স্ট্রিম ডেস্ক

সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইন-সংক্রান্ত নথির একটি অংশে গিসলেন ম্যাক্সওয়েলের ভূমিকা নতুন করে সামনে এসেছে। এসব নথিতে দেখা যায়, কিশোরী মেয়েদের এপস্টেইনের অন্ধকার জগতে টেনে আনতে তিনি নানা মনস্তাত্ত্বিক কৌশল ব্যবহার করতেন।
ম্যাক্সওয়েল ছিলেন এপস্টেইনের সাবেক প্রেমিকা। তিনি কিশোরীদে স্নেহ দেখাতেন। রসিকতা করতেন। মনোযোগ দিয়ে কথা শোনার ভান করতেন। এই আচরণের মাধ্যমে তিনি কিশোরীদের আস্থা অর্জন করতেন।
ম্যাক্সওয়েলের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের প্রলুব্ধ করার বিষয়টি আগেও জানা ছিল। তবে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে তাঁর মামলার গ্র্যান্ড জুরি-সংক্রান্ত কিছু নথি প্রকাশ পাওয়ার পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে।
এসব নথি এমন সময়ে সামনে এলো, যখন ম্যাক্সওয়েল তাঁর মানবপাচার মামলায় দেওয়া ২০ বছরের কারাদণ্ড থেকে ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ চলাকালে ম্যাক্সওয়েলকে ঘিরে আলোচনা আবার বেড়েছে। বিশেষ করে তাঁকে একটি কম নিরাপত্তার কারাগারে স্থানান্তর করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই কারাগারটি তুলনামূলকভাবে আরামদায়ক বলে পরিচিত।
ভুক্তভোগীদের বর্ণনা
নথিতে দেখা যায়, ২০২০ সালে একজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা গ্র্যান্ড জুরিদের কাছে এক নারীর সাক্ষাৎকারের বিবরণ দেন। ওই নারী বলেন, তিনি কিশোরী বয়সে এপস্টেইনের নির্যাতনের শিকার হন।
তিনি জানান, শুরুতে এপস্টেইনের বাড়িতে যাওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে কোনো নির্যাতন হয়নি। তবে সেই অভিজ্ঞতাগুলো ছিল অস্বাভাবিক। তাঁর ভাষায়, ম্যাক্সওয়েল এসব পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বলে উপস্থাপন করতেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ম্যাক্সওয়েল নিজে একজন ‘কুল’ বড় বোনের মতো আচরণ করতেন। তিনি বলতেন, ‘বড়রা এভাবেই থাকে।’ এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে মনে হতো।
ওই নারী আরও জানান, তিনি এপস্টেইনের সুইমিং পুলের পাশে ম্যাক্সওয়েলকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখেছেন। বিষয়টি তাঁর কাছে অস্বস্তিকর লেগেছিল। তবে ম্যাক্সওয়েল স্বাভাবিক আচরণ করায় তিনি বিভ্রান্ত হন।
পরবর্তীতে এপস্টেইনের যৌন নির্যাতন শুরু হয়। ওই নারী বলেন, অনেক সময় সেখানে অন্য নারীরাও উপস্থিত থাকতেন। ম্যাক্সওয়েলও তাঁদের মধ্যে ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা জানান, সাধারণত ঘটনাগুলো শুরু হতো কোনো কিশোরীকে দিয়ে এপস্টেইনের শরীরে ম্যাসাজ করিয়ে। বেশির ভাগ সময় পা ম্যাসাজ করানো হতো।
ম্যাক্সওয়েল অন্য মেয়েদের নিয়ে ঠাট্টা করতেন। তিনি শারীরিকভাবে স্পর্শ করতেন এবং কী করতে হবে, তা নির্দেশ দিতেন। এতে ভুক্তভোগীরা আরও অস্বস্তিতে পড়তেন।
ওই নারী বলেন, ম্যাক্সওয়েলের আচরণ বড় বোনের মতো হওয়ায় বিষয়টি তাঁর কাছে আরও অস্বাভাবিক মনে হতো। তিনি চেষ্টা করতেন যেন ঘরে তাঁকে কেউ খেয়াল না করে।
ম্যাক্সওয়েলের আচরণ ছিল খুবই স্বাভাবিক ও নির্লিপ্ত। তিনি এমন ভাব করতেন, যেন এসব কাজ একেবারেই স্বাভাবিক। এতে ধীরে ধীরে ভুক্তভোগীর অস্বস্তি কমে আসত।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা জানান, এতে ওই নারী পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাধ্য হন।
মানসিক প্রভাব
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এপস্টেইনের সঙ্গে যৌন কর্মকাণ্ডের মাত্রা বাড়তে থাকে। সাক্ষাৎকারে ওই নারী বলেন, তখন তাঁর মনে হতো এপস্টেইন ও ম্যাক্সওয়েল তাঁকে ভালোবাসেন।
তিনি মনে করতেন, তাঁরা তাঁর পরিবার। তাঁরা তাঁকে সমর্থন করেন। তাঁর মধ্যে কৃতজ্ঞতার অনুভূতি তৈরি করা হয়েছিল।
এই গ্র্যান্ড জুরি নথিতে ভুক্তভোগীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁর বর্ণনার সঙ্গে ম্যাক্সওয়েলের বিচারে ‘জেন’ ছদ্মনামে সাক্ষ্য দেওয়া এক নারীর বক্তব্যের মিল রয়েছে।
‘জেন’ আদালতে বলেন, ১৪ বছর বয়সে এপস্টেইন তাঁকে নির্যাতন শুরু করেন। অনেক সময় ম্যাক্সওয়েলও সেখানে উপস্থিত থাকতেন।
তিনি বলেন, ম্যাক্সওয়েল কখনো কখনো তাঁর শরীরে স্পর্শ করতেন। এক ঘটনায় তিনি বলেন, ‘চারদিকে শুধু হাত আর হাত ছিল।’ তিনি একাধিক গ্রুপ যৌন নির্যাতনের ঘটনার কথাও জানান।
আরও ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য
গ্র্যান্ড জুরি নথিতে আরেক ভুক্তভোগীর অভিজ্ঞতার কথাও উঠে এসেছে। তাঁর নামও গোপন রাখা হয়েছে। তবে তাঁর বর্ণনা ম্যাক্সওয়েলের বিচারে সাক্ষ্য দেওয়া অ্যানি ফারমারের বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যায়।
অ্যানি ফারমার বলেন, ১৬ বছর বয়সে নিউ মেক্সিকোতে এপস্টেইনের খামারবাড়িতে ম্যাক্সওয়েল তাঁকে নগ্ন অবস্থায় ম্যাসাজ দেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা বলেন, ম্যাক্সওয়েল তাঁকে এপস্টেইনের পা ম্যাসাজ করতে বলেন। কীভাবে করতে হবে, সেটিও তিনি দেখিয়ে দেন। ভুক্তভোগী অস্বস্তি বোধ করলেও ম্যাক্সওয়েলের হাসি-ঠাট্টার কারণে নির্দেশ মেনে নেন।
নথিতে আরও বলা হয়, একবার সিনেমা দেখতে যাওয়ার সময়ও ম্যাক্সওয়েল পরিস্থিতিকে হালকা রাখার চেষ্টা করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা জানান, সিনেমা হলের বাইরে ম্যাক্সওয়েল রসিকতা করতে করতে এপস্টেইনের প্যান্ট সামান্য টেনে নামান। পরে ভেতরে বসার সময় এপস্টেইন ভুক্তভোগীর পা ও হাত স্পর্শ করেন।
ওই সময় এপস্টেইন ম্যাক্সওয়েলের কাছ থেকে এসব আচরণ লুকানোর চেষ্টাও করেননি।
এই নথিগুলো থেকে স্পষ্ট হয়, কীভাবে পরিকল্পিতভাবে কিশোরীদের মানসিকভাবে প্রভাবিত করে একটি নির্যাতনমূলক পরিবেশকে স্বাভাবিক হিসেবে উপস্থাপন করা হতো।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইন-সংক্রান্ত নথির একটি অংশে গিসলেন ম্যাক্সওয়েলের ভূমিকা নতুন করে সামনে এসেছে। এসব নথিতে দেখা যায়, কিশোরী মেয়েদের এপস্টেইনের অন্ধকার জগতে টেনে আনতে তিনি নানা মনস্তাত্ত্বিক কৌশল ব্যবহার করতেন।
ম্যাক্সওয়েল ছিলেন এপস্টেইনের সাবেক প্রেমিকা। তিনি কিশোরীদে স্নেহ দেখাতেন। রসিকতা করতেন। মনোযোগ দিয়ে কথা শোনার ভান করতেন। এই আচরণের মাধ্যমে তিনি কিশোরীদের আস্থা অর্জন করতেন।
ম্যাক্সওয়েলের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের প্রলুব্ধ করার বিষয়টি আগেও জানা ছিল। তবে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে তাঁর মামলার গ্র্যান্ড জুরি-সংক্রান্ত কিছু নথি প্রকাশ পাওয়ার পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে।
এসব নথি এমন সময়ে সামনে এলো, যখন ম্যাক্সওয়েল তাঁর মানবপাচার মামলায় দেওয়া ২০ বছরের কারাদণ্ড থেকে ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ চলাকালে ম্যাক্সওয়েলকে ঘিরে আলোচনা আবার বেড়েছে। বিশেষ করে তাঁকে একটি কম নিরাপত্তার কারাগারে স্থানান্তর করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ওই কারাগারটি তুলনামূলকভাবে আরামদায়ক বলে পরিচিত।
ভুক্তভোগীদের বর্ণনা
নথিতে দেখা যায়, ২০২০ সালে একজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা গ্র্যান্ড জুরিদের কাছে এক নারীর সাক্ষাৎকারের বিবরণ দেন। ওই নারী বলেন, তিনি কিশোরী বয়সে এপস্টেইনের নির্যাতনের শিকার হন।
তিনি জানান, শুরুতে এপস্টেইনের বাড়িতে যাওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে কোনো নির্যাতন হয়নি। তবে সেই অভিজ্ঞতাগুলো ছিল অস্বাভাবিক। তাঁর ভাষায়, ম্যাক্সওয়েল এসব পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বলে উপস্থাপন করতেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ম্যাক্সওয়েল নিজে একজন ‘কুল’ বড় বোনের মতো আচরণ করতেন। তিনি বলতেন, ‘বড়রা এভাবেই থাকে।’ এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে মনে হতো।
ওই নারী আরও জানান, তিনি এপস্টেইনের সুইমিং পুলের পাশে ম্যাক্সওয়েলকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখেছেন। বিষয়টি তাঁর কাছে অস্বস্তিকর লেগেছিল। তবে ম্যাক্সওয়েল স্বাভাবিক আচরণ করায় তিনি বিভ্রান্ত হন।
পরবর্তীতে এপস্টেইনের যৌন নির্যাতন শুরু হয়। ওই নারী বলেন, অনেক সময় সেখানে অন্য নারীরাও উপস্থিত থাকতেন। ম্যাক্সওয়েলও তাঁদের মধ্যে ছিলেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা জানান, সাধারণত ঘটনাগুলো শুরু হতো কোনো কিশোরীকে দিয়ে এপস্টেইনের শরীরে ম্যাসাজ করিয়ে। বেশির ভাগ সময় পা ম্যাসাজ করানো হতো।
ম্যাক্সওয়েল অন্য মেয়েদের নিয়ে ঠাট্টা করতেন। তিনি শারীরিকভাবে স্পর্শ করতেন এবং কী করতে হবে, তা নির্দেশ দিতেন। এতে ভুক্তভোগীরা আরও অস্বস্তিতে পড়তেন।
ওই নারী বলেন, ম্যাক্সওয়েলের আচরণ বড় বোনের মতো হওয়ায় বিষয়টি তাঁর কাছে আরও অস্বাভাবিক মনে হতো। তিনি চেষ্টা করতেন যেন ঘরে তাঁকে কেউ খেয়াল না করে।
ম্যাক্সওয়েলের আচরণ ছিল খুবই স্বাভাবিক ও নির্লিপ্ত। তিনি এমন ভাব করতেন, যেন এসব কাজ একেবারেই স্বাভাবিক। এতে ধীরে ধীরে ভুক্তভোগীর অস্বস্তি কমে আসত।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা জানান, এতে ওই নারী পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে বাধ্য হন।
মানসিক প্রভাব
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এপস্টেইনের সঙ্গে যৌন কর্মকাণ্ডের মাত্রা বাড়তে থাকে। সাক্ষাৎকারে ওই নারী বলেন, তখন তাঁর মনে হতো এপস্টেইন ও ম্যাক্সওয়েল তাঁকে ভালোবাসেন।
তিনি মনে করতেন, তাঁরা তাঁর পরিবার। তাঁরা তাঁকে সমর্থন করেন। তাঁর মধ্যে কৃতজ্ঞতার অনুভূতি তৈরি করা হয়েছিল।
