
.png)

‘আমরা বর্ষার অপেক্ষায় আছি… তাঁরা পানিকে ভয় পায়, আর আমরা হচ্ছি জলের রাজা। প্রকৃতি হবে আমাদের দ্বিতীয় বাহিনী।’ নিউইয়র্ক টাইমসের খ্যাতিমান সাংবাদিক সিডনি শনবার্গের ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ’ প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছিলেন এক বাঙালি অফিসার।

কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের দুটি জরাজীর্ণ বোটকে মডিফাই করে বানানো হয় ‘বিএনএস পদ্ম’ ও ‘বিএনএস পলাশ’। এতে বসানো হয় বিমানবিধ্বংসী কামান। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর খুলনায় এই গানবোট দুটির ওপর ভুলবশত মিত্রবাহিনী বিমান হামলা চালায়।

দুপুর সোয়া বারোটা। যশোর রোড ধরে ধুলো উড়িয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ল ওমেগার গাড়ি। কিন্তু বেশিদূর যাওয়া গেল না। কয়েকশ গজ ভেতরে ঢুকতেই পাকিস্তানি সেনারা পথ আটকে দাঁড়াল। শুরু হলো তর্ক।

করিমপুর সীমান্তের পথে নেমে দেখলেন মাইলের পর মাইলজুড়ে মানুষের স্রোত। তাঁরা কেউ পর্যটক নন, তাঁরা শরণার্থী। পেছনে ফেলে এসেছেন নিজেদের ভিটামাটি, সাজানো সংসার আর প্রিয়জনের লাশ।

জেনে অবাক হবেন যে, শত বছর আগে বৃহত্তর যশোর (ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ, যশোর) অঞ্চলে বন্যপ্রাণী বাস করত। কোন কোন বন্যপ্রাণী সেখানে ছিল? নদী, জলাভূমি ও পুকুরে কী কী মাছ পাওয়া যেত? ১৯১২ সালের এল এস এস ওম্যালি-এর বেঙ্গল ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ার থেকে অনুবাদ করেছেন ভূ-পর্যটক তারেক অণু।

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে চেয়েছিলেন যুদ্ধবিমান
‘ফাঁকা বুলি আওড়াবার অভ্যাস আমার নেই। ট্যাংক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আমার আছে। বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর অধীনে একটি ট্যাংক ইউনিটে অংশগ্রহণে আমি অটল।’ হুঙ্কার ছাড়লেন ৭০ বছর বয়সী অঁদ্রে মালরো। ওয়াশিংটন নিউজ পত্রিকায় ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে প্রকাশিত হলো এ প্রসঙ্গে একটি সম্পাদকীয়।

সাধারণত পথশিশুরা মানুষের কাছে হাত পাতে, সাহায্য চায়। কিন্তু সেদিন তাঁরা ছিল দাতা। সারা দিন তাঁরা যাত্রীদের জুতা পলিশ করল, হাঁকডাক করে লোক জড়ো করল, সবাইকে বাংলাদেশের মানুষের দুঃখের কথা বলল। দিনশেষে তাঁদের ছোট ছোট হাতে জমেছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ।

১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর একাধিক পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ধরিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি। মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেপ্তার করা অথবা তাঁদের যাতে নিশ্চিতভাবে ধরা যায় এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে তথ্য দিলে ১৪ মণ আমন চালের সমপরিমাণ টাকা পাওয়া যেত।

‘ফাদার, আপনি চলে যান। ওরা আপনাকে মেরে ফেলবে।’ শেলাবুনিয়ার গ্রামবাসী অনুরোধ করেন তাঁকে। শান্ত চোখে তাকালেন তিনি। ভাঙা ভাঙা বাংলায় বললেন, ‘আমার সন্তানেরা বিপদে, আর আমি বাবা হয়ে পালিয়ে যাব? আমি কোথাও যাব না। তোমাদের সঙ্গেই থাকব, তোমাদের সঙ্গেই মরব।’

৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১। প্যারিসের অরলি বিমানবন্দর। হাড়কাঁপানো শীতের দুপুর। রানওয়েতে দাঁড়িয়ে আছে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের বিশাল বোয়িং ৭২০ বিমান, ফ্লাইট ৭১২। গন্তব্য করাচি হয়ে ঢাকা। সিটবেল্ট বেঁধে তৈরি যাত্রীরা। ইঞ্জিনে থ্রাস্ট দেওয়ার অপেক্ষায় পাইলট।

১৯৭১ সাল। ঢাকা সেনানিবাস। ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দপ্তর। বিলাসবহুল ড্রয়িংরুমে বসে আছেন এক শ্বেতাঙ্গ ভদ্রলোক। পরনে দামী স্যুট, হাতে জ্বলন্ত সিগার। আর সামনে ধোঁয়া ওঠা কফি। তার ঠিক উল্টো দিকে বসে আছেন পাকিস্তানের কোনো জেনারেল।

ফিদেল কাস্ত্রোর গড়া সেই সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে। আজ ২৫ নভেম্বর, তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাই প্রশ্ন জাগে—কীভাবে একটি ছোট দ্বীপরাষ্ট্র আমেরিকার কঠোর অবরোধের মধ্যেও নিশ্চিত করল যে কোনো মানুষ ক্ষুধার কারণে মারা যাবে না? কীভাবে সম্ভব হলো নামমাত্র মূল্যে রেশন, যা ২০০–২৫০ টাকার সমান খরচে এক মাস টিকে থাকার গ্য

কিউবার সাবেক সিক্রেট সার্ভিস প্রধানের ভাষ্যমতে, ফিদেল কাস্ত্রো অন্তত ৬৩৪ বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন। পরিসংখ্যানটি পুরোপুরি নির্ভুল নাও হতে পারে। কিউবার এই আইকনিক নেতা সিআইএ-র কাছে প্রায় পৌরাণিক প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা উঠে-পড়ে লেগেছিল।

বিশ্ব শিশু দিবসের আলোচনায় আমরা সচরাচর ‘শিশু’ বলতে খুব অল্পবয়সী সন্তানদের কথা বুঝি। কিন্তু আইন ও আন্তর্জাতিক শিশুঅধিকার সনদ অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে সবাই শিশু। তাদের কেউ শিশু, কেউ অল্পবয়সী কিশোর, আবার কেউ কিশোর-তরুণ।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতির এক কিংবদন্তিতুল্য পুরুষ। তাঁর সংগ্রামী ও আপোষহীন নেতৃত্ব অগণিত মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিল। ‘মজলুম জননেতা’ হিসেবে পরিচিত এই নেতার রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেকেই রাজনীতিতে এসেছিলেন।

আজ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিয়ে এ লেখা।