স্ট্রিম ডেস্ক

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের সেই মহাকাব্যিক গণ-অভ্যুত্থান যখন বাংলাদেশের মানচিত্রকে নতুন করে আঁকছিল, তখন রাজপথের ধুলোয় আর বুলেটের শব্দে এক নতুন রাষ্ট্রের প্রসববেদনা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। সেই ঝোড়ো সময়ে লন্ডন থেকে টেকনাফ পর্যন্ত যে অদৃশ্য সুতোটি কোটি মানুষের ক্ষোভকে একটি সংহত লক্ষ্যে বেঁধে রেখেছিল, তার নাম তারেক রহমান। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো, অভ্যুত্থান-পরবর্তী মহোৎসবে অনেকেই যখন ‘মাস্টারমাইন্ড’ বা ‘নায়ক’ হতে ব্যতিব্যস্ত, তখন তিনি নিজেকে দূরে রেখেছিলেন এক নির্মোহ সন্ন্যাসীর মতো।
কেন একজন রাজনীতিক, যাঁর দল গত দেড় দশক ধরে রক্তের সাগরে সাঁতার কেটেছে, তিনি কেন বিজয়ের সেই পরম মুহূর্তে ঋষিপ্রতিম মৌনতা অবলম্বন করলেন? এর উত্তর খুঁজতে আমাদের ইতিহাসের অলিন্দ আর মিথলজির ধ্রুপদী পাঠে ফিরে যেতে হবে।
গ্রিক ট্র্যাজেডি কিংবা ভারতীয় মহাকাব্যে ‘বনবাস’ বা ‘নির্বাসন’ কেবল দণ্ড নয়, এটি মূলত আত্মশুদ্ধি ও প্রস্তুতির একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তারেক রহমানের গত ১৭ বছরের প্রবাসজীবনকে যদি আমরা কেবল রাজনৈতিক নির্বাসন হিসেবে দেখি, তবে ভুল হবে। এটি ছিল একধরনের ‘তপোবন’—যেখানে তিনি তিলে তিলে ক্ষয় হওয়া একটি বিশাল রাজনৈতিক কাঠামোকে পুনর্গঠন করেছেন। ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে থাকা একজন নেতা কীভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে হাজার হাজার মাইল দূরের জনতাকে আন্দোলিত করতে পারেন, তারেক রহমান তার এক আধুনিক উদাহরণ।
জুলাইয়ের সেই উত্তাল দিনগুলোতে বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মী যে সুশৃঙ্খলভাবে রাজপথে নেমে এসেছিলেন, তার নেপথ্যে ছিল তারেক রহমানের দীর্ঘদিনের সেই প্রস্তুতির ফসল। কিন্তু বিজয়ের পর তিনি নিজেকে ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলতে অস্বীকার করলেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত ক্ষমতার এক নতুন ব্যাকরণ হাজির করেন। তারেক জানেন, ইতিহাসের প্রকৃত নায়ক কোনো ব্যক্তি নয়, বরং সেই সামষ্টিক আকাঙ্ক্ষা—যা একটি স্বৈরাচারী পাহাড়কে ধসিয়ে দেয়। তিনি নিজেকে সেই মহাকাব্যের একজন ‘কুশীলব’ হিসেবেই দেখতে চেয়েছেন, ‘ঈশ্বর’ হিসেবে নয়।
পুরাণে আমরা দেখি, অনেক বীর যুদ্ধ জয় করে সিংহাসন ত্যাগ করেন। কারণ, তাঁদের লক্ষ্য ছিল অধর্মের বিনাশ, রাজমুকুট পরিধান নয়। তারেক রহমানের সাম্প্রতিক আচরণে সেই ধ্রুপদী নির্লিপ্ততার ছায়া দেখা যায়। তাঁর দলের তৃণমূল কর্মীরা যখন তাঁকে জুলাই অভ্যুত্থানের মহানায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন, তখন তিনি তাঁদের নিবৃত্ত করেছেন। এই নিবৃত্ত করাটা কেবল বিনয় নয়, এটি একটি গভীর রাজনৈতিক কৌশল এবং দার্শনিক অবস্থান। তিনি সম্ভবত বুঝতে পেরেছেন, এই অভ্যুত্থানটি ছিল ‘বৈষম্যের’ বিরুদ্ধে। এখন যদি তিনি বা তাঁর দল এককভাবে এই কৃতিত্ব কুক্ষিগত করতে চায়, তবে তা হবে সেই গণ-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বেইমানি।
