leadT1ad

দুর্নীতি: সাংস্কৃতিক রূপান্তর ও রাজনৈতিক সদিচ্ছাই মুক্তির সোপান

নুরুল হুদা সাকিব
নুরুল হুদা সাকিব

প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ০৮
স্ট্রিম গ্রাফিক

আজ ৯ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য—‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’। আপাতদৃষ্টিতে এই স্লোগানটি নান্দনিক মনে হলেও বাংলাদেশের বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে এর একটি নির্মোহ বিশ্লেষণ জরুরি। এই প্রতিপাদ্যটি কেবল আনুষ্ঠানিক দিবস উদযাপনের অনুষঙ্গ হয়ে থাকবে, নাকি রাষ্ট্রকাঠামোতে কোনো গুণগত পরিবর্তন আনয়ন করবে—তা গভীর পর্যালোচনার দাবি রাখে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দুর্নীতি বিষয়টি বর্তমানে কেবল আইনি বা প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে আবদ্ধ নেই; বরং এটি একটি গভীর সাংস্কৃতিক সংকটে রূপ নিয়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় একটি ব্যাপকভিত্তিক ‘সাংস্কৃতিক রূপান্তর’ ব্যতীত দুর্নীতির প্রকোপ হ্রাস করা কার্যত অসম্ভব। দুর্নীতি এখন আমাদের সমাজকাঠামোর প্রতিটি স্তরে অনুপ্রবেশ করেছে। বেদনাদায়ক হলেও সত্য, সমাজের প্রায় প্রতিটি স্তরের মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই নেতিবাচক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে। আমরা মৌখিকভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ বা শূন্য সহিষ্ণুতার কথা ব্যক্ত করি বটে, কিন্তু প্রায়োগিক ক্ষেত্রে এর প্রতিফলন অত্যন্ত নগণ্য। আমাদের মনস্তাত্ত্বিক কাঠামো ও প্রাত্যহিক অভ্যাসে আমূল পরিবর্তন এবং বিশেষত প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায় কাঠামোগত সংস্কার সাধন না করলে, এই দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে আরও কয়েক দশক প্রয়োজন হতে পারে। এটি কোনো স্বল্পমেয়াদী নিরাময়যোগ্য ব্যাধী নয়, বরং এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টা।

আমরা প্রায়ই উল্লেখ করি যে বাংলাদেশ জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী সনদে (ইউএনসিএসি) অনুস্বাক্ষরকারী একটি দেশ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার আমাদের জাতীয় জীবনে কোনো গুণগত পরিবর্তন নিশ্চিত করতে পেরেছে কি? আমরা সনদে স্বাক্ষর করেছি এবং বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা করছি, কিন্তু দিনশেষে প্রাপ্তির খাতাটি হতাশাব্যঞ্জক। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, কার্যত এর কর্মপরিধি ও সক্ষমতাকে বিভিন্ন কৌশলে সংকুচিত করে রাখা হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করাটা অনেকাংশেই একটি ‘প্রতীকী অংশগ্রহণ’ হিসেবে দাঁড়িয়েছে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাঙ্ক্ষিত প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হচ্ছে।

চলতি বছরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক’ (সিপিআই) বিশ্লেষণ করলে আমাদের হতাশা আরও ঘনীভূত হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় আফগানিস্তানের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান—যা নেতিবাচক দিক থেকে দ্বিতীয়। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, এমনকি মিয়ানমারের অবস্থানও এই সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে শ্রেয়। পরিসংখ্যানগতভাবে স্কোরের সামান্য হেরফের দেখিয়ে হয়তো দাবি করা যেতে পারে যে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে, কিন্তু বাস্তবিক অর্থে বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রবণতা বা প্রপেনসিটি হ্রাস পায়নি। বরং অন্যান্য দেশ তাদের সূচকে অবনমন ঘটানোয় আমাদের অবস্থান আপেক্ষিকভাবে কিছুটা নড়বড়ে মনে হতে পারে, যা আদতে কোনো প্রকৃত উন্নতির নির্দেশক নয়।

বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যকারিতা নিয়ে বিদ্যায়তনিক ও জনপরিসরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা বিদ্যমান। একটি প্রচলিত অভিযোগ হলো, দুদক সাধারণত ক্ষুদ্র পর্যায়ের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও, উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিবাজ বা ‘রাঘব বোয়ালরা’ ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। এই অভিযোগের কার্যকারণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বিষয়টি রাজনৈতিক অর্থনীতির (পলিটিক্যাল ইকনমি) সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। ক্ষমতাসীন কাঠামোতে অবস্থানরত আমলাতন্ত্র বা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ দুদককে নিজেদের গোষ্ঠীস্বার্থে ব্যবহার করে থাকেন। ফলে যাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তারা দায়মুক্তি পেয়ে যান; আর যাদের দমন করা রাজনৈতিকভাবে প্রয়োজন মনে করা হয়, তাদের বিরুদ্ধেই প্রতিষ্ঠানটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে মামলার গতিপথও পরিবর্তিত হয়। যারা ক্ষমতায় থাকেন, তারা দায়মুক্তি উপভোগ করেন, আর যারা ক্ষমতার বাইরে চলে যান, তাদের দমনে দুদককে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এমনকি দুদক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত সুপারিশমালারও ন্যূনতম বাস্তবায়ন পরিলক্ষিত হয়নি। আমলাতন্ত্রের প্রবল প্রভাব এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবেই মূলত দুদক একটি স্বাধীন ও কার্যকর সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

বাংলাদেশের কোন খাতটি দুর্নীতিগ্রস্ত—এই প্রশ্নের চেয়ে কোন খাতটি দুর্নীতিমুক্ত, তা নির্ণয় করা কঠিন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সেবা খাত, স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে সরকারি ক্রয় ও আর্থিক লেনদেন সম্পৃক্ত প্রতিটি খাতেই দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। যেখানেই সাধারণ নাগরিকের সম্পৃক্ততা বা ‘সিটিজেন ইন্টারফেস’ বেশি, সেখানেই দুর্নীতির প্রাদুর্ভাব অধিক। এই সর্বগ্রাসী দুর্নীতির পেছনে অন্যতম অনুঘটক হিসেবে আমাদের বিশাল জনসংখ্যা এবং কর্মসংস্থানের অপ্রতুলতাকে চিহ্নিত করা যায়। আয়ের সুযোগ সীমিত, অথচ মানুষের চাহিদা অসীম। উদাহরণস্বরূপ, একজন সরকারি কর্মচারী, যার বেতন জীবনযাত্রার ব্যয়ের তুলনায় নগণ্য, তিনি যখন সেবা প্রদান করতে গিয়ে উপরি আয়ের সুযোগ পান, তখন নৈতিকতার চেয়ে প্রয়োজন বা ‘সারভাইভাল স্ট্র্যাটেজি’ মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। এটি একটি চক্রাকার আর্থ-সামাজিক সমস্যা। যারা ক্ষুদ্র পরিসরে দুর্নীতি করছেন, তারা প্রয়োজনের তাগিদে করছেন; আর যারা বৃহৎ পরিসরে করছেন, তারা অভ্যাসবশত বা অদম্য লোভের বশবর্তী হয়ে করছেন।

এবারের প্রতিপাদ্যে ‘তারুণ্যের একতা’র ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আমরা আশা করেছিলাম, নতুন প্রজন্ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ গড়ে তুলবে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তরুণদের একটি অংশের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হওয়া অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তবে আশার দিক হলো, তরুণ সমাজের একটি বৃহৎ অংশ এখনো সততা ও নৈতিকতার চর্চা করতে উন্মুখ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই নৈতিক জাগরণ সৃষ্টি করতে হলে আমাদের ‘বটম-আপ অ্যাপ্রোচ’ বা তৃণমূল পর্যায় থেকে সংস্কার কাজ শুরু করতে হবে। এর মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আমাদের প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামো সর্বনিম্ন স্তরের, যা মেধাবীদের এই পেশায় আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষাখাতকে ঢেলে সাজাতে হবে এবং শিক্ষকদের সম্মানজনক বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসেন। তারাই শিশুদের মননে নৈতিকতার ভিত্তি স্থাপন করবেন। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ। পাশাপাশি, বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয়ের পথ সুগম করতে হবে। দক্ষ জনশক্তি বা হিউম্যান ক্যাপিটাল তৈরি না হলে বেকারত্বের অভিশাপ তাদেরকে দুর্নীতির দিকে ধাবিত করতে পারে।

