আলা বাদিউ

১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের মতো কিছু মানবজাতির ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাদের আপাত বিজয় ঘটছে। সেই ডামাডোলে একটি ঘটনা যেন ভুলেই গেছে সবাই। আমি এমন একটি বিষয়ের উপর জোর দিতে চাই। আর তা হোল ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লব। এই বিপ্লব ছিল মানবজাতির ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা।
এই প্রসঙ্গে একটি কথা মনে রাখা ভালো। সবদিক দিয়ে বিচার করলে মানুষের ইতিহাস কিন্তু মোটেও বেশি দিনের নয়। সব মিলিয়ে তা মাত্র ২ লাখ বছরের। আমাদের গ্রহের কোটি কোটি বছর ধরে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের তুলনায় তা কিছুই না। আমরা বলতেই পারি যে, এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে মূলত একটিই মৌলিক ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। আর সেটি হলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিপ্লব।
এই বিপ্লবের ফলে আসে আরও কার্যকর সব সরঞ্জাম, স্থায়ী কৃষিব্যবস্থা, জমির মালিকানার একটি স্থিতিশীল ধারণা, মৃৎশিল্প। আসে খাদ্য উদ্বৃত্তের সুযোগ। এই সুযোগ জন্ম দেয় এক অলস শাসক শ্রেণির। এর ফলেই সৃষ্টি হয় রাষ্ট্র, লেখালেখি, টাকা, কর, ব্রোঞ্জের কল্যাণে সামরিক সরঞ্জামের উন্নতি আর দূরপাল্লার বাণিজ্য...। এই সবকিছুই কয়েক হাজার বছর আগের ঘটনা। মানুষের সভ্যতা আদতে সেখান থেকে মৌলিকভাবে আর এগোয়নি। আমরা এখনও সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি।
আধুনিক বিজ্ঞান কাজে লাগিয়ে শিল্পোৎপাদন অনেক প্রক্রিয়াকে দ্রুত করেছে। তবে, আসল সত্যটা হলো—আমাদের বিশ্ব এখনো সেই নব্যপ্রস্তর যুগের বিশ্বই রয়ে গেছে। এখনো আমাদের বিশ্বে প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলো একে অন্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে। এখনো আমাদের পৃথিবীর অল্প কয়েকজন মানুষ বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষকে শোষণ করে নিজের মুনাফার জন্য। এখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব চরম, কাঁচামাল সামরিক উপায়ে লুণ্ঠন করা হয়। অপরদিকে, কোটি কোটি মানুষ প্রায় সম্পূর্ণভাবে নিঃস্ব হয়ে বেঁচে থাকে। আর আছে দরিদ্র কৃষকদের এক অন্তহীন জনস্রোত। এই মানুষগুলো মহানগরীগুলোর দিকে ছুটছে সামান্য কোনো কাজ করে বেঁচে থাকার জন্য।

অনেক পরে, বড়োজোর কয়েকশো বছর আগে, রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভিত্তি নিয়ে প্রশ্নটা রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে আসে। তখন থেকেই আমরা একটা ব্যাপারে যুক্তি দিতে শুরু করি। এমনকি প্রমাণও করতে পারি। আর তা হোল—ব্যক্তি ক্ষমতা বা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার আড়ালে একই ধরনের নিপীড়নমূলক ও বৈষম্যমূলক সামাজিক সংগঠন দিব্যি জাঁকিয়ে বসতে পারে। অর্থাৎ, এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো সবসময়েই নেওয়া হয় ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে সীমাহীন সুরক্ষা দিতে, পরিবারের মাধ্যমে সেই সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে আর সবশেষে, সম্পূর্ণ দানবীয় এক বৈষম্য টিকিয়ে রাখতে। আর সেই ব্যবস্থায় এই সবকিছুকে স্বাভাবিক ও অনিবার্য বলে ধরে নেওয়া হয়।
এরপর এলো সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রার বিপ্লবী উদ্যোগ। আগের বিপ্লবগুলো কেবল রাজনৈতিক ক্ষমতার ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পুরো উনিশ শতকজুড়ে ঘটেছে অনেক ব্যর্থ রক্তক্ষয়ী বিপ্লবী প্রচেষ্টা। তারা কেবল ক্ষমতার ধরণ নিয়েই মাথা ঘামিয়েছিল। সেইসব বিপর্যয়ের মধ্যে সবচেয়ে গৌরবময় প্যারিস কমিউন, যে বিপ্লবে প্যারিসের পাথুরে রাস্তায় যেখানে ত্রিশ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল।
তাহলে আমরা বিষয়টি এভাবে বলি—১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সালের মহাযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল রাশিয়া। এর ফলে রাশিয়ার স্বৈরাচারী কেন্দ্রীয় রাষ্ট্র দুর্বল হয়ে পড়ে। এই রাষ্ট্রের পতন ঘটিয়ে প্রথম গণতান্ত্রিক বিপ্লব (ফেব্রুয়ারি ১৯১৭) ঘটেছিল। সেই সময়ে একটি নবগঠিত তরুণ শ্রমিকশ্রেণি তৈরি হচ্ছিল। তারা ছিল বিদ্রোহ করতে তাদের আগ্রহের ঘটতি ছিল না। এই শ্রমিকদের দমিয়ে রাখার মতো কোনো রক্ষণশীল ইউনিয়ন তখন ছিল না। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল বলশেভিক পার্টি। এই পার্টির সংগঠন ছিল এককথায় অবিচল ও অনমনীয়। অন্যদিকে ছিলেন লেনিন ও ট্রটস্কি। তাঁদের ছিল গভীর মার্কসবাদী জ্ঞান। প্যারিস কমিউনের শিক্ষায় প্রভাবিত দীর্ঘ বিপ্লবী অভিজ্ঞতাও তাঁদের ছিল। অক্টোবর ১৯১৭-এ এই সবকিছু একাকার হলো। জন্ম নিল মানব ইতিহাসের প্রথম নব্যপ্রস্তর-পরবর্তী বিপ্লবের বিজয়।
এর মানে ছিল এমন একটি বিপ্লব, যা একটি নতুন ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই ক্ষমতার ঘোষিত লক্ষ্য ছিল সব ‘আধুনিক’ সমাজের হাজার বছরের পুরোনো ভিত্তিগুলোকে সম্পূর্ণভাবে উল্টে দেওয়া। সেই ভিত্তিটা ছিল উৎপাদন ও বিনিময়ের আর্থিক নিয়ন্ত্রণের মালিকদের গোপন একনায়কত্ব। এই বিপ্লব এক নতুন আধুনিকতার ভিত্তি উন্মোচন করে। আর এই পরম নতুনত্বের সাধারণ নাম ছিল, শুধু ছিল কেন, আমার মতে এখনও আছে—সাম্যবাদ।
বিশ্বজুড়ে নানা ধরনের মানুষ, শ্রমিক ও কৃষক জনমানুষ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী ও শিল্পী পর্যন্ত—এই বিপ্লবকে ‘সাম্যবাদ’ নামেই চিনতে পেরেছিল। আগের শতাব্দীতে বারবার মারাত্মক পরাজয়ের পর এই বিপ্লব ছিল যেন এক প্রতিশোধের প্রতীক। সেইভাবেই সবাই একে বিপুল উৎসাহে বরণ করে নিয়েছিল। আর তাই লেনিন তখন ঘোষণা করতে পেরেছিলেন—বিজয়ী বিপ্লবের যুগ এসেছে।
এই অভূতপূর্ব ঘটনার পরে অনেক রূপান্তর ঘটেছে। বর্তমানে নব্যপ্রস্তর যুগের গোষ্ঠীগুলো (অর্থাৎ পুঁজির মালিকেরা) বিশ্বজুড়ে আবার ক্ষমতা তাদের হাতে তুলে নিয়েছে। কিন্তু অক্টোবর ১৯১৭-এর সাম্যবাদী বিপ্লবই আমাদের একটি ভিত্তি হিসেবে রয়ে গেছে। এই ভিত্তি থেকে আমরা জানতে পারি, মানবতা যে বিশাল সময় নিয়ে বিকশিত হয়, সেই পরিসরে এই শাসক পুঁজিবাদ কেবল অতীতের বিষয়। ভবিষ্যতে এই পুঁজিবাদ থাকবে না। মানুষের সভ্যতার চলমান ক্ষণস্থায়ী চেহারা যেমনই হোক না কেন, এটাই আসল সত্য।
ফরাসি দার্শনিক আলা বাদিউয়ের লেখা ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন জাভেদ হুসেন

১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের মতো কিছু মানবজাতির ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাদের আপাত বিজয় ঘটছে। সেই ডামাডোলে একটি ঘটনা যেন ভুলেই গেছে সবাই। আমি এমন একটি বিষয়ের উপর জোর দিতে চাই। আর তা হোল ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লব। এই বিপ্লব ছিল মানবজাতির ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব ঘটনা।
এই প্রসঙ্গে একটি কথা মনে রাখা ভালো। সবদিক দিয়ে বিচার করলে মানুষের ইতিহাস কিন্তু মোটেও বেশি দিনের নয়। সব মিলিয়ে তা মাত্র ২ লাখ বছরের। আমাদের গ্রহের কোটি কোটি বছর ধরে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের তুলনায় তা কিছুই না। আমরা বলতেই পারি যে, এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে মূলত একটিই মৌলিক ‘বিপ্লব’ ঘটেছে। আর সেটি হলো নব্যপ্রস্তর যুগের বিপ্লব।
এই বিপ্লবের ফলে আসে আরও কার্যকর সব সরঞ্জাম, স্থায়ী কৃষিব্যবস্থা, জমির মালিকানার একটি স্থিতিশীল ধারণা, মৃৎশিল্প। আসে খাদ্য উদ্বৃত্তের সুযোগ। এই সুযোগ জন্ম দেয় এক অলস শাসক শ্রেণির। এর ফলেই সৃষ্টি হয় রাষ্ট্র, লেখালেখি, টাকা, কর, ব্রোঞ্জের কল্যাণে সামরিক সরঞ্জামের উন্নতি আর দূরপাল্লার বাণিজ্য...। এই সবকিছুই কয়েক হাজার বছর আগের ঘটনা। মানুষের সভ্যতা আদতে সেখান থেকে মৌলিকভাবে আর এগোয়নি। আমরা এখনও সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি।
আধুনিক বিজ্ঞান কাজে লাগিয়ে শিল্পোৎপাদন অনেক প্রক্রিয়াকে দ্রুত করেছে। তবে, আসল সত্যটা হলো—আমাদের বিশ্ব এখনো সেই নব্যপ্রস্তর যুগের বিশ্বই রয়ে গেছে। এখনো আমাদের বিশ্বে প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলো একে অন্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে। এখনো আমাদের পৃথিবীর অল্প কয়েকজন মানুষ বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষকে শোষণ করে নিজের মুনাফার জন্য। এখানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গুরুত্ব চরম, কাঁচামাল সামরিক উপায়ে লুণ্ঠন করা হয়। অপরদিকে, কোটি কোটি মানুষ প্রায় সম্পূর্ণভাবে নিঃস্ব হয়ে বেঁচে থাকে। আর আছে দরিদ্র কৃষকদের এক অন্তহীন জনস্রোত। এই মানুষগুলো মহানগরীগুলোর দিকে ছুটছে সামান্য কোনো কাজ করে বেঁচে থাকার জন্য।

অনেক পরে, বড়োজোর কয়েকশো বছর আগে, রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভিত্তি নিয়ে প্রশ্নটা রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে আসে। তখন থেকেই আমরা একটা ব্যাপারে যুক্তি দিতে শুরু করি। এমনকি প্রমাণও করতে পারি। আর তা হোল—ব্যক্তি ক্ষমতা বা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার আড়ালে একই ধরনের নিপীড়নমূলক ও বৈষম্যমূলক সামাজিক সংগঠন দিব্যি জাঁকিয়ে বসতে পারে। অর্থাৎ, এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো সবসময়েই নেওয়া হয় ব্যক্তিগত সম্পত্তিকে সীমাহীন সুরক্ষা দিতে, পরিবারের মাধ্যমে সেই সম্পত্তির উত্তরাধিকার নিশ্চিত করতে আর সবশেষে, সম্পূর্ণ দানবীয় এক বৈষম্য টিকিয়ে রাখতে। আর সেই ব্যবস্থায় এই সবকিছুকে স্বাভাবিক ও অনিবার্য বলে ধরে নেওয়া হয়।
এরপর এলো সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রার বিপ্লবী উদ্যোগ। আগের বিপ্লবগুলো কেবল রাজনৈতিক ক্ষমতার ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পুরো উনিশ শতকজুড়ে ঘটেছে অনেক ব্যর্থ রক্তক্ষয়ী বিপ্লবী প্রচেষ্টা। তারা কেবল ক্ষমতার ধরণ নিয়েই মাথা ঘামিয়েছিল। সেইসব বিপর্যয়ের মধ্যে সবচেয়ে গৌরবময় প্যারিস কমিউন, যে বিপ্লবে প্যারিসের পাথুরে রাস্তায় যেখানে ত্রিশ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল।
তাহলে আমরা বিষয়টি এভাবে বলি—১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সালের মহাযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল রাশিয়া। এর ফলে রাশিয়ার স্বৈরাচারী কেন্দ্রীয় রাষ্ট্র দুর্বল হয়ে পড়ে। এই রাষ্ট্রের পতন ঘটিয়ে প্রথম গণতান্ত্রিক বিপ্লব (ফেব্রুয়ারি ১৯১৭) ঘটেছিল। সেই সময়ে একটি নবগঠিত তরুণ শ্রমিকশ্রেণি তৈরি হচ্ছিল। তারা ছিল বিদ্রোহ করতে তাদের আগ্রহের ঘটতি ছিল না। এই শ্রমিকদের দমিয়ে রাখার মতো কোনো রক্ষণশীল ইউনিয়ন তখন ছিল না। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল বলশেভিক পার্টি। এই পার্টির সংগঠন ছিল এককথায় অবিচল ও অনমনীয়। অন্যদিকে ছিলেন লেনিন ও ট্রটস্কি। তাঁদের ছিল গভীর মার্কসবাদী জ্ঞান। প্যারিস কমিউনের শিক্ষায় প্রভাবিত দীর্ঘ বিপ্লবী অভিজ্ঞতাও তাঁদের ছিল। অক্টোবর ১৯১৭-এ এই সবকিছু একাকার হলো। জন্ম নিল মানব ইতিহাসের প্রথম নব্যপ্রস্তর-পরবর্তী বিপ্লবের বিজয়।
এর মানে ছিল এমন একটি বিপ্লব, যা একটি নতুন ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই ক্ষমতার ঘোষিত লক্ষ্য ছিল সব ‘আধুনিক’ সমাজের হাজার বছরের পুরোনো ভিত্তিগুলোকে সম্পূর্ণভাবে উল্টে দেওয়া। সেই ভিত্তিটা ছিল উৎপাদন ও বিনিময়ের আর্থিক নিয়ন্ত্রণের মালিকদের গোপন একনায়কত্ব। এই বিপ্লব এক নতুন আধুনিকতার ভিত্তি উন্মোচন করে। আর এই পরম নতুনত্বের সাধারণ নাম ছিল, শুধু ছিল কেন, আমার মতে এখনও আছে—সাম্যবাদ।
বিশ্বজুড়ে নানা ধরনের মানুষ, শ্রমিক ও কৃষক জনমানুষ থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী ও শিল্পী পর্যন্ত—এই বিপ্লবকে ‘সাম্যবাদ’ নামেই চিনতে পেরেছিল। আগের শতাব্দীতে বারবার মারাত্মক পরাজয়ের পর এই বিপ্লব ছিল যেন এক প্রতিশোধের প্রতীক। সেইভাবেই সবাই একে বিপুল উৎসাহে বরণ করে নিয়েছিল। আর তাই লেনিন তখন ঘোষণা করতে পেরেছিলেন—বিজয়ী বিপ্লবের যুগ এসেছে।
এই অভূতপূর্ব ঘটনার পরে অনেক রূপান্তর ঘটেছে। বর্তমানে নব্যপ্রস্তর যুগের গোষ্ঠীগুলো (অর্থাৎ পুঁজির মালিকেরা) বিশ্বজুড়ে আবার ক্ষমতা তাদের হাতে তুলে নিয়েছে। কিন্তু অক্টোবর ১৯১৭-এর সাম্যবাদী বিপ্লবই আমাদের একটি ভিত্তি হিসেবে রয়ে গেছে। এই ভিত্তি থেকে আমরা জানতে পারি, মানবতা যে বিশাল সময় নিয়ে বিকশিত হয়, সেই পরিসরে এই শাসক পুঁজিবাদ কেবল অতীতের বিষয়। ভবিষ্যতে এই পুঁজিবাদ থাকবে না। মানুষের সভ্যতার চলমান ক্ষণস্থায়ী চেহারা যেমনই হোক না কেন, এটাই আসল সত্য।
ফরাসি দার্শনিক আলা বাদিউয়ের লেখা ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন জাভেদ হুসেন

২০০৭ সালের ‘ওয়ান-ইলেভেন’ থেকে ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং তৎপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ এই লেখা। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের অভাব, আমলাতান্ত্রিক নির্ভরতার সংকট এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের ফলে সৃষ্ট সামাজিক ক্ষত ত
৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকার ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভিন্ন আবহে পালিত হয় ৫৪তম মৈত্রী দিবস। এতে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে স্থিতিশীল, ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত বার্ষিক ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সের এবারের আলোচনার শিরোনাম ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা সবাই এখন এই বিষয়টি নিয়েই ভাবছি।
১ দিন আগে
পেরুর বিচারক লুজ দেল কারমেন ইবানিয়েজ কারাঞ্জর ওপর গত জুনে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। কারণ, তিনি ২০০৩ সালের পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের অপরাধ তদন্তের অনুমতি দিয়েছিলেন। তাকে নিয়ে গত এক বছরে ছয়জন আইসিসি বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
১ দিন আগে