২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে। এই দিনটি মূলত যিশুর জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। বড়দিনের অন্যতম বড় আকর্ষণ হলো সান্তা ক্লজ। সান্তা ক্লজ কীভাবে হয়ে উঠল উৎসবের প্রতীক?
মিনহাজ রহমান পিয়াস

সান্তা ক্লজের কথা ভাবলেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে হাসিখুশি, গোলগাল, দাড়িওয়ালা এক দয়ালু বৃদ্ধের ছবি। গায়ে উজ্জ্বল লাল কোট, সাদা ফার, কালো বেল্ট। এই লাল সান্তা ক্লজ আমাদের কল্পনায় এমনভাবে গেঁথে গেছে যে মনে হয় সান্তা বুঝি চিরকালই লাল পোশাক পরতেন। মজার ব্যাপার হলো, একসময় সান্তাকে নীল, সবুজ, বাদামিসহ নানা রঙের পোশাকেই দেখা গেছে। তাহলে এখন লালই কেন?
এখানেই আসে কোকা-কোলার গল্প। ১৯৩১ সালে কোকা-কোলা ক্রিসমাসের বিজ্ঞাপনে এমন এক সান্তাকে সামনে আনল, যিনি ভয়ংকর রূপকথার চরিত্র নন, বরং একেবারে ঘরের মানুষ। উষ্ণ, বন্ধুসুলভ, হাত বাড়ালেই যেন হেসে কথা বলবেন। ১৮০০ সালে কার্টুনিস্ট থমাস ন্যাস্ট সান্তা ক্লজকে লাল ড্রেসে এঁকেছিলেন। সেই আইডিয়া থেকে ১৯৩১ সালে কোকা-কোলা আর্টিস্ট হেডন সানডব্লমকে দিয়ে তাদের ব্র্যান্ড কালারের সঙ্গে মিলিয়ে বন্ধুসুলভ লাল স্যুট পরা এক সান্তাকে আঁকায়।

তারপর ম্যাগাজিন, পোস্টার, বিলবোর্ড, দোকানের ডিসপ্লেতে বিশ্বজুড়ে কোকা-কোলা সেই প্রচারণা চালায়। ১৯৩১–১৯৬৪ সালের কোকাকোলার সেই বিজ্ঞাপনগুলো পরবর্তীতে লাল-সাদা সুটে বিশ্বজুড়ে সান্তার ইমেজ তৈরিতে ভূমিকা রাখে। বছরের পর বছর একই পোশাকের পুনরাবৃত্তি হতে হতে লাল সান্তাই হয়ে উঠল পোশাকের রঙ।
সেইন্ট নিকোলাস নামে এক বিশপকে ঘিরে সান্তা ক্লজের গল্প শুরু। ধারনা করা হয় খ্রিষ্টিয় ২৮০ সালের দিকে এশিয়া মাইনর বা বর্তমান তুরস্কের পাতারা অঞ্চলে তাঁর জন্ম হয়েছিল। সততা, দয়া ও মহানুভবতার জন্য তিনি মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন। গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষদের সাহায্য করতেন তিনি। শিশুদের প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছিলেন নিকোলাস। কথিত আছে, একবার নিকোলাস দাস হিসেবে বিক্রি হতে যাওয়া তিন মেয়েকে রক্ষা করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি সেই মেয়েগুলির বিয়ের যাবতীয় খরচও নিজে করেছিলেন।
নিকোলাস বাচ্চাদের ভীষণ ভালবাসতেন। চুপিচুপি তাদের জন্য গিফট রেখে যেতেন। বাচ্চাদের অবাক করা হাসিমুখ তার খুব পছন্দ ছিল। এই জনদরদী মনোভাবের জন্য এক সময় সারা ইউরোপে তাঁর নামে জয়জয়কার শুরু হতে থাকে। সেইন্ট নিকোলাস পরিচিতি পেতে থাকেন বাচ্চাদের পরম বন্ধু ও সবার দুর্দিনের সাথী হিসেবে। এভাবেই একসময় সেইন্ট নিকোলাস সারা ইউরোপে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেইন্ট হিসেবে স্বীকৃতি পান এবং অনেকেই মনে করেন সেইন্ট নিকোলাসই আজকের সান্তা ক্লজ ।
লোকগল্প অনুসারে সান্তা উত্তর মেরুতে থাকেন। সেখানে বসেই তিনি বাচ্চাদের চিঠি পড়েন। মজার ব্যাপার হলো, কিছু দেশে সত্যি সত্যিই ডাকঘরে সান্তার ঠিকানা আছে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের ডাকঘরে নর্থ পোলের একটি ঠিকানা আছে সান্তাকে চিঠি পাঠানোর জন্য।
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ক্রিসমাস উপলক্ষে উপহার বিনিময় এক ধরনের সামাজিক প্রথায় পরিণত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অনেক কোম্পানি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ক্রিসমাস উপলক্ষে উপহার বিনিময় প্রথা চালু করতে প্রচুর বিনিয়োগ করতে শুরু করে। দ্রুতই এটি সারা বিশ্ব ছড়িয়ে পড়ল। শপিং মলগুলোতে বিশাল বিশাল সাইজের ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা ক্লজ ও টুনি বাল্ব দিয়ে এমনভাবে সাজানো হতো যেন সবার মনেই উৎসবের আমেজ চলে আসে।
আর সেটিই মানুষকে উৎসব উপলক্ষে কেনাকাটার জন্য প্রভাবিত করতো। দোকানে দোকানে বিক্রি হতে থাকলো নানা ডিজাইনের কুকি, বাহারি পোশাক, সান্তার লাঠির আদলে তৈরি হয় ক্যান্ডি কেইন, নানা রকম চকলেটের বাহার আর নানা রকম গিফট সামগ্রী। এক কথায় বিশাল ব্যবসা ।
ক্রিসমাসের আনন্দ এখন আরও বেশি। উদযাপনের ঢং আরও উন্নত। ক্রিসমাস উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে ব্যবসা আরও বাড়লেও শুধু সেইন্ট নিকোলাসের সেই আর্দশই এখন বিলুপ্তির পথে।

