উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ বাড়ছেই। সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত কয়েক দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সেই হিসাবে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এটি চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর মধ্য দিয়ে এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো দেশের কোথাও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামল।
আবহাওয়াবিদরা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরে থাকেন। আর ৬ দশমিক ১ থেকে ৮ ডিগ্রি পর্যন্ত মাঝারি, ৪ দশমিক ১ থেকে ৬ ডিগ্রি পর্যন্ত তীব্র এবং এর নিচের তাপমাত্রাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
এ ছাড়া সিলেটের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দিনাজপুরে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি, কুমিল্লায় ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী ও নীলফামারীর ডিমলায় আরিচায় ১২ ডিগ্রি, ময়মনসিংহে ১২ দশমিক ৬ এবং নেত্রকোনায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল জানিয়েছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, এই সময়ে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। ভোরের দিকে সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। ভোরের দিকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন, উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবেশ করায় এই জনপদে দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়ছে। টানা আট দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। আকাশ পরিষ্কার থাকায় হিমালয় থেকে আসা উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। দিনে কড়া রোদ থাকায় কিছুটা স্বস্তি মিললেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।