বিজ্ঞান আমাদের এমন কিছু সহজ পদ্ধতির খোঁজ দিয়েছে, যা আমাদের অশান্ত মনে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এগুলো অনুসরণ করে আপনি ফিরে পেতে পারেন মানসিক প্রশান্তি। চলুন জেনে নিই, বিজ্ঞান কী বলছে মন শান্ত করার বিষয়ে।
ফাবিহা বিনতে হক

স্মার্টফোনে অবিরাম নোটিফিকেশন, কাজের ডেডলাইন আর সংসারের ঝামেলায় আপনার মন সবসময় ব্যতিব্যস্ত, অস্থির! দিনশেষে বিছানায় শুয়েও রেহাই নেই, মনের ভেতর চিন্তার রেলগাড়ি চলতেই থাকে। অনেকটা ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ ব্যান্ডের সম্পাদিত অ্যালবামের অরুণেন্দু দাসের গানের মতো, ‘মনে ভাবনা তবু ঘিরে রয়েছে সদাই, এত চাওয়া নিয়ে কোথা যাই?’
মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায় সোশ্যাল মিডিয়া—যেখানে সবাই সুখী, শুধু আপনি ছাড়া! চারপাশের এই কৃত্রিম সুখের মিছিলে আপনার অশান্ত মন সারাক্ষণ ভাবতে থাকে, ‘কোথায় শান্তি পাবো, কোথায় গেলে?’
কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন যেখানে দায়িত্ব ফেলে পালিয়ে যাওয়া যায় না। তবে আশার কথা হলো, নিউরোসায়েন্স ও মনোবিজ্ঞান আমাদের এমন কিছু সহজ পদ্ধতির খোঁজ দিয়েছে, যা আমাদের অশান্ত মনে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এই পদ্ধতিগুলো জটিল কোনও প্রক্রিয়া নয়, বরং প্রতিদিনের জীবনে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন। এগুলো অনুসরণ করে আপনি ফিরে পেতে পারেন মানসিক প্রশান্তি। চলুন জেনে নিই, বিজ্ঞান কী বলছে মন শান্ত করার বিষয়ে।
বুক ধড়ফড় করা বা অস্থির লাগলে বড়রা বলতেন, লম্বা শ্বাস নাও। আমরা হয়ত বড়দের এই উপদেশকে কথার কথা হিসেবে উড়িয়ে দেই। কিন্তু এটি কোনও কুসংস্কার নয়, এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞানের ব্যাখা।
আমাদের ঘাড়ে 'ভেগাস নার্ভ’ নামে একটি বিশেষ স্নায়ু রয়েছে। এটি আমাদের মস্তিষ্কের ‘রিল্যাক্সেশন সুইচ’। যখন আমরা লম্বা শ্বাস নিই, তখন এই স্নায়ুটি মস্তিষ্ককে সংকেত পাঠায়, 'সব ঠিক আছে, এখন শান্ত হও।'
তাই মনোবিজ্ঞানীরা ‘৪-৭-৮’ পদ্ধতিকে দারুণ কার্যকরী বলে মনে করেন। প্রথমে ৪ সেকেন্ড নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। তারপর ৭ সেকেন্ড শ্বাসটি ভেতরে আটকে রাখুন এবং পরবর্তী ৮ সেকেন্ডে শিস দেওয়ার মতো করে মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। মাত্র তিন-চার বার এটি করলেই দেখবেন, আপনার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হয়ে আসছে আর অস্থিরতা কমে যাচ্ছে।
জাপানি গবেষকরা ‘শিনরিন-ইওকু’ নামে একটি চমৎকার শব্দ ব্যবহার করেন, যার বাংলা অর্থ হতে পারে ‘ফরেস্ট বাথিং’ বা সবুজ স্নান।
গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ যখন প্রকৃতির কাছাকাছি থাকে, তখন মস্তিষ্কের প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স অর্থাৎ মস্তিষ্কের যে অংশটি চিন্তা-ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করে, সেই অংশটি বিশ্রাম পায়।

নিশ্চয়ই ভাবছেন, মন শান্ত করতে কী আপনাকে ‘বনবাসী' হতে হবে বা জঙ্গলে চলে যেতে হবে? উত্তরটি হলো, না। চাইলে আরও সহজভাবে আপনি আপনার মনকে শান্ত করতে পারেন। বিকেলবেলা কোনো পার্কের গাছের নিচে ১৫-২০ মিনিট হাঁটুন। এটিও সম্ভব না হলে বারান্দার গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকুন।
মাথার ভেতর যখন হাজারো চিন্তা ঘুরপাক খায়, তখন মন শান্ত করা কঠিন। মনোবিজ্ঞানীরা একে বলেন ‘কগনিটিভ লোড’ বা মস্তিষ্কের অতিরিক্ত বোঝা। এই বোঝা কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, লিখে ফেলা।
শোয়ার আগে মাত্র ৫ মিনিট সময় নিন। একটা ডায়েরি বা কাগজে আপনার মনের সব চিন্তাগুলো লিখে ফেলুন কিংবা আজ সারাদিন কী কী হলো সেটিও লিখতে পারেন। কোন কোন বিষয়ে আপনি চিন্তিত বা কার ব্যবহারে দু:খ পেয়েছেন, কাগজে লিখে ফেলুন।
মনে রাখবেন, ঘটনা যত তুচ্ছই হোক না কেন তা যদি আপনাকে বিন্দুমাত্র কষ্ট দেয়, তা আপনার মনে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে আগামী দিনের জন্য মনকে প্রস্তুত করতে ঘটনাটি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা ভালো।
গবেষণা বলছে, চিন্তাকে যখন আমরা লেখায় রূপ দেই, মস্তিষ্ক তখন মনে করে, 'যাক, বিষয়টা তো নোট করা হলো, এখন আর মনে না রাখলেও চলবে।' এতে মস্তিষ্ক ভারমুক্ত হয় এবং ঘুম ভালো হয়।
আমরা অনেকেই মন খারাপ থাকলে ফোন স্ক্রল করতে থাকি। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, এটি আগুনে ঘি ঢালার মতো। ফোনের স্ক্রিন থেকে আসা 'ব্লু লাইট’ আমাদের মস্তিষ্কের মেলাটোনিন হরমোন কমিয়ে দেয়। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক খবর বা অন্যের চাকচিক্যময় জীবন দেখে আমাদের অবচেতন মনে এক ধরনের চাপ তৈরি হয়।
নিজেকে শান্ত রাখতে দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ‘ডিজিটাল বিরতি’ নিন। বিশেষ করে ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে ফোনটি দূরে সরিয়ে রাখুন। এই সময়টা বই পড়া বা পরিবারের মানুষের সঙ্গে কথা বলে কাটান। মস্তিষ্কের উত্তেজনা কমাতে এটি দারুণ কার্যকর।
ব্যায়ামের কথা শুনলেই আজকাল অনেকে ভয় পান। ফেসবুক-ইউটিউবের রিলস ঘাটতে ঘাটতে আর হাত-পা নাড়ানোর ইচ্ছা হয়না কারো। কিন্তু মন শান্ত করতে শরীরের ভূমিকা অনেক বেশি।
ভাবছেন, মন শান্ত করতে কি তবে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে হবে? না। শুধু ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা হালকা স্ট্রেচিং-ই যথেষ্ট।
আমরা যখন শারীরিক পরিশ্রম করি, তখন আমাদের শরীর 'এন্ডোরফিন’ নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে। একে বলা হয় ‘প্রাকৃতিক পেইনকিলার’। এটি মেজাজ খিটখিটে হওয়া কমায় এবং মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে। বিজ্ঞানীদের মতে, যারা নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করেন, তাদের দুশ্চিন্তা করার প্রবণতা অন্যদের চেয়ে কম।
মন শান্ত রাখলেই যে আপনার জীবনে কোনো সমস্যা থাকবে না, তা কিন্তু নয়। তবে হাজারো সমস্যার মাঝেও নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করা, নিজেকে স্থির রাখার চেষ্টা করা জরুরি। উপরের পাঁচটি পদ্ধতি হয়তো আপনার সব সমস্যা সমাধান করবে না, কিন্তু সমস্যা সামলানোর জন্য আপনার মনকে প্রস্তুত করবে। কে বলতে পারে, এই ছোট ছোট ধাপগুলোই হয়ত একসময় আপনার একঘেয়ে জীবনে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।

স্মার্টফোনে অবিরাম নোটিফিকেশন, কাজের ডেডলাইন আর সংসারের ঝামেলায় আপনার মন সবসময় ব্যতিব্যস্ত, অস্থির! দিনশেষে বিছানায় শুয়েও রেহাই নেই, মনের ভেতর চিন্তার রেলগাড়ি চলতেই থাকে। অনেকটা ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ ব্যান্ডের সম্পাদিত অ্যালবামের অরুণেন্দু দাসের গানের মতো, ‘মনে ভাবনা তবু ঘিরে রয়েছে সদাই, এত চাওয়া নিয়ে কোথা যাই?’
মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায় সোশ্যাল মিডিয়া—যেখানে সবাই সুখী, শুধু আপনি ছাড়া! চারপাশের এই কৃত্রিম সুখের মিছিলে আপনার অশান্ত মন সারাক্ষণ ভাবতে থাকে, ‘কোথায় শান্তি পাবো, কোথায় গেলে?’
কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন যেখানে দায়িত্ব ফেলে পালিয়ে যাওয়া যায় না। তবে আশার কথা হলো, নিউরোসায়েন্স ও মনোবিজ্ঞান আমাদের এমন কিছু সহজ পদ্ধতির খোঁজ দিয়েছে, যা আমাদের অশান্ত মনে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এই পদ্ধতিগুলো জটিল কোনও প্রক্রিয়া নয়, বরং প্রতিদিনের জীবনে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন। এগুলো অনুসরণ করে আপনি ফিরে পেতে পারেন মানসিক প্রশান্তি। চলুন জেনে নিই, বিজ্ঞান কী বলছে মন শান্ত করার বিষয়ে।
বুক ধড়ফড় করা বা অস্থির লাগলে বড়রা বলতেন, লম্বা শ্বাস নাও। আমরা হয়ত বড়দের এই উপদেশকে কথার কথা হিসেবে উড়িয়ে দেই। কিন্তু এটি কোনও কুসংস্কার নয়, এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞানের ব্যাখা।
আমাদের ঘাড়ে 'ভেগাস নার্ভ’ নামে একটি বিশেষ স্নায়ু রয়েছে। এটি আমাদের মস্তিষ্কের ‘রিল্যাক্সেশন সুইচ’। যখন আমরা লম্বা শ্বাস নিই, তখন এই স্নায়ুটি মস্তিষ্ককে সংকেত পাঠায়, 'সব ঠিক আছে, এখন শান্ত হও।'
তাই মনোবিজ্ঞানীরা ‘৪-৭-৮’ পদ্ধতিকে দারুণ কার্যকরী বলে মনে করেন। প্রথমে ৪ সেকেন্ড নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। তারপর ৭ সেকেন্ড শ্বাসটি ভেতরে আটকে রাখুন এবং পরবর্তী ৮ সেকেন্ডে শিস দেওয়ার মতো করে মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। মাত্র তিন-চার বার এটি করলেই দেখবেন, আপনার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হয়ে আসছে আর অস্থিরতা কমে যাচ্ছে।
জাপানি গবেষকরা ‘শিনরিন-ইওকু’ নামে একটি চমৎকার শব্দ ব্যবহার করেন, যার বাংলা অর্থ হতে পারে ‘ফরেস্ট বাথিং’ বা সবুজ স্নান।
গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ যখন প্রকৃতির কাছাকাছি থাকে, তখন মস্তিষ্কের প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স অর্থাৎ মস্তিষ্কের যে অংশটি চিন্তা-ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করে, সেই অংশটি বিশ্রাম পায়।

নিশ্চয়ই ভাবছেন, মন শান্ত করতে কী আপনাকে ‘বনবাসী' হতে হবে বা জঙ্গলে চলে যেতে হবে? উত্তরটি হলো, না। চাইলে আরও সহজভাবে আপনি আপনার মনকে শান্ত করতে পারেন। বিকেলবেলা কোনো পার্কের গাছের নিচে ১৫-২০ মিনিট হাঁটুন। এটিও সম্ভব না হলে বারান্দার গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকুন।
মাথার ভেতর যখন হাজারো চিন্তা ঘুরপাক খায়, তখন মন শান্ত করা কঠিন। মনোবিজ্ঞানীরা একে বলেন ‘কগনিটিভ লোড’ বা মস্তিষ্কের অতিরিক্ত বোঝা। এই বোঝা কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, লিখে ফেলা।
শোয়ার আগে মাত্র ৫ মিনিট সময় নিন। একটা ডায়েরি বা কাগজে আপনার মনের সব চিন্তাগুলো লিখে ফেলুন কিংবা আজ সারাদিন কী কী হলো সেটিও লিখতে পারেন। কোন কোন বিষয়ে আপনি চিন্তিত বা কার ব্যবহারে দু:খ পেয়েছেন, কাগজে লিখে ফেলুন।
মনে রাখবেন, ঘটনা যত তুচ্ছই হোক না কেন তা যদি আপনাকে বিন্দুমাত্র কষ্ট দেয়, তা আপনার মনে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে আগামী দিনের জন্য মনকে প্রস্তুত করতে ঘটনাটি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা ভালো।
গবেষণা বলছে, চিন্তাকে যখন আমরা লেখায় রূপ দেই, মস্তিষ্ক তখন মনে করে, 'যাক, বিষয়টা তো নোট করা হলো, এখন আর মনে না রাখলেও চলবে।' এতে মস্তিষ্ক ভারমুক্ত হয় এবং ঘুম ভালো হয়।
আমরা অনেকেই মন খারাপ থাকলে ফোন স্ক্রল করতে থাকি। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, এটি আগুনে ঘি ঢালার মতো। ফোনের স্ক্রিন থেকে আসা 'ব্লু লাইট’ আমাদের মস্তিষ্কের মেলাটোনিন হরমোন কমিয়ে দেয়। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার নেতিবাচক খবর বা অন্যের চাকচিক্যময় জীবন দেখে আমাদের অবচেতন মনে এক ধরনের চাপ তৈরি হয়।
নিজেকে শান্ত রাখতে দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ‘ডিজিটাল বিরতি’ নিন। বিশেষ করে ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে ফোনটি দূরে সরিয়ে রাখুন। এই সময়টা বই পড়া বা পরিবারের মানুষের সঙ্গে কথা বলে কাটান। মস্তিষ্কের উত্তেজনা কমাতে এটি দারুণ কার্যকর।
ব্যায়ামের কথা শুনলেই আজকাল অনেকে ভয় পান। ফেসবুক-ইউটিউবের রিলস ঘাটতে ঘাটতে আর হাত-পা নাড়ানোর ইচ্ছা হয়না কারো। কিন্তু মন শান্ত করতে শরীরের ভূমিকা অনেক বেশি।
ভাবছেন, মন শান্ত করতে কি তবে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে হবে? না। শুধু ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা হালকা স্ট্রেচিং-ই যথেষ্ট।
আমরা যখন শারীরিক পরিশ্রম করি, তখন আমাদের শরীর 'এন্ডোরফিন’ নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে। একে বলা হয় ‘প্রাকৃতিক পেইনকিলার’। এটি মেজাজ খিটখিটে হওয়া কমায় এবং মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে। বিজ্ঞানীদের মতে, যারা নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করেন, তাদের দুশ্চিন্তা করার প্রবণতা অন্যদের চেয়ে কম।
মন শান্ত রাখলেই যে আপনার জীবনে কোনো সমস্যা থাকবে না, তা কিন্তু নয়। তবে হাজারো সমস্যার মাঝেও নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করা, নিজেকে স্থির রাখার চেষ্টা করা জরুরি। উপরের পাঁচটি পদ্ধতি হয়তো আপনার সব সমস্যা সমাধান করবে না, কিন্তু সমস্যা সামলানোর জন্য আপনার মনকে প্রস্তুত করবে। কে বলতে পারে, এই ছোট ছোট ধাপগুলোই হয়ত একসময় আপনার একঘেয়ে জীবনে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।

আজ ৮ ডিসেম্বর জন লেননের মৃত্যুদিন। দুনিয়া কাঁপানো ব্যান্ড বিটলস-এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য লেনন ছিলেন একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার, চিত্রশিল্পী, লেখক ও শান্তিকর্মী। ‘ইমাজিন’ তাঁর বিখ্যাত গান। এই গানে তিনি কোন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখিয়েছেন? কেন গানটি আজও এত প্রাসঙ্গিক?
২ ঘণ্টা আগে
বর্তমান বিশ্বে সাহসী বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যাঁর নাম সবার আগে আসে, তিনি নোম চমস্কি। ৭ ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিন। একদিকে তিনি আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের স্থপতি, অন্যদিকে শোষিতের পক্ষে দাঁড়ানো এক অকুতোভয় যোদ্ধা। খুঁজে দেখা যাক আধুনিক সময়ের অন্যতম প্রধান চিন্তক ও জনবুদ্ধিজীবী নোম চমস্কির বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্ম।
৪ ঘণ্টা আগে
শুনতে অবাক লাগলেও এমন ঘটনাই ঘটেছে মুক্তিযুদ্ধের সময়। যদিও ইতিহাসের পাতায় কচুরিপানা নিয়ে খুব কমই লেখা হয়েছে, কিন্তু কচুরিপানার অবদান অস্বীকার কোনো উপায় নেই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেবল বারুদ আর রক্তের ইতিহাস নয়। এটি ছিল বাংলার মাটি, জল ও প্রকৃতির এক সম্মিলিত সংগ্রাম।
৪ ঘণ্টা আগে
‘আমরা বর্ষার অপেক্ষায় আছি… তাঁরা পানিকে ভয় পায়, আর আমরা হচ্ছি জলের রাজা। প্রকৃতি হবে আমাদের দ্বিতীয় বাহিনী।’ নিউইয়র্ক টাইমসের খ্যাতিমান সাংবাদিক সিডনি শনবার্গের ‘ডেটলাইন বাংলাদেশ’ প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছিলেন এক বাঙালি অফিসার।
৪ ঘণ্টা আগে