আরিফ রহমান

১৯৭১ সালের রণক্ষেত্র। চারদিকে লুটপাট আর নারী নির্যাতনের মহোৎসব। সাধারণ সৈনিকরা নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে কথা বলছে। তাদেরই একজন প্রশ্ন তুলল— ‘আমাদের কমান্ডার (জেনারেল নিয়াজী) নিজেই তো একজন ধর্ষক। তাহলে আমাদের থামাবে কে?’
এই ভয়াবহ কথাটি কোনো গুজব নয়। এটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন দায়িত্বশীল অফিসারের জবানবন্দি । ৮ বালুচ রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজ আহমেদ খান এই সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তিনি হামুদুর রহমান কমিশনের সামনে দাঁড়িয়ে অকপটে সত্যটা বলেছিলেন। তিনি জানান, লুটপাট আর ধর্ষণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। এর মূল কারণ ছিল শীর্ষ নেতৃত্বের চরিত্রহীনতা। শিয়ালকোট থেকে লাহোর—সব জায়গাতেই জেনারেল নিয়াজীর এই কুখ্যাতি ছিল। খোদ সেনাপতিই যখন কলঙ্কিত, তখন সাধারণ সৈন্যরা তো গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে নারীদের ওপর হায়েনার মতোই ঝাঁপিয়ে পড়বে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান কেন পরাজিত হলো? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পাকিস্তান সরকার গঠন করেছিল ‘হামুদুর রহমান কমিশন’। ১৯৭২ ও ১৯৭৪ সালে এই কমিশন কাজ করে। দীর্ঘকাল এই রিপোর্ট ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। কারণটা খুব পরিষ্কার। সেখানে লুকিয়ে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পৈশাচিকতার নিজস্ব স্বীকারোক্তি। কোনো ভিনদেশি গবেষণা নয়। কোনো ভুক্তভোগীর কান্না নয়। বরং খোদ পাকিস্তানি অফিসারদের জবানবন্দিতেই উঠে এসেছে একাত্তরের ভয়াবহ চিত্র। একাত্তরের ধর্ষণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এটি ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মজ্জাগত ব্যাধি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজ আহমেদ খানের জবানবন্দি কমিশন উড়িয়ে দেয়নি। তদন্ত শেষে কমিশন তাদের নিজস্ব ফাইন্ডিংসে বিষয়টি লিপিবদ্ধ করে। রিপোর্টে লেখা হয়, ‘এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে নিয়াজী যৌন কেলেঙ্কারির বিষয়ে কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন।’ পূর্ব পাকিস্তানে তাঁর পোস্টিংয়ের সময় এই দুর্নাম আরও প্রকট হয়। একজন সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে যখন এমন জঘন্য অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তখন পুরো বাহিনীর নৈতিক স্খলন সহজেই অনুমেয়। হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্টটি প্রমাণ করে, একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধ করেনি। তারা একটি ‘ধর্ষক বাহিনী’ হিসেবে কাজ করেছে।
অনেকে একাত্তরের ধর্ষণকে যুদ্ধের ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বা ‘কোল্যাটারাল ড্যামেজ’ বলতে চান। কিন্তু হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট এই দাবি সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দেয়। রিপোর্টের দ্বিতীয় অধ্যায়ে কমিশন পরিষ্কার ভাষায় লিখেছে। তারা স্বীকার করেছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বিপুলসংখ্যক পূর্ব পাকিস্তানি নারীকে ধর্ষণের’ অভিযোগ সত্য। এই ধর্ষণগুলো করা হয়েছিল ‘সুপরিকল্পিত প্রতিহিংসা ও নির্যাতনের হাতিয়ার’ হিসেবে। কমিশন এখানে ‘ডিলিবেরেট এক্ট’ বা সুপরিকল্পিত কাজ শব্দটি ব্যবহার করেছে। অর্থাৎ, পাকিস্তান রাষ্ট্র নিজেই স্বীকার করছে যে, তাদের সেনাবাহিনী ঠান্ডা মাথায় নারীদের টার্গেট করেছিল। এটি ছিল তাদের প্রতিশোধের কৌশল।
বাংকারের অন্ধকূপে যৌনদাসী
নারীদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা কতটা ভয়াবহ ছিল তা উঠে আসে ৫৩ ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ইকবাল শফিরের সাক্ষ্যে। তিনি কমিশনের কাছে এক লোমহর্ষক তথ্য দেন। তিনি স্বীকার করেন, ‘কিছু অফিসার নারীদের বাংকারের ভেতরে আটকে রাখত।’ যুদ্ধের ময়দানে বাংকারের থাকার কথা সুরক্ষার জন্য। অথচ পাকিস্তানি অফিসাররা সেখানে নারীদের দিনের পর দিন আটকে রাখত। তাদের ব্যবহার করা হতো ‘সেক্স স্লেভ’ বা যৌনদাসী হিসেবে। বাংকারের অন্ধকূপে চালানো হতো পাশবিক নির্যাতন। এই তথ্য কোনো বাইরের সূত্র নয়। খোদ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিজস্ব তদন্তেই এই সত্য উঠে এসেছে।
একাত্তরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ছিল বিশেষ আক্রোশ। নারীদের ওপর নির্যাতনের ক্ষেত্রেও এর প্রতিফলন ঘটেছে। লে. কর্নেল আজিজ আহমেদ খান তাঁর সাক্ষ্যে জানান, জেনারেল নিয়াজী তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি কতজন হিন্দু হত্যা করেছেন। মে মাসে ২৩ ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার আব্দুল্লাহ মালিকের কাছ থেকে হিন্দু হত্যার লিখিত নির্দেশও এসেছিল। নির্দিষ্ট ধর্মাবলম্বীকে হত্যার লিখিত নির্দেশ যেখানে থাকে, সেখানে সেই সম্প্রদায়ের নারীদের ওপর নির্যাতন ছিল ‘স্বাভাবিক’ ঘটনা। কমিশনের রিপোর্টে উঠে এসেছে অফিসারদের নৈতিক অধঃপতনের চিত্র। ‘মদ এবং নারীর প্রতি লালসা’ অফিসারদের মধ্যে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছিল।
হামুদুর রহমান কমিশন রিপোর্ট বাংলাদেশের লেখা কোনো ইতিহাস নয়। এটি অপরাধীদের নিজেদের লেখা দলিলাদি। এই রিপোর্টে পাকিস্তানি অফিসাররা অন-রেকর্ড স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তারা মেনে নিয়েছেন, চিফ কমান্ডারের ধর্ষণ-প্রবণতাই সাধারণ সৈনিকদের বেপরোয়া করে তুলেছিল। কমিশন স্বীকার করেছে, বাঙালি নারীদের ওপর চরম ‘বাড়াবাড়ি’ করা হয়েছে। এরপর আর কোনো প্রমাণের প্রয়োজন হয় না। একাত্তরে বাংলাদেশে ধর্ষণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এটি ছিল টপ টু বটম সংক্রমিত এক ভয়াবহ ব্যাধি। ইসলামাবাদে সংরক্ষিত এই গোপন রিপোর্টটিই তার সবচাইতে বড় ও অকাট্য প্রমাণ।

১৯৭১ সালের রণক্ষেত্র। চারদিকে লুটপাট আর নারী নির্যাতনের মহোৎসব। সাধারণ সৈনিকরা নিজেদের মধ্যে ফিসফিস করে কথা বলছে। তাদেরই একজন প্রশ্ন তুলল— ‘আমাদের কমান্ডার (জেনারেল নিয়াজী) নিজেই তো একজন ধর্ষক। তাহলে আমাদের থামাবে কে?’
এই ভয়াবহ কথাটি কোনো গুজব নয়। এটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন দায়িত্বশীল অফিসারের জবানবন্দি । ৮ বালুচ রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজ আহমেদ খান এই সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তিনি হামুদুর রহমান কমিশনের সামনে দাঁড়িয়ে অকপটে সত্যটা বলেছিলেন। তিনি জানান, লুটপাট আর ধর্ষণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। এর মূল কারণ ছিল শীর্ষ নেতৃত্বের চরিত্রহীনতা। শিয়ালকোট থেকে লাহোর—সব জায়গাতেই জেনারেল নিয়াজীর এই কুখ্যাতি ছিল। খোদ সেনাপতিই যখন কলঙ্কিত, তখন সাধারণ সৈন্যরা তো গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে নারীদের ওপর হায়েনার মতোই ঝাঁপিয়ে পড়বে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান কেন পরাজিত হলো? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পাকিস্তান সরকার গঠন করেছিল ‘হামুদুর রহমান কমিশন’। ১৯৭২ ও ১৯৭৪ সালে এই কমিশন কাজ করে। দীর্ঘকাল এই রিপোর্ট ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। কারণটা খুব পরিষ্কার। সেখানে লুকিয়ে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পৈশাচিকতার নিজস্ব স্বীকারোক্তি। কোনো ভিনদেশি গবেষণা নয়। কোনো ভুক্তভোগীর কান্না নয়। বরং খোদ পাকিস্তানি অফিসারদের জবানবন্দিতেই উঠে এসেছে একাত্তরের ভয়াবহ চিত্র। একাত্তরের ধর্ষণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এটি ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মজ্জাগত ব্যাধি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজ আহমেদ খানের জবানবন্দি কমিশন উড়িয়ে দেয়নি। তদন্ত শেষে কমিশন তাদের নিজস্ব ফাইন্ডিংসে বিষয়টি লিপিবদ্ধ করে। রিপোর্টে লেখা হয়, ‘এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে নিয়াজী যৌন কেলেঙ্কারির বিষয়ে কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন।’ পূর্ব পাকিস্তানে তাঁর পোস্টিংয়ের সময় এই দুর্নাম আরও প্রকট হয়। একজন সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে যখন এমন জঘন্য অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তখন পুরো বাহিনীর নৈতিক স্খলন সহজেই অনুমেয়। হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্টটি প্রমাণ করে, একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধ করেনি। তারা একটি ‘ধর্ষক বাহিনী’ হিসেবে কাজ করেছে।
অনেকে একাত্তরের ধর্ষণকে যুদ্ধের ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বা ‘কোল্যাটারাল ড্যামেজ’ বলতে চান। কিন্তু হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট এই দাবি সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে দেয়। রিপোর্টের দ্বিতীয় অধ্যায়ে কমিশন পরিষ্কার ভাষায় লিখেছে। তারা স্বীকার করেছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বিপুলসংখ্যক পূর্ব পাকিস্তানি নারীকে ধর্ষণের’ অভিযোগ সত্য। এই ধর্ষণগুলো করা হয়েছিল ‘সুপরিকল্পিত প্রতিহিংসা ও নির্যাতনের হাতিয়ার’ হিসেবে। কমিশন এখানে ‘ডিলিবেরেট এক্ট’ বা সুপরিকল্পিত কাজ শব্দটি ব্যবহার করেছে। অর্থাৎ, পাকিস্তান রাষ্ট্র নিজেই স্বীকার করছে যে, তাদের সেনাবাহিনী ঠান্ডা মাথায় নারীদের টার্গেট করেছিল। এটি ছিল তাদের প্রতিশোধের কৌশল।
বাংকারের অন্ধকূপে যৌনদাসী
নারীদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা কতটা ভয়াবহ ছিল তা উঠে আসে ৫৩ ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার ইকবাল শফিরের সাক্ষ্যে। তিনি কমিশনের কাছে এক লোমহর্ষক তথ্য দেন। তিনি স্বীকার করেন, ‘কিছু অফিসার নারীদের বাংকারের ভেতরে আটকে রাখত।’ যুদ্ধের ময়দানে বাংকারের থাকার কথা সুরক্ষার জন্য। অথচ পাকিস্তানি অফিসাররা সেখানে নারীদের দিনের পর দিন আটকে রাখত। তাদের ব্যবহার করা হতো ‘সেক্স স্লেভ’ বা যৌনদাসী হিসেবে। বাংকারের অন্ধকূপে চালানো হতো পাশবিক নির্যাতন। এই তথ্য কোনো বাইরের সূত্র নয়। খোদ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নিজস্ব তদন্তেই এই সত্য উঠে এসেছে।
একাত্তরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ছিল বিশেষ আক্রোশ। নারীদের ওপর নির্যাতনের ক্ষেত্রেও এর প্রতিফলন ঘটেছে। লে. কর্নেল আজিজ আহমেদ খান তাঁর সাক্ষ্যে জানান, জেনারেল নিয়াজী তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি কতজন হিন্দু হত্যা করেছেন। মে মাসে ২৩ ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার আব্দুল্লাহ মালিকের কাছ থেকে হিন্দু হত্যার লিখিত নির্দেশও এসেছিল। নির্দিষ্ট ধর্মাবলম্বীকে হত্যার লিখিত নির্দেশ যেখানে থাকে, সেখানে সেই সম্প্রদায়ের নারীদের ওপর নির্যাতন ছিল ‘স্বাভাবিক’ ঘটনা। কমিশনের রিপোর্টে উঠে এসেছে অফিসারদের নৈতিক অধঃপতনের চিত্র। ‘মদ এবং নারীর প্রতি লালসা’ অফিসারদের মধ্যে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছিল।
হামুদুর রহমান কমিশন রিপোর্ট বাংলাদেশের লেখা কোনো ইতিহাস নয়। এটি অপরাধীদের নিজেদের লেখা দলিলাদি। এই রিপোর্টে পাকিস্তানি অফিসাররা অন-রেকর্ড স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তারা মেনে নিয়েছেন, চিফ কমান্ডারের ধর্ষণ-প্রবণতাই সাধারণ সৈনিকদের বেপরোয়া করে তুলেছিল। কমিশন স্বীকার করেছে, বাঙালি নারীদের ওপর চরম ‘বাড়াবাড়ি’ করা হয়েছে। এরপর আর কোনো প্রমাণের প্রয়োজন হয় না। একাত্তরে বাংলাদেশে ধর্ষণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এটি ছিল টপ টু বটম সংক্রমিত এক ভয়াবহ ব্যাধি। ইসলামাবাদে সংরক্ষিত এই গোপন রিপোর্টটিই তার সবচাইতে বড় ও অকাট্য প্রমাণ।

আজ বহুমাত্রিক লেখক সমরেশ বসুর জন্মদিন। আমৃত্যু অদম্য অপ্রতিরোধ্যভাবে সমরেশ লিখেছেন। লেখার টেবিল থেকে কলমের কালি হাতে মাখানো দশায় চিতায় উঠেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের প্রাক্কালে, যখন ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় সুনিশ্চিত, ঠিক সেই অন্তিম লগ্নে আল-বদর বাহিনীর নেতারা তাদের চূড়ান্ত বার্তা বা ‘আখেরি খিতাব’ দেন। এই বার্তাটি ছিল বাঙালি জাতির জন্য চরম বিপজ্জনক এক ঘোষণা।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ কবি বিনয় মজুমদারের মৃত্যুদিন। ‘নক্ষত্রের আলোয়’ থেকে ‘ফিরে এসো, চাকা’ বিনয়ের জীবনের যেমন কবিতার জন্যও ছিল বিশেষ এক পর্ব; সেই জীবন ও কবিতার পর্ব থেকে কখনও বের হতে পারেননি তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
১৯৯৮ সাল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার প্রায় ২৭ বছর পর, পাকিস্তানের সামরিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় যোগ করলেন লেফট্যানেন্ট জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজি। তিনি ছিলেন ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে ঢাকায় আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানি বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার।
৪ ঘণ্টা আগে