leadT1ad

উইঘুর মুসলিমদের প্রতি আচরণ নিয়ে চীনকে হুঁশিয়ারি আল কায়দার

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
ঢাকা

আল-কায়েদার টার্গেটের তালিকায় চীন এত দিন তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্ব পেয়ে এসেছিল। তাই এই হুমকিকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত।

উইঘুর মুসলমানদের প্রতি আচরণ নিয়ে চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আল-কায়েদা। বিরল এই ঘটনায় জঙ্গিগোষ্ঠীটি প্রকাশ্যে চীনের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছে। আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (একিউএপি)-এর প্রধান আতেফ আল-আওলাকি এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেন।

বিবৃতিতে আতেফ আল-আওলাকি বলেন, উইঘুর মুসলমানদের বিষয়ে চীনের নীতিমালা আল-কায়েদা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, চীন যদি তাদের নীতি পরিবর্তন না করে, তাহলে দেশটিকে ‘জবাবদিহির আওতায়’ আনা হবে। প্রয়োজনে স্থল ও সমুদ্রে চীনা স্বার্থের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়।

এই বিবৃতিকে অনেকেই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। কারণ, বৈশ্বিক জিহাদি তৎপরতা থাকা সত্ত্বেও আল-কায়েদার টার্গেটের তালিকায় চীন এত দিন তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। সংগঠনটি মূলত কাশ্মীর ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে সক্রিয় ছিল।

ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য তাদের একটি আলাদা শাখা রয়েছে, যার নাম আল-কায়েদা ইন দ্য ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস)। এই শাখার প্রথম প্রধান ছিলেন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা সানাউল হক, যিনি আসিম উমর নামেও পরিচিত ছিলেন।

নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, এই বিবৃতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আল-কায়েদার বিভিন্ন সেল পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টের (ইটিআইএম) সঙ্গে জোট গড়ার চেষ্টা জোরদার করছে। ইটিআইএম এমন একটি গোষ্ঠী, যারা চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলকে আলাদা করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই গোষ্ঠীটি তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টি (টিআইপি) নামেও পরিচিত। তাদের মূল লক্ষ্য শিনজিয়াংয়ে ‘পূর্ব তুর্কিস্তান’ নামে একটি স্বাধীন ইসলামি রাষ্ট্র গঠন করা।

চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে বাস করনে উইঘুর মুসলিমরা। ছবি: সংগৃহীত।
চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে বাস করনে উইঘুর মুসলিমরা। ছবি: সংগৃহীত।

আল-কায়েদাপন্থী বিভিন্ন টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়। সেখানে সারা বিশ্বের মুসলমানদের ইহুদি ও মার্কিন নাগরিকদের ওপর হামলার আহ্বান জানানো হয়। আরবি ভাষায় প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে ইহুদি ও আমেরিকানদের বিরুদ্ধে চালানো হামলার খবর তারা পড়ছে ও অনুসরণ করছে। একই সঙ্গে তথাকথিত ‘দ্বৈত শত্রু’র বিরুদ্ধে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই হামলার আহ্বান জানানো হয়।

চীন প্রসঙ্গে আতেফ আল-আওলাকি বলেন, মুসলমানদের বিরুদ্ধে চীনা কর্তৃপক্ষের প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পর্কে তারা অবগত। তিনি দাবি করেন, এসব কার্যক্রম তারা দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে এবং বিষয়টি উপেক্ষা করা হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, আতেফ আল-আওলাকি গত বছর একিউএপির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে সংগঠনটির প্রধান খালিদ বাতারফি ২০২৪ সালের মার্চ মাসে রহস্যজনকভাবে মারা যান। আতেফ আল-আওলাকি নিহত আল-কায়েদা মতাদর্শিক নেতা আনোয়ার আল-আওলাকির আত্মীয়। আনোয়ার আল-আওলাকি ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এক ড্রোন হামলায় নিহত হন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত