিয় সদস্য না হলে চাকরি পাওয়া কঠিন। এ ছাড়া ব্যাংকের আয়ের একটি অংশ দলটির সাংগঠনিক কাজে ব্যবহারের অভিযোগও দীর্ঘদিনের।

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই আলোচনায় নতুন হাওয়া লাগে। তারা জামায়াতের ‘অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড’খ্যাত ব্যাংকটির ওপর নজর দেয়। ২০১৭ সালে রাতারাতি ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ অন্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই বছরের ৫ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হোটেলে কঠোর গোপনীয়তায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্যাংকটির পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদে আমূল পরিবর্তন আনা হয়। তৎকালীন চেয়ারম্যান মুস্তাফা আনোয়ার (জামায়াত-সংশ্লিষ্ট ইবনে সিনা ট্রাস্টের প্রতিনিধি হিসেবে), এক ভাইস চেয়ারম্যান ও এমডি মোহাম্মদ আবদুল মান্নানকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এরপর নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন সাবেক সচিব আরাস্তু খান।

ওই সময় আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা ইসলামী ব্যাংক ‘জামায়াতমুক্ত’ করা হয়েছে বলে বক্তব্য দেন। পরে নামে-বেনামে শেয়ার কিনে ব্যাংকটি দখলে নেয় আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। এরপর গ্রুপটি ইসলামী ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বের করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রুপটি ঋণের নামে একাই প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার বেশি সরিয়েছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলাও হয়েছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এস আলমমুক্ত হয় ইসলামী ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংকটির পর্ষদ নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় জামায়াত ফের ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান গত বছরের ডিসেম্বরে নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক পথসভায় বলেছিলেন, জামায়াতে ইসলামী ব্যাংক দখল করেনি, বরং এই ব্যাংক তার মায়ের কোলে ফিরে এসেছে।

ইসলামী ব্যাংকে জামায়াতের প্রভাব বোঝা যায় সম্প্রতি দলটির এক নেতার মন্তব্যেও। গত ২৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মাওলানা জহিরুল ইসলাম বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে বাঁশখালীতে ইসলামী ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতান-ভাতাসহ চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এস আলমের সময় নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের চাকরি ফেরত দিতে চাওয়া ওই বক্তব্য পরে সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং ব্যাংকটির ওপর জামায়াতের প্রভাবের বিষয় আলোচনায় আসে।

ইসলামী ব্যাংকের ওপর জামায়াতের প্রভাবের বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনেও ‘ওপেন সিক্রেট’। গত ২৩ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধিদলের বৈঠকেও বিষয়টি উঠে আসে। ওই বৈঠকে ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব না দেওয়ার আহ্বান জানায় বিএনপি।

সিইসির কাছে দলটির অভিযোগ, এই ব্যাংকগুলোর কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর রাজনৈতিক পক্ষপাত থাকতে পারে। তাই তাদের ভোটের কাজে রাখা উচিত হবে না।

বিএনপির এই অভিযোগের পর উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেয় জামায়াত। পরে ২৮ অক্টোবর ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘বিএনপির দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য।’

তিনি বলেন, ‘যেসব আর্থিক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হচ্ছে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সেগুলোর কোনো মালিকানা বা প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা নেই। দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা দায়িত্ব পালন করেন। তাহলে কী তাদের ব্যাংকের তালিকাও প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন?’

Ad 300x250

সম্পর্কিত