স্ট্রিম প্রতিবেদক

দলের যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে শোকজ করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। বিভিন্ন সময়ে ‘আপত্তিকর’ বক্তব্যের কারণে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় সম্প্রতি দেওয়া তাঁর এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে স্ট্রিমকে মনির কাসেমী জানিয়েছেন, ‘আমি আমার আবেগকে সামাল দিতে পারিনি।’
মনির হোসাইন কাসেমী হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব। তাঁর দল জমিয়ত বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠনের ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। মনির কাসেমী নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমিয়তের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আসনটি বিএনপি এখনো ফাঁকা রেখেছে।
অন্যদিকে গত মাসে স্ট্রিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনির কাসেমী জানিয়েছিলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির সাংগঠনিক সহযোগিতা তিনি পাচ্ছেন। জোট গঠন হলে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের পূর্ণ সমর্থন তিনি পাবেন।
জমিয়তের শোকজ নোটিশ পাওয়ার পরে যোগাযোগ করা হলে স্ট্রিমকে মনির কাসেমী বলেন, ‘নোটিশটি গ্রহণ করেছি। আমি মনে করি, একটি সুশৃঙ্খল দল হিসেবে আমার সংগঠন সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময়ের ভেতরেই আমার অবস্থান পরিষ্কার করবো ইনশাআল্লাহ।’
আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, দলের খাস কমিটির বৈঠকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য কারণ-দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এতে মনির কাসেমীকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ‘বিগত কয়েক মাসে বিভিন্ন সময়ে আপনার আপত্তিকর কিছু বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি সন্দেহাতীতভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে এবং সেগুলো দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিলও বটে। ইতিপূর্বে প্রাথমিকভাবে যথাযথ সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় মৌখিকভাবে আপনাকে সতর্কও করা হয়েছে, কিন্তু আপনার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে সংশোধন পরিলক্ষিত হয়নি, বরং পূর্বের ন্যায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন বক্তব্য আপনি দিয়েই যাচ্ছেন।’
নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে পরবর্তী ১০ দিনের ভেতর দলের সভাপতি বরাবর জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে মনির কাসেমীকে। এই সময়ের ভেতর জবাব পাওয়া না গেলে অথবা জবাবে দল সন্তুষ্ট না হলে তাঁর বিরুদ্ধে যে কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি নিজের নির্বাচনী এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়ার আগে তাঁকে জাতির মা বলে উল্লেখ করেন মনির কাসেমী। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সমালোচনা তৈরি হয়।
জানতে চাইলে আজ সোমবার স্ট্রিমকে মনির কাসেমী জানান, এই একটি বক্তব্যের কারণে তাঁকে শোকজ করা হয়েছে এমনটি নাও হতে পারে। এটিসহ আরও কারণ থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন। খালেদা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্ট্রিমকে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি আমার আবেগকে সংবরণ করতে পারিনি। দোয়ার যে পরিবেশ ছিল এবং যাঁকে নিয়ে দোয়ার আয়োজন ছিল তাঁর প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা থাকায়-সব মিলিয়ে আমি আমার আবেগকে সামাল দিতে পারিনি।’
তিনি আরও জানান, ফতুল্লা থানার কুতুবপুরের ওই অনুষ্ঠানটিতে ব্যক্তিগত আবেগ থেকে কথা বলেছেন, অনুষ্ঠানটি বিএনপি বা জমিয়তের ছিল না, ফলে সেই বক্তব্যটিও দলীয় নয় বলেই তিনি মনে করেন। একটি অরাজনৈতিক পক্ষের আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন।
মনির কাসেমী জানিয়েছেন, এর আগে শুধু একবার দলের ‘দুইজন মুরব্বি’ তাঁকে নিয়ে বসেছিলেন। সেখানে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো তিনি নিজেও মেনে নিয়েছিলেন।

দলের যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে শোকজ করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। বিভিন্ন সময়ে ‘আপত্তিকর’ বক্তব্যের কারণে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় সম্প্রতি দেওয়া তাঁর এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে স্ট্রিমকে মনির কাসেমী জানিয়েছেন, ‘আমি আমার আবেগকে সামাল দিতে পারিনি।’
মনির হোসাইন কাসেমী হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব। তাঁর দল জমিয়ত বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠনের ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। মনির কাসেমী নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমিয়তের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আসনটি বিএনপি এখনো ফাঁকা রেখেছে।
অন্যদিকে গত মাসে স্ট্রিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনির কাসেমী জানিয়েছিলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির সাংগঠনিক সহযোগিতা তিনি পাচ্ছেন। জোট গঠন হলে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের পূর্ণ সমর্থন তিনি পাবেন।
জমিয়তের শোকজ নোটিশ পাওয়ার পরে যোগাযোগ করা হলে স্ট্রিমকে মনির কাসেমী বলেন, ‘নোটিশটি গ্রহণ করেছি। আমি মনে করি, একটি সুশৃঙ্খল দল হিসেবে আমার সংগঠন সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময়ের ভেতরেই আমার অবস্থান পরিষ্কার করবো ইনশাআল্লাহ।’
আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, দলের খাস কমিটির বৈঠকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য কারণ-দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এতে মনির কাসেমীকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, ‘বিগত কয়েক মাসে বিভিন্ন সময়ে আপনার আপত্তিকর কিছু বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি সন্দেহাতীতভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে এবং সেগুলো দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিলও বটে। ইতিপূর্বে প্রাথমিকভাবে যথাযথ সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় মৌখিকভাবে আপনাকে সতর্কও করা হয়েছে, কিন্তু আপনার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে সংশোধন পরিলক্ষিত হয়নি, বরং পূর্বের ন্যায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন বক্তব্য আপনি দিয়েই যাচ্ছেন।’
নোটিশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে পরবর্তী ১০ দিনের ভেতর দলের সভাপতি বরাবর জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে মনির কাসেমীকে। এই সময়ের ভেতর জবাব পাওয়া না গেলে অথবা জবাবে দল সন্তুষ্ট না হলে তাঁর বিরুদ্ধে যে কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি নিজের নির্বাচনী এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়ার আগে তাঁকে জাতির মা বলে উল্লেখ করেন মনির কাসেমী। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সমালোচনা তৈরি হয়।
জানতে চাইলে আজ সোমবার স্ট্রিমকে মনির কাসেমী জানান, এই একটি বক্তব্যের কারণে তাঁকে শোকজ করা হয়েছে এমনটি নাও হতে পারে। এটিসহ আরও কারণ থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন। খালেদা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্ট্রিমকে তিনি বলেন, ‘আসলে আমি আমার আবেগকে সংবরণ করতে পারিনি। দোয়ার যে পরিবেশ ছিল এবং যাঁকে নিয়ে দোয়ার আয়োজন ছিল তাঁর প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা থাকায়-সব মিলিয়ে আমি আমার আবেগকে সামাল দিতে পারিনি।’
তিনি আরও জানান, ফতুল্লা থানার কুতুবপুরের ওই অনুষ্ঠানটিতে ব্যক্তিগত আবেগ থেকে কথা বলেছেন, অনুষ্ঠানটি বিএনপি বা জমিয়তের ছিল না, ফলে সেই বক্তব্যটিও দলীয় নয় বলেই তিনি মনে করেন। একটি অরাজনৈতিক পক্ষের আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন।
মনির কাসেমী জানিয়েছেন, এর আগে শুধু একবার দলের ‘দুইজন মুরব্বি’ তাঁকে নিয়ে বসেছিলেন। সেখানে তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো তিনি নিজেও মেনে নিয়েছিলেন।

দুই শ আসনে জয়ী হলেও জামায়াত জাতীয় সরকার গঠন করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তিনি একথা বলেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
মুখে নানাজন নানা কথা বললেও বিএনপি ছাড়া কোনো দল দেশ গড়ার পরিকল্পনা করছে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমরা সরকার গঠন করলে নতুন করে খাল খনন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।
২ ঘণ্টা আগে
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ভিন্নধর্ম থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। তবে নিজ দলের নারীদের প্রার্থী করার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
৩ ঘণ্টা আগে
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে ১৮ দলীয় নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) নামের এই জোটের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান মঞ্জুকে এবং আনিসুলকে করা হয়েছে চেয়ারম্যান।
৩ ঘণ্টা আগে