স্ট্রিম প্রতিবেদক

রাজধানী ঢাকায় গত এক সপ্তাহে পাঁচবার অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্প। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট ফের দুলে উঠে ঢাকা। ঘন ঘন এমন ঝাঁকুনিতে রাজধানীবাসীর মনেও তৈরি হয়েছে কম্পন।
প্রশ্ন উঠেছে, যেকোনো দুর্যোগে সবচেয়ে জরুরি হয়ে ওঠা ফায়ার সার্ভিস এবং গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত। বিষয়টি নিয়ে চার সেবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই যোগাযোগ করে স্ট্রিম। প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, এরই মধ্যে জরুরি দল গঠনসহ নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রস্তুতি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। দেশে ছোট-বড় যেকোনো দুর্যোগে সবার আগে খোঁজ পড়ে এই প্রতিষ্ঠানের। সংস্থাটির একাধিক কর্মকর্তা জানান, ভূমিকম্প ও পরবর্তী পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে দেশের সব কর্মীদের নিয়ে ইতোমধ্যে সভা হয়েছে। সভায় ঢাকার জন্য দুটি জরুরি দল গঠন করা হয়েছে। আর প্রতি জেলায় গঠন করা হয়েছে ২০ সদস্যের স্পেশাল টিম। এ ছাড়া কর্মীদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষণ।
এর বাইরে ঢাকার ১০টি খোলা জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের মালপত্র রাখা হয়েছে, যেন কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেন। সেইসঙ্গে ১৩টি স্টেশনে রাখা হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম। এ ছাড়া ঢাকায় বড় দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধার অভিযানে দ্রুত সহযোগিতা নিশ্চিতে আশপাশের এলাকাগুলোতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪৭টি টিম।
ভূমিকম্পের পর অনেক সময় গ্যাসলাইনের পাইপ ফেটে ভয়াবহ আগুন ধরে। ঢাকায় বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে আছে সরকারি প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন। রাস্তার নিচ দিয়ে নেওয়া তিতাস গ্যাসের লাইনগুলো অনেক সময়ই সমস্যা দেখা যায়। পাইপলাইন ফেটে যাওয়ার পাশাপাশি আগুনের ঘটনাও ঘটে। ভূমিকম্প হলে এই আশঙ্কা বাড়ে কয়েকগুণ। তবে এর জন্য আলাদা কোনো প্রস্তুতি নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
তিতাস গ্যাসের অপারেশন ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক কাজী মোহাম্মদ সাইদুল হাসান স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমার ইমার্জেন্সি টিম আছে। তারা সব সময় কাজ করে। কারণ, গ্যাসলাইনে প্রতিনিয়ত নানা দুর্ঘটনা ঘটে। অনেক সময় লিক হয়, ফেটে যায়, আগুন ধরে যায়। সেসব দেখার জন্য ইমার্জেন্সি টিম কাজ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে আগুন লাগা, লিক হওয়া বা লাইন ফেটে যাওয়া ইমার্জেন্সি ব্যাপার। তাই ভূমিকম্পের জন্য আলাদা করে কোনো ইমার্জেন্সি টিম করা হয়নি। এই ইমার্জেন্সি টিমই ভূমিকম্পের সময় কাজ করবে।’
গত ২১ নভেম্বর সকালে অনুভূত হয় ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি স্মরণকালের মধ্যে দেশে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। ওই দিন ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে থাকা ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাব-স্টেশনে আগুন ধরে যায়। ভূমিকম্প হলে এমন আগুন ধরা, বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়াসহ নানা দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের ঢাকা দক্ষিণ গ্রিড সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফয়জুল কবীর স্ট্রিমকে বলেন, ‘শুধু ভূমিকম্প না, সব সময়ের জন্য আমাদের প্রস্তুতি থাকে। কোথাও যদি কোনো সমস্যা হয়, কোনো লাইন যদি ছিঁড়ে যায়, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটা ঠিক করি।’
