leadT1ad

স্পুকি অক্টোবরে দেখুন সেরা ৭টি হরর এনিমে

এনিমে ফ্যানদের কাছে অক্টোবর মানেই স্পুকি অক্টোবর। এই মাসেই হ্যালোইন বলে অক্টোবরজুড়ে হরর লিট্রেচার, মুভি, সিরিজ নিয়ে থাকে বাড়তি উৎসাহ। স্পুকি অক্টোবর উপলক্ষ্যে পপ স্ট্রিমের পাঠকদের জন্য রইলো সেরা সাত হরর এনিমের রিকমেন্ডেশন।

চন্দ্রিকা নূরানী ইরাবতী
চন্দ্রিকা নূরানী ইরাবতী

স্ট্রিম গ্রাফিক

এনিমে লাভাররা এ বছর মুভি থিয়েটারে রিলিজ পাওয়া ডিমন স্লেয়ার তো নিশ্চয়ই দেখেছেন বা দেখার প্ল্যান করছেন। এট্যাক অন টাইটান বা জুজুতসু কাইসেনও হয়তো দেখে থাকবেন। পপুলার এসব এনিমের মধ্যে একটা কমন ব্যাপার আছে। সবগুলোতেই আছে ভূত-প্রেত, ভৌতিক বা সুপারন্যাচারাল কিছু উপাদান। অক্টোবর বা স্পুকটোবার ও হ্যালোয়িন এসে পড়েছে। এ উপলক্ষ্যে পপস্ট্রিমের পাঠকদের জন্য থাকলো কিছু ক্লাসিক হরর এনিমে রিকমেন্ডেশন। পুরানা এনিমে ফ্যান বা ওটাকুরা হয়তো এই লিস্ট দেখে বলবেন, 'হেহ, এগুলো তো সব আগেই দেখা আমার।' এই লিস্টে আর কোন কোন এনিমে থাকা উচিত ছিল তা নিয়ে ওটাকুরা তর্ক করবেন। নতুন এনিমে ফ্যান তাদের জন্য এই লিস্ট ভালোই কাজে লাগবে বলে আমার মনে হয়।

১. মোনোনোকে

গিবলি এনিমে ফ্যানরা ভুল বুঝবেন না, এখানে প্রিন্সেস মোনোনোকের কথা বলা হচ্ছে না। এখানে যে এনিমে নিয়ে কথা হচ্ছে সেটি একটি হরর, মিস্ট্রি এবং সুপারন্যাচারাল এনিমে। মোনোনোকের স্টোরিলাইন রহস্যময় এক ওষুধ বিক্রেতাকে কেন্দ্র করে। সে ফিউডাল জাপানের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেতাত্মা খুঁজে বেড়ায় আর সেই প্রতাত্মাদের দমন করে। এপিসোডগুলোয় দেখা মিলবে জাপানি লোককাহিনীর নানান ধরণের ভূতের। কিন্তু কাহিনী হল, এই মেডিসিন বিক্রেতা এমনি এমনিই এই ভূতগুলোকে দমন করতে পারবে না। এর জন্য তার জানা দরকার সেই ভুতের আসল রূপ বা নেচার। তবে প্রত্যেকবার এই আসল রূপ বের করতে গিয়ে দেখা যায় ভুতগুলো যত না ভয়ংকর, তারচেয়েও ভয়ংকর যেই মানুষগুলোকে এসব ভুত ভর করে তাদের চরিত্র। বেশি কিছু আর বলব না, নইলে তো আবার স্পয়লার খেয়ে যাবেন। এই সিরিজটির মেইন এট্র্যাকশন এর এনিমেশন স্টাইল।

মোনোনোকে প্রোমোশনাল আর্ট। ছবি: ২০০৭ টোয়েই এনিমেশন
মোনোনোকে প্রোমোশনাল আর্ট। ছবি: ২০০৭ টোয়েই এনিমেশন

গতানুগতিক এনিমেশন দেখে বোরড হওয়া লোকজনের জন্য এই এনিমে পারফেক্ট। মোনোনকের আর্ট স্টাইলে দেখতে পাবেন বিভিন্ন রকমের টেক্সচার। কখনো কাগজের টেক্সচার, কখনো কাপড়ের বিভিন্ন প্যাটার্ন। চেনা-অচেনা বিভিন্ন প্যাটার্ন, ব্যাকগ্রাউন্ড ও ক্যারেক্টারের সাথে মিলেমিশে তৈরি হয় একধরণের অস্বস্তিকর অনুভুতি। তাছাড়া জাপানিজ শ্রাইন বা মন্দিরের ঘন্টা বা বিভিন্ন বস্তুর সাউন্ড ইফেক্ট ব্যবহার করে ক্রিপি একটা এটমোস্ফিয়ার তৈরি করে। তাই মিউজিক ও সাউন্ডট্র্যাকেও দর্শকের গা শিউরে উঠতে পারে।


২. হেল গার্ল

ধরেন কেউ আপনার সাথে খুবই খারাপ, বাজে কিছু করল। আপনি চাচ্ছেন সে জাহান্নামে যাক। কিন্তু তার মৃত্যুর অপেক্ষা না করে আপনি চাচ্ছেন এখনই যাক। সলুশন হিসেবে রাত ১২টায় আপনার সামনে হাজির হবে একটি ওয়েবসাইট। যারা উপর রিভেঞ্জ নিতে চান, ওয়েবসাইটে তার নাম এন্টার করলেই হেল গার্ল এসে তাকে নিয়ে যাবে নরকে। তবে ক্যাচ এখানেই যে আপনার আত্মাও চলে যাবে হেল গার্লের কাছে। রিভেঞ্জ নেওয়ার জন্য কি এই কঠিন শর্তটি মেনে নিতে পারবেন? এই হলো ‘হেল গার্ল’ এনিমের প্লট। এই রিভেঞ্জ এনিমেতে দেখা যাবে অনেক প্রকার ক্রিপি নারকীয় মোটিফ।

হেল গার্ল পোস্টার। ছবি: এনিপ্লেক্স
হেল গার্ল পোস্টার। ছবি: এনিপ্লেক্স

প্রত্যেকটা এপিসোডেই হেল গার্ল এবং তার সঙ্গীরা বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষকে টেনে নিয়ে যায় নরকের তলে। আলাদা এপিসোডে আলাদা ধাচের সাইকোলজিকাল হররের মধ্য দিয়ে শাস্তি দেওয়া হয় বিভিন্ন চরিত্রকে। সব এপিসোডেই ভিলেইন যেভাবে তার ভিক্টিমকে কষ্ট দেয়, হেল গার্লও ঠিক একইভাবে সেই এপিসোডের ভিলেইনকে শাস্তি দেয়। পরবর্তী এপিসোডগুলোর মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে খোদ হেল গার্ল এবং তার সঙ্গীদের ব্যাকস্টোরি। কিভাবে সাধারণ একটা মেয়ে হেল গার্লে পরিণত হয়েছে সেই রহস্য উন্মোচিত হতে থাকে পরবর্তী এপিসোডগুলোতে। তবে এই এনিমের মূল আকর্ষণ চরিত্রগুলোর ব্যাকস্টোরি।

অনেকরকম সোসাইটাল প্রব্লেমও দেখা যায় এনিমেটির বিভিন্ন এপিসোডিক রিভেঞ্জ স্টোরিতে। তাছাড়া সাউন্ড এফেক্ট এবং নারকীয় হরর মোটিফ এই এনিমের ক্রিপিনেস বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। যারা ছোটবেলায় এনিমেক্স চ্যানেলটি পেয়েছেন তাদের জন্য এই এনিমে একটা নস্টালজিক হরর এনিমে হিসেবে রেকমেন্ডেশন পেশ করলাম। এই এপিসোডিক হরর এনিমের মধ্যে রিভেঞ্জ নেওয়ার সাইকোলজিটাও সুন্দরভাবে ফুটে উঠে।

৩. এনাদার

ভুতুরে পুতুল, স্কুলের কিছু অজানা রহস্য আর টাইট ক্যামেরা এঙ্গেল দিয়ে হরর এট্মোস্ফিয়ার তৈরি করা এনিমেটির নাম ‘এনাদার’। সাসাকিবারা কোয়িচি যখন এক নতুন হাইস্কুলে ট্রান্সফার হয়, তখন সে দেখে স্কুলের সবার আচরণ কিছুটা অদ্ভুত। তার ক্লাসের কিউট, রহস্যময়ী এক মেয়েকে কেন্দ্র করে ঘটতে থাকে কিছু রহস্যময় ঘটনা। কে এই মেয়ে? ওদিকে তার অন্য সহপাঠীদের সাথে ঘটতে থাকে ভয়ঙ্কর সব দুর্ঘটনা। কেনই ঘটছে এমন? এর পেছনের কাহিনী উন্মোচন করতে বেরিয়ে পরে কোয়িচি। যারা ফাইনাল ডেস্টিনেশন মুভিগুলো পছন্দ করেন, তাদের জন্য এই এনিমে পারফেক্ট। ফাইনাল ডেস্টিনেশন মুভিগুলোয় যেরকম খুব গ্রাফিকভাবে একটার পর একটা চরিত্রের মৃত্যু হয় এই এনিমেতেও সেই একইভাবে মৃত্যু হয়। এরমধ্যে অজানা হরর বা কোন দুর্ঘটনাকে কোনভাবেইএড়াতে না পারার যেই এংজাইটি, তা এনিমেতে তীব্রভাবে অনুভব করা যায়।

এনাদার পোস্টার। ছবি: আইএমডিবি
এনাদার পোস্টার। ছবি: আইএমডিবি

এনিমেটির শেষের প্লট টুইস্ট দর্শককে সাস্পেন্সে রাখবে। ক্রিপি এটমোস্ফিয়ার, গোর আর মিস্ট্রি—-সব মিলিয়ে বলা যায় এটা একটা পিওর হরর এনিমে। প্রথম দুই তিন এপিসোডে ভয়ের কিছু না থাকলেও, শুধুমাত্র ক্যামেরা এঙ্গেল, ক্রিপি ইম্যাজিরি এবং সাউন্ডের ব্যবহারের মাধ্যমে দর্শককে সাসপেন্সে রাখে এই এনিমে। আস্তে আস্তে এই নিঃশব্দ সাসপেন্স জটিল রহস্যময়ী হররে পরিণত হয়। এনিমেটার প্রতি এপিসোডের শেষে দর্শকের মনে হবে এরপর কি ঘটবে। যারা গোর বা রক্ত দেখে ভয় পান তারা এই এনিমে থেকে দূরে থাকবেন।

৪. ভ্যাম্পায়ার হান্টার ডি: ব্লাডলাস্ট

যারা ভ্যাম্পায়ার, ড্রাকুলা বা এডগার এলেন পো-এর গথিক ভাইব পছন্দ করেন তারা অবশ্যই এই এনিমের আর্ট আর এনিমেশন পছন্দ করবেন। গথিক হরর স্টাইলের এই এনিমে মুভিটার মূল চরিত্র একজন আধা ভ্যাম্পায়ার এবং আধা মানুষ যে টাকার বিনিময়ে ইভিল মন্সটার ও ভ্যাম্পায়ারদের দমন করে। চুপচাপ এই আধা-ভ্যাম্পায়ারের মধ্যে এমন স্ক্রিন প্রেজেন্স আছে, যেকারনে সে যেই সিনেই আসে সেই সিনটাতেই কুল ফ্যাক্টর চলে আসে।

ভ্যাম্পায়ার হান্টার ডি ব্লাডলাস্ট এর সিন। ছবি: আইএমডিবি
ভ্যাম্পায়ার হান্টার ডি ব্লাডলাস্ট এর সিন। ছবি: আইএমডিবি

এই মুভির অন্যান্য চরিত্র এবং তাদের ক্যারেক্টর ডিজাইনও সমান ইন্টারেস্টিং। বিশেষ করে মূল ভিলেইনের মধ্যেও দেখা যায় চারিত্রিক গভীরতা। কিন্তু অন্যান্য ভ্যাম্পায়ার এনিমের থেকে এটার পার্থক্য এখানেই যে এর সেটিং সুদূর ভবিষ্যতের একটি সায়েন্স ফিকশন দুনিয়ায়। এলিগেন্ট এবং স্টাইলিশ ক্যারেক্টর ডিজাইন থেকে শুরু করে দারুন সব ব্যাকগ্রাউড আর্ট, সবই মিলে এই এনিমে মুভি একটা কাল্ট ক্লাসিক হিসেবে পরিণত হয়েছে। ভ্যাম্পায়ার এনিমেরটার আরেকটা মজার দিক হলো সেটিং সায়েন্স ফিকশনের দুনিয়ায় হলেও মূল চরিত্র তলোয়ার দিয়েই ভ্যাম্পায়ার মারামারি করে। যার ফলে এনিমেশনের ক্ষেত্রেও তৈরী হয় অসাধারন কিছু একশন সিকুয়েন্স। এই এনিমের ভ্যাম্পায়ারগুলো হিংস্র, ভয়ঙ্কর এবং রাতের বেলার শঙ্কা। তবে এই এনিমে হরর এলেমেন্টের চেয়ে দারুন এস্থেটিকের জন্য বেশি বিখ্যাত। যারা ক্যাসলভেনিয়া সিরিজটি দেখেছেন তারা এই এনিমে পছন্দ করবেন। গথ কালচার, গথ ফ্যাশন, গথ মিউজিক যারা পছন্দ করেন তাদের জন্য রইলো এই এনিমে রেকমেন্ডেশন।

৫. প্যারাসাইট: দ্য ম্যাক্সিম

ভয়ঙ্কর এক রাতে পৃথিবীতে নেমে আসে কতগুলো হিংস্র, মানুষখেকো, এলিয়েন প্যারাসাইট। রাতের আঁধারে এই প্যারাসাইটগুলো মানুষদের আক্রান্ত করে তাদের মস্তিষ্ক দখল করে। মানুষের রূপ নিয়ে আশেপাশের মানুষদেরও খাওয়া শুরু করে এই মানুষখেকো পরজীবী। একই রাতে চশমা পরা, ভদ্র দেখতে এক ছেলেকে আক্রান্ত করার সময় প্যারাসাইট দেখে ছেলেটা কানে হেডফোন লাগিয়েই সুন্দরমতো ঘুমাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো এই প্যারাসাইট গুলো কানের ভেতর দিয়ে ঢুকেই মস্তিষ্ক দখল নেয়। উপায় না পেয়ে প্যারাসাইটটি তার ঘুমন্ত টার্গেটের হাতের মধ্য দিয়েই মস্তিষ্কে ঢুকার চেষ্টা করে। যার ফলে শুধু ছেলেটার হাত দখল করতে পারে। তারপর প্যারাসাইট-আক্রান্ত হাত নিয়েই সে কনফ্রন্ট করে অন্যান্য সব প্যারাসাইট-মানবদের।

প্যারাসাইট দ্য ম্যাক্সিম এর পোষ্টার। ছবি: আইএমডিবি
প্যারাসাইট দ্য ম্যাক্সিম এর পোষ্টার। ছবি: আইএমডিবি

এনিমেটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গোর এবং রক্তারক্তি। আপনি গোর পছন্দ করে থাকলে বা ক্যানিবালিজম হরর দেখতে চাইলে এই এনিমে আপনার জন্য। পিওর হরর হিসেবে শুরু হলেও এনিমেটি পরিণত হয় এক ফিলোসফিক্যাল প্রশ্নে। কতটুকু মানুষত্ব থাকলে একজনকে আমরা মানুষ হিসেবে গন্য করবো? অন্যদিকে মানুষখেকো মন্সটারের মধ্যেও কি মানুষত্ব জেগে উঠতে পারে? এরূপ প্রশ্ন দিয়েই শেষ হয় এনিমেটি।

৬. টোকিও ঘোউল

প্যারাসাইটের মতোই আরেকটা হরর একশন এনিমে ‘টোকিও ঘোউল’। ফ্রাঞ্জ কাফকার ‘মেটামোরফসিস’ গল্পটি আপনি পড়ে থাকলে জানবেন একজন মানুষ রাতারাতি কীটে পরিণত হলে সে কিভাবে সমাজে আউটক্যাস্টে হয়ে যায়। এনিমেটির নিরীহ টাইপ ছেলে কানেকি কেন-ও এমন কিছু এক্সিটেনশিয়াল ক্রাইসিসে পড়ে। সে রাতারাতি এক মানুষখেকো ঘোউলে পরিণত হয়। শুধুমাত্র মানুষের মাংস ছাড়া অন্য কিছু সে খেতে পারে না। এনিমেটা শুরু হয় মানুষখেকো ঘোউলের কারনে শহরের বিপুল সংখ্যক মানুষ মিসিং হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে। তবে দ্রুতই এই এনিমের হরর এস্পেক্টটা ঘোউল থেকে মানুষের দিকে শিফট হয়। এটা সম্ভব হয় যখন কানেকি দিন দিন সাধারণ ঘোউলদের সাথে সাথে মিশতে থাকে, তখন আমরাও তাদের পারস্পেকটিভ দেখতে পাই। কানেকি প্রথমে ঘোউলদের ঘৃণার চোখে দেখলেও যখন বুঝতে পারে যে মানুষ খেয়ে বেঁচে থাকা ছাড়া এদের অন্য কোন উপায় নেই, তখন সে এই ঘোউলদের কষ্ট বুঝতে শিখে। তখন ভিলেইন হয়ে দাঁড়ায় খোদ মানুষেরা, যারা ঘোউলদের নির্বিচারে মারতে চায়। এভাবে দুইপক্ষের খারাপ লোকজন যখন নিরপরাধদের মারতে আসে তখনই সাস্পেন্স তৈরী হয়। আর ওইদিকে কানেকির দুইপক্ষ থেকেই পালিয়ে বেড়াতে হয়। বলা যায় ওরস্ট অফ বোথ ওয়ারল্ডস।

টোকিয়ো ঘোউলের পোস্টার। ছবি: নেটফ্লিক্স
টোকিয়ো ঘোউলের পোস্টার। ছবি: নেটফ্লিক্স

ক্যানিবালিজম, মানুষখেকো মন্সটারের হরর দিয়ে শুরু হলেও এই সিরিজটি আগাতে থাকে এরকম এম্প্যাথির প্রশ্ন নিয়ে। তবে এই এনিমেতে আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ এর ওপেনিং সাউন্ডট্র্যাক। যারা একশন হরর পছন্দ করেন তাদের জন্য এই এনিমে রেকমেন্ড করা হলো।

৭. জুনজি ইতো কালেকশন

বিখ্যাত হরর মাঙ্গা লেখক এবং আর্টিস্ট জুনজি ইতোর মাঙ্গা সংকলনের এনিমে এডাপশন ‘জুনজি ইতো কালেকশন’। হরর এনিমেটির প্রত্যেকটা এপিসোডের কন্সেপ্ট আলাদা এবং বিজায়ার। কিছু গা শিউরে উঠা আর্ট দিয়েই মূলত হরর তৈরী করেন জুনজি সাহেব।

জুনজি ইতো কালেকশনের পোস্টার। ছবি: প্রাইম ভিডিও
জুনজি ইতো কালেকশনের পোস্টার। ছবি: প্রাইম ভিডিও

এনিমেটির বিভিন্ন ছোট হরর গল্পগুলোয় মিল শুধু এক জায়গায়ই তা হলো এনিমেটি দেখলে আপনার ক্লস্টারফোবিক লাগবে। মনে হবে এই হরর থেকে পালানোর কোন উপায় নেই। অনেক ক্ষেত্রে বডি হরর আবার অনেক ক্ষেত্রে এবসার্ড হরর মিলে জুনজি সাহেব তৈরী করেছে পারফেক্ট এক হরর ব্লেন্ড। অবশ্য আমি রেকমেন্ড করবো এটার এনিমে না দেখে ডাইরেক্ট মাঙ্গা পড়ে ফেলা। কেননা জুনজি সাহেব মাঙ্গায় তার আর্ট দিয়ে যেই নিখুঁত ক্রিপি ইম্যাজারি তৈরী করে সেটা এনিমেশনে ফুটানো সম্ভব না। ওই ক্রিপি ডিটেইল শুধুমাত্র জুনজি সাহেবের পক্ষেই সম্ভব। শেষমেশ বলবো ছোট গল্প পছন্দ করা হররপ্রেমীরা অবশ্যই জুনজি ইতোর কাজ দেখবেন।

এই রইলো আমার স্পুকি অক্টোবরের স্পুকি এনিমে রেকমেন্ডেশন। হ্যালোউইনের মাসে এগুলো দেখতে পারেন একা অথবা বন্ধুদের সাথে। মোনোনোকের জাপানিজ লোককথার ভুত কিংবা টোকিও ঘোউলের মডার্ন মানুষখেকো ঘোউল, সবই পাবেন এই লিস্টে। কমেন্টে জানাবেন কোন এনিমে আপনার ভালো লাগে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত