leadT1ad

মিয়ানমার নির্বাচন: যুদ্ধ ও বর্জনের মধ্যে বৈধতা খুঁজছে সেনাবাহিনী

স্মরণ সিং
স্মরণ সিং

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ০৬
স্ট্রিম গ্রাফিক

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রথমবারের মতো মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো।

বেশ কয়েকবার সময় বাড়ানোর পর গত ৩১ জুলাই মিয়ানমারের জরুরি অবস্থা তুলে নেয় সেনাবাহিনী বা তাতমাদাও নিয়ন্ত্রিত ‘স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল’। এরপর তারা ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও শান্তি কমিশন’ এবং নতুন তত্ত্বাবধায়ক মন্ত্রিসভা গঠন করে। সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত নিও স-কে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়। তবে নামে নতুন সরকার হলেও মূল ক্ষমতা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং নিজের হাতেই রেখেছেন। তিনি এখনো সেনাবাহিনীর প্রধান ও দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট পদে বহাল রয়েছেন।

একই দিনে, ২০০৮ সালের সংবিধানের আওতায় ও ২০১০ সালের ইউইসি আইনের অধীনে গঠিত ‘ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন’ পুনর্গঠন করা হয়। এখন পরিকল্পনা হলো ২০২৬ সালের ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন করা, যাতে চার বছরের সামরিক শাসনের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই বেসামরিক সরকার গঠন করা যায় এবং আবারও মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।

কিন্তু, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা (আসিয়ান) এই নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে অস্বীকার করায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। সরকারি স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ১৫ শতাংশ নির্বাচনী এলাকায় এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে না। প্রকৃতপক্ষে, মিয়ানমারের পরিচিত রাজনৈতিক দলগুলোর বেশিরভাগই বিলুপ্ত বা অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।

বর্তমানে দেশটির রাজনীতির মাঠে কেবল সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি দল ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি’র (ইউএসডিপি) তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। ১৯৯৩ সালে ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’ নামের সংগঠনের ওপর ভিত্তি করেই ২০১০ সালের এপ্রিলে সেনাবাহিনী এই নতুন দল গড়ে তোলে। তবে জনগণ অতীতে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশেষ করে ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনে তারা সুবিধা করতে পারেনি; বরং ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) ৮০ শতাংশের বেশি আসন জিতে সরকার গঠন করেছিল।

অভ্যুত্থান, গৃহযুদ্ধ ও বর্জন

গত চার বছর ধরে মিয়ানমারে নির্বাচন না হওয়ার মূল কারণ খুঁজতে গেলে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের দিকে তাকাতে হবে। সে সময় অং সান সু চির এনএলডি সরকারকে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এনএলডি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল বলে সেনাবাহিনীর ভয় ছিল, বেসামরিক নেতাদের দাপটে তারা হয়তো কোণঠাসা হয়ে পড়বে। সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর এনএলডি ভেঙে দিলে সারা দেশে তীব্র সেনাবিরোধী বিক্ষোভ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এত কিছুর পরেও সেনাবাহিনী এখনো পুরো দেশের ওপর নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।

নির্বাচন আয়োজনের এই প্রচেষ্টা এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন সেনাবাহিনী, নবগঠিত পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনের (ইএও) মধ্যে বহুমুখী গৃহযুদ্ধ চলছে। সাগাইং, চিন, কাচিন ও রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। এসব এলাকা কার্যত জান্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। দেশজুড়ে ভোট নিশ্চিত করতে নিজেদের অক্ষমতা সেনাবাহিনী আর লুকাতে পারছে না।

সংঘাতের ফলে মানুষের জীবনে যে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে, রাখাইন রাজ্যের মরাউক-ইউ হাসপাতালের ঘটনা তার বড় প্রমাণ। গত ১০ ডিসেম্বর ওই হাসপাতালে চালানো বিমান হামলায় ৩৪ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হন। এছাড়া আহত হন প্রায় ৮০ জন। একদিকে নির্বাচনের তোড়জোড় চলছে, অন্যদিকে গৃহযুদ্ধের বাস্তব রূপ এই হামলা প্রকাশ করে দিয়েছে। ২০২৪ সালের সাময়িক আদমশুমারির তথ্যে দেখা যায়, মিয়ানমারে ভোটার রয়েছেন ৩ কোটি ৪০ লাখের বেশি। তবে বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন; তাই কাগজে-কলমে ভোটার হলেও সবাই ভোট দেওয়ার সুযোগ বা অধিকার পাবেন না।

গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা প্রকাশ করলেও সাধারণ মানুষের তাতে আস্থা নেই। ২০২০ সালের দিকে তাকালে দেখা যায়, করোনা মহামারি থাকা সত্ত্বেও ৭১ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছিল। অর্থাৎ, রাজনীতির ব্যাপারে জনগণের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। কিন্তু ২০২৫ সালের চিত্র একেবারে উল্টো। চারদিকে নিরাপত্তাহীনতা, ভোট বর্জন আর ভয়ভীতি কাজ করছে। তাই নির্বাচনের প্রতি মানুষের আগ্রহ এবার অনেক কম দেখা যাচ্ছে। অবশ্য, শেষ পর্যন্ত কত মানুষ ভোট দেবে, তা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই স্পষ্টভাবে বলা যাবে।

ইতিমধ্যে ২০২১ সাল থেকে হাজার হাজার রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ব্যক্তি, বিরোধী দলীয় নেতা ও সুশীল সমাজের কর্মীদের আটক করা হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক বন্দি রয়েছেন, যাদের মধ্যে সুশীল সমাজের সদস্য, জাতিগত সংখ্যালঘু ও কমিউনিটি সংগঠকরা অন্তর্ভুক্ত।

নির্বাচনে কারা অংশ নিতে পারবে, কারা পারবে না

নানা আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে ২০২৫ সালের নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ একেবারেই কমে গেছে। ২০২৩ সালের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু কঠিন শর্ত। নিবন্ধন পেতে হলে দলগুলোকে নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্য, পর্যাপ্ত অফিস ও অর্থ থাকার প্রমাণ দিতে হবে; সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে আনুগত্য। মূলত ভিন্নমতাবলম্বী ও গণতন্ত্রপন্থী দলগুলোকে নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এমন কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ অং সান সু চির দল এনএলডি। নতুন আইনের অধীনে তারা পুনরায় নিবন্ধন করতে রাজি হয়নি। ফলে ২০২৩ সালে দলটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং মিয়ানমারের অন্যতম জনপ্রিয় এই দল আপনা-আপনিই নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়ে। একইভাবে আরও অনেক জাতিগত ও বিরোধী দলের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে, আবার কেউ কেউ নিজেরাই নিবন্ধন করেনি। ফলে নির্বাচনের মাঠে এখন শুধু সেনা-সমর্থিত ইউএসডিপি ও হাতেগোনা কয়েকটি ছোট দলের অস্তিত্ব টিকে আছে।

বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, নিবন্ধিত ৬১টি দলের মধ্যে মাত্র ৯টি নির্বাচনে লড়বে। এদের মধ্যে আছে পুরনো সেনা-ঘেঁষা দল ইউএসডিপি ও ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টি (এনইউপি)। বাকি দলগুলোর নেতৃত্বও মূলত অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলদের হাতে। একমাত্র বেসামরিক দল হিসেবে ‘পিপলস পার্টি’-কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর নেতৃত্বে আছেন অ্যাক্টিভিস্ট কো কো গিয়ি, যদিও দলটি আসলেই কতটা স্বাধীন তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কড়াকড়ির কারণে নির্বাচনের ফলাফল যে সামরিক পন্থীদের পক্ষেই যাবে, তা নিশ্চিত। এর ফলে ভবিষ্যৎ সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকার বা ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার কোনো সুযোগই আর থাকছে না।

নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ভিন্নমতাবলম্বীদের থেকে দূরে রাখতে জান্তা সরকার ‘বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সাধারণ নির্বাচনের সুরক্ষা আইন’ জারি করেছে। এই আইনের ফলে নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ধরনের সমালোচনা করলেই তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। শাস্তির মাত্রাও বেশ কঠিন—তিন বছর জেল থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি নির্বাচনী কর্মীদের ওপর হামলা বা ভোটগ্রহণে বাধা দিলে মৃত্যুদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরুর আগেই অন্তত ২২৯ জনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই আইনের আওতায় অভিযুক্তদের তালিকায় শিল্পী ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরাও আছেন।

ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষে ইতিমধ্যে নির্বাচন-পূর্ব সাধারণ ক্ষমার আওতায় সেনাবাহিনী সম্প্রতি ৩ হাজারের বেশি রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ও আরও কয়েক হাজার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিয়েছে। তবে, সু চির মতো হাই-প্রোফাইল বন্দির ভাগ্য অনিশ্চিত রয়ে গেছে। তার ছেলে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তিনি বছরের পর বছর ধরে মায়ের কোনো খোঁজ পাননি ও তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। যদিও জান্তা দাবি করেছে যে তিনি ‘সুস্থ আছেন’।

আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক গতিপ্রকৃতি

বিশ্বজুড়ে এই নির্বাচন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশ, মানবাধিকার সংস্থা ও সুশীল সমাজ এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের মতে, এই নির্বাচন আসলে সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়ার অগণতান্ত্রিক কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়। গত অক্টোবরে ৩০০টিরও বেশি নাগরিক সংগঠন ও শ্রমিক ইউনিয়ন একজোট হয়ে আসিয়ান ও অন্যান্য দেশের সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, যেন এই নির্বাচনকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করা হয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) এই নির্বাচনকে সরাসরি ‘প্রহসন’ বলে অভিহিত করেছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজন করলে মানুষের মধ্যে বিভেদ আরও বাড়বে এবং অত্যাচার-নির্যাতন আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।

আসিয়ান জোট স্পষ্ট জানিয়েছে, ২০২১ সালে গৃহীত ‘পাঁচ দফা ঐকমত্য’ বাস্তবায়নে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। সহিংসতা বন্ধ, মানবিক সহায়তা, সবার সঙ্গে আলোচনা, বিশেষ দূত নিয়োগ ও সব পক্ষের সাক্ষাতের বিষয়গুলো এই পাঁচ দফার অন্তর্ভুক্ত ছিল। জোটের দাবি, নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক। তারা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এতে আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।

একমাত্র চীনই প্রকাশ্যে সামরিক বাহিনীর অধীনে হতে যাওয়া এই নির্বাচনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। বেইজিংয়ের যুক্তি হলো, বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি হওয়ায় ভোটের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাছাড়া সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার যে কৌশলগত লক্ষ্য চীনের আছে, তার সঙ্গেও বিষয়টি সামঞ্জস্যপূর্ণ। খবরে শোনা যাচ্ছে, বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলায় জান্তা সরকারকে চীন সহায়তা করছে। ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ কীভাবে মিয়ানমারের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে, চীনের এই সমর্থন সেটাই প্রমাণ করে।

বৈধতা ও ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা

রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া মিয়ানমারের নির্বাচন এই অঞ্চলের অন্যতম বিতর্কিত রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। টানা পাঁচ বছর সামরিক শাসনের পর দেশে নির্বাচনী রাজনীতি ফেরানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু অনেক এলাকাকে ভোটের বাইরে রাখা, দলের নিবন্ধন বাতিল করা ও আইনি নিপীড়নের মতো ঘটনা ঘটছে। সেই সঙ্গে আছে গৃহযুদ্ধের পটভূমি। এসব কারণে ভোটের গণতান্ত্রিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে গভীর সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

প্রধান বিরোধী দলগুলোর কেউ নির্বাচনে নেই। জনসংখ্যার বিশাল অংশ সংঘাতের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ভিন্নমত দমনে ব্যবহার করা হচ্ছে আইনি হাতিয়ার। ফলে এই নির্বাচন আসলে সাজানো নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়। এর মাধ্যমে জান্তা সরকার কেবল নিজেদের বৈধতা তৈরির চেষ্টা করছে।

কাগজে-কলমে মনে হতে পারে মিয়ানমারে নির্বাচনী রাজনীতি ফিরছে। কিন্তু বাস্তবে সবটাই জান্তা সরকারের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার কৌশল। তারা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে রাজনৈতিক মুখোশ পরে আছে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে, যে পরিস্থিতিতে ভোট হচ্ছে তা ন্যূনতম গণতান্ত্রিক মানের ধারেকাছেও নেই। তাই জনগণের ইচ্ছা বা মতামতের প্রতিফলন নির্বাচনে ঘটবে না। বরং মিয়ানমারের ওপর জান্তার দখল কতটা পোক্ত হয়েছে, তা যাচাই করার পরীক্ষা হিসেবেই একে দেখা হচ্ছে।

লেখক: নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কূটনীতি ও নিরস্ত্রীকরণ বিভাগের অধ্যাপক

এশিয়া টাইমে প্রকাশিত মতামত। অনুবাদ করেছেন তুফায়েল আহমদ

Ad 300x250

সম্পর্কিত