তারেক রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পদ গ্রহণ করেননি। এমনকি ক্ষমতার খুব কাছে আসার সুযোগ থাকলেও তিনি নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রেখেছেন। এটি ক্ষমতার প্রতি ‘মোহহীনতা’ নয়, বরং ক্ষমতার ওপর মানুষের নিরঙ্কুশ মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার এক রাজকীয় ভঙ্গি। ইতিহাসে দেখা যায়, যাঁরা সিংহাসনের জন্য লালায়িত হন, সিংহাসন তাঁদের পিষ্ট করে। আর যাঁরা সিংহাসনকে তুচ্ছজ্ঞান করেন, সিংহাসনই তাঁদের খুঁজে বেড়ায়।
বলতে দ্বিধা নেই, বাংলাদেশের রাজনীতি এত দিন ছিল একধরনের ‘বাইনারি’ বা দ্বিমেরুকেন্দ্রিক যুদ্ধ। একপক্ষ ক্ষমতায় এলে অন্যপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে—এই ছিল দস্তুর। তারেক রহমান এই জুলাই অভ্যুত্থানের পর যে অবস্থান নিয়েছেন, তা মূলত এই বাইনারি ভাঙার চেষ্টা। তিনি যখন কৃতিত্ব নেন না, তখন তিনি মূলত অন্যদেরও এই বিজয়ে অংশীদার করেন। তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে নিঃস্বার্থ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা।
সাধারণত বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার অপেক্ষায় থাকে যাতে দ্রুত ক্ষমতায় যাওয়া যায়। কিন্তু তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়াকে সময় দেওয়ার যে মানসিকতা দেখিয়েছেন, তা তাঁকে একজন ‘পলিটিশিয়ান’ থেকে ‘স্টেটসম্যান’ বা রাষ্ট্রনায়কের মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার পথ সুগম করেছে।
ফলে তারেক রহমানের এই ‘ক্ষমতার মোহহীনতা’ কেবল সাময়িক নয়। বস্তুত দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে যে নিপীড়ন বিএনপির ওপর দিয়ে গেছে, গুম-খুন আর মামলার যে পাহাড় তাদের নেতা-কর্মীদের পিষ্ট করেছে, সেই রক্তের ঋণ শোধ করার জন্য ক্ষমতার মোহ সংবরণ করা ছাড়া তাঁর উপায় নেই। তারেক রহমান বুঝেছেন, জনতা এখন আর কেবল শাসক পরিবর্তন চায় না, তারা ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়। আর সেই পরিবর্তনের অগ্রযাত্রায় নিজেকে জাহির করা মানেই হলো মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়া।
সিংহাসনহীন রাজা হওয়া অনেক কঠিন কাজ। মুকুট মাথায় দিয়ে হুকুম জারি করা যতটা সহজ, মুকুটহীন অবস্থায় কোটি মানুষের হৃদয়ে আসন গেড়ে থাকা তার চেয়েও বেশি দুসাধ্য। তারেক রহমান আজ সেই কঠিন পথটিই বেছে নিয়েছেন। জুলাইয়ের রক্তস্নাত বাংলাদেশে তিনি নিজেকে একজন একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে নয়, বরং একজন অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে হাজির করেছেন।
ইতিহাস যখন ২০২৪-এর হিসাব মেলাবে, তখন হয়তো দেখা যাবে—সবচেয়ে বেশি কোরবানি দিয়েও যাঁরা সবচেয়ে কম দাবি করেছেন, তাঁরাই শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের পাতায় অক্ষয় হয়ে আছেন। তারেক রহমানের এই যে ক্ষমতার প্রতি নিস্পৃহতা, এটাই সম্ভবত তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে দেখা দেবে। হতে পারে এই মোহহীনতাই আগামীর বাংলাদেশের রাজনীতির মূলমন্ত্র।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের সেই মহাকাব্যিক গণ-অভ্যুত্থান যখন বাংলাদেশের মানচিত্রকে নতুন করে আঁকছিল, তখন রাজপথের ধুলোয় আর বুলেটের শব্দে এক নতুন রাষ্ট্রের প্রসববেদনা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। সেই ঝোড়ো সময়ে লন্ডন থেকে টেকনাফ পর্যন্ত যে অদৃশ্য সুতোটি কোটি মানুষের ক্ষোভকে একটি সংহত লক্ষ্যে বেঁধে রেখেছিল, তার নাম তারেক রহমান। অথচ আশ্চর্যের বিষয় হলো, অভ্যুত্থান-পরবর্তী মহোৎসবে অনেকেই যখন ‘মাস্টারমাইন্ড’ বা ‘নায়ক’ হতে ব্যতিব্যস্ত, তখন তিনি নিজেকে দূরে রেখেছিলেন এক নির্মোহ সন্ন্যাসীর মতো।
কেন একজন রাজনীতিক, যাঁর দল গত দেড় দশক ধরে রক্তের সাগরে সাঁতার কেটেছে, তিনি কেন বিজয়ের সেই পরম মুহূর্তে ঋষিপ্রতিম মৌনতা অবলম্বন করলেন? এর উত্তর খুঁজতে আমাদের ইতিহাসের অলিন্দ আর মিথলজির ধ্রুপদী পাঠে ফিরে যেতে হবে।
গ্রিক ট্র্যাজেডি কিংবা ভারতীয় মহাকাব্যে ‘বনবাস’ বা ‘নির্বাসন’ কেবল দণ্ড নয়, এটি মূলত আত্মশুদ্ধি ও প্রস্তুতির একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তারেক রহমানের গত ১৭ বছরের প্রবাসজীবনকে যদি আমরা কেবল রাজনৈতিক নির্বাসন হিসেবে দেখি, তবে ভুল হবে। এটি ছিল একধরনের ‘তপোবন’—যেখানে তিনি তিলে তিলে ক্ষয় হওয়া একটি বিশাল রাজনৈতিক কাঠামোকে পুনর্গঠন করেছেন। ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে থাকা একজন নেতা কীভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে হাজার হাজার মাইল দূরের জনতাকে আন্দোলিত করতে পারেন, তারেক রহমান তার এক আধুনিক উদাহরণ।
জুলাইয়ের সেই উত্তাল দিনগুলোতে বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মী যে সুশৃঙ্খলভাবে রাজপথে নেমে এসেছিলেন, তার নেপথ্যে ছিল তারেক রহমানের দীর্ঘদিনের সেই প্রস্তুতির ফসল। কিন্তু বিজয়ের পর তিনি নিজেকে ‘মাস্টারমাইন্ড’ বলতে অস্বীকার করলেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত ক্ষমতার এক নতুন ব্যাকরণ হাজির করেন। তারেক জানেন, ইতিহাসের প্রকৃত নায়ক কোনো ব্যক্তি নয়, বরং সেই সামষ্টিক আকাঙ্ক্ষা—যা একটি স্বৈরাচারী পাহাড়কে ধসিয়ে দেয়। তিনি নিজেকে সেই মহাকাব্যের একজন ‘কুশীলব’ হিসেবেই দেখতে চেয়েছেন, ‘ঈশ্বর’ হিসেবে নয়।
পুরাণে আমরা দেখি, অনেক বীর যুদ্ধ জয় করে সিংহাসন ত্যাগ করেন। কারণ, তাঁদের লক্ষ্য ছিল অধর্মের বিনাশ, রাজমুকুট পরিধান নয়। তারেক রহমানের সাম্প্রতিক আচরণে সেই ধ্রুপদী নির্লিপ্ততার ছায়া দেখা যায়। তাঁর দলের তৃণমূল কর্মীরা যখন তাঁকে জুলাই অভ্যুত্থানের মহানায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন, তখন তিনি তাঁদের নিবৃত্ত করেছেন। এই নিবৃত্ত করাটা কেবল বিনয় নয়, এটি একটি গভীর রাজনৈতিক কৌশল এবং দার্শনিক অবস্থান। তিনি সম্ভবত বুঝতে পেরেছেন, এই অভ্যুত্থানটি ছিল ‘বৈষম্যের’ বিরুদ্ধে। এখন যদি তিনি বা তাঁর দল এককভাবে এই কৃতিত্ব কুক্ষিগত করতে চায়, তবে তা হবে সেই গণ-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বেইমানি।
তারেক রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পদ গ্রহণ করেননি। এমনকি ক্ষমতার খুব কাছে আসার সুযোগ থাকলেও তিনি নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রেখেছেন। এটি ক্ষমতার প্রতি ‘মোহহীনতা’ নয়, বরং ক্ষমতার ওপর মানুষের নিরঙ্কুশ মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার এক রাজকীয় ভঙ্গি। ইতিহাসে দেখা যায়, যাঁরা সিংহাসনের জন্য লালায়িত হন, সিংহাসন তাঁদের পিষ্ট করে। আর যাঁরা সিংহাসনকে তুচ্ছজ্ঞান করেন, সিংহাসনই তাঁদের খুঁজে বেড়ায়।
বলতে দ্বিধা নেই, বাংলাদেশের রাজনীতি এত দিন ছিল একধরনের ‘বাইনারি’ বা দ্বিমেরুকেন্দ্রিক যুদ্ধ। একপক্ষ ক্ষমতায় এলে অন্যপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে—এই ছিল দস্তুর। তারেক রহমান এই জুলাই অভ্যুত্থানের পর যে অবস্থান নিয়েছেন, তা মূলত এই বাইনারি ভাঙার চেষ্টা। তিনি যখন কৃতিত্ব নেন না, তখন তিনি মূলত অন্যদেরও এই বিজয়ে অংশীদার করেন। তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে নিঃস্বার্থ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা।