সান্তা ক্লজের কথা ভাবলেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে হাসিখুশি, গোলগাল, দাড়িওয়ালা এক দয়ালু বৃদ্ধের ছবি। গায়ে উজ্জ্বল লাল কোট, সাদা ফার, কালো বেল্ট। এই লাল সান্তা ক্লজ আমাদের কল্পনায় এমনভাবে গেঁথে গেছে যে মনে হয় সান্তা বুঝি চিরকালই লাল পোশাক পরতেন। মজার ব্যাপার হলো, একসময় সান্তাকে নীল, সবুজ, বাদামিসহ নানা রঙের পোশাকেই দেখা গেছে। তাহলে এখন লালই কেন?
এখানেই আসে কোকা-কোলার গল্প। ১৯৩১ সালে কোকা-কোলা ক্রিসমাসের বিজ্ঞাপনে এমন এক সান্তাকে সামনে আনল, যিনি ভয়ংকর রূপকথার চরিত্র নন, বরং একেবারে ঘরের মানুষ। উষ্ণ, বন্ধুসুলভ, হাত বাড়ালেই যেন হেসে কথা বলবেন। ১৮০০ সালে কার্টুনিস্ট থমাস ন্যাস্ট সান্তা ক্লজকে লাল ড্রেসে এঁকেছিলেন। সেই আইডিয়া থেকে ১৯৩১ সালে কোকা-কোলা আর্টিস্ট হেডন সানডব্লমকে দিয়ে তাদের ব্র্যান্ড কালারের সঙ্গে মিলিয়ে বন্ধুসুলভ লাল স্যুট পরা এক সান্তাকে আঁকায়।

