তিনি সময় দিয়েছিলেন দুপুর বারোটায়।
‘নিপুণ’-এর ব্যাপারে কোনো আলাপ না করেই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করেছিলেন জাতীয়তাবাদী দলের সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ আবু সাঈদ খান। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে আমরা মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাসভবনে গিয়েছিলাম জানুয়ারির ১৭ তারিখে। চৌদ্দ বছর ঢাকায় আছি। কোনোদিন ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় যাইনি। এ এলাকাটা বেশ ঝকঝকে, খুব সাজানো-গোছানো। দেখলেই বোঝা যায়, এ এলাকার সঙ্গে শহরের আর দশটি এলাকার পার্থক্য আছে।
পৌঁছতে একটু দেরি হয়ে গেলো। গেটে কনস্টেবল পাহারা দিচ্ছিলো। আমাদেরকে ওয়েটিং রুমে বসিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে পাঠানোর নির্দেশ এলো।
দেয়ালঘেরা সুদৃশ্য একটি বাড়ি, পরি-পাটি ফুলের বাগান। অনেকরকম গাছ-পালা বাড়িটাকে নিবিড় করে রেখেছে। খুব নিঃঝুম মনে হলো। আবু সাঈদ খান জানালেন, রাষ্ট্রপতি জিয়া বেঁচে থাকতে এই বাড়িটিতে মানুষের স্রোত বয়ে যেতো। দিনরাত্রি পার্টির লোকজন, মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক-সহ অনেক লোকই আসতো যেতো। এখন একেবারেই ঠান্ডা।
উত্তরদিকে একটি লোহার গেট আছে। সেখানে জিয়ার একটি ভাষ্কর্য। খালকাটা বিপ্লবের সময় জিয়া যখন সারা বাংলাদেশ চষে বেড়াতেন, তখন মাঝে মাঝে কোথাও কোথাও বসে বিশ্রাম নিতেন। গেঞ্জি-গায়ে, চোখে সান গ্লাস পরিহিত জিয়ার এই ভাষ্কর্যটি শামীম শিকদারের নির্মিত, পরে শুনেছিলাম খালেদা জিয়ার মুখেই।
কলিং বেল টিপতেই এক তরুণ এসে গেট খুলে দিলো। আমাদেরকে নিয়ে বসালো পূর্বদিকের একটি সোফাসজ্জিত সুদৃশ্য ঘরে। এখানে বসে জিয়া তাঁর একান্ত লোক-জনের সঙ্গে কথা বলতেন, এটাও আবু সাঈদ খানের মুখে শোনা। আমি এর আগে কখনো খালেদা জিয়াকে মুখোমুখি দেখিনি। অনেকে তাঁকে টেলিভিশনে দেখেছেন, আমি তাও নয়। পত্রিকায় তাঁর ছবি দেখেছি। অনেকের মুখেই শুনেছি তিনি খুবই সুন্দরী। কিছুক্ষণ পরেই তাঁর পায়ের আওয়াজ শুনতে পেলাম। মেঝেতে খটখট শব্দ তুলে তিনি এসে দরজা দিয়ে ঢুকলেন। আবু সাঈদ খানকে তিনি আগে থেকেই চিনতেন। তাই তাঁকে দেখে খালেদ জিয়ায় বিস্মিত হবার কিছুই নেই। কিন্তু আমাকে ও মামুনকে দেখে তিনি সোফায় বসবার আগেই চোখে প্রশ্ন এঁকে নিলেন।
সাপ্তাহিক নিপুণে প্রকাশিত খালেদা জিয়ার ছবিআমিই আমার পরিচয় দিলাম। মামুন তার। আবু সাঈদ খান দু’একটি প্রশ্ন করার পরেই আমি আমার আসবার কারণ ব্যাখ্যা করতেই তিনি সবিনয়ে সাক্ষাৎকার দেবার ব্যাপারে নিজের অক্ষমতার কথা জানালেন। আমি তাঁকে বোঝাবার চেষ্টা কর লাম, এটা সম্পূর্ণরূপে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎকার। কোনো রাজনৈতিক প্রশ্নই তাঁকে করা হবে না। বস্তুত আমাদের উদ্দেশ্যও অনেকটা তাই ছিলো।
অবশ্য রাজনৈতিক প্রশ্ন করার ইচ্ছে একেবারেই ছিলো না, এমন কথা বললে মিথ্যে বলা হবে। তবে আমরা প্রধানত খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখ, স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর ব্যক্তিগত জীবনযাপন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন করার পক্ষপাতিই ছিলাম বেশি। তাঁকে সে কথাটাই বার বার বুঝিয়ে বললাম। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত পাল্টাতে রাজী হলেন না। তিনি বললেন, ‘দেখুন এ পর্যন্ত অনেক পত্রিকা থেকেই লোক এসেছে আমার কাছে, আমি কাউকে কোনো সাক্ষাৎকার দেইনি। এখন আপনাদেরকে দিলে সেটা খুব খারাপ হবে।
আমি বললাম, ‘সেটা ঠিক, তবে পত্রিকার চরিত্রও বিচার করতে হবে। পত্রিকার চরিত্র বুঝে যদি আপনি সাক্ষাৎকার দেন, তাহলে বোধহয় আপনাকে কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে না।’
‘কিন্তু আমি কী করে বুঝবো বলুন, কোন পত্রিকা কী চরিত্রের হবে। দৈনিক পত্রিকাগুলোকে আমি চিনি। কয়েকটি সাপ্তাহিককেও চিনি, তাদের চরিত্রও জানি। কিন্তু সব পত্রিকার চরিত্র তো আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। ফলে আমি সিদ্ধান্ত কেমন করে নিই। তাছাড়া কোনো কোনো দৈনিক ও সাপ্তাহিকও আমার কাছে এসেছে, আমি তাদেরকেও কিছু বলিনি।’
‘আমরা আপনাকে বেশি প্রশ্ন করবো না, মাত্র দু’একটা প্রশ্ন করবো।’
‘না, না, এখন আমি সাক্ষাৎকার দেব না।’
আবু সাঈদ খান এতোক্ষণ বেশ চুপচাপ ছিলেন। এবার তিনি মুখ খুললেন, ‘দেখুন ভাবী, আপনাকে আজ হোক, কাল হোক, মুখ তো খুলতেই হবে। প্রশ্নেরও উত্তর দিতে হবে।’
খালেদা জিয়া সঙ্গে সঙ্গে বললেন, ‘তা হয়তো হবে, যখন হবে তখন দেখা যাবে। কিন্তু এখন নয়।’
আমি বললাম, ‘আপনি সাক্ষাৎকার না দিলে আমরা কিন্তু আমাদের প্রচ্ছদ-কাহিনী করতে পারবো না। আপনিই হবেন এবার আমাদের প্রচ্ছদ-চরিত্র। এখন আপনি রাজী না হলে আমাদেরকে আমাদের প্রকাশনার তারিখ পিছিয়ে দিতে হবে।’
‘না না, তা কেন। আপনারা অন্য কাউকে দিয়ে প্রচ্ছদ-কাহিনী করুন। বাংলাদেশে আরও অনেক লোকই তো আছে।’
‘তা আছে। কিন্তু আমরা তো আপনার কথা ভেবে রেখেছি।’
খালেদা জিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। আমি ফের বললাম, ‘আপনি সম্ভবত আমাদেরকে অবিশ্বাস করছেন। আমরা আপনার সম্পর্কে যাচ্ছেতাই লিখে দিই কিনা।’
‘না, না আমি আপনাদের মোটেই অবিশ্বাস করছি না। কিন্তু আমি এখন কাউকেই কোনো সাক্ষাৎকার দিতে চাই না। দেখুন, অনেকদিন আমি কোনো সভা সমিতি সেমিনারেও যাই না।’
আবু সাঈদ খান বললেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম, ‘‘জিয়া স্মৃতিসংসদ’’ করেছেন, সেটার খবর কী?’
খালেদা জিয়ার মুখটা যেন একটু ম্লান হয়ে গেলো। সে কি তার স্বামী জিয়ার কথা মনে করে?
বললেন, ‘হ্যাঁ সংসদ হলো। তাঁর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই এটা করা হয়েছে। তাঁর কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবার দায়িত্ব এখন সবার।
‘তা তো বটেই।’ আবু সাঈদ খান বললেন, ‘তবে আমার কি মনে হয়, জানেন, এর জন্য ‘‘জিয়া স্মৃতি সংসদ’’-এর একটা সাংস্কৃতিক ফ্রন্ট দরকার।’
খালেদা জিয়া সঙ্গে সঙ্গে আবু সাঈদ খানের কথায় সায় দিলেন। ইতিমধ্যে যে ছেলেটি আমাদের গেট খুলে দিয়েছিলো, চা নিয়ে এলো। চা খেতে খেতে আমি বেগম খালেদা জিয়াকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম। প্রকৃতই সুন্দরী তিনি। ঘন কালো চুল, আয়ত চোখ এবং ফর্সা সুন্দর গড়নের খালেদা জিয়ার মুখে হাসির সঙ্গে সঙ্গে সব সময় একটা বিষাদের ছায়া গাঢ়তর হয়ে উঠতে দেখলাম আমি। চা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনি বোধহয় বাইরে তেমন যান-টান না। সময় কাটান কী করে?’
তিনি মৃদু হেসে বললেন, ‘এই আপনাদের মতো মাঝেমধ্যে কেউ কেউ এলে তাদের সঙ্গে কথা বলে। কিংবা মাঝেমধ্যে দু-একজন আত্মীয়-স্বজনের বাসায় গিয়ে। তবে সেটা খুবই কম। আগেও আমি বাইরে তেমন একটা বের হতাম না। এখনও না। কেটে যায় এভাবেই।’
‘বই পড়েন না?’ নাসির আলী মামুন প্রশ্ন করলো।
‘হ্যাঁ পড়ি।’
‘কী ধরনের বই?’
‘সব ধরনের বই-ই। যখন যেটা ভালো লাগে।’
কথার ফাঁকে ফাঁকেই আমরা দু’একটা প্রশ্ন করে দু’একটা উত্তরও জেনে নিচ্ছিলাম। আমার বিশ্বাস, আমরা আগে থেকে ‘অ্যাপয়েনমেন্ট’ করে সাক্ষাৎকার নিতে চাইলে তিনি সরাসরি নাকচ করে দিতেন। এখন আমাদের সঙ্গে আলাপ না করলে সেটা অভদ্রতা হয় বলেই তিনি আমাদের সঙ্গে আলাপ করে যাচ্ছিলেন। আর আমাদের যেটা প্রয়োজন ছিলো, সেটা হলো তাঁর সঙ্গে আলাপের সময়টু লেখায় ও ছবিতে ধরে রাখা। মামুনের সঙ্গে ক্যামেরা ছিলো, আমি বেগম খালেদা জিয়াকে বললাম, ‘সাক্ষাৎকার দেবেন না, ছবি কিন্তু দিতে হবে।’
এ ব্যাপারে তিনি আপত্তি করলেন না। মৃদু হেসে বললেন, ‘তা দিতে পারি।’
মামুন ক্যামেরা হাতে উঠে দাঁড়ালো।
খালেদা জিয়া একটু নড়েচড়ে বসলেন। গায়ের কালো চাদরটিকে ঠিক করলেন। বিস্ময়কর চোখ মেলে উদাস তাকিয়ে রইলেন। মামুন পর পর দুটো ছবি তুললে আমি বললাম, ‘এবার একটা অনুরোধ, আপনার দুই ছেলের সঙ্গে একটা ছবি তুলতে চাই আপনার। ওরা কি বাসায়?’
‘ছোটজন স্কুলে, বড়োজন বাসায়, পড়ছে। সামনে পরীক্ষা তো।’ কাকে যেন বললেন ছেলেকে ডেকে দিতে।
কিছুক্ষণ পরেই খালেদা জিয়ার বড়ো ছেলে তারেক এসে ঢুকলো। নিজেই পরিচয় দিলো, খুব স্মার্ট, ‘আমার নাম তারেক রহমান।’ সপ্রতিভ মনে হলো। বললাম, ‘তোমার একটা ছবি তুলবো। তোমার ছোটভাই তো স্কুলে।’
সঙ্গে সঙ্গে তারেক বললো, ‘ও এসেছে।’
‘তাহলে ওকে একটু ডাকবে?’
খালেদা জিয়া বললেন, ‘ও ভীষণ লাজুক আর দুষ্টু। ও কিছুতেই আসবে না।’
আমি বললাম, ‘ছেলেরা দুষ্টু হওয়া ভালো।’
বেগম জিয়া হাসলেন। একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন।
তারেক বললো, ‘দেখি, আমি ওকে আনতে পারি কিনা।’ বলে ও দৌড়ে চলে গেলো। ফিরে এসে বললো, ‘ও আসছে।’
কতোক্ষণ পরে বেগম জিয়ার ছোট ছেলে এসে ঢুকলো। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী নাম তোমার?’
‘আরাফাত রহমান।’
আমি বললাম, ‘তুমি নাকি লাজুক আর দুষ্টু? সত্যি নাকি?’
