জননিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ঝুঁকি নিরূপণ ও ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের হস্তক্ষেপের ক্ষমতা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় শুধু রাজউক নয়, সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতের বড় ধরনের ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এখনই সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)–এর কাউন্সিল কক্ষে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আয়োজিত ‘ভূমিকম্প ঝুঁকি হ্রাসে প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘ভূমিকম্পের প্রস্তুতিতে অপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। রাজউকের পাশাপাশি থার্ড পার্টির মাধ্যমে দ্রুত রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট এবং স্থানীয়দের সহায়তায় জরিপ কার্যক্রম শুরু করতে হবে। মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে যে সরকার ভূমিকম্প মোকাবিলায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।’ তিনি জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।
পুরান ঢাকার ঝুঁকি প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল কারখানা, অতিরিক্ত জনঘনত্ব এবং বিল্ডিং কোড না মানার কারণে পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। তিনি কেমিক্যাল কারখানাগুলো স্থায়ীভাবে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার এবং জরুরি ভিত্তিতে সেখানে ঝুঁকি নিরূপণের পরামর্শ দেন।
সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা পরিহারের আহ্বান জানিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘অনেক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অভাবে ঝুলে থাকে। রাজউককে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দিয়ে প্রক্রিয়াটি সহজ করতে হবে। এখন পরিকল্পিত উদ্যোগ ও কাজের গতি বাড়ানোই মুখ্য।’
রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম।