আজ ৪ সেপ্টেম্বর। ‘গানের পাখি’ সাবিনা ইয়াসমিনের জন্মদিন। তাঁর আসল নাম কিন্তু সাবিনা ইয়াসমিন নয়! দিলশাদ ইয়াসমিন থেকে কেন তিনি সাবিনা ইয়াসমিন হলেন? আর কীভাবে শুরু হয়েছিল তাঁর গান-যাত্রা? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে এ লেখায়।
অনন্ত রায়হান

১৯৫৪ সালের সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ। ঢাকার একটি বাড়িতে জন্ম নিল এক কন্যাশিশু। পরিবার তাঁর নাম রাখল দিলশাদ ইয়াসমিন। তখন কে জানত, একদিন এই নাম পাল্টে যাবে? আর নতুন নামের সঙ্গে জড়িয়ে যাবে বাংলা গানের ইতিহাস! বলছি বাংলা গানের জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের কথা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, দিলশাদ ইয়াসমিন থেকে কীভাবে সাবিনা ইয়াসমিন হয়ে গেলেন। সেই গল্প তিনি নিজেই শুনিয়েছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। ১৯৬২-৬৪ সালের দিকের কথা। তখন ঢাকায় এসেছিলেন ভারতের কিংবদন্তি গায়ক তালাত মাহমুদ। তাঁর একটি অনুষ্ঠানে গান করেছিলেন দিলশাদের (সাবিনা ইয়াসমিন) বড় বোন ফরিদা ইয়াসমিন। গান শেষে আলাপচারিতায় ফরিদা জানতে পারেন, তালাত মাহমুদের মেয়ের নাম সাবিনা তালাত। এই নাম ফরিদা ইয়াসমিনের এতই ভালো লেগে গেল যে বাড়ি ফিরে মাকে অনুরোধ করলেন দিলশাদের নাম পাল্টে সাবিনা রাখতে। প্রথমে তাঁদের মা কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু বড় মেয়ের অনুরোধ শেষ পর্যন্ত ফেলতে পারেননি। সেদিন থেকে দিলশাদ হয়ে গেলেন সাবিনা। আর বাকি বোনদের মতো তাঁর নামের সঙ্গেও থেকে গেল ‘ইয়াসমিন’।

সেই দিলশাদ আজ ৭২-এ পা রাখলেন। আর নামের গল্পের মতোই তাঁর গানের গল্পও হয়ে আছে সময়ের পাতায় অমলিন। বাংলা ভাষায় তিনি গেয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার গান (মতান্তরে ১০ থেকে ১২ হাজার), এর মধ্যে সিনেমার গানই চার-পাঁচ হাজার।
সংগীতময় এক পরিবারে জন্মেছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন। তাঁর বাবা লুৎফর রহমান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। শখের বশে রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন। আর তাঁর মা মৌলুদা খাতুন ছোটবেলায় মুর্শিদাবাদের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ কাদের বক্সের কাছে তালিম নিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর আর গান-বাজনা চালিয়ে যেতে পারেননি। সেই অপূর্ণতাই হয়তো তিনি পূরণ করতে চেয়েছিলেন সন্তানদের মধ্য দিয়ে।
সাবিনা ইয়াসমিন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন মায়ের কাছ থেকে। ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে গান-বাজনার পরিবেশ দেখেছেন। তাঁর মা গাইছেন, বাবা গাইছেন, বোনেরাও গাইছেন। মায়ের কণ্ঠ আর হারমোনিয়াম বাজানোর ভঙ্গি সবসময় সাবিনা ইয়াসমিনকে মুগ্ধ করত।
সাবিনা ইয়াসমিন নিজেই বলেছেন, গানের প্রতি মায়ের একরকম জেদই তাঁকে আজকের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, মা একসময় পড়াশোনাতেও অসাধারণ ছিলেন, গানেও প্রতিভাবান। কিন্তু বিয়ের পর সংসার সামলাতে গিয়ে তা আর চালিয়ে যেতে পারেননি। তাই সন্তানদের জীবনে তিনি পড়াশোনা এবং গান—দুই দিকেই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন।
সাবিনা ইয়াসমিন এক দশকের বেশি সময় ধরে একটানা গানের তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে। মাত্র সাত বছর বয়সেই তিনি প্রথম মঞ্চে গান গাইতে উঠেছিলেন। ১৯৬২ সালে রবীন ঘোষের সুরে গেয়েছিলেন ছোটদের গান। সেই বছরেই এহতেশামের ‘নতুন সুর’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবেও তাঁর কণ্ঠ শোনা গিয়েছিল।

সাবিনা ইয়াসমিন সিনেমার গানে প্রথম প্লেব্যাক করেন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। ১৯৬৭ সালে আমজাদ হোসেন ও নুরুল হক বাচ্চুর ‘আগুন নিয়ে খেলা’ ছবিতে আলতাফ মাহমুদের সংগীত পরিচালনায় সেই গানের নাম ছিল ‘মধু জ্যোৎস্নার দীপালি’। এটি ছিল তাঁর ছোট্ট বয়সে অনেক বড় সুযোগ। কিন্তু কীভাবে এত অল্প বয়সে তিনি এই সুযোগ পেয়েছিলেন?
সেই সময় সাবিনা ইয়াসমিনদের পরিবার থাকত ঢাকার শহীদবাগে। ঠিক পাশের বাড়িতেই এসে উঠেছিলেন কিংবদন্তি সুরকার আলতাফ মাহমুদ। সাবিনা ইয়াসমিনের বয়স তখন ১২-১৩ বছর। একদিন সাবিনার মা শহীদ সুরকার আলতাফ মাহমুদকে অনুরোধ করলেন, মেয়ের খুব শখ বড়দের গান গাওয়ার। যদি সাবিনাকে দিয়ে একটা গান করানো যায়!
আলতাফ মাহমুদ প্রথমে ‘না’ বলেছিলেন। কারণ, সাবিনা ইয়াসমিনের কিশোরী ‘ভয়েস’ সিনেমায় নায়িকার গলায় মানাবে না। কিন্তু সাবিনা ইয়াসমিনের মা তো নাছোড়বান্দা। মেয়েকে গাওয়ার সুযোগ দিতেই হবে। শেষ পর্যন্ত আলতাফ মাহমুদকে তিনি রাজি করিয়েই ছাড়লেন। তবে জুড়ে দিয়েছিলেন একটি শর্ত। গান ভালো না হলে তা বাদ দিয়ে দেবেন।

এভাবেই আলতাফ মাহমুদ ‘আগুন নিয়ে খেলা’ ছবিতে গান করিয়েছিলেন সাবিনা ইয়াসমিনকে দিয়ে। এর এক-দুই মাস পর আলতাফ মাহমুদ আরেকটি গান করান সাবিনাকে দিয়ে। তবে এবার আর একক নয়, ‘ডুয়েট’ গাইতে হবে মাহমুদুন নবীর সঙ্গে। গানটি ছিল, ‘একটি পাখি দুপুর রোদে সঙ্গী ছাড়া একা’। যদিও এই গানগুলো তখনো সেভাবে জনপ্রিয় হয়নি।
এরপর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। বছর ঘুরতেই সাবিনা ইয়াসমিনের ক্যারিয়ারে আসে সবচেয়ে বড় ‘টার্নিং পয়েন্ট’। ১৯৭২ সালে মুক্তি পায় কাজী জহিরের সিনেমা ‘অবুঝ মন’। রাজ্জাক-শাবানা অভিনীত এই সিনেমার ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’ গানটি গেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন হয়ে যান রাতারাতি জনপ্রিয়। এরপর আর তাঁকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আধুনিক, দেশাত্মোবোধক বা চলচ্চিত্রের গান—সব জায়গাতেই হয়ে আছেন অনন্য। বছর ষাটেকের ক্যারিয়ারে তিনি মোট কত গান গেয়েছেন, সেই হিসাবটাও নেই তাঁর কাছে। পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ কোটি ভক্তের ভালোবাসা।

