স্ট্রিম প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশকে এক করে ফেলতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। যে কারণে তিনি বাংলাদেশিদের শুধু বাঙালি বলতেন। শেখ হাসিনা বাঙালি বাঙালি করতে করতে তার মুখে ঘাঁ করে ফেলেছে। কিন্তু এটা ব্যস্তব যে, তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপপ্রচার করেও সেটা মুছে ফেলতে পারেননি।
আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘৭ নভেম্বর প্রজন্ম’ আয়োজিত ড. মারুফ মল্লিকের লেখা ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: নাগরিক ও জাতীয়তাবাদী জাতীয়তাবাদের সংকট’ শীর্ষক বইয়ের ওপর আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার প্রবণতা হচ্ছে জিয়াউর রহমান যা করে গেছে, সেটিকে রাখা যাবে না। যেমন, সংবিধানে আল্লাহর নাম, আস্থা, বিশ্বাসের কথা বলেছেন, সেটাও বাদ দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে জাতীয়তাবাদ কখনো মুছে দিতে পারেননি। কারণ ওটা মুছতে গেলে বাংলাদেশের আইডেন্টিটি থাকে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। এ সময় রুহুল কবির রিজভি বলেন, আজকের এ রাজনীতিতে এখন আমরা বিভাজনের নানা ষড়যন্ত্রের মধ্যে রয়েছি। ৫ই আগস্টের পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যে ধরনের হুমকি হুংকার ক্রমাগতভাবে আসছে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে এবং যে সমস্ত শক্তির উত্থান ঘটছে, তাতে করে আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব অটুট রাখার জন্য বড় ধরনের একটি ষড়যন্ত্র পাকিয়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
বিএনপির এই অন্যতম শীর্ষ নেতা বলেন, খুব পরিকল্পিতভাবে সরকারের একজন উপদেষ্টা শুরু করলেন, সেই কোরাস এখন গাইছে একটি রাজনৈতিক দল। সেই দলের নেতারা গতকালও চাঁদাবাজি, রাহাজানি নিয়ে কথা বলেছেন— সেখানে তো আপনাদের নামও পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের দলের যারা এগুলোর সাথে জড়িত, আমরা তাদের বহিষ্কার করছি, পদ স্থগিত করছি, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি— সেটা তো বলছেন না। খুব কায়দা করে নানাভাবে একটা বয়ান তৈরি করে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
ডাকসুর ভিপি প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, একজন ভিপিকে কি ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার দেওয়া হয়েছে? তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনটি অবৈধ দোকান তা ফাইন করছেন, আবার সেই ফাইনের টাকা পার্টির বায়তুল মালে জমা দিচ্ছেন—এটার কি কোন আইনগত ভিত্তি আছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হবে জ্ঞানচর্চার বিশাল ক্ষেত্র, সেই জ্ঞানচর্চার দায়িত্ব পালন করবে ডাকসুর ভিপি।
রিজভী আরও বলেন, আমিও তো রাকসুর ভিপি ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কে দোকানদারি করছে, কে মার্কেট করছে সেটা দেখার জন্য তো বিশ্ববিদ্যালয়ের অথরিটি আছে, প্রশাসন আছে, তারা দেখবে। সেখানে ছাত্রনেতা গিয়ে বলতে পারে ক্যাম্পাসে যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে। কিন্তু সেটা না করে আপনি গিয়ে ফাইন করে দিচ্ছেন, সেই ফাইনের টাকা যাচ্ছে জামায়াতের বাইতুল মালে—এটা কোন ধরনের বিষয়? বরাবরই আমরা দেখছি এদের কর্মকান্ড রাষ্ট্রের মধ্যে রাষ্ট্র গড়ে তোলার চেষ্টা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাপদেশি জাতীয়তাবাদের চেয়ে মহৎ ও চমকপ্রদ কিছু হতে পারে বলে আমার জানা নেই। এ জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে এ দেশ নতুনভাবে স্বৈরাচার মুক্ত করেছে। সুদীর্ঘ ১৫ বছরের অন্দোলনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের শক্তি ও মূল মন্ত্রে।
৭ নভেম্বর প্রজন্মের সদস্য সচিব ইয়াছির ওয়াদাদ তন্ময় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো সেলিম ভুইঁয়া।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ড. মারুফ মল্লিক, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হুদা বাবু, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক হারুন উর রশিদ প্রমুখ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশকে এক করে ফেলতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। যে কারণে তিনি বাংলাদেশিদের শুধু বাঙালি বলতেন। শেখ হাসিনা বাঙালি বাঙালি করতে করতে তার মুখে ঘাঁ করে ফেলেছে। কিন্তু এটা ব্যস্তব যে, তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপপ্রচার করেও সেটা মুছে ফেলতে পারেননি।
আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘৭ নভেম্বর প্রজন্ম’ আয়োজিত ড. মারুফ মল্লিকের লেখা ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: নাগরিক ও জাতীয়তাবাদী জাতীয়তাবাদের সংকট’ শীর্ষক বইয়ের ওপর আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার প্রবণতা হচ্ছে জিয়াউর রহমান যা করে গেছে, সেটিকে রাখা যাবে না। যেমন, সংবিধানে আল্লাহর নাম, আস্থা, বিশ্বাসের কথা বলেছেন, সেটাও বাদ দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে জাতীয়তাবাদ কখনো মুছে দিতে পারেননি। কারণ ওটা মুছতে গেলে বাংলাদেশের আইডেন্টিটি থাকে না।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। এ সময় রুহুল কবির রিজভি বলেন, আজকের এ রাজনীতিতে এখন আমরা বিভাজনের নানা ষড়যন্ত্রের মধ্যে রয়েছি। ৫ই আগস্টের পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে যে ধরনের হুমকি হুংকার ক্রমাগতভাবে আসছে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে এবং যে সমস্ত শক্তির উত্থান ঘটছে, তাতে করে আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব অটুট রাখার জন্য বড় ধরনের একটি ষড়যন্ত্র পাকিয়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
বিএনপির এই অন্যতম শীর্ষ নেতা বলেন, খুব পরিকল্পিতভাবে সরকারের একজন উপদেষ্টা শুরু করলেন, সেই কোরাস এখন গাইছে একটি রাজনৈতিক দল। সেই দলের নেতারা গতকালও চাঁদাবাজি, রাহাজানি নিয়ে কথা বলেছেন— সেখানে তো আপনাদের নামও পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের দলের যারা এগুলোর সাথে জড়িত, আমরা তাদের বহিষ্কার করছি, পদ স্থগিত করছি, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি— সেটা তো বলছেন না। খুব কায়দা করে নানাভাবে একটা বয়ান তৈরি করে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
ডাকসুর ভিপি প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, একজন ভিপিকে কি ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার দেওয়া হয়েছে? তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনটি অবৈধ দোকান তা ফাইন করছেন, আবার সেই ফাইনের টাকা পার্টির বায়তুল মালে জমা দিচ্ছেন—এটার কি কোন আইনগত ভিত্তি আছে? বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হবে জ্ঞানচর্চার বিশাল ক্ষেত্র, সেই জ্ঞানচর্চার দায়িত্ব পালন করবে ডাকসুর ভিপি।
রিজভী আরও বলেন, আমিও তো রাকসুর ভিপি ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কে দোকানদারি করছে, কে মার্কেট করছে সেটা দেখার জন্য তো বিশ্ববিদ্যালয়ের অথরিটি আছে, প্রশাসন আছে, তারা দেখবে। সেখানে ছাত্রনেতা গিয়ে বলতে পারে ক্যাম্পাসে যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে। কিন্তু সেটা না করে আপনি গিয়ে ফাইন করে দিচ্ছেন, সেই ফাইনের টাকা যাচ্ছে জামায়াতের বাইতুল মালে—এটা কোন ধরনের বিষয়? বরাবরই আমরা দেখছি এদের কর্মকান্ড রাষ্ট্রের মধ্যে রাষ্ট্র গড়ে তোলার চেষ্টা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, বাংলাপদেশি জাতীয়তাবাদের চেয়ে মহৎ ও চমকপ্রদ কিছু হতে পারে বলে আমার জানা নেই। এ জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে এ দেশ নতুনভাবে স্বৈরাচার মুক্ত করেছে। সুদীর্ঘ ১৫ বছরের অন্দোলনের মূল ভিত্তি ছিল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের শক্তি ও মূল মন্ত্রে।
৭ নভেম্বর প্রজন্মের সদস্য সচিব ইয়াছির ওয়াদাদ তন্ময় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো সেলিম ভুইঁয়া।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ড. মারুফ মল্লিক, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নুরুল হুদা বাবু, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক হারুন উর রশিদ প্রমুখ।

প্রায় দেড় যুগ আগে বিএনপি ছেড়ে সেলিম যোগ দেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে। কিন্তু দলটির জাতীয় কমিটিতে জায়গা না পেয়ে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর পাল্টা কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন।
২ ঘণ্টা আগে
দুই শ আসনে জয়ী হলেও জামায়াত জাতীয় সরকার গঠন করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তিনি একথা বলেছেন।
৪ ঘণ্টা আগে
মুখে নানাজন নানা কথা বললেও বিএনপি ছাড়া কোনো দল দেশ গড়ার পরিকল্পনা করছে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমরা সরকার গঠন করলে নতুন করে খাল খনন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ভিন্নধর্ম থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। তবে নিজ দলের নারীদের প্রার্থী করার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
৬ ঘণ্টা আগে