এই গ্র্যান্ড জুরি নথিতে ভুক্তভোগীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁর বর্ণনার সঙ্গে ম্যাক্সওয়েলের বিচারে ‘জেন’ ছদ্মনামে সাক্ষ্য দেওয়া এক নারীর বক্তব্যের মিল রয়েছে।
‘জেন’ আদালতে বলেন, ১৪ বছর বয়সে এপস্টেইন তাঁকে নির্যাতন শুরু করেন। অনেক সময় ম্যাক্সওয়েলও সেখানে উপস্থিত থাকতেন।
তিনি বলেন, ম্যাক্সওয়েল কখনো কখনো তাঁর শরীরে স্পর্শ করতেন। এক ঘটনায় তিনি বলেন, ‘চারদিকে শুধু হাত আর হাত ছিল।’ তিনি একাধিক গ্রুপ যৌন নির্যাতনের ঘটনার কথাও জানান।
আরও ভুক্তভোগীর সাক্ষ্য
গ্র্যান্ড জুরি নথিতে আরেক ভুক্তভোগীর অভিজ্ঞতার কথাও উঠে এসেছে। তাঁর নামও গোপন রাখা হয়েছে। তবে তাঁর বর্ণনা ম্যাক্সওয়েলের বিচারে সাক্ষ্য দেওয়া অ্যানি ফারমারের বক্তব্যের সঙ্গে মিলে যায়।
অ্যানি ফারমার বলেন, ১৬ বছর বয়সে নিউ মেক্সিকোতে এপস্টেইনের খামারবাড়িতে ম্যাক্সওয়েল তাঁকে নগ্ন অবস্থায় ম্যাসাজ দেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা বলেন, ম্যাক্সওয়েল তাঁকে এপস্টেইনের পা ম্যাসাজ করতে বলেন। কীভাবে করতে হবে, সেটিও তিনি দেখিয়ে দেন। ভুক্তভোগী অস্বস্তি বোধ করলেও ম্যাক্সওয়েলের হাসি-ঠাট্টার কারণে নির্দেশ মেনে নেন।
নথিতে আরও বলা হয়, একবার সিনেমা দেখতে যাওয়ার সময়ও ম্যাক্সওয়েল পরিস্থিতিকে হালকা রাখার চেষ্টা করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্মকর্তা জানান, সিনেমা হলের বাইরে ম্যাক্সওয়েল রসিকতা করতে করতে এপস্টেইনের প্যান্ট সামান্য টেনে নামান। পরে ভেতরে বসার সময় এপস্টেইন ভুক্তভোগীর পা ও হাত স্পর্শ করেন।
ওই সময় এপস্টেইন ম্যাক্সওয়েলের কাছ থেকে এসব আচরণ লুকানোর চেষ্টাও করেননি।
এই নথিগুলো থেকে স্পষ্ট হয়, কীভাবে পরিকল্পিতভাবে কিশোরীদের মানসিকভাবে প্রভাবিত করে একটি নির্যাতনমূলক পরিবেশকে স্বাভাবিক হিসেবে উপস্থাপন করা হতো।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে নতুন করে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, মাদুরোর জন্য ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া হলে তা হবে একটি ‘বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত’। ভেনেজুয়েলার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
৪ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনী ও কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এসডিএফকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সঙ্গে একীভূত করার নির্ধারিত সময়সীমার আগমুহূর্তে।
৪ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফানিল সারভারভ। তিনি রুশ সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং অধিদপ্তরের প্রধান ছিলেন। এই হামলাকে লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগে
২০২৫ সালে সৌদি আরবে অন্তত ৩৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দেশটির ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের রেকর্ড এটি। এর আগে ২০২৪ সালে ৩৪৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল। এভাবে টানা দ্বিতীয় বছর সৌদি আরব নিজের রেকর্ড ভেঙেছে।
১ দিন আগে