তৃণমূল পর্যায়ের পরিবর্তনের পাশাপাশি ‘টপ-ডাউন অ্যাপ্রোচ’ বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছাও অপরিহার্য। রাজনৈতিক সদিচ্ছা বা ‘পলিটিক্যাল উইল’ ব্যতীত দুর্নীতি দমন অসম্ভব। রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যারা থাকবেন, তাদের হতে হবে সৎ ও দক্ষ। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশে শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে এই সদিচ্ছার অভাব বারবার পরিলক্ষিত হয়েছে। রাজনৈতিক, আমলাতান্ত্রিক ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে যে জটিল ‘নেক্সাস’ বা অশুভ আঁতাত তৈরি হয়েছে, তা ভাঙতে হলে প্রয়োজন একজন বলিষ্ঠ ও সৎ নেতৃত্বের, যিনি প্রচলিত ত্রুটিপূর্ণ সিস্টেমকে ভেঙে নতুন করে গড়তে সক্ষম। বর্তমান গভর্নরের ভাষ্যমতে, পূর্ববর্তী শাসনামলে পুরো সিস্টেমটিই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই সিস্টেমের পুনর্গঠনে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের কোনো বিকল্প নেই।

দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং একটি জবাবদিহিতামূলক সমাজ বিনির্মাণে কিছু সুনির্দিষ্ট ও কাঠামোগত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

প্রথমত, দুদককে প্রকৃত অর্থেই স্বাধীন ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং আমলাতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণমুক্ত নিজস্ব জনবল কাঠামো ব্যতীত দুদকের পক্ষে কার্যকর ভূমিকা পালন সম্ভব নয়। তবে দুদকের ওপর অত্যধিক কর্মভার চাপানোও সমীচীন হবে না। লঘু অপরাধ বা স্থানীয় পর্যায়ের অনিয়মগুলো স্থানীয় সরকার বা পুলিশের এখতিয়ারে ন্যস্ত করে, দুদককে কেবল ‘গ্র্যান্ড করাপশন’ বা বৃহৎ ও জটিল দুর্নীতির তদন্তে মনোনিবেশ করার সুযোগ দিতে হবে।

দ্বিতীয়ত, সংসদীয় গণতন্ত্রকে কার্যকর করতে হবে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোকে সক্রিয় করার মাধ্যমে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা জরুরি, যেখানে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটবে।

তৃতীয়ত, প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও ক্ষমতায়ন করলে কেন্দ্রের ওপর চাপ হ্রাস পাবে এবং তৃণমূল পর্যায়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে।

চতুর্থত, আমলাতন্ত্র ও রাজনীতির মধ্যে ভারসাম্য পুনঃস্থাপন করতে হবে। বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক আতিশয্য বা সরকারের ওপর আমলাদের অত্যধিক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা রাজনৈতিক নেতৃত্বের দুর্বলতার পরিচায়ক। আন্তক্যাডার বৈষম্য ও দ্বন্দ্ব নিরসন করে প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ স্বচ্ছতা ও সমন্বয় নিশ্চিত করা আবশ্যক।

সর্বোপরি, দুর্নীতি দমন কোনো একক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নয়; এটি একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (অডিট বিভাগ) এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মধ্যে কার্যকর সমন্বয় সাধন করতে হবে। তাদের কার্যক্রমের ওপর সংসদের নিয়মিত তদারকি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একটি দীর্ঘমেয়াদী ও সুনির্দিষ্ট ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। কেবল দিবস পালন বা চটকদার স্লোগানে সীমাবদ্ধ না থেকে, একটি সুনির্দিষ্ট ভিশন বা রূপকল্প নিয়ে আগামীর পথে অগ্রসর হতে হবে। অন্যথায়, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা’ কেবল একটি তাত্ত্বিক বাক্যেই পর্যবসিত হবে এবং কাঙ্ক্ষিত ‘আগামীর শুদ্ধতা’ সুদূরপরাহত থেকে যাবে।

লেখক: অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত