leadT1ad

১৬ ডিসেম্বরের প্রীতিভোজের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক, উল্লেখ নেই বিজয় দিবসের

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৩
স্ট্রিম কোলাজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুটি আবাসিক হলে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রীতিভোজের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রীতিভোজের কারণ হিসেবে বিজয় দিবসের উল্লেখ নেই। বলা হয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ফেলানী খাতুন হল ও জুলাই ২৪ জাগরণী হল প্রশাসন প্রকাশিত প্রীতিভোজের নোটিশ ঘিরে এ বিতর্ক হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটি হলেই বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়। এবারও তেমনটি করা হয়েছে। তবে গতকাল রাতে ওই দুই হলের বিজ্ঞপ্তি সামনে আসার পর সমালোচনা হচ্ছে।

শহীদ ফেলানী খাতুন হলের প্রাধ্যক্ষ শামীমা নাসরীন জলি স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, ‘হল প্রশাসন আগামী ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ইং তারিখ দিবাগত রাতে একটি নৈশভোজের আয়োজন করতে যাচ্ছে।’

অন্যদিকে জুলাই ২৪ জাগরণী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আগামী ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ হলের ডাইনিংয়ে এক প্রীতিভোজের (উন্নতমানের খাবার) আয়োজন করা হয়েছে।’

প্রকাশিত নোটিশ ও বিজ্ঞপ্তিগুলোতে কোনটিতেই উল্লেখ নেই বিজয় দিবসের। যে দিনটি কেন্দ্র করে এই আয়োজন করা হয় সেই দিনের নাম উল্লেখ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীভিত্তিক গ্রুপগুলোতে চলছে তুমুল সমালোচনা। উঠেছে জড়িত শিক্ষকদের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহারের দাবি।

শহীদ ফেলানী খাতুন হলের নোটিশের ছবি ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ জিসান আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বিজয় দিবস স্বীকার করতে যাঁদের দ্বিধা, তাঁদের প্রতি কোনো সম্মান দেখানোর প্রশ্নই ওঠে না। এমন মানসিকতা ধারণকারী ব্যক্তি শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।’ উক্ত পোস্টে সংশ্লিষ্ট প্রভোস্টকে (শামীমা নাসরীন জলি) অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

ঘটনা দুইটিকে ইচ্ছাকৃত বলে দাবি করছেন ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিল আহম্মদ। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো ভুল নয়, এখানে বিজয় দিবসকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। এক হলের বিজ্ঞপ্তিতে হলে বুঝতাম ভুল হতেই পারে। কিন্তু একই কাজ দুটো হলে করেছে। এটা ভুল হতে পারে না। এরা ইচ্ছাকৃতভাবেই এমন কাজ করেছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির এক শিক্ষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের গালি দিতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু গালি তো আপনারা ছাপবেন না। এ ছাড়া আসলে আর বলার কিছু নেই।’ তিনি এ ঘটনায় যথাযথ তদন্ত দাবি করে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে শামীমা নাসরীন জলি ও অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি।

Ad 300x250

সম্পর্কিত