leadT1ad

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ১০টি সিট হারাতে হলেও বিএনপির কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা না : এ কে আজাদ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, 'যদি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে গিয়ে কোথাও বিএনপিকে ১০টি সিট হারাতেও হয়, তাতে বিএনপির ক্ষমতায় আসতে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা না ।‘ প্রথম আলোর সাম্প্রতিক জরিপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, জরিপ অনুযায়ী বিএনপির জনসমর্থন এখন এমন পর্যায়ে যে সুষ্ঠু নির্বাচনেও তাদের জয়ী হওয়ার কথা।

আজ রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের 'ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন' উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব সাংবাদিক সমাজ ও বিএনপির।

নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ বলেন, ‘এই নির্বাচনটা যদি আমাদের দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা না পায়, তাহলে সামনে আমাদের মহাবিপদ। অনেক বিদেশি, যাদের সঙ্গে আমরা ব্যবসা করি, তারা খুব উদ্‌গ্রীব হয়ে আমাদের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।’

গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এ কে আজাদ বলেন, ‘আমাদের যদি উন্মুক্ত করে দেন, গঠনমূলক সমালোচনা করার সুযোগ দেন, তাহলে আমরা দায়িত্বশীলভাবেই সেটা করব।’

গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতার কথা উল্লেখ করে এ কে আজাদ বলেন, ‘সব যে আমরা সঠিকভাবে উপস্থাপন করি, তা-ও না। আমাদের ভেতরেও ভুলভ্রান্তি হয়। আমরা দুঃখপ্রকাশ করি। আপনারা আমাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণমাধ্যম যখন দুর্নীতি ও অন্যায় তুলে ধরে, তখন সরকারের উচিত তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া।

এ কে আজাদ বলেন, ‘আপনারা যদি বলেন, আপনারা যে দুর্নীতি বা অন্যায় তুলে ধরেছেন, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি—তাহলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা, সেটা সফল হবে।’

ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে নিয়মিত সংলাপের প্রস্তাব দিয়ে এ কে আজাদ বলেন, নির্বাচনের পর সরকার দায়িত্ব নিলে প্রতি ছয় মাস অন্তর গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘এভরি সিক্স মান্থ আপনারা যদি আমাদেরকে এইভাবে আহ্বান করেন, তাহলে আমরা আপনাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে পারব।’

মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত