leadT1ad

দখলদারের থাবায় আকাশ কলির পাখির অভয়াশ্রম তছনছ

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
পাবনা

আকাশ কলি দাসের ছয় বিঘা জমি নিজের দাবি করে অভয়াশ্রম ধ্বংস মেতেছেন স্থানীয় কয়েকজন। স্ট্রিম গ্রাফিক

‘আমার লাশ বাড়িতেই থাকবে। মাথা ফাটাফাটি করে রক্তাক্ত হবে মানুষ। পাখির অভয়াশ্রম থাকবে না। দৌড়ে এসে কেউ কাটবে গাছ; কেউ নেবে গরু। হয়তো এক জমির ছয়খানা দলিল বের করে বলবে, আমাকে দিয়ে গেছে।’

কথাগুলো বলেছিলেন পাবনার ‘পাখিবন্ধু’ বলে পরিচিত আকাশ কলি দাস। প্রায় ছয় দশকের প্রচেষ্টায় তিনি নিজের বসতবাড়িতে গড়েছেন পাখিদের অভয়াশ্রম। আকাশের মৃত্যুর চার মাস না যেতে তাঁরই শঙ্কা বাস্তব হয়ে দেখা দিয়েছে।

আকাশের ছয় বিঘা জমি নিজের দাবি করে অভয়াশ্রম ধ্বংস মেতেছেন স্থানীয় কয়েকজন। নির্বিচারে কাটা হচ্ছে গাছ। দখলদারদের দাবি, মৃত্যুর ১৭ দিন আগে ওই সম্পত্তি বিক্রি ও দান সূত্রে হস্তান্তর করেন আকাশ। অবশ্য প্রতিবেশীরা মৃত্যুর আগে স্মৃতিবিভ্রান্ত হয়ে পড়া আকাশের জমি হস্তান্তর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অভয়াশ্রম সংরক্ষণে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত দিয়েছেন এক পরিবেশকর্মী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতে থাকা আকাশ কলির এক বোন স্টিমকে বলেছেন, দাদা আজীবন চেয়েছেন অভয়াশ্রমে পাখিরা যেন ভালো থাকে, শান্তিতে থাকে। তিনি কখনো অভয়াশ্রম, পশুপাখি ছেড়ে কোথাও যেতেন না। চিকিৎসার জন্যও আমরা নিজেদের কাছে আনতে পারিনি। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভিসা জটিলতায় শেষ সময়ে তাঁর পাশে আমরা দাঁড়াতে পারিনি। এ সময় অসিত বাবু দাদার চিকিৎসা ও সেবা করেছেন। এজন্য আমরা তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, যে মানুষ ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে অভয়াশ্রম গড়ে তুলেছেন, হঠাৎ তা বিক্রি করবেন– এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি, বিষয়টি তদন্ত করে অভয়াশ্রম রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

পাবনা জেলা প্রশাসক শাহেদ মোস্তফা বলেন, অভয়াশ্রম রক্ষায় আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা রয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে জমি দখল তদন্তে কমিটি করা হয়েছে। অবৈধ দখল হয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা এবং পাখিদের আবাসভূমি রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এলাকাবাসীর সন্দেহ, পরিকল্পিতভাবে অসিত ঘোষ সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়কে ‘ম্যানেজ করে’ ভুয়া দলিলে সম্পত্তি আত্মসাৎ ও বিক্রির কথা বলছেন। আকাশ কলির বসতবাড়িতে দীর্ঘদিন কাজ করা মো. জাহিদুল বলেন, ‘সাত-আট মাস আগে দাদাকে অসিত বাবু নিয়ে যান। তিনি দাদার চিকিৎসাও করিয়েছেন। কিন্তু জমি কবে, কখন দাদা দান ও বিক্রি করেছেন তা তিনি কাউকে বলেননি। দাদার মৃত্যুর পর এখন এসব জমি অসিত বাবু দখলে নিচ্ছেন।’

অভয়াশ্রমে দখলদারের থাবা

পাবনার বেড়া উপজেলা সদর থেকে আট কিলোমিটার দূরে নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের কৈটোলা গ্রামে প্রায় ছয় বিঘা জমিতে জঙ্গল ঘেরা একটি কুঁড়েঘর। সেখানে থাকতেন আকাশ কলি দাস ও তাঁর বোন ঝর্ণা দাস। বাড়িটি সব সময় মুখর থাকত পাখির কলতানে। শীতে আশ্রয় নিতে পরিযায়ী পাখি।

গত ১৮ আগস্ট বাড়িতে ৮২ বছর বয়সে মারা যান আকাশ কলি। তাঁর আগেই বিদায় পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন বোন ঝর্ণা দাস। মৃত্যুর মাস দেড়েক আগে পড়ে পা ভাঙে আকাশের। মায়ের খালাতো ভাইয়ের ছেলে পরিচয়ে আকাশকে বাড়িতে নিয়ে যান প্রতিবেশী অসিত ঘোষ ও অসীম ঘোষ। আকাশের বাড়ির দীর্ঘদিনের রাখাল ও আশ্রম দেখভালে নিয়োজিতদের ছাঁটাই করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, আকাশের মৃত্যুর মাসখানেক পর অসিত দাস বলতে থাকেন– অভয়াশ্রমসহ বসতভিটার কিছু অংশ মোহাম্মদ আলীর কাছে বিক্রি করে গেছেন তিনি। বাকি অংশসহ সব সম্পত্তি অসিত ও অসীমের নামে দানপত্র করেছেন।

সম্প্রতি কৈটোলা গ্রামে অভয়াশ্রমে গিয়ে দেখা যায়, নতুন আধাপাকা ঘর তুলেছেন মোহাম্মদ আলী। পাখিদের আবাসস্থল ভেঙে ফেলা হয়েছে। গাছও কেটে বিক্রি করছেন আলীর লোকজন।

ইউনিয়ন ও উপজেলা ভূমি অফিস থেকে অভয়াশ্রমের জমি বেচাকেনার সার্টিফাইড নকল কপি তুলে দেখা যায়, গত ৩১ জুলাই বেড়া সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীর উপস্থিতিতে দুটি আলাদা দলিলে জমি দান ও বিক্রি করা হয়েছে। দলিল অনুযায়ী, হরিরামপুর মৌজার অভয়াশ্রমের ২.৬৬ একর জমি (আরএস ৯২১ ও ৯২৩ দাগ) অসিত ঘোষ ও অসীম ঘোষের নামে দানপত্র এবং বাকি ১.৬৬ একর জমি (আরএস ৯২৩ ও ২৪৪৪ দাগ) মোহাম্মদ আলীর কাছে এক কোটি এক লাখ ৮২ হাজার টাকায় আকাশ কলি দাস বিক্রি করেছেন বলে রেজিস্ট্রি হয়েছে। রেজিস্ট্রিকৃত ভূমি খারিজের জন্য সংশ্লিষ্ট ভূমি কার্য়ালয়ে আবেদন করেছেন মালিকানা দাবিদাররা।

আকাশ কলি দাসের ছয় বিঘা জমি নিজের দাবি করে নির্বিচারে গাছ কাটছেন স্থানীয় কয়েকজন। স্ট্রিম ছবি
আকাশ কলি দাসের ছয় বিঘা জমি নিজের দাবি করে নির্বিচারে গাছ কাটছেন স্থানীয় কয়েকজন। স্ট্রিম ছবি

আকাশের প্রতিবেশী রুবেল মিয়া স্ট্রিমকে বলেন, আকাশ কলি দাদু এতটাই প্রাণপ্রকৃতিকে ভালোবাসতেন যে, কখনো হাঁস-মুরগি বিক্রি করেননি। সারা জীবনের লালিত স্বপ্ন পাখিদের আবাসস্থল তিনি বিক্রি করবেন–এটি কেউ বিশ্বাস করে না। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে স্বাভাবিক জ্ঞানশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন আকাশ কলি। তখন কীভাবে জমি রেজিস্ট্রি হলো, তা খতিয়ে দেখা দরকার।

এলাকাবাসীর সন্দেহ, পরিকল্পিতভাবে অসিত ঘোষ সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়কে ‘ম্যানেজ করে’ ভুয়া দলিলে সম্পত্তি আত্মসাৎ ও বিক্রির কথা বলছেন। আকাশ কলির বসতবাড়িতে দীর্ঘদিন কাজ করা মো. জাহিদুল বলেন, ‘সাত-আট মাস আগে দাদাকে অসিত বাবু নিয়ে যান। তিনি দাদার চিকিৎসাও করিয়েছেন। কিন্তু জমি কবে, কখন দাদা দান ও বিক্রি করেছেন তা তিনি কাউকে বলেননি। দাদার মৃত্যুর পর এখন এসব জমি অসিত বাবু দখলে নিচ্ছেন।’