সাধারণত বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার অপেক্ষায় থাকে যাতে দ্রুত ক্ষমতায় যাওয়া যায়। কিন্তু তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়াকে সময় দেওয়ার যে মানসিকতা দেখিয়েছেন, তা তাঁকে একজন ‘পলিটিশিয়ান’ থেকে ‘স্টেটসম্যান’ বা রাষ্ট্রনায়কের মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার পথ সুগম করেছে।
ফলে তারেক রহমানের এই ‘ক্ষমতার মোহহীনতা’ কেবল সাময়িক নয়। বস্তুত দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে যে নিপীড়ন বিএনপির ওপর দিয়ে গেছে, গুম-খুন আর মামলার যে পাহাড় তাদের নেতা-কর্মীদের পিষ্ট করেছে, সেই রক্তের ঋণ শোধ করার জন্য ক্ষমতার মোহ সংবরণ করা ছাড়া তাঁর উপায় নেই। তারেক রহমান বুঝেছেন, জনতা এখন আর কেবল শাসক পরিবর্তন চায় না, তারা ব্যবস্থার পরিবর্তন চায়। আর সেই পরিবর্তনের অগ্রযাত্রায় নিজেকে জাহির করা মানেই হলো মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়া।
সিংহাসনহীন রাজা হওয়া অনেক কঠিন কাজ। মুকুট মাথায় দিয়ে হুকুম জারি করা যতটা সহজ, মুকুটহীন অবস্থায় কোটি মানুষের হৃদয়ে আসন গেড়ে থাকা তার চেয়েও বেশি দুসাধ্য। তারেক রহমান আজ সেই কঠিন পথটিই বেছে নিয়েছেন। জুলাইয়ের রক্তস্নাত বাংলাদেশে তিনি নিজেকে একজন একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে নয়, বরং একজন অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে হাজির করেছেন।
ইতিহাস যখন ২০২৪-এর হিসাব মেলাবে, তখন হয়তো দেখা যাবে—সবচেয়ে বেশি কোরবানি দিয়েও যাঁরা সবচেয়ে কম দাবি করেছেন, তাঁরাই শেষ পর্যন্ত ইতিহাসের পাতায় অক্ষয় হয়ে আছেন। তারেক রহমানের এই যে ক্ষমতার প্রতি নিস্পৃহতা, এটাই সম্ভবত তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি হয়ে দেখা দেবে। হতে পারে এই মোহহীনতাই আগামীর বাংলাদেশের রাজনীতির মূলমন্ত্র।

ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ খ্রিস্টান। সংখ্যায় তারা প্রায় মোট ৩ কোটি ২০ লাখ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও নিপীড়নের ঘটনা ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে বড়দিনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের সময় এসব হামলা বেশি দেখা যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতা তারেক রহমান বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফিরে এসেছেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর ও আশপাশে লাখো নেতাকর্মী জড়ো হন। দেশে-বিদেশে তিনি বাংলাদেশের সম্ভাব্য পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
১ দিন আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন। এই প্রত্যাবর্তন এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন দেশে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। বর্তমান বাস্তবতায় বিএনপি নির্বাচনী লড়াইয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তারেক রহমানের দেশে ফেরা আঞ্চলিক রাজনীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত
২ দিন আগে