স্ট্রিম ডেস্ক

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে শেখ হাসিনাকে অপসারণে ভূমিকা রাখা শিক্ষার্থীরা এ বছর নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে হাজারো মানুষ তাদের প্রতিশ্রুতি শোনার জন্য সমবেত হন। কিন্তু সেই রাস্তার শক্তিকে ভোটে রূপান্তর করতে এখন হিমশিম খাচ্ছে দলটি।
তরুণদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) দশকের পর দশক ধরে চলা পরিবারতান্ত্রিক ও স্বজনপ্রীতির রাজনীতি এবং দ্বিদলীয় প্রভাব ভাঙার লক্ষ্য জানিয়েছে। তবে নির্বাচনের আগে তারা মুখোমুখি হয়েছে সুপ্রতিষ্ঠিত, সম্পদশালী ও গভীর নেটওয়ার্কসমৃদ্ধ প্রতিদ্বন্দ্বীদের।
দলের প্রধান নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সংগঠন এখনো দুর্বল, কারণ তা গড়ে তোলার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়নি।’ তিনি জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন এবং নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যও ছিলেন।
মাত্র ২৭ বছর বয়সী নাহিদ বলেন, ‘পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। তথাপি আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’ ঢাকায় দলের কার্যালয়ে তাঁর পেছনে বিদ্রোহী জনতার গ্রাফিতি আঁকা দেয়ালই সেই চ্যালেঞ্জের প্রতিচিত্র।
জরিপ বলছে তৃতীয় স্থানে
সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, পুরো ৩০০ আসনে লড়তে চাওয়া এনসিপির সমর্থন মাত্র ৬ শতাংশ। তার মানে দলটি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ৩০ শতাংশ সমর্থন নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বিএনপি। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট–এর ডিসেম্বর জরিপ জানায়, ২৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে জামায়াতে ইসলামি।
জুলাই আন্দোলনের সময় নেতৃত্ব দেওয়া ২৫ বছরের প্রাপ্তি তপশী জানান, তিনি প্রথমে এনসিপিতে সম্ভাবনা দেখেছিলেন। কিন্তু পরে হতাশ হয়েছেন। তাঁর মতে, দল নিজেদের মধ্যপন্থী দাবি করলেও বাস্তবে তা উঠে আসে না। সংখ্যালঘু অধিকার বা নারী অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবস্থান নিতে তারা দ্বিধায় থাকে, আর নিলেও অনেক দেরি করে।
নিরাশার আরেক উদাহরণ—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে দলের ভরাডুবি। বিদ্রোহের কেন্দ্র হয়েও তারা ডাকসুতে একটি আসনও পায়নি।
জোট নিয়ে আলোচনা ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব
দুর্বল সংগঠন, অর্থাভাব এবং নারী ও সংখ্যালঘু অধিকার বিষয়ে অস্পষ্ট অবস্থান—এই সব নিয়ে এনসিপি এখন জোটের পথে হাঁটছে। বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। দলের একজন শীর্ষ নেতা স্বীকার করেন, স্বতন্ত্রভাবে দাঁড়ালে হয়তো একটি আসনও না পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্লেষকদের মতে, জোট করলে দলের ‘বিপ্লবী ইমেজ’ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, জোটে গেলে জনগণ আর তাদের আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে আলাদা শক্তি হিসেবে দেখবে না।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সবাইকে এক করলেও পরে অনেকেই নিজ নিজ দলের দিকে ফিরে গেছে। অল্প সংখ্যকই থেকে এনসিপি গঠন করেছে। এখন তারা মোকাবিলা করছে বহু বছরের সংগঠন, গ্রাম পর্যন্ত অফিস এবং তৃণমূল নেটওয়ার্কসমৃদ্ধ প্রতিদ্বন্দ্বীদের।
অর্থসংগ্রহ: প্রধান প্রতিবন্ধকতা
দলের কার্যক্রম চালাতে অর্থ এখন বড় বাধা। নাহিদ ইসলামের ভাষায়, অধিকাংশ সদস্য নিজেদের চাকরির আয়, সামান্য অনুদান ও ক্রাউডফান্ডিংয়ের ওপর নির্ভর করে। প্রচার-প্রচারণাও সেই সীমিত সম্পদে চলছে।
২৮ বছর বয়সী হাসনাত আব্দুল্লাহ গ্রামেগঞ্জে দরজায় দরজায় গিয়ে সমর্থন চাইছেন। তিনি জানান, নিজের এলাকায় তিনি ভোটারদের বলেছেন, তিনি অর্থহীন, কিন্তু নেতা হিসাবে তাঁর কাজ হবে সরকারি বরাদ্দের অপচয় রোধ করা এবং সে অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহারের নিশ্চয়তা দেওয়া।
তবে এনসিপির কিছু নেতাকে ঘিরে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ দলের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। দল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে, দুর্নীতির ক্ষেত্রে তাদের সহনশীলতা শূন্য।
‘নতুন কিছু দিচ্ছি’
এর পরও বহু তরুণ এখনও দলের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী। তাদের মতে, অর্থ ও পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতির বিপরীতে এনসিপি সমতাভিত্তিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ার চেষ্টা করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মনজিলা রহমান বলেন, ‘তারা তরুণ, তারা বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমার বিশ্বাস তারা পরিবর্তন আনতে পারবে, যদি না তারাও স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে।’
নভেম্বরে এনসিপি তাদের প্রার্থী বাছাইয়ে ভিন্নধর্মী এবং নতুন এক উদ্যোগ নেয়। দুই দিনে তারা দেশব্যাপী সাধারণ মানুষের আবেদন নিয়ে এক হাজারের বেশি ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেয়। তরুণ নেতারা বুথে বুথে ঘুরে প্রার্থীদের প্রশ্ন করেন।
সাক্ষাৎকারে অংশ নেন এক রিকশাচালকও, যিনি কাজ থেকে একদিন ছুটি নিয়েছিলেন। ছিলেন এমন এক ছাত্রও যিনি আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে একচোখ হারান।
৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ সুজন খান বলেন, ‘অনেকে ভাবতে পারে রিকশাচালক সংসদে গিয়ে কী করবে। আমাকে একবার সুযোগ দিন, দেখবেন দেশ বদলাতে আমি কী করি।’
এই সম্ভাবনার আকর্ষণেই যুক্ত হন ডাক্তার তাসনিম জারা। তিনি ক্যামব্রিজের কর্মজীবন ছেড়ে এনসিপিতে যোগ দেন দলকে শূন্য থেকে গড়ে তুলতে। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা রাজনীতিকে উন্মুক্ত করতে চাই। ক্ষমতাকে কিছু পরিবারে সীমাবদ্ধ না রেখে সাধারণ মানুষের হাতে ফিরিয়ে দিতে চাই।’
বিএনপি ও জামায়াত নেতারাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপের গুরুত্ব দেখছেন। বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাজনীতির ভবিষ্যৎ তরুণদের দখলে। তাই তাদের সংসদে জায়গা দিতে পারলে ভালো।’
এনসিপি নেতাদের মতে, তাদের দৃষ্টি কেবল নির্বাচনে জয়ের দিকে নয়। দীর্ঘমেয়াদে কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের লক্ষ্যেই তারা এগোচ্ছে। তারা নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা করতে চান।
দলের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘জিতি বা হারি, শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আমরা দেশকে নতুন কিছু দিচ্ছি।’

গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে শেখ হাসিনাকে অপসারণে ভূমিকা রাখা শিক্ষার্থীরা এ বছর নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে হাজারো মানুষ তাদের প্রতিশ্রুতি শোনার জন্য সমবেত হন। কিন্তু সেই রাস্তার শক্তিকে ভোটে রূপান্তর করতে এখন হিমশিম খাচ্ছে দলটি।
তরুণদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) দশকের পর দশক ধরে চলা পরিবারতান্ত্রিক ও স্বজনপ্রীতির রাজনীতি এবং দ্বিদলীয় প্রভাব ভাঙার লক্ষ্য জানিয়েছে। তবে নির্বাচনের আগে তারা মুখোমুখি হয়েছে সুপ্রতিষ্ঠিত, সম্পদশালী ও গভীর নেটওয়ার্কসমৃদ্ধ প্রতিদ্বন্দ্বীদের।