তারপর ম্যাগাজিন, পোস্টার, বিলবোর্ড, দোকানের ডিসপ্লেতে বিশ্বজুড়ে কোকা-কোলা সেই প্রচারণা চালায়। ১৯৩১–১৯৬৪ সালের কোকাকোলার সেই বিজ্ঞাপনগুলো পরবর্তীতে লাল-সাদা সুটে বিশ্বজুড়ে সান্তার ইমেজ তৈরিতে ভূমিকা রাখে। বছরের পর বছর একই পোশাকের পুনরাবৃত্তি হতে হতে লাল সান্তাই হয়ে উঠল পোশাকের রঙ।
সেইন্ট নিকোলাস নামে এক বিশপকে ঘিরে সান্তা ক্লজের গল্প শুরু। ধারনা করা হয় খ্রিষ্টিয় ২৮০ সালের দিকে এশিয়া মাইনর বা বর্তমান তুরস্কের পাতারা অঞ্চলে তাঁর জন্ম হয়েছিল। সততা, দয়া ও মহানুভবতার জন্য তিনি মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন। গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষদের সাহায্য করতেন তিনি। শিশুদের প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছিলেন নিকোলাস। কথিত আছে, একবার নিকোলাস দাস হিসেবে বিক্রি হতে যাওয়া তিন মেয়েকে রক্ষা করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি সেই মেয়েগুলির বিয়ের যাবতীয় খরচও নিজে করেছিলেন।
নিকোলাস বাচ্চাদের ভীষণ ভালবাসতেন। চুপিচুপি তাদের জন্য গিফট রেখে যেতেন। বাচ্চাদের অবাক করা হাসিমুখ তার খুব পছন্দ ছিল। এই জনদরদী মনোভাবের জন্য এক সময় সারা ইউরোপে তাঁর নামে জয়জয়কার শুরু হতে থাকে। সেইন্ট নিকোলাস পরিচিতি পেতে থাকেন বাচ্চাদের পরম বন্ধু ও সবার দুর্দিনের সাথী হিসেবে। এভাবেই একসময় সেইন্ট নিকোলাস সারা ইউরোপে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেইন্ট হিসেবে স্বীকৃতি পান এবং অনেকেই মনে করেন সেইন্ট নিকোলাসই আজকের সান্তা ক্লজ ।
লোকগল্প অনুসারে সান্তা উত্তর মেরুতে থাকেন। সেখানে বসেই তিনি বাচ্চাদের চিঠি পড়েন। মজার ব্যাপার হলো, কিছু দেশে সত্যি সত্যিই ডাকঘরে সান্তার ঠিকানা আছে। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের ডাকঘরে নর্থ পোলের একটি ঠিকানা আছে সান্তাকে চিঠি পাঠানোর জন্য।
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ক্রিসমাস উপলক্ষে উপহার বিনিময় এক ধরনের সামাজিক প্রথায় পরিণত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অনেক কোম্পানি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ক্রিসমাস উপলক্ষে উপহার বিনিময় প্রথা চালু করতে প্রচুর বিনিয়োগ করতে শুরু করে। দ্রুতই এটি সারা বিশ্ব ছড়িয়ে পড়ল। শপিং মলগুলোতে বিশাল বিশাল সাইজের ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা ক্লজ ও টুনি বাল্ব দিয়ে এমনভাবে সাজানো হতো যেন সবার মনেই উৎসবের আমেজ চলে আসে।
আর সেটিই মানুষকে উৎসব উপলক্ষে কেনাকাটার জন্য প্রভাবিত করতো। দোকানে দোকানে বিক্রি হতে থাকলো নানা ডিজাইনের কুকি, বাহারি পোশাক, সান্তার লাঠির আদলে তৈরি হয় ক্যান্ডি কেইন, নানা রকম চকলেটের বাহার আর নানা রকম গিফট সামগ্রী। এক কথায় বিশাল ব্যবসা ।
ক্রিসমাসের আনন্দ এখন আরও বেশি। উদযাপনের ঢং আরও উন্নত। ক্রিসমাস উপলক্ষে বিশ্বজুড়ে ব্যবসা আরও বাড়লেও শুধু সেইন্ট নিকোলাসের সেই আর্দশই এখন বিলুপ্তির পথে।

আজ ২৪ ডিসেম্বর। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্র খ্যাতনামা গিটারিস্ট ও সুরকার কাজী অনিরুদ্ধের জন্মদিন। সুরের আকাশে গিটারযন্ত্রের শিল্পসাধনায় অনিরুদ্ধ আপন প্রতিভায় ছিলেন ভাস্বর। কিন্তু আমরা ক'জনই বা এই গুণী মানুষটির ব্যাপারে জানি? চলুন জেনে নিই এই নিভৃতচারী শিল্পীর কর্মজীবন ও সং
২০ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ ১৭ বছর যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত থাকার পর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে মঞ্চ। রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফুট এলাকা সংলগ্ন সড়কে এটি তৈরি করা হচ্ছে।
১ দিন আগে
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের কয়েকঘন্টা আগে মিরপুরে কয়েক হাজার বছর আগের ইতিহাস যেন ভিন্ন প্রেক্ষিত এবং পটভূমিতে সেদিন জীবন্ত হয়ে উঠেছিল। এ যেন মিরপুর নয়, মিরপুর সেদিন যেন প্রাচীন গ্রীসের এথেন্স নগরী।
১ দিন আগে
হয়ত আপনি এমন জব সার্কুলারে আবেদন করেছেন, যার আসলে কোনো অস্তিত্বই নেই! এই অদৃশ্য ও রহস্যময় ফাঁদটিই এখন দুনিয়াজুড়ে ‘ঘোস্ট জব’ বা ‘ভুতুড়ে চাকরি’ নামে পরিচিত।
২ দিন আগে