বেড়া সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের সাব-রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলী বলেন, ‘কমিশন পদ্ধতিতে অসিত দাসের বাড়িতে গিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। আমি নিজেই জমিদাতার সাক্ষ্য নিয়েছি। তিনি নিজ ইচ্ছায় জমি হস্তান্তর করছেন।’

তিনি বলেন, ‘অভয়াশ্রমের বিষয়ে আমার কাছে কোনো অভিযোগ ছিল না। জমিদাতা জমি হস্তান্তরের ইচ্ছায় মালিকানা বদল ও রেজিস্ট্রি হয়েছে। আইন অনুযায়ী আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনো কিছু দেখানোর সুযোগ নেই।’

দলিলে আকাশ কলি স্বাক্ষর না টিপসহি দিয়েছেন– প্রশ্নে তিনি তাৎক্ষণিক জানাতে পারেননি। পরে একজন অফিস সহকারীর কাছ থেকে জেনে টিপসহি দিয়েছেন বলে জানান।

আকাশ কলির দানপত্র ও বিক্রি– উভয় দলিলের লেখক বেড়ার শম্ভুপুর গ্রামের শাহাদৎ হোসেন মজনু। আকাশের শনাক্তকারী ও সাক্ষী হিসেবে তিনিই উভয় দলিলে সই করেছেন। আকাশের বসতভিটা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে তাঁর বাড়িতে গেলে বিরূপ আচরণ করেন। নিজেকে স্ট্রোকের রোগী জানিয়ে শাহাদাৎ হোসেন এ বিষয়ে কোনো কথা বলবেন না বলে জানান।

পাবনার নগরবাড়ী জমিদার শ্রী নিবাস দিয়ার নায়েব ছিলেন চন্দ্র কুমার দাস। তাঁর পাঁচ সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে আকাশ কলি দাস। তিনি ও ছোট বোন ঝর্ণা ছাড়া বাকি বোনেরা মুক্তিযুদ্ধের আগেই পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। পৈতৃক সূত্রে প্রায় ৪০ বিঘার বেশি জমির মালিকানা পান আকাশ কলি।

দাবিদারদের বক্তব্যে গড়মিল

‘দানসূত্রে’ অভয়াশ্রমের মালিকানা পাওয়ার বিষয়ে অসিত ঘোষ বলেছেন, আকাশ কলি দাস অনেক দেনা ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি সজ্ঞানে কিছু সম্পত্তি বিক্রি করেছেন। বাকি সম্পত্তি আমাকে ও আমার ভাই অসীমকে দান করে গেছেন। আমি এখন তাঁর বন্ধকি জমি অর্থ দিয়ে ছাড়িয়ে নিচ্ছি।

নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে অসিতের এই বক্তব্যের সত্যতা পাওয়া যায়নি। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, হরিরামপুর মৌজায় বিভিন্ন খতিয়ানে আকাশ কলি দাসের প্রায় ৪০ বিঘার মতো জমি ছিল। এর মধ্যে আট বিঘা ২ শতাংশ জমি চলতি বছর মালিকানা বদল হয়েছে। বাকি জমি এখনো আকাশ কলির নামেই রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আকাশ কলির বাকি সম্পত্তি জাল কাগজ করে আত্মসাতের চেষ্টা করছেন অসিত ও অসীম ঘোষ।

অভয়াশ্রমের জায়গা রেজিস্ট্রির সময় উপস্থিত ছিলেন না জানিয়েছে ক্রেতা দাবিদার মোহাম্মদ আলী স্ট্রিমকে বলেন, ‘জমির দাম নগদ দিয়েছি।’ স্মৃতিভ্রান্ত মানুষ কীভাবে নিলেন– প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘টাকা তো আগেই দিয়েছি। উনিই (আকাশ কলি) নিয়েছেন। আর তাঁর চিকিৎসা করানো ধর্ম ভাইয়েরা (অসিত-অসীম) ঋণ শোধ করেছেন।’

তবে গতকাল (২০ ডিসেম্বর) শনিবার সন্ধ্যায় অসিম ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্ট্রিমকে বলেন, রেজিস্ট্রির সময় মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন। সেদিন বিক্রি বাবদ বাকি অর্থ নগদ আকাশের হাতে তুলে দেন তিনি।

পাখিবন্ধু আকাশ কলির অভয়াশ্রম সুরক্ষায় সোচ্চার হয়েছেন পরিবেশকর্মী ও সচেতন ব্যক্তিরা। গত ৩০ নভেম্বর বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা, জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ইলিহাস হোসেন নামের সমাজকর্মী।

পশু-পাখির প্রতি প্রেম থেকে অভয়াশ্রম

বেড়ার পাচুরিয়া ও মাছখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৫ বছর শিক্ষকতা করেন আকাশ কলি দাস। জীবনের প্রায় সব উপার্জন তিনি ব্যয় করেছেন অভয়াশ্রম গড়তে। এ জন্য দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব পদ ও সম্মাননা পেয়েছেন আকাশ। চিরকুমারী ছোট বোন ঝর্ণা দাস ও পাখপাখালি নিয়েই ছিল আকাশের পৃথিবী। ২০২৪ সালে মারা যান ছোট বোন।

জানা যায়, পাবনার নগরবাড়ী জমিদার শ্রী নিবাস দিয়ার নায়েব ছিলেন চন্দ্র কুমার দাস। তাঁর পাঁচ সন্তানের মধ্যে একমাত্র ছেলে আকাশ কলি দাস। তিনি ও ছোট বোন ঝর্ণা ছাড়া বাকি বোনেরা মুক্তিযুদ্ধের আগেই পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। পৈতৃক সূত্রে প্রায় ৪০ বিঘার বেশি জমির মালিকানা পান আকাশ কলি।

আকাশ কলির ঘনিষ্ঠজন সাহিত্যিক আলাওল হোসেন বলেন, ‘জমিজমা সম্পদের কাগজপত্রাদি বা উত্তরসূরি ঠিক করার কথা কেউ বললে তিনি বলতেন– এগুলো নিয়ে আমি ভাবি না। সৃষ্টিকর্তা আমাকে দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন, আমার অবর্তমানে তিনিই দেখবেন। পাখিরা যেন ভালো থাকে, এখানে ঠিকঠাক থাকতে পারে এতটুকুই চাওয়া। অথচ তাঁর অভয়াশ্রম রাতারাতি ধ্বংস করা হচ্ছে, সত্যিই বেদনার।’

অভয়াশ্রম রক্ষায় আকুতি

আকাশ কলির বাড়িতে পাখির নিরাপদ আবাসস্থলের বিষয় জানতে পেরে পরিবেশবাদী বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন (এনজিও) আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন)। ২০১৪ সালে মৎস্য অধিদপ্তরের ওয়েটল্যান্ড বায়োডাইভারসিটি রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্ট (ডব্লিউবিআরপি) বাড়িকে ‘পাখি অভয়াশ্রম’ ঘোষণা করে। আকাশ কলি ২০২৪ সালে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সরকারের ‘অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজার্ভেশন’ সম্মাননা, ডেইলি স্টার সম্মাননাসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।

পাখিবন্ধু আকাশ কলির অভয়াশ্রম সুরক্ষায় সোচ্চার হয়েছেন পরিবেশকর্মী ও সচেতন ব্যক্তিরা। গত ৩০ নভেম্বর বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা, জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ইলিহাস হোসেন নামের সমাজকর্মী।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) জীব ও ভূবিজ্ঞান অনুষদের ডিন নাজমুল ইসলাম বলেন, আকাশ কলি প্রকৃতিতে বৃক্ষ ও পাখির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতেন। তাই তিনি বছরের পর বছর ধরে পাখির অভয়াশ্রম গড়েছেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ সংরক্ষণের মাস্টার্সের ক্লাসে তাঁর অভয়াশ্রমকে মডেল হিসেবে পড়ানো হয়। আকাশের সারা জীবনের স্বপ্ন ও পরিশ্রমে গড়া অভয়াশ্রম এভাবে ধ্বংস করা হবে, তা মেনে নেওয়া যায় না।’ অভয়াশ্রমটি সংরক্ষণে তিনি পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত