স্ট্রিম ডেস্ক
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিক, চিকিৎসক ও উদ্ধারকর্মী রয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার রাতের হামলায় নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন আল জাজিরার মোহাম্মদ সালামা, রয়টার্সের চিত্রগ্রাহক হুসাম আল-মাসরি, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) হয়ে কাজ করা ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মারিয়াম আবু ডাক্কা, আহমেদ আবু আজিজ এবং মুয়াজ আবু তাহা।
প্রত্যক্ষদর্শী চিকিৎসক ড. আহমেদ আল-ফাররা জানান, প্রথমে নাসের হাসপাতালের একটি ভবনের উপরের তলায় একটি বিস্ফোরণ ঘটে। পরে সাংবাদিক ও উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছালে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে। এটি একটি ‘ডাবল-ট্যাপ’ হামলা ছিল।
আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজযুম বলেন, ‘এই হামলার পর এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কেবল পথচারী বা আশেপাশের বাসিন্দারাই নয়, হাসপাতালের রোগীরাও এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’
এই হামলার পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা বিভিন্ন সংস্থা এবং মানবাধিকার কর্মীরা এই হামলাকে সাংবাদিকদের ওপর ইসরায়েলের পরিকল্পিত হামলার অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিন অঞ্চলবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রানচেস্কা আলবানিজ বলেন, ‘দায়িত্ব পালনরত উদ্ধারকর্মীরা নিহত হয়েছেন। গাজায় এই ধরনের দৃশ্য প্রতিনিয়ত ঘটছে। কিন্তু সেগুলোর বেশিরভাগই দৃষ্টির বাইরে থেকে যাচ্ছে।’
তিনি বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই হত্যাযজ্ঞ থামাতে এখনই ব্যবস্থা নিন। অবরোধ ভাঙুন, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দিন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুন।’
ইসরায়েলের মিত্র ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য এই হামলার তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
প্যালেস্টিনিয়ান জার্নালিস্টস সিন্ডিকেট এই হামলাকে ‘স্বাধীন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তাদের মতে, এই হামলার উদ্দেশ্য সাংবাদিকদের আতঙ্কিত করা এবং বিশ্ববাসীর সামনে ইসরায়েলের অপরাধ প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করা।
আল জাজিরার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৭৩ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ‘ইসরায়েলকে সাংবাদিকদের ওপর অব্যাহত বেআইনি হামলার জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা হয়।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। ইসরায়েল থেকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসা হয় প্রায় আড়াই শ জনকে। সেদিন থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৬২ হাজার ৭০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন সাংবাদিক, চিকিৎসক ও উদ্ধারকর্মী রয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার রাতের হামলায় নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন আল জাজিরার মোহাম্মদ সালামা, রয়টার্সের চিত্রগ্রাহক হুসাম আল-মাসরি, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) হয়ে কাজ করা ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মারিয়াম আবু ডাক্কা, আহমেদ আবু আজিজ এবং মুয়াজ আবু তাহা।
প্রত্যক্ষদর্শী চিকিৎসক ড. আহমেদ আল-ফাররা জানান, প্রথমে নাসের হাসপাতালের একটি ভবনের উপরের তলায় একটি বিস্ফোরণ ঘটে। পরে সাংবাদিক ও উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছালে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে। এটি একটি ‘ডাবল-ট্যাপ’ হামলা ছিল।
আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজযুম বলেন, ‘এই হামলার পর এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কেবল পথচারী বা আশেপাশের বাসিন্দারাই নয়, হাসপাতালের রোগীরাও এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’
এই হামলার পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা বিভিন্ন সংস্থা এবং মানবাধিকার কর্মীরা এই হামলাকে সাংবাদিকদের ওপর ইসরায়েলের পরিকল্পিত হামলার অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিন অঞ্চলবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রানচেস্কা আলবানিজ বলেন, ‘দায়িত্ব পালনরত উদ্ধারকর্মীরা নিহত হয়েছেন। গাজায় এই ধরনের দৃশ্য প্রতিনিয়ত ঘটছে। কিন্তু সেগুলোর বেশিরভাগই দৃষ্টির বাইরে থেকে যাচ্ছে।’
তিনি বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই হত্যাযজ্ঞ থামাতে এখনই ব্যবস্থা নিন। অবরোধ ভাঙুন, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দিন, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুন।’
ইসরায়েলের মিত্র ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য এই হামলার তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
প্যালেস্টিনিয়ান জার্নালিস্টস সিন্ডিকেট এই হামলাকে ‘স্বাধীন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তাদের মতে, এই হামলার উদ্দেশ্য সাংবাদিকদের আতঙ্কিত করা এবং বিশ্ববাসীর সামনে ইসরায়েলের অপরাধ প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করা।
আল জাজিরার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২৭৩ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে ‘ইসরায়েলকে সাংবাদিকদের ওপর অব্যাহত বেআইনি হামলার জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা হয়।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। ইসরায়েল থেকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসা হয় প্রায় আড়াই শ জনকে। সেদিন থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ৬২ হাজার ৭০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
কানাডীয় ফটোসাংবাদিক ভ্যালেরি জিঙ্ক রয়টার্স থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থাটিতে তিনি আট বছর ধরে ‘স্ট্রিংগার’ হিসেবে কাজ করছিলেন। আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে পদত্যাগের এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তাঁর ঘোষণাটি ইতিমধ্যে ফেসবুকে ১৭ হাজারের বেশিবার শেয়ার করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেএই প্রথমবার জাতিসংঘ মধ্যপ্রাচ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দুর্ভিক্ষের ঘোষণা দিল। ফিলিস্তিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে এটি প্রথম দুর্ভিক্ষ। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে এই প্রথমবার একসঙ্গে দুর্ভিক্ষদশায় পড়ল এত মানুষ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার ৫ লাখের বেশি বাসিন্দা ‘বিপজ্জনকভাবে’ ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেসোমবার গাজার নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে ইসরায়েলি বিমান হামলার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই হামলায় ৫ সাংবাদিক ও ১ ফায়ার সার্ভিসকর্মীসহ ২১ জন নিহত হয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেআল-গাদ টিভির লাইভ ক্যামেরায় দেখা যায়, হাসপাতালের ক্ষতিগ্রস্ত সিঁড়িতে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছিলেন, ঠিক তখনই দ্বিতীয় হামলা হয়।
১ দিন আগে