
.png)

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ও চরম বৈরী আবহাওয়ায় সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে আরও অন্তত ৮০০ মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় ‘ডিটওয়াহ’র প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে শ্রীলঙ্কায় এখন পর্যন্ত ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) জানিয়েছে, আরও অন্তত ১৭৬ জন নিখোঁজ আছেন। সারা দেশে প্রায় ১৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শ্রীলঙ্কাজুড়ে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) দেশটির সব সরকারি অফিস ও স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এখন পর্যন্ত ছয় শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রবল বর্ষণে দশটি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী বাণিজ্যিক শহর হাট ইয়াইয়ে ৩০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এক দিনে সেখানে ৩৩৫ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।

বরেন্দ্র অঞ্চলে বছরে গড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। সাধারণত বৃষ্টিপাত কম হয় বলে এই অঞ্চল ক্রমেই খরাপ্রবণ হয়ে উঠছে। কিন্তু শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতের অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে বরেন্দ্র অঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে।

টানা ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মেক্সিকোতে অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।

উত্তরাঞ্চলের চার জেলা—রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উজানের ঢল এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে, ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে।

তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে আমন ফসলের খেত। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কয়েকটি চরের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

গতকাল সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে টানা ভারী বর্ষণে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার জনজীবন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। মাত্র পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় শহরের অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার বেনিয়াপুকুর, কালিকাপুর, নেতাজি নগর, গড়িয়াহাট ও ইকবালপুর

ভাঙনে নিঃস্ব হাতিয়ার মানুষ
হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের লাল পোল প্রায় এক বছর আগে ভূখণ্ড থেকে আলাদা হয়ে যায়। এরপর আশপাশের আরও জনবসতি, বাজার, প্রতিষ্ঠান ভেঙে গেছে। ভাঙন কবলিত মানুষের দীর্ঘশ্বাস হয়ে নদীর বুকে এখনো দাঁড়িয়ে আছে সেতুটি।

নীলফামারীতে আবার বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। উজানের ঢলে আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ডালিয়া পয়েন্ট তিস্তা ব্যারাজ পয়েণ্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১৭ সেণ্টিমিটার। এতে ১৫টি গ্রাম ও চরাঞ্চলের ন

ভয়াবহ বন্যার এক বছর
ফেনীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার এক বছর পেরিয়েছে চলতি আগস্টে। এরপর যথাযথ পুনর্বাসন ও সংস্কার করা হয়নি। এখনো জেলা জুড়ে রয়ে গেছে তার ক্ষত চিহ্ন। এরই মধ্যে চলতি বছরের বন্যার আঘাতে নাজেহাল হয়েছেন আগের ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি উপজেলার বাসিন্দারা।

দেশের অভ্যন্তরে সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রংপুর, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে এবং উজানে ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, আসাম ও ত্রিপুরা প্রদেশে আগামী তিন দিন (২০ আগস্ট ৯টা থেকে ২৩ আগস্ট ৯টা পর্যন্ত) ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র-বাপাউবো।

চলতি মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত ভারী মৌসুমি বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে ও সেপ্টেম্বরে আরও দুই থেকে তিন দফা ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩১৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়
বরাদ্দ পাওয়ার আশায় নিজেদের টাকায় সংস্কারকাজ করেছে অনেক বিদ্যালয়। এখন বরাদ্দ ফেরত যাওয়ায় তারাও পড়েছে বিপাকে। সেই সঙ্গে সংস্কার না হওয়া বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

গতকাল শনিবার (১৬ আগস্ট) প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) বরাতে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন সর্বশেষ এ তথ্য জানিয়েছে। পিডিএমএ জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় বুনের শহরে সর্বোচ্চ মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া গিলগিট-বালতিস্তানে ১২ ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে ১১ জন মারা গেছেন।