দক্ষিণ এশিয়ায় কি ‘চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ অক্ষ’ গড়ে উঠছে?

.png)

গত বছর আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে ঢাকা ও ইসলামাবাদের সম্পর্ক উষ্ণ হতে শুরু করে। বাণিজ্য ও দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগে দৃশ্যমান উন্নতি ঘটেছে। এ প্রেক্ষাপটে জেনারেল মির্জা বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে আছেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি পরিদর্শনে গিয়ে উপদেশ দিয়েছেন, ফার্নিচার, গাড়ি-টাড়ি বানানো বাদ দিয়ে ওখানে যেন ট্যাংক বানানো হয়। আমি বাণিজ্য উপদেষ্টার মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে দুটি প্রশ্ন করতে চাই।

বাংলাদেশে নিঃশব্দে পুনর্নির্মিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্য। তুরস্কের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই চুক্তির আওতায় ঢাকা পেতে যাচ্ছে তুরস্কের তৈরি দূরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এসআইপিইআর)। পাশাপাশি সম্ভাবনা রয়েছে যৌথভাবে তুর্কি যুদ্ধ ড্রোন তৈরিরও।

১৯৩৮ সালে মহাত্মা গান্ধী লিখেছিলেন, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনিদেরই ভূমি; ইহুদিদের সেখানে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।’ সাত দশক পর, সেই একই ভূমিতে দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আলিঙ্গন করে বলেছিলেন, ‘ইসরায়েল আমাদের সত্যিকারের বন্ধু।

১৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ২০২৫ তারিখে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরাইলের হামলার পর ন্যাটো জোটের আদলে মুসলিম সামরিক জোটের চল

চুক্তিতে ঘোষণা করা হয়, ‘দুই দেশের যে কোনো এক দেশের ওপর আক্রমণকে উভয় দেশের ওপর আক্রমণ হিসেবে গণ্য করা হবে।’ এটি মূলত পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মতো পারস্পরিক প্রতিরক্ষা ধারা কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দেয়। অর্থাৎ, কোনো বহিঃশত্রুর হুমকির মুখে দুই দেশ যৌথভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে।

ভারতের প্রতিরক্ষা সর্বাধিনায়ক (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের স্বার্থ পরস্পর জড়িত, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।’ অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (ওআরএফ) ফরেন পলিসি সার্ভে ২০২৪ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় জেনারেল...