গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় দলটির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ নিয়ে লিখেছেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) অ্যাডভাইজার ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মির্জা এম হাসান
মির্জা এম হাসান

অন্তর্বর্তী সরকার যদি জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করে, তাহলে আরও একটা ভুল করবে। একটা ঘটনা ঘটলেই কোনও রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা যায় না। এভাবে নিষিদ্ধ করা আসলে সম্ভব নয়, এটি জনসমর্থনও পাচ্ছে না। মানুষ মনে করছে— এটা বাড়াবাড়ি। এর কোনো দরকারও নেই। আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম) নিষিদ্ধ নিয়েও তো সরকার অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছিল। দেশি-বিদেশি স্টেকহোল্ডাররা এই নিষিদ্ধের বিষয়টা পছন্দ করছে না। আমার মনে হয়, সরকারকে এই ব্যাপারে একটু সিরিয়াসলি চিন্তাভাবনা করতে হবে।
আওয়ামী লীগকে যখন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তখন যেভাবে হঠাৎ হাসনাত আব্দুল্লাহ-সহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা যমুনায় গেল, আর রাতারাতি দলটিকে নিষিদ্ধ করা হলো— (জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে) এই ধরনের সহজ কিছু হবে বলে আমার মনে হচ্ছে না।
যদিও জাতীয় পার্টির এই ফ্র্যাকশনটাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করে আপাতত স্থগিত করা হতে পারে। এই ধরনের কিছু করাটা যে খুব বেশি ঝামেলার হবে, সেটাও মনে হয় না। কারণ জাতীয় পার্টি এমনিতেও রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।

আমরা যেসব তথ্য পাচ্ছি, জরিপের ফলাফল পাচ্ছি তাতে দেখা যাচ্ছে— জাতীয় পার্টির ঘাঁটি রংপুর, দিনাজপুর এলাকাতেও বিএনপি এখন তাদের জায়গাগুলো নিয়ে নিচ্ছে এবং কিছুটা জামায়াতও নিচ্ছে। সেই অর্থে জাতীয় পার্টি একটা সেপন্ট ফোর্স বা ক্ষয়ে যাওয়া শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
তাই যদি কাল, পরশু বা এক সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে একটা শক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েও ফেলা হয়, তাতে আমি অবাক হবো না। তবে আমি সেটাকে খুব ভালো কাজ হিসেবে মনে করব না। কারণ এর ফলে বরং এই ক্ষয়িষ্ণু শক্তিকে কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ করে ফেলা হবে, যা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। যাকে ইংরেজিতে বলে ফ্লাশিং আউট পলিটিক্যালি বা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বহীন কাউকে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপের মাধ্যমে আবার সামনে নিয়ে আসা।
আমার মতে, এর চেয়ে বরং একেবারে নরমাল প্রসেসেই জাতীয় পার্টি শেষ হয়ে যাবে। যেমন জাসদ শেষ হয়ে গেছে, বহু দল এভাবেই শেষ হয়ে গেছে।
লেখক: অ্যাডভাইজার ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

অন্তর্বর্তী সরকার যদি জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করে, তাহলে আরও একটা ভুল করবে। একটা ঘটনা ঘটলেই কোনও রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা যায় না। এভাবে নিষিদ্ধ করা আসলে সম্ভব নয়, এটি জনসমর্থনও পাচ্ছে না। মানুষ মনে করছে— এটা বাড়াবাড়ি। এর কোনো দরকারও নেই। আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম) নিষিদ্ধ নিয়েও তো সরকার অনেক সমালোচনার মুখে পড়েছিল। দেশি-বিদেশি স্টেকহোল্ডাররা এই নিষিদ্ধের বিষয়টা পছন্দ করছে না। আমার মনে হয়, সরকারকে এই ব্যাপারে একটু সিরিয়াসলি চিন্তাভাবনা করতে হবে।
আওয়ামী লীগকে যখন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তখন যেভাবে হঠাৎ হাসনাত আব্দুল্লাহ-সহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা যমুনায় গেল, আর রাতারাতি দলটিকে নিষিদ্ধ করা হলো— (জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে) এই ধরনের সহজ কিছু হবে বলে আমার মনে হচ্ছে না।
যদিও জাতীয় পার্টির এই ফ্র্যাকশনটাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করে আপাতত স্থগিত করা হতে পারে। এই ধরনের কিছু করাটা যে খুব বেশি ঝামেলার হবে, সেটাও মনে হয় না। কারণ জাতীয় পার্টি এমনিতেও রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।

আমরা যেসব তথ্য পাচ্ছি, জরিপের ফলাফল পাচ্ছি তাতে দেখা যাচ্ছে— জাতীয় পার্টির ঘাঁটি রংপুর, দিনাজপুর এলাকাতেও বিএনপি এখন তাদের জায়গাগুলো নিয়ে নিচ্ছে এবং কিছুটা জামায়াতও নিচ্ছে। সেই অর্থে জাতীয় পার্টি একটা সেপন্ট ফোর্স বা ক্ষয়ে যাওয়া শক্তিতে পরিণত হয়েছে।
তাই যদি কাল, পরশু বা এক সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে একটা শক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েও ফেলা হয়, তাতে আমি অবাক হবো না। তবে আমি সেটাকে খুব ভালো কাজ হিসেবে মনে করব না। কারণ এর ফলে বরং এই ক্ষয়িষ্ণু শক্তিকে কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ করে ফেলা হবে, যা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। যাকে ইংরেজিতে বলে ফ্লাশিং আউট পলিটিক্যালি বা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বহীন কাউকে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপের মাধ্যমে আবার সামনে নিয়ে আসা।
আমার মতে, এর চেয়ে বরং একেবারে নরমাল প্রসেসেই জাতীয় পার্টি শেষ হয়ে যাবে। যেমন জাসদ শেষ হয়ে গেছে, বহু দল এভাবেই শেষ হয়ে গেছে।
লেখক: অ্যাডভাইজার ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

২০০৭ সালের ‘ওয়ান-ইলেভেন’ থেকে ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং তৎপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ এই লেখা। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের অভাব, আমলাতান্ত্রিক নির্ভরতার সংকট এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের ফলে সৃষ্ট সামাজিক ক্ষত ত
৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকার ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভিন্ন আবহে পালিত হয় ৫৪তম মৈত্রী দিবস। এতে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে স্থিতিশীল, ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত বার্ষিক ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সের এবারের আলোচনার শিরোনাম ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা সবাই এখন এই বিষয়টি নিয়েই ভাবছি।
১ দিন আগে
পেরুর বিচারক লুজ দেল কারমেন ইবানিয়েজ কারাঞ্জর ওপর গত জুনে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। কারণ, তিনি ২০০৩ সালের পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের অপরাধ তদন্তের অনুমতি দিয়েছিলেন। তাকে নিয়ে গত এক বছরে ছয়জন আইসিসি বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
১ দিন আগে