হয়তো আপনি এমন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আবেদন করেছেন, যার আসলে কোনো অস্তিত্বই নেই! এই অদৃশ্য ও রহস্যময় ফাঁদটিই এখন দুনিয়াজুড়ে ‘ঘোস্ট জব’ বা ‘ভুতুড়ে চাকরি’ নামে পরিচিত।
ফাবিহা বিনতে হক

ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নিয়ে সিভি তৈরি করা, যত্ন করে কভার লেটার লিখে এক বুক আশা নিয়ে মেইলে ‘সেন্ড’ বাটনে ক্লিক করা। কিন্তু এরপর? ওপাশ থেকে কেবল পিনপতন নীরবতা।
ইন্টারভিউ কল তো দূরের কথা, একটা সাধারণ ‘রিজেকশন মেইলও’ আসে না। কিন্তু কিছুদিন পর দেখা যায় আবার একই পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সেই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে?
হয়তো আপনি এমন জব সার্কুলারে আবেদন করেছেন, যার আসলে কোনো অস্তিত্বই নেই! এই অদৃশ্য ও রহস্যময় ফাঁদটিই এখন দুনিয়াজুড়ে ‘ঘোস্ট জব’ বা ‘ভুতুড়ে চাকরি’ নামে পরিচিত।
বিবিসির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই অস্তিত্বহীন চাকরি বিজ্ঞপ্তির ভয়াবহ চিত্র নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা ও ভুক্তভোগীদের বয়ানে বিস্তারিত আলোচনা উঠে এসেছে।
সহজ কথায়, ‘ঘোস্ট জব’ হলো এমন সব চাকরির বিজ্ঞপ্তি, যা বিভিন্ন জব পোর্টালে বা কোম্পানির ওয়েবসাইটে দেখা যায় ঠিকই, কিন্তু বাস্তবে ওই পদের জন্য কোম্পানি কাউকে নিয়োগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনাই করে না। হতে পারে পদটি আগেই পূরণ হয়ে গেছে কিন্তু বিজ্ঞপ্তি সরানো হয়নি, অথবা শুরু থেকেই এমন কোনো পদের অস্তিত্ব ছিল না।
‘ঘোস্ট জব’ বা ভুয়া চাকরির বিজ্ঞপ্তি এখন একটি নিয়মিত ঘটনা। ভয়াবহ এই তথ্যটি উঠে এসেছে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গবেষণা ও জরিপে।
যুক্তরাজ্যের ক্যারিয়ার বিষয়ক সংস্থা ‘স্ট্যান্ডআউট সিভি’-এর তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশটিতে প্রকাশিত চাকরির বিজ্ঞপ্তিগুলোর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি ছিল ‘ঘোস্ট জব’। অর্থাৎ, প্রতি তিনটি বিজ্ঞপ্তির মধ্যে একটিরও বেশি বিজ্ঞপ্তি ছিল ভুয়া বা অস্তিত্বহীন। এগুলো হয় অনেক পুরোনো বিজ্ঞপ্তি যা সরানো হয়নি, অথবা এমন পদের বিজ্ঞাপন যার জন্য কোম্পানি আসলে কাউকে খুঁজছে না।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘রিজিউম বিল্ডার’ গত বছরের মে মাসে নিয়োগকারী ম্যানেজারদের ওপর একটি জরিপ চালায়। সেখানে উঠে এসেছে চমকে দেওয়া তথ্য। ৪০ শতাংশ কোম্পানি স্বীকার করেছে যে, তারা ২০২৪ সালে এমন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যা সম্পূর্ণ ভুয়া ছিল। প্রতি ১০ জন নিয়োগকারী ম্যানেজারের মধ্যে ৩ জন জানিয়েছেন যে তাদের কোম্পানিতে এখনও এমন ভুয়া চাকরির বিজ্ঞপ্তি চালু আছে।
আমেরিকা ভিত্তিক ওয়ার্কফোর্স ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি ‘রেভেলিও ল্যাবস’ বলছে, চাকরির বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে কর্মী নিয়োগের হার আশঙ্কাজনকভাবে কমে এসেছে। ২০২৩ সালে প্রতি চাকরির বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে নিয়োগের হার শূন্য দশমিক পাঁচ-এর নিচে নেমে গেছে। অর্থাৎ বিজ্ঞপ্তির সংখ্যা বাড়লেও প্রকৃত চাকরির সংখ্যা বাড়েনি, বরং অনেক বিজ্ঞপ্তিই শুধু লোকদেখানোর জন্য শুধু ঝুলে থাকছে, চাকরিপ্রত্যাশীদের কোন কাজে আসছে না।
অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, লোকবল যদি না নেয়, তবে কোম্পানিগুলো কেন শুধু শুধু বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাখে? গবেষণায় এর সম্ভাব্য কিছু কারণ পাওয়া গাছে।
লোকবল নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও অনেক কোম্পানি ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে রাখে। এর একটি বড় কারণ হলো নিজেদেরকে সফল ও দ্রুত বেড়ে ওঠা হিসেবে দেখানো। নিয়মিত চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখলে সাধারণ মানুষের ধারণা হয় কোম্পানির ব্যবসা ভালো চলছে। এতে বিনিয়োগকারী, অংশীদার বা শেয়ারহোল্ডারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটি আরও শক্ত ও সম্ভাবনাময় বলে মনে হয়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে ভবিষ্যতের জন্য সিভির ভান্ডার তৈরি করা। অনেক প্রতিষ্ঠান তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে নিয়োগ না দিলেও ভালো প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করে রাখতে চায়। ফলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা একটি ডেটাবেস বানায়, যেন হঠাৎ লোক দরকার হলে নতুন করে খোঁজাখুঁজি না করেই আগের জমা সিভি থেকে কাউকে বেছে নেওয়া যায়।
আবার অনেক সময় ভুয়া চাকরির বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বর্তমান কর্মীদের বোঝানো হয় যে, তাঁদের বিকল্প হিসেবে বাইরে অনেক লোক প্রস্তুত আছে। এতে বর্তমান কর্মীরা চাকরি হারানোর ভয়ে বেশি বেশি কাজ করেন।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নিয়ে সিভি তৈরি করা, যত্ন করে কভার লেটার লিখে এক বুক আশা নিয়ে মেইলে ‘সেন্ড’ বাটনে ক্লিক করা। কিন্তু এরপর? ওপাশ থেকে কেবল পিনপতন নীরবতা।
ইন্টারভিউ কল তো দূরের কথা, একটা সাধারণ ‘রিজেকশন মেইলও’ আসে না। কিন্তু কিছুদিন পর দেখা যায় আবার একই পদে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সেই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে?
হয়তো আপনি এমন জব সার্কুলারে আবেদন করেছেন, যার আসলে কোনো অস্তিত্বই নেই! এই অদৃশ্য ও রহস্যময় ফাঁদটিই এখন দুনিয়াজুড়ে ‘ঘোস্ট জব’ বা ‘ভুতুড়ে চাকরি’ নামে পরিচিত।
বিবিসির সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই অস্তিত্বহীন চাকরি বিজ্ঞপ্তির ভয়াবহ চিত্র নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা ও ভুক্তভোগীদের বয়ানে বিস্তারিত আলোচনা উঠে এসেছে।
সহজ কথায়, ‘ঘোস্ট জব’ হলো এমন সব চাকরির বিজ্ঞপ্তি, যা বিভিন্ন জব পোর্টালে বা কোম্পানির ওয়েবসাইটে দেখা যায় ঠিকই, কিন্তু বাস্তবে ওই পদের জন্য কোম্পানি কাউকে নিয়োগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনাই করে না। হতে পারে পদটি আগেই পূরণ হয়ে গেছে কিন্তু বিজ্ঞপ্তি সরানো হয়নি, অথবা শুরু থেকেই এমন কোনো পদের অস্তিত্ব ছিল না।
‘ঘোস্ট জব’ বা ভুয়া চাকরির বিজ্ঞপ্তি এখন একটি নিয়মিত ঘটনা। ভয়াবহ এই তথ্যটি উঠে এসেছে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গবেষণা ও জরিপে।
যুক্তরাজ্যের ক্যারিয়ার বিষয়ক সংস্থা ‘স্ট্যান্ডআউট সিভি’-এর তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশটিতে প্রকাশিত চাকরির বিজ্ঞপ্তিগুলোর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি ছিল ‘ঘোস্ট জব’। অর্থাৎ, প্রতি তিনটি বিজ্ঞপ্তির মধ্যে একটিরও বেশি বিজ্ঞপ্তি ছিল ভুয়া বা অস্তিত্বহীন। এগুলো হয় অনেক পুরোনো বিজ্ঞপ্তি যা সরানো হয়নি, অথবা এমন পদের বিজ্ঞাপন যার জন্য কোম্পানি আসলে কাউকে খুঁজছে না।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘রিজিউম বিল্ডার’ গত বছরের মে মাসে নিয়োগকারী ম্যানেজারদের ওপর একটি জরিপ চালায়। সেখানে উঠে এসেছে চমকে দেওয়া তথ্য। ৪০ শতাংশ কোম্পানি স্বীকার করেছে যে, তারা ২০২৪ সালে এমন চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যা সম্পূর্ণ ভুয়া ছিল। প্রতি ১০ জন নিয়োগকারী ম্যানেজারের মধ্যে ৩ জন জানিয়েছেন যে তাদের কোম্পানিতে এখনও এমন ভুয়া চাকরির বিজ্ঞপ্তি চালু আছে।
আমেরিকা ভিত্তিক ওয়ার্কফোর্স ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি ‘রেভেলিও ল্যাবস’ বলছে, চাকরির বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে কর্মী নিয়োগের হার আশঙ্কাজনকভাবে কমে এসেছে। ২০২৩ সালে প্রতি চাকরির বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে নিয়োগের হার শূন্য দশমিক পাঁচ-এর নিচে নেমে গেছে। অর্থাৎ বিজ্ঞপ্তির সংখ্যা বাড়লেও প্রকৃত চাকরির সংখ্যা বাড়েনি, বরং অনেক বিজ্ঞপ্তিই শুধু লোকদেখানোর জন্য শুধু ঝুলে থাকছে, চাকরিপ্রত্যাশীদের কোন কাজে আসছে না।
অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন, লোকবল যদি না নেয়, তবে কোম্পানিগুলো কেন শুধু শুধু বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাখে? গবেষণায় এর সম্ভাব্য কিছু কারণ পাওয়া গাছে।
লোকবল নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা না থাকলেও অনেক কোম্পানি ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে রাখে। এর একটি বড় কারণ হলো নিজেদেরকে সফল ও দ্রুত বেড়ে ওঠা হিসেবে দেখানো। নিয়মিত চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখলে সাধারণ মানুষের ধারণা হয় কোম্পানির ব্যবসা ভালো চলছে। এতে বিনিয়োগকারী, অংশীদার বা শেয়ারহোল্ডারদের কাছে প্রতিষ্ঠানটি আরও শক্ত ও সম্ভাবনাময় বলে মনে হয়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে ভবিষ্যতের জন্য সিভির ভান্ডার তৈরি করা। অনেক প্রতিষ্ঠান তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে নিয়োগ না দিলেও ভালো প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করে রাখতে চায়। ফলে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তারা একটি ডেটাবেস বানায়, যেন হঠাৎ লোক দরকার হলে নতুন করে খোঁজাখুঁজি না করেই আগের জমা সিভি থেকে কাউকে বেছে নেওয়া যায়।
আবার অনেক সময় ভুয়া চাকরির বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বর্তমান কর্মীদের বোঝানো হয় যে, তাঁদের বিকল্প হিসেবে বাইরে অনেক লোক প্রস্তুত আছে। এতে বর্তমান কর্মীরা চাকরি হারানোর ভয়ে বেশি বেশি কাজ করেন।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন সাতজন বিদেশি সাংবাদিক। তাঁদের একজন নিউইয়র্ক টাইমস-এর বিশেষ প্রতিনিধি সিডনি এইচ. শ্যানবার্গ। পরের দিন ১৭ ডিসেম্বর তাঁর চোখে দেখা সেই দিনটির বিবরণ নিউইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতায় ছাপা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে একের পর এক কে-ড্রামা মুক্তি পেয়েছে। এ বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত কে-ড্রামা সিরিজগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। চলুন দেখে নিই, ২০২৬ সালে কোন ৯টি কে-ড্রামা আপনার ওয়াচলিস্টে রাখতেই হবে।
৭ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে এবং ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে পাকিস্তান বাহিনীর ৪ আর্মি এভিয়েশন স্কোয়াড্রনের পাইলট এবং বেশ কিছু সেনা কর্মকর্তা বার্মার (মায়ানমার) উদ্দেশ্যে সপরিবারে হেলিকপ্টারে করে পালিয়েছিলেন।
১০ ঘণ্টা আগে
মানুষের জন্য নির্ধারিত মূলধারার অভিনয় ক্যাটাগরিতে সরাসরি কোনো বড় অ্যাওয়ার্ডে মনোনয়ন পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। ‘ইন্ডি’ নামের একটি কুকুর অ্যাস্ট্রা ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডসে হরর বা থ্রিলার বিভাগে ‘বেস্ট পারফরম্যান্স’ পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনীত হয়েছে।
১ দিন আগে