ফয়জুল কবীর আরও বলেন, ‘কোথাও যদি বড় কোনো সমস্যা হয়, আমরা যারা বেঁচে থাকব, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সমাধানের চেষ্টা করব। এটা আমাদের নৈতিক ও বাধ্যতামূলক দায়িত্ব।’
ভূমিকম্পের পর আগুন নেভানোর পাশাপাশি বিভিন্ন কাজে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ থাকা জরুরি। রাজধানীতে পানি সরবরাহের দায়িত্বে আছে ঢাকা ওয়াসা। এমনিতেই সারা বছর পানির লাইন ঠিক করতে সড়কগুলোতে ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ি চলতে থাকে। ভূমিকম্প হলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ইমার্জেন্সি টিম এ ধরনের সংকট মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে।
ঢাকা ওয়াসার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রোজেক্ট ডিরেক্টর শওকত মাহমুদ স্ট্রিমকে বলেন, ‘সারা ঢাকায় আমাদের ১০টি মডস জোন আছে। তাঁরা নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহে কাজ করে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তারা সেগুলো জরুরিভিত্তিতে সমাধান করে। আমাদের এই টিমগুলো প্রস্তুত আছে। ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমরা কাজ করব। তবে ক্ষতির পরিমাণ যদি অনেক হয়, সেক্ষেত্রে ভিন্ন কিছু ভাবতে হবে।’
ভূমিকম্পকে কেন্দ্র করে আলাদা কোনো দল গঠন করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে শওকত মাহমুদ বলেন, ‘এখনও এ রকম কোনো টিম গঠন করা হয়নি। তবে, যদি কোনো নির্দেশনা আসে, সেক্ষেত্রে ঢাকা ওয়াসা সেভাবে ব্যবস্থা নেবে।’

রাজধানী ঢাকায় গত এক সপ্তাহে পাঁচবার অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্প। এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট ফের দুলে উঠে ঢাকা। ঘন ঘন এমন ঝাঁকুনিতে রাজধানীবাসীর মনেও তৈরি হয়েছে কম্পন।
প্রশ্ন উঠেছে, যেকোনো দুর্যোগে সবচেয়ে জরুরি হয়ে ওঠা ফায়ার সার্ভিস এবং গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত। বিষয়টি নিয়ে চার সেবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই যোগাযোগ করে স্ট্রিম। প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, এরই মধ্যে জরুরি দল গঠনসহ নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রস্তুতি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। দেশে ছোট-বড় যেকোনো দুর্যোগে সবার আগে খোঁজ পড়ে এই প্রতিষ্ঠানের। সংস্থাটির একাধিক কর্মকর্তা জানান, ভূমিকম্প ও পরবর্তী পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে দেশের সব কর্মীদের নিয়ে ইতোমধ্যে সভা হয়েছে। সভায় ঢাকার জন্য দুটি জরুরি দল গঠন করা হয়েছে। আর প্রতি জেলায় গঠন করা হয়েছে ২০ সদস্যের স্পেশাল টিম। এ ছাড়া কর্মীদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষণ।
এর বাইরে ঢাকার ১০টি খোলা জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের মালপত্র রাখা হয়েছে, যেন কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেন। সেইসঙ্গে ১৩টি স্টেশনে রাখা হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম। এ ছাড়া ঢাকায় বড় দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধার অভিযানে দ্রুত সহযোগিতা নিশ্চিতে আশপাশের এলাকাগুলোতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪৭টি টিম।
ভূমিকম্পের পর অনেক সময় গ্যাসলাইনের পাইপ ফেটে ভয়াবহ আগুন ধরে। ঢাকায় বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে আছে সরকারি প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন। রাস্তার নিচ দিয়ে নেওয়া তিতাস গ্যাসের লাইনগুলো অনেক সময়ই সমস্যা দেখা যায়। পাইপলাইন ফেটে যাওয়ার পাশাপাশি আগুনের ঘটনাও ঘটে। ভূমিকম্প হলে এই আশঙ্কা বাড়ে কয়েকগুণ। তবে এর জন্য আলাদা কোনো প্রস্তুতি নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