১৯৫৪ সালের সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ। ঢাকার একটি বাড়িতে জন্ম নিল এক কন্যাশিশু। পরিবার তাঁর নাম রাখল দিলশাদ ইয়াসমিন। তখন কে জানত, একদিন এই নাম পাল্টে যাবে? আর নতুন নামের সঙ্গে জড়িয়ে যাবে বাংলা গানের ইতিহাস! বলছি বাংলা গানের জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনের কথা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, দিলশাদ ইয়াসমিন থেকে কীভাবে সাবিনা ইয়াসমিন হয়ে গেলেন। সেই গল্প তিনি নিজেই শুনিয়েছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। ১৯৬২-৬৪ সালের দিকের কথা। তখন ঢাকায় এসেছিলেন ভারতের কিংবদন্তি গায়ক তালাত মাহমুদ। তাঁর একটি অনুষ্ঠানে গান করেছিলেন দিলশাদের (সাবিনা ইয়াসমিন) বড় বোন ফরিদা ইয়াসমিন। গান শেষে আলাপচারিতায় ফরিদা জানতে পারেন, তালাত মাহমুদের মেয়ের নাম সাবিনা তালাত। এই নাম ফরিদা ইয়াসমিনের এতই ভালো লেগে গেল যে বাড়ি ফিরে মাকে অনুরোধ করলেন দিলশাদের নাম পাল্টে সাবিনা রাখতে। প্রথমে তাঁদের মা কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু বড় মেয়ের অনুরোধ শেষ পর্যন্ত ফেলতে পারেননি। সেদিন থেকে দিলশাদ হয়ে গেলেন সাবিনা। আর বাকি বোনদের মতো তাঁর নামের সঙ্গেও থেকে গেল ‘ইয়াসমিন’।

সেই দিলশাদ আজ ৭২-এ পা রাখলেন। আর নামের গল্পের মতোই তাঁর গানের গল্পও হয়ে আছে সময়ের পাতায় অমলিন। বাংলা ভাষায় তিনি গেয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার গান (মতান্তরে ১০ থেকে ১২ হাজার), এর মধ্যে সিনেমার গানই চার-পাঁচ হাজার।
সংগীতময় এক পরিবারে জন্মেছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন। তাঁর বাবা লুৎফর রহমান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। শখের বশে রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন। আর তাঁর মা মৌলুদা খাতুন ছোটবেলায় মুর্শিদাবাদের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ কাদের বক্সের কাছে তালিম নিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর আর গান-বাজনা চালিয়ে যেতে পারেননি। সেই অপূর্ণতাই হয়তো তিনি পূরণ করতে চেয়েছিলেন সন্তানদের মধ্য দিয়ে।
সাবিনা ইয়াসমিন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তিনি সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছেন মায়ের কাছ থেকে। ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে গান-বাজনার পরিবেশ দেখেছেন। তাঁর মা গাইছেন, বাবা গাইছেন, বোনেরাও গাইছেন। মায়ের কণ্ঠ আর হারমোনিয়াম বাজানোর ভঙ্গি সবসময় সাবিনা ইয়াসমিনকে মুগ্ধ করত।
সাবিনা ইয়াসমিন নিজেই বলেছেন, গানের প্রতি মায়ের একরকম জেদই তাঁকে আজকের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, মা একসময় পড়াশোনাতেও অসাধারণ ছিলেন, গানেও প্রতিভাবান। কিন্তু বিয়ের পর সংসার সামলাতে গিয়ে তা আর চালিয়ে যেতে পারেননি। তাই সন্তানদের জীবনে তিনি পড়াশোনা এবং গান—দুই দিকেই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন।
সাবিনা ইয়াসমিন এক দশকের বেশি সময় ধরে একটানা গানের তালিম নিয়েছেন ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে। মাত্র সাত বছর বয়সেই তিনি প্রথম মঞ্চে গান গাইতে উঠেছিলেন। ১৯৬২ সালে রবীন ঘোষের সুরে গেয়েছিলেন ছোটদের গান। সেই বছরেই এহতেশামের ‘নতুন সুর’ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবেও তাঁর কণ্ঠ শোনা গিয়েছিল।

সাবিনা ইয়াসমিন সিনেমার গানে প্রথম প্লেব্যাক করেন মাত্র ১৩ বছর বয়সে। ১৯৬৭ সালে আমজাদ হোসেন ও নুরুল হক বাচ্চুর ‘আগুন নিয়ে খেলা’ ছবিতে আলতাফ মাহমুদের সংগীত পরিচালনায় সেই গানের নাম ছিল ‘মধু জ্যোৎস্নার দীপালি’। এটি ছিল তাঁর ছোট্ট বয়সে অনেক বড় সুযোগ। কিন্তু কীভাবে এত অল্প বয়সে তিনি এই সুযোগ পেয়েছিলেন?
সেই সময় সাবিনা ইয়াসমিনদের পরিবার থাকত ঢাকার শহীদবাগে। ঠিক পাশের বাড়িতেই এসে উঠেছিলেন কিংবদন্তি সুরকার আলতাফ মাহমুদ। সাবিনা ইয়াসমিনের বয়স তখন ১২-১৩ বছর। একদিন সাবিনার মা শহীদ সুরকার আলতাফ মাহমুদকে অনুরোধ করলেন, মেয়ের খুব শখ বড়দের গান গাওয়ার। যদি সাবিনাকে দিয়ে একটা গান করানো যায়!
আলতাফ মাহমুদ প্রথমে ‘না’ বলেছিলেন। কারণ, সাবিনা ইয়াসমিনের কিশোরী ‘ভয়েস’ সিনেমায় নায়িকার গলায় মানাবে না। কিন্তু সাবিনা ইয়াসমিনের মা তো নাছোড়বান্দা। মেয়েকে গাওয়ার সুযোগ দিতেই হবে। শেষ পর্যন্ত আলতাফ মাহমুদকে তিনি রাজি করিয়েই ছাড়লেন। তবে জুড়ে দিয়েছিলেন একটি শর্ত। গান ভালো না হলে তা বাদ দিয়ে দেবেন।

এভাবেই আলতাফ মাহমুদ ‘আগুন নিয়ে খেলা’ ছবিতে গান করিয়েছিলেন সাবিনা ইয়াসমিনকে দিয়ে। এর এক-দুই মাস পর আলতাফ মাহমুদ আরেকটি গান করান সাবিনাকে দিয়ে। তবে এবার আর একক নয়, ‘ডুয়েট’ গাইতে হবে মাহমুদুন নবীর সঙ্গে। গানটি ছিল, ‘একটি পাখি দুপুর রোদে সঙ্গী ছাড়া একা’। যদিও এই গানগুলো তখনো সেভাবে জনপ্রিয় হয়নি।
এরপর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। বছর ঘুরতেই সাবিনা ইয়াসমিনের ক্যারিয়ারে আসে সবচেয়ে বড় ‘টার্নিং পয়েন্ট’। ১৯৭২ সালে মুক্তি পায় কাজী জহিরের সিনেমা ‘অবুঝ মন’। রাজ্জাক-শাবানা অভিনীত এই সিনেমার ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’ গানটি গেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন হয়ে যান রাতারাতি জনপ্রিয়। এরপর আর তাঁকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আধুনিক, দেশাত্মোবোধক বা চলচ্চিত্রের গান—সব জায়গাতেই হয়ে আছেন অনন্য। বছর ষাটেকের ক্যারিয়ারে তিনি মোট কত গান গেয়েছেন, সেই হিসাবটাও নেই তাঁর কাছে। পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, ১৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ কোটি ভক্তের ভালোবাসা।

আজ ৮ ডিসেম্বর জন লেননের মৃত্যুদিন। দুনিয়া কাঁপানো ব্যান্ড বিটলস-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য লেনন ছিলেন একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার, চিত্রশিল্পী, লেখক ও শান্তিকর্মী। ‘ইমাজিন’ তাঁর বিখ্যাত গান। এই গানে তিনি কোন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখিয়েছেন? কেন গানটি আজও এত প্রাসঙ্গিক?
৮ ঘণ্টা আগে
বর্তমান বিশ্বে সাহসী বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যাঁর নাম সবার আগে আসে, তিনি নোম চমস্কি। ৭ ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিন। একদিকে তিনি আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের স্থপতি, অন্যদিকে শোষিতের পক্ষে দাঁড়ানো এক অকুতোভয় যোদ্ধা। খুঁজে দেখা যাক আধুনিক সময়ের অন্যতম প্রধান চিন্তক ও জনবুদ্ধিজীবী নোম চমস্কির বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম।
১০ ঘণ্টা আগে
শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে মুক্তিযুদ্ধের সময়। যদিও ইতিহাসের পাতায় কচুরিপানা নিয়ে খুব কমই লেখা হয়েছে, কিন্তু কচুরিপানার অবদান অস্বীকার কোনো উপায় নেই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেবল বারুদ আর রক্তের ইতিহাস নয়। এটি ছিল বাংলার মাটি, জল ও প্রকৃতির এক সম্মিলিত সংগ্রাম।
১০ ঘণ্টা আগে
‘আমরা বর্ষার অপেক্ষায় আছি… তাঁরা পানিকে ভয় পায়, আর আমরা হচ্ছি জলের রাজা। প্রকৃতি হবে আমাদের দ্বিতীয় বাহিনী।’ নিউইয়র্ক টাইমসের খ্যাতিমান সাংবাদিক সিডনি শনবার্গের ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ’ প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছিলেন এক বাঙালি অফিসার।
১০ ঘণ্টা আগে