দলের প্রধান নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সংগঠন এখনো দুর্বল, কারণ তা গড়ে তোলার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়নি।’ তিনি জুলাই আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন এবং নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের অধীনে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যও ছিলেন।
মাত্র ২৭ বছর বয়সী নাহিদ বলেন, ‘পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। তথাপি আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’ ঢাকায় দলের কার্যালয়ে তাঁর পেছনে বিদ্রোহী জনতার গ্রাফিতি আঁকা দেয়ালই সেই চ্যালেঞ্জের প্রতিচিত্র।
জরিপ বলছে তৃতীয় স্থানে
সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, পুরো ৩০০ আসনে লড়তে চাওয়া এনসিপির সমর্থন মাত্র ৬ শতাংশ। তার মানে দলটি তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ৩০ শতাংশ সমর্থন নিয়ে শীর্ষে রয়েছে বিএনপি। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট–এর ডিসেম্বর জরিপ জানায়, ২৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে জামায়াতে ইসলামি।
জুলাই আন্দোলনের সময় নেতৃত্ব দেওয়া ২৫ বছরের প্রাপ্তি তপশী জানান, তিনি প্রথমে এনসিপিতে সম্ভাবনা দেখেছিলেন। কিন্তু পরে হতাশ হয়েছেন। তাঁর মতে, দল নিজেদের মধ্যপন্থী দাবি করলেও বাস্তবে তা উঠে আসে না। সংখ্যালঘু অধিকার বা নারী অধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবস্থান নিতে তারা দ্বিধায় থাকে, আর নিলেও অনেক দেরি করে।
নিরাশার আরেক উদাহরণ—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে দলের ভরাডুবি। বিদ্রোহের কেন্দ্র হয়েও তারা ডাকসুতে একটি আসনও পায়নি।
জোট নিয়ে আলোচনা ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব
দুর্বল সংগঠন, অর্থাভাব এবং নারী ও সংখ্যালঘু অধিকার বিষয়ে অস্পষ্ট অবস্থান—এই সব নিয়ে এনসিপি এখন জোটের পথে হাঁটছে। বিএনপি ও জামায়াতের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। দলের একজন শীর্ষ নেতা স্বীকার করেন, স্বতন্ত্রভাবে দাঁড়ালে হয়তো একটি আসনও না পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্লেষকদের মতে, জোট করলে দলের ‘বিপ্লবী ইমেজ’ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বলেন, জোটে গেলে জনগণ আর তাদের আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে আলাদা শক্তি হিসেবে দেখবে না।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সবাইকে এক করলেও পরে অনেকেই নিজ নিজ দলের দিকে ফিরে গেছে। অল্প সংখ্যকই থেকে এনসিপি গঠন করেছে। এখন তারা মোকাবিলা করছে বহু বছরের সংগঠন, গ্রাম পর্যন্ত অফিস এবং তৃণমূল নেটওয়ার্কসমৃদ্ধ প্রতিদ্বন্দ্বীদের।
অর্থসংগ্রহ: প্রধান প্রতিবন্ধকতা
দলের কার্যক্রম চালাতে অর্থ এখন বড় বাধা। নাহিদ ইসলামের ভাষায়, অধিকাংশ সদস্য নিজেদের চাকরির আয়, সামান্য অনুদান ও ক্রাউডফান্ডিংয়ের ওপর নির্ভর করে। প্রচার-প্রচারণাও সেই সীমিত সম্পদে চলছে।
২৮ বছর বয়সী হাসনাত আব্দুল্লাহ গ্রামেগঞ্জে দরজায় দরজায় গিয়ে সমর্থন চাইছেন। তিনি জানান, নিজের এলাকায় তিনি ভোটারদের বলেছেন, তিনি অর্থহীন, কিন্তু নেতা হিসাবে তাঁর কাজ হবে সরকারি বরাদ্দের অপচয় রোধ করা এবং সে অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহারের নিশ্চয়তা দেওয়া।
তবে এনসিপির কিছু নেতাকে ঘিরে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ দলের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। দল এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে, দুর্নীতির ক্ষেত্রে তাদের সহনশীলতা শূন্য।
‘নতুন কিছু দিচ্ছি’
এর পরও বহু তরুণ এখনও দলের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী। তাদের মতে, অর্থ ও পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতির বিপরীতে এনসিপি সমতাভিত্তিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ার চেষ্টা করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মনজিলা রহমান বলেন, ‘তারা তরুণ, তারা বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছে। আমার বিশ্বাস তারা পরিবর্তন আনতে পারবে, যদি না তারাও স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে।’
নভেম্বরে এনসিপি তাদের প্রার্থী বাছাইয়ে ভিন্নধর্মী এবং নতুন এক উদ্যোগ নেয়। দুই দিনে তারা দেশব্যাপী সাধারণ মানুষের আবেদন নিয়ে এক হাজারের বেশি ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেয়। তরুণ নেতারা বুথে বুথে ঘুরে প্রার্থীদের প্রশ্ন করেন।
সাক্ষাৎকারে অংশ নেন এক রিকশাচালকও, যিনি কাজ থেকে একদিন ছুটি নিয়েছিলেন। ছিলেন এমন এক ছাত্রও যিনি আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে একচোখ হারান।
৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ সুজন খান বলেন, ‘অনেকে ভাবতে পারে রিকশাচালক সংসদে গিয়ে কী করবে। আমাকে একবার সুযোগ দিন, দেখবেন দেশ বদলাতে আমি কী করি।’
এই সম্ভাবনার আকর্ষণেই যুক্ত হন ডাক্তার তাসনিম জারা। তিনি ক্যামব্রিজের কর্মজীবন ছেড়ে এনসিপিতে যোগ দেন দলকে শূন্য থেকে গড়ে তুলতে। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা রাজনীতিকে উন্মুক্ত করতে চাই। ক্ষমতাকে কিছু পরিবারে সীমাবদ্ধ না রেখে সাধারণ মানুষের হাতে ফিরিয়ে দিতে চাই।’
বিএনপি ও জামায়াত নেতারাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংলাপের গুরুত্ব দেখছেন। বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাজনীতির ভবিষ্যৎ তরুণদের দখলে। তাই তাদের সংসদে জায়গা দিতে পারলে ভালো।’
এনসিপি নেতাদের মতে, তাদের দৃষ্টি কেবল নির্বাচনে জয়ের দিকে নয়। দীর্ঘমেয়াদে কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের লক্ষ্যেই তারা এগোচ্ছে। তারা নতুন রাজনৈতিক ধারার সূচনা করতে চান।
দলের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘জিতি বা হারি, শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমেই আমরা দেশকে নতুন কিছু দিচ্ছি।’

প্রায় দেড় যুগ আগে বিএনপি ছেড়ে সেলিম যোগ দেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে। কিন্তু দলটির জাতীয় কমিটিতে জায়গা না পেয়ে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর পাল্টা কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন।
১০ মিনিট আগে
দুই শ আসনে জয়ী হলেও জামায়াত জাতীয় সরকার গঠন করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তিনি একথা বলেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
মুখে নানাজন নানা কথা বললেও বিএনপি ছাড়া কোনো দল দেশ গড়ার পরিকল্পনা করছে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমরা সরকার গঠন করলে নতুন করে খাল খনন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে।
৪ ঘণ্টা আগে
আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ভিন্নধর্ম থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। তবে নিজ দলের নারীদের প্রার্থী করার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
৪ ঘণ্টা আগে