তিতাস গ্যাসের অপারেশন ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক কাজী মোহাম্মদ সাইদুল হাসান স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমার ইমার্জেন্সি টিম আছে। তারা সব সময় কাজ করে। কারণ, গ্যাসলাইনে প্রতিনিয়ত নানা দুর্ঘটনা ঘটে। অনেক সময় লিক হয়, ফেটে যায়, আগুন ধরে যায়। সেসব দেখার জন্য ইমার্জেন্সি টিম কাজ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে আগুন লাগা, লিক হওয়া বা লাইন ফেটে যাওয়া ইমার্জেন্সি ব্যাপার। তাই ভূমিকম্পের জন্য আলাদা করে কোনো ইমার্জেন্সি টিম করা হয়নি। এই ইমার্জেন্সি টিমই ভূমিকম্পের সময় কাজ করবে।’
গত ২১ নভেম্বর সকালে অনুভূত হয় ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি স্মরণকালের মধ্যে দেশে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প। ওই দিন ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে থাকা ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাব-স্টেশনে আগুন ধরে যায়। ভূমিকম্প হলে এমন আগুন ধরা, বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়াসহ নানা দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের ঢাকা দক্ষিণ গ্রিড সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফয়জুল কবীর স্ট্রিমকে বলেন, ‘শুধু ভূমিকম্প না, সব সময়ের জন্য আমাদের প্রস্তুতি থাকে। কোথাও যদি কোনো সমস্যা হয়, কোনো লাইন যদি ছিঁড়ে যায়, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটা ঠিক করি।’
ফয়জুল কবীর আরও বলেন, ‘কোথাও যদি বড় কোনো সমস্যা হয়, আমরা যারা বেঁচে থাকব, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সমাধানের চেষ্টা করব। এটা আমাদের নৈতিক ও বাধ্যতামূলক দায়িত্ব।’
ভূমিকম্পের পর আগুন নেভানোর পাশাপাশি বিভিন্ন কাজে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ থাকা জরুরি। রাজধানীতে পানি সরবরাহের দায়িত্বে আছে ঢাকা ওয়াসা। এমনিতেই সারা বছর পানির লাইন ঠিক করতে সড়কগুলোতে ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়ি চলতে থাকে। ভূমিকম্প হলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ইমার্জেন্সি টিম এ ধরনের সংকট মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে।
ঢাকা ওয়াসার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রোজেক্ট ডিরেক্টর শওকত মাহমুদ স্ট্রিমকে বলেন, ‘সারা ঢাকায় আমাদের ১০টি মডস জোন আছে। তাঁরা নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহে কাজ করে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তারা সেগুলো জরুরিভিত্তিতে সমাধান করে। আমাদের এই টিমগুলো প্রস্তুত আছে। ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমরা কাজ করব। তবে ক্ষতির পরিমাণ যদি অনেক হয়, সেক্ষেত্রে ভিন্ন কিছু ভাবতে হবে।’
ভূমিকম্পকে কেন্দ্র করে আলাদা কোনো দল গঠন করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে শওকত মাহমুদ বলেন, ‘এখনও এ রকম কোনো টিম গঠন করা হয়নি। তবে, যদি কোনো নির্দেশনা আসে, সেক্ষেত্রে ঢাকা ওয়াসা সেভাবে ব্যবস্থা নেবে।’

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগে
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেসবুক পোস্টে 'চুদলিং পং' কমেন্ট করায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার রাত আটটা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক আকারে বিশেষ বিশেষ কর্মসূচির প্রস্তুতি চলছে। যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্যে অন্যান্য আয়োজনের পাশাপাশি এবার সর্বাধিক পতাকা উড়িয়ে প্যারাস্যুটিং করে বিশ্বরেকর্ড গড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ।
২ ঘণ্টা আগে
বাবা বাসা থেকে বের হন সকাল ৭টায়। আর ৭টা ১৫ মিনিটে বোরকা পরে বাসায় ঢুকে চারদিন আগে কাজ নেওয়া আয়েশা নাম বলা ছুটা গৃহকর্মী। ৯টা ৩৬ মিনিটে স্কুল ড্রেস আর মুখে মাস্ক পরে বাসা থেকে বের হয় এক নারী।
৪ ঘণ্টা আগে