leadT1ad

রাজনীতিতে অবৈধ আয়ের প্রভাব পেশিশক্তিকে উৎসাহিত করে: ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪০
বক্তৃতা করছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। স্ট্রিম ছবি

অবৈধ আয়ে পরিচালিত রাজনীতি স্বাভাবিকভাবেই চাঁদাবাজি ও পেশিশক্তির প্রদর্শনকে উৎসাহিত করে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, এ ধরনের অনৈতিক চর্চা শিক্ষাব্যবস্থাকেও প্রভাবিত করে; যার ফলে শিক্ষার মান নিম্নমুখী হয় এবং ঝরে পড়ার হার বাড়ে।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ পর্যটন ভবনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) আয়োজিত বার্ষিক উন্নয়ন সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘জুলাইয়ের অস্থিরতার পর এখন দেশের প্রধান জাতীয় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা এবং দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাস করা।’

তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও আমরা এখনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভেতরে থেকেই উন্নয়নকে প্রধান করে দেখতে বাধ্য হচ্ছি—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

বিনিয়োগ পরিবেশ সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কয়েকটি সূচক উন্নত হলেই সামগ্রিক ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত হয় না। এ ক্ষেত্রে রাজনীতি ও আমলাতন্ত্রের সদিচ্ছা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সদিচ্ছা ও প্রতিশ্রুতি ছাড়া সংস্কার কখনোই বাস্তব ফল বয়ে আনতে পারে না।’

রাজনীতিতে ‘রেন্ট-সিকিং’ বা অনৈতিক সুবিধা আদায়ের প্রবণতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে অবৈধ সুবিধা নেওয়ার প্রবণতা (রেন্ট-সিকিং) শুধু আইন দিয়ে দমন করা যায় না। কোনো দেশই এত দরিদ্র নয় যে তার জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারে না। সম্পদের অভাব মূল সমস্যা নয়—আমাদের ঘাটতি মূলত সদিচ্ছার।’

টেকসই উন্নয়ন ও ন্যায়সঙ্গত অগ্রগতি নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক আন্তরিকতা, প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা এবং সুশাসন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও মত দেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা।

বিষয়:

রাজনীতি
Ad 300x250

সম্পর্কিত