আরাফাত মাথা নিচু করে ঢুকেছিলো, মাথা নিচু করে রইলো।
মামুন তারেক আর আরাফাতকে নিয়ে খালেদা জিয়ার দুটো ছবি তুললো। ক্যামেরা ক্লিক করার আগে মামুন এক ফাঁকে জিজ্ঞেস করলো, ‘আপনার হবি কী?’ খালেদা জিয়া বললেন, ‘আগে আমার হবি ছিলো ফুলের বাগান করা। ফুল সংগ্রহ করা এখনও আমার হবি। যতোবার বিদেশে গিয়েছি, অনেকে আমাকে অনেক কিছু উপহার দিয়েছে, আমি সবকিছু ছেড়ে শুধু ফুলটাই সংগ্রহে রেখেছি। ফুল আমার খুব ভালো লাগে’ বলে তিনি হাসলেন।
ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে একমুহূর্ত দেরি না করে আরাফাত ছুটে চলে গেলো। খালেদা জিয়াকে আমি আবার অনুরোধ করলাম, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিছু বলার জন্য। কিন্তু তিনি সবিনয়ে আবার তার অপারগতার কথা জানালেন। এ সময়ে টেলিফোন বেজে উঠলে তিনি কার সঙ্গে যেন কথা বললেন।
এই ফাঁকে আবু সাঈদ খান আমাদেরকে জানালেন, এই ঘরে রাষ্ট্রপতি জিয়া এক সময় অনেকের সঙ্গে অনেক বিষয়ে একান্তে কথা বলেছেন। পাশের রুমটি ছিলো বলতে গেলে কনফারেন্স রুম। সুদৃশ্য পর্দা দিয়ে ঢাকা।
খালেদা জিয়া টেলিফোনে কথা শেষ করে এসে পাশের আর একটি সোফায় বসলেন। তাঁর পাশে তারেক। তারেক মামুনকে পেয়ে নিজের ক্যামেরার কী একটি দোষের কথা বললো। মামুন তাকে ওটা ঠিক করে দেয়ার কথা বললে তারেক খুব খুশি হলো। ছবি তোলার ব্যাপারে তারেকের বেশ উৎসাহ। এখন পরীক্ষা, তাই তুলতে পারছে না। বই পড়ার ব্যাপারে তার দারুণ আগ্রহ। সায়েন্স ফিকশন খুব পছন্দ করে সে। গানও তার পছন্দ। তবে ঢিমে তালের নয়, একটু দ্রুতলয়ের গান।
মামুন খালেদা জিয়ার আরও কয়েকটি ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলো। তিনি উঠে একটু ভিতরে গেলেন। এই ফাঁকে আমি তারেককে বললাম, ‘দেখো, তারেক, তোমাকে একটু সহায়তা করতে হবে, তোমার আম্মার একটি সাক্ষাৎকার নেয়ার ব্যাপারে। তোমার আম্মা কিছুতেই কোনো কথা বলতে রাজী নন। অথচ তোমার আম্মাকে নিয়েই এবার আমরা প্রচ্ছদ কাহিনী করছি।’
সাপ্তাহিক নিপুণে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান। ছবি: সংগৃহীততারেক বললো, ‘কেন, আম্মা কী বলেছে?’
‘তিনি নাকি কাউকেই সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন না। অথচ আমরা কয়েকটি সাধারণ বিষয় জানলেই খুশি হতাম।’
‘আপনারা কী জানতে চান?’
আমি বললাম, ‘তোমাদের বাড়ি কোথায়।’
‘কেন, বগুড়া।’
‘তোমার নানা বাড়ি?’
‘নোয়াখালি।’
‘সেখানে কখনো গিয়েছো?’
তারেক মাথা নাড়ালো। যায়নি সে।
কথা বলতে বলতে ফিরে এলেন খালেদা জিয়া। তখন প্রায় দুটো বাজে। আমি ভাবলাম, এবার ওঠা যাক। ওঠবার আগে খালেদা জিয়াকে বললাম, ‘কোনো প্রশ্নের জবাবই তো দিলেন না, যাবার আগে একটা প্রশ্ন করি, আপনার জন্মস্থান কোথায়?’
তিনি হাসলেন। বললেন, ‘দিনাজপুরে।’
আমি বললাম, ‘কী আশ্চর্য, আমরা তো। জানতাম নোয়াখালিতে।’
উঠতে উঠতে বললাম, ‘আপনি তো সবসময় ঢাকাতেই, তাই না?’
তিনি উঠতে-উঠতে বললেন, ‘হ্যাঁ অনেক দিন ধরে ঢাকাতেই। তবে কিছুদিন দিনাজপুরেও ছিলাম। আমার আব্বা দিনাজপুরে ব্যবসা করতেন… এইটুকু বলে তিনি থামলেন। আমি বললামু, ‘অনেক বিরক্ত করলাম। তবে একটা অনুরোধ রইলো, সাক্ষাৎকার দিলে আমরা যেন আগে পাই।’
তিনি হাসলেন, ‘দেবার মত কিছু থাকলে সবাইকে ডেকে একদিন সব বলে দেবো।
আমরাও হাসলাম। তারপর বিদায় নিয়ে বাইরে চলে এলাম।