
.png)

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সংস্কারসহ কয়েকটি দাবিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনে অবস্থান নেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। এতে বিটিআরসির সামনে আগারগাঁও-শিশুমেলা সড়কের উভয় লেনেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আবার মুখোমুখি অবস্থানে সরকার ও ব্যবসায়ীরা। ঘোষণা ছাড়াই ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান। এবার এক লাফে লিটারে বোতলজাতে বাড়ানো হয়েছে ৯ টাকা। আর খোলা তেলে বেড়েছে ৫ টাকা।

মোবাইল মার্কেট বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

হাজি আবদুর রহিম (৪৭)। রাজধানীর পুরোনো ঢাকার কাপড়ের ব্যবসায়ী। পরিবার নিয়ে বসবাস পুরোনো ঢাকার সুরিটোলায়।

কলকারখানার ন্যূনতম ২০ শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন করার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’– অধ্যাদেশের গেজেট জারি হয়েছে। এ সুযোগকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সংশোধিত আইনে শিল্পকারখানায় অস্থিরতা বাড়বে।

সরকার ও ব্যবসায়ীরা বসে আলোচনার ভিত্তিতে দেশে ভোজ্যতেলের অভিন্ন দাম নির্ধারণ শুরু হয় ২০২১ সালে। এর মধ্যে গত সোমবার ব্যবসায়ীরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেন। তবে সরকার জানায়, তারা নতুন এই দামে সম্মতিই দেয়নি। দুপক্ষের এমন অবস্থান নিয়ে এরপর থেকে চলছে আলোচনা।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা, যা এখতিয়ার বহির্ভূত।

বাজার মূল্যের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান। তাঁর প্রতিষ্ঠান সেই ‘খলিল গোস্ত বিতান’-এর বিরুদ্ধে সম্প্রতি মরা গরু জবাই করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে সরকার। তবে কত টাকা বাড়বে এবং কবে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে, সে ব্যাপারে কিছু এখনও জানানো হয়নি। এদিকে দাম বাড়তে পারে— এমন খবরে সয়াবিন তেলের বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্য নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের সম্পত্তি বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য গ্রুপের খসড়া পাওয়ার অব অ্যাটর্নি স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে নাসা গ্রুপ।

বাংলাদেশের বাস্তবতায় দেখা যায়, আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়াটি প্রধানত মন্ত্রণালয়নির্ভর এবং তা সংসদীয় কাঠামোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। বড় ব্যবসায়ী সংগঠন ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরা প্রভাব বিস্তার করলেও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, সাধারণ নাগরিক, নারী বা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মতামত প্রায় অনুপস্থিত থাকে।

প্রসাধনীতে শুল্ক বৃদ্ধি
ব্যবসায়ী ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টদের মতে, শুল্ক মূল্য হঠাৎ দ্বিগুণের কাছাকাছি হলে চোরাচালান, অবৈধ অনলাইন সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। ফলে সরকার যদি স্থানীয় উৎপাদন না বাড়াতে পারে বা যৌক্তিক শুল্ক কাঠামো নিশ্চিত না করে, তাহলে বাজারে বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।