আমাদের মতো শিক্ষিত মধ্যবিত্তকে গরিব মানুষের মৃত্যু যতটা আন্দোলিত করে, সে তুলনায় নিজের শ্রেণির মানুষের মৃত্যুতে আমরা কি খানিকটা বেশিই হাহাকার করি না? সম্প্রতি মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ি আগুনের ঘটনা এবং ২০২৪ সালে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই নামের রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের তুলনা করলে আমরা কী দেখতে পাই? আমরা কি দুটি ঘটনাকে একই মূল্য দিয়ে বিচার করেছি?
নাজিয়া আফরিন

রাজধানীর রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকার পোশাক কারখানায় যাঁরা পুড়ে মারা গেলেন, তাঁদের আমি চিনি না। আমি তাঁদের চেহারা দেখিনি, নামও জানি না। আমি শুধু জানি, ঢাকায় আরেকটা কারখানায় আগুন লেগেছে, যেখানে আটকা পড়ে বেশ কিছু শ্রমিক মারা গেছেন। বিশ্বজুড়ে ২৪ ঘণ্টার সংবাদচক্রে এটা একটা ক্ষণিকের জ্বলে ওঠা ঘটনা, পরমুহূর্তেই যার স্থান নিয়েছে অন্য কোনো সংবাদ শিরোনাম। আর মোদ্দা কথা হলো সেটাই! বেনামি এই পোড়া লাশেরা এমন এক ব্যবস্থার চিহ্ন বহন করে, যা প্রাণঘাতী আগুনের শিখা জ্বলে ওঠার বহু আগেই ঠিক করে ফেলেছে যে তাঁদের জীবনের মূল্য অনেক কম।
কেন এই কথা বলা হলো? বলা হলো এ কারণে যে আমাদের মতো শিক্ষিত মধ্যবিত্তকে গরিব মানুষের মৃত্যু যতটা আন্দোলিত করে, সে তুলনায় নিজের শ্রেণির মানুষের মৃত্যুতে আমরা কি খানিকটা বেশিই হাহাকার করি না? সম্প্রতি মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ি আগুনের ঘটনা এবং ২০২৪ সালে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই নামের রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের তুলনা করলে আমরা কী দেখতে পাই? আমরা কি দুটি ঘটনাকে একই মূল্য দিয়ে বিচার করেছি?
ক্যামেরুনের ইতিহাসবিদ এবং রাজনীতিবিষয়ক তাত্ত্বিক আশিল বেম্বের নেক্রোপলিটিক্সের ধারণাটি যেন বাতাসে ওই ঝাঁঝালো ধোঁয়ার মতোই ঝুলে থাকে। ‘নেক্রোপলিটিক্স’ প্রপঞ্চটির বাংলা করলে যা দাঁড়ায় তা হলো—লাশের রাজনীতি। এটা হলো সেই কটু সত্য যা বলে, ক্ষমতার মানে এই নয় যে কিছু মানুষের জীবন কেমন হবে তা নির্ধারণ করা; বরং ক্ষমতা মানে হলো কে মরবে এবং কীভাবে মরবে তা নিয়ন্ত্রণ করা।
বেম্বে বলছেন, কীভাবে রাজনৈতিক শক্তি এবং সার্বভৌমত্ব কে বাঁচবে আর কে মরবে, তা নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। এখন আশিল বেম্বের ধারণার আলোকে মিরপুরেরে রূপনগরের কারখানায় আগুনের ঘটনাটি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে, ‘আর এন ফ্যাশন’ নামের এই পোশাক কারখানাটি কোনো বিচ্ছিন্ন মরণ ফাঁদ ছিল না; সেটা ছিল সস্তা পণ্য উৎপাদনের জন্য নির্মিত ‘ডেথ ওয়ার্ল্ড’ বা ‘মৃত্যুপুরি’র অনুমেয় উপাদান। বলা ভালো, এই স্থানগুলোতেই নেক্রোপলিটিক্সের যুক্তি সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানাটি আসলে স্লো মোশনে শ্রমিকদের মৃত্যু নিশ্চিত করে হয়তো এমন দুর্ঘটনার দিকেই আগাচ্ছিল। আর আমরা—সারা দুনিয়ার সংবাদ ভোক্তারাও এই দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। কেন না, আমাদের জন্য সুলভ মূল্যের কাপড় সেই ব্যবস্থার ভেতর দিয়েই আসে যা ওই শ্রমিকদের জীবনকে এতটা সস্তা করেছে।
বিষয়টি আরও বোধগম্য করে তুলতে পারে মার্কিন দার্শনিক জুডিথ বাটলারের ‘গ্রিভেবিলিটি’ বা ‘শোকযোগত্যতা’র ধারণা। আপনি শোকযোগ্য মানে আপনার জীবনাবসানে শোক করা যেতে পারে, সামষ্টিক অস্তিত্বের কাছে আপনার জীবনের মূল্য রয়েছে। পৃথিবীর এ প্রান্তে অগণিত কারখানা-বিপর্যয়ে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের মতো রূপনগরের শ্রমিকদের প্রাণের সে মর্যাদা নেই। তাঁরা যেন জম্বি বা জীবন্মৃত। সিনেমার পর্দায় শয়ে শয়ে জম্বি মরে গেলে আমরা উল্টো যেমন হাততালি দিই, একইভাবে গরিব শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর আমাদের চোখে পড়লেও আমরা যেন সমবেদনা জানানোরও ফুরসত পাই না। এই মৃত্যু সংবাদ আমরা দেখি তারপর মোবাইল স্ক্রল করে অন্যত্র চলে যাই। ব্যস্ত হই অন্য কিছু নিয়ে।
আসল সত্য হলো, আমরা যারা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত, তাদের এই যে শ্রমিকদের মৃত্যু ততটা বিচলিত করে না, যতটা আমাদের কাছাকাছি অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক বলয়ের মানুষের মৃত্যুতে আমরা মুষড়ে পড়ি। এটাই হলো চূড়ান্ত নেক্রোপলিটিকাল তৎপরতা—যেখানে শুধু মৃত্যুর পরিস্থিতি তৈরিই নয়; বরং এটা নিশ্চিত করা হয় যে মৃত্যুগুলো যাতে অগোচরে ঘটে; এবং সবাই বিস্মৃত হয়।
একজন সংবাদ ভোক্তা হিসেবে, আমিও এর শরিক। আমি কী খাই, কোন ধরনের কাপড় পরি, কোন মোবাইল ফোন ব্যবহার করি এবং আমি দাবি করি এসব পণ্যের দাম আমার নাগালের মধ্যে থাকুক। স্পষ্ট কথায় বললে, এসবই ডেথ ওয়ার্ল্ড বা মৃত্যুপুরীর বিশালাকার যন্ত্রের নাটবল্টু।
আমি শুধু নিজেরে শুধাই, আমি কি সত্যিই ওই গরিব শ্রমিকদের জন্য শোক অনুভব করি, নাকি চেতনে-অবচেতনে তাদের জন্য উপরি করুণা বোধ করি? বেম্বে আর বাটলারের তত্ত্ব আমাকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়।
তখন শুধুই অস্বস্তি হয় আমার। যে অস্বস্তি আমি বোধ করি তা পুঁজিবাদনির্ভর দেখনদারি ব্যবস্থার সঙ্গে বোঝাপড়ার জরুরি অংশ তো বটেই। আদতে এই ব্যবস্থাই কিছু মৃত্যুকে আমাদের কাছে নাটকীয় ও প্রদর্শনযোগ্য করে তোলে আর কিছু মৃত্যুকে দৈনন্দিন জীবনের অন্তহীন কোলাহলে গুম করে দেয়।
লেখক: শিক্ষক, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস; সাংবাদিক

রাজধানীর রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকার পোশাক কারখানায় যাঁরা পুড়ে মারা গেলেন, তাঁদের আমি চিনি না। আমি তাঁদের চেহারা দেখিনি, নামও জানি না। আমি শুধু জানি, ঢাকায় আরেকটা কারখানায় আগুন লেগেছে, যেখানে আটকা পড়ে বেশ কিছু শ্রমিক মারা গেছেন। বিশ্বজুড়ে ২৪ ঘণ্টার সংবাদচক্রে এটা একটা ক্ষণিকের জ্বলে ওঠা ঘটনা, পরমুহূর্তেই যার স্থান নিয়েছে অন্য কোনো সংবাদ শিরোনাম। আর মোদ্দা কথা হলো সেটাই! বেনামি এই পোড়া লাশেরা এমন এক ব্যবস্থার চিহ্ন বহন করে, যা প্রাণঘাতী আগুনের শিখা জ্বলে ওঠার বহু আগেই ঠিক করে ফেলেছে যে তাঁদের জীবনের মূল্য অনেক কম।
কেন এই কথা বলা হলো? বলা হলো এ কারণে যে আমাদের মতো শিক্ষিত মধ্যবিত্তকে গরিব মানুষের মৃত্যু যতটা আন্দোলিত করে, সে তুলনায় নিজের শ্রেণির মানুষের মৃত্যুতে আমরা কি খানিকটা বেশিই হাহাকার করি না? সম্প্রতি মিরপুরের রূপনগরের শিয়ালবাড়ি আগুনের ঘটনা এবং ২০২৪ সালে বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই নামের রেস্টুরেন্টে অগ্নিকাণ্ডের তুলনা করলে আমরা কী দেখতে পাই? আমরা কি দুটি ঘটনাকে একই মূল্য দিয়ে বিচার করেছি?
ক্যামেরুনের ইতিহাসবিদ এবং রাজনীতিবিষয়ক তাত্ত্বিক আশিল বেম্বের নেক্রোপলিটিক্সের ধারণাটি যেন বাতাসে ওই ঝাঁঝালো ধোঁয়ার মতোই ঝুলে থাকে। ‘নেক্রোপলিটিক্স’ প্রপঞ্চটির বাংলা করলে যা দাঁড়ায় তা হলো—লাশের রাজনীতি। এটা হলো সেই কটু সত্য যা বলে, ক্ষমতার মানে এই নয় যে কিছু মানুষের জীবন কেমন হবে তা নির্ধারণ করা; বরং ক্ষমতা মানে হলো কে মরবে এবং কীভাবে মরবে তা নিয়ন্ত্রণ করা।
বেম্বে বলছেন, কীভাবে রাজনৈতিক শক্তি এবং সার্বভৌমত্ব কে বাঁচবে আর কে মরবে, তা নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। এখন আশিল বেম্বের ধারণার আলোকে মিরপুরেরে রূপনগরের কারখানায় আগুনের ঘটনাটি বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে, ‘আর এন ফ্যাশন’ নামের এই পোশাক কারখানাটি কোনো বিচ্ছিন্ন মরণ ফাঁদ ছিল না; সেটা ছিল সস্তা পণ্য উৎপাদনের জন্য নির্মিত ‘ডেথ ওয়ার্ল্ড’ বা ‘মৃত্যুপুরি’র অনুমেয় উপাদান। বলা ভালো, এই স্থানগুলোতেই নেক্রোপলিটিক্সের যুক্তি সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। রাসায়নিকের গুদাম ও পোশাক কারখানাটি আসলে স্লো মোশনে শ্রমিকদের মৃত্যু নিশ্চিত করে হয়তো এমন দুর্ঘটনার দিকেই আগাচ্ছিল। আর আমরা—সারা দুনিয়ার সংবাদ ভোক্তারাও এই দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। কেন না, আমাদের জন্য সুলভ মূল্যের কাপড় সেই ব্যবস্থার ভেতর দিয়েই আসে যা ওই শ্রমিকদের জীবনকে এতটা সস্তা করেছে।
বিষয়টি আরও বোধগম্য করে তুলতে পারে মার্কিন দার্শনিক জুডিথ বাটলারের ‘গ্রিভেবিলিটি’ বা ‘শোকযোগত্যতা’র ধারণা। আপনি শোকযোগ্য মানে আপনার জীবনাবসানে শোক করা যেতে পারে, সামষ্টিক অস্তিত্বের কাছে আপনার জীবনের মূল্য রয়েছে। পৃথিবীর এ প্রান্তে অগণিত কারখানা-বিপর্যয়ে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের মতো রূপনগরের শ্রমিকদের প্রাণের সে মর্যাদা নেই। তাঁরা যেন জম্বি বা জীবন্মৃত। সিনেমার পর্দায় শয়ে শয়ে জম্বি মরে গেলে আমরা উল্টো যেমন হাততালি দিই, একইভাবে গরিব শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর আমাদের চোখে পড়লেও আমরা যেন সমবেদনা জানানোরও ফুরসত পাই না। এই মৃত্যু সংবাদ আমরা দেখি তারপর মোবাইল স্ক্রল করে অন্যত্র চলে যাই। ব্যস্ত হই অন্য কিছু নিয়ে।
আসল সত্য হলো, আমরা যারা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত, তাদের এই যে শ্রমিকদের মৃত্যু ততটা বিচলিত করে না, যতটা আমাদের কাছাকাছি অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক বলয়ের মানুষের মৃত্যুতে আমরা মুষড়ে পড়ি। এটাই হলো চূড়ান্ত নেক্রোপলিটিকাল তৎপরতা—যেখানে শুধু মৃত্যুর পরিস্থিতি তৈরিই নয়; বরং এটা নিশ্চিত করা হয় যে মৃত্যুগুলো যাতে অগোচরে ঘটে; এবং সবাই বিস্মৃত হয়।
একজন সংবাদ ভোক্তা হিসেবে, আমিও এর শরিক। আমি কী খাই, কোন ধরনের কাপড় পরি, কোন মোবাইল ফোন ব্যবহার করি এবং আমি দাবি করি এসব পণ্যের দাম আমার নাগালের মধ্যে থাকুক। স্পষ্ট কথায় বললে, এসবই ডেথ ওয়ার্ল্ড বা মৃত্যুপুরীর বিশালাকার যন্ত্রের নাটবল্টু।
আমি শুধু নিজেরে শুধাই, আমি কি সত্যিই ওই গরিব শ্রমিকদের জন্য শোক অনুভব করি, নাকি চেতনে-অবচেতনে তাদের জন্য উপরি করুণা বোধ করি? বেম্বে আর বাটলারের তত্ত্ব আমাকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়।
তখন শুধুই অস্বস্তি হয় আমার। যে অস্বস্তি আমি বোধ করি তা পুঁজিবাদনির্ভর দেখনদারি ব্যবস্থার সঙ্গে বোঝাপড়ার জরুরি অংশ তো বটেই। আদতে এই ব্যবস্থাই কিছু মৃত্যুকে আমাদের কাছে নাটকীয় ও প্রদর্শনযোগ্য করে তোলে আর কিছু মৃত্যুকে দৈনন্দিন জীবনের অন্তহীন কোলাহলে গুম করে দেয়।
লেখক: শিক্ষক, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস; সাংবাদিক

২০০৭ সালের ‘ওয়ান-ইলেভেন’ থেকে ২০২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং তৎপরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ এই লেখা। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের অভাব, আমলাতান্ত্রিক নির্ভরতার সংকট এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের ফলে সৃষ্ট সামাজিক ক্ষত ত
৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকার ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গত ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভিন্ন আবহে পালিত হয় ৫৪তম মৈত্রী দিবস। এতে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে স্থিতিশীল, ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত বার্ষিক ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সের এবারের আলোচনার শিরোনাম ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা সবাই এখন এই বিষয়টি নিয়েই ভাবছি।
১ দিন আগে
পেরুর বিচারক লুজ দেল কারমেন ইবানিয়েজ কারাঞ্জর ওপর গত জুনে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। কারণ, তিনি ২০০৩ সালের পর আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের অপরাধ তদন্তের অনুমতি দিয়েছিলেন। তাকে নিয়ে গত এক বছরে ছয়জন আইসিসি বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
